ধ্বনির পরিবর্তন - ZerO to Infinity

Header Ads

ধ্বনির পরিবর্তন

ধ্বনির পরিবর্তন: বাংলা ভাষার গতিশীলতা

✨ ধ্বনির পরিবর্তন: বাংলা ভাষার গতিশীলতা

শব্দের মূল ধ্বনির যে সব পরিবর্তন ঘটে, তাই **ধ্বনি পরিবর্তন**। এর ফলে উচ্চারণের সময় এক ধ্বনির জায়গায় অন্য ধ্বনি আসে, পরের ধ্বনিকে আগেই উচ্চারণ করা হয়, যুক্তাক্ষর ভেঙ্গে দেওয়া হয়, মূল শব্দে বাড়তি ধ্বনি আনা হয়, বা ধ্বনির ওলট-পালট ঘটে। সব ভাষাতেই এ ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে নতুন শব্দ তৈরি হয়। ধ্বনি পরিবর্তনে আছে বৈচিত্র্য; ভাষার গতিশীলতা ও আধুনিকীকায়নে ধ্বনি পরিবর্তনের গুরুত্ব অনেক।

যেমন: সত্য > সত্যি, স্কুল > ইস্কুল, কপাট > কবাট ইত্যাদি।

স্মরণীয়: ধ্বনির পরিবর্তন মানে শব্দের উচ্চারণ পরিবর্তন। মনে রাখতে হবে, ধ্বনি পরিবর্তনে কখনো **অর্থের পরিবর্তন হবে না**।


🎯 ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ

আঞ্চলিকতা, দ্রুত কথা বলা, গুরুত্ব প্রদান, জিভের আলসেমি, অসাবধানতা, অনিচ্ছা, ত্রুটি, সহজে উচ্চারণ করার প্রবণতা ইত্যাদি কারণে ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে। **স্বরধ্বনি** এবং **ব্যঞ্জনধ্বনি** উভয়েরই ধ্বনি পরিবর্তন হয়ে থাকে।

ধ্বনি পরিবর্তনের প্রক্রিয়া প্রধানত তিন ভাবে হয়ে থাকে:

  • স্বরাগম
  • স্বরলোপ/সম্প্রকর্ষ
  • ধ্বনির রূপান্তর

১. স্বরাগম (Vowel Insertion/Addition)

স্বরাগম শব্দের মানে **স্বর + আগম**। উচ্চারণের সুবিধা বা অন্য কোনো কারণে শব্দের আদি, মধ্য বা অন্তে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে স্বরাগম বলে।

যেমন: স্টেশন > ইস্টিশন, রাত > রাইত, আশ্ > আশা ইত্যাদি।

স্বরাগম তিন প্রকার:

  1. আদি স্বরাগম (Prothesis)
  2. মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ/স্বরভক্তি (Anaptyxis/Vowel Insertion)
  3. অন্ত্য স্বরাগম (Apothesis)

(ক) আদি স্বরাগম (Prothesis)

উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা অন্য কোনো কারণে শব্দের আদিতে/শুরুতে স্বরধ্বনি এলে তাকে আদি স্বরাগম বলে।

  • স্কুল > **ই**স্কুল
  • স্টেশন > **ই**স্টিশন
  • স্পৃহা > **আ**ম্পৃহা
  • স্তাবল > **আ**স্তাবল
  • স্ত্রী > **ই**স্ত্রি

(খ) মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি (Anaptyxis)

উচ্চারণের সুবিধার জন্য সময় সময় সংযুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি বলে। সহজ কথায়, চলিত ভাষায় সহজ করে উচ্চারণের জন্য সংযুক্তব্যঞ্জনকে ভেঙে তার মাঝে স্বরধ্বনি আনয়ন করা হয়।

স্বরভক্তিতে অ, ই, উ, এ, ও স্বরধ্বনির আগম দেখা যায়।

স্বরধ্বনি উদাহরণ
নির্জন > নির**অ**জন, রত্ন > রত**অ**ন, প্রাণ > পর**অ**ান, ধর্ম > ধর**অ**ম, ভক্তি > ভক**অ**তি
প্রীতি > প**ই**রীতি, ক্লিপ > ক**ই**লিপ, ফিল্ম > ফ**ই**লিম, ত্রিশ > ত**ই**রিশ
গ্রাম > গ**এ**রাম, প্রেক > প**এ**রেক, স্রেফ > স**এ**রেফ
মুক্তা > ম**উ**কুতা, তুর্ক > ত**উ**রুক, ভ্রু > ভ**উ**রু
চন্দ্র > চন্দ**ও**র, শ্লোক > শ**ও**লোক, মুরগ > ম**ও**রোগ

(গ) অন্ত্য স্বরাগম (Apothesis)

শব্দের শেষে কোনো কোনো সময় অতিরিক্ত স্বরধ্বনি আসে। এরূপ স্বরের আগমনকে অন্ত্যস্বরাগম বলা হয়।

  • দিশ > দিশ**আ**
  • পোখ > পোক্ত**ও**
  • দুষ্ট > দুষ্ট**উ**
  • বেঞ্চ > বেঞ্চ**ই**
  • সত্য > সত্য**ই**

২. অপিনিহিতি (Epenthesis)

শব্দে ব্যঞ্জনের সংঙ্গে যুক্ত **ই** (আজি > আইজ) বা **উ** (চালু > চাউল) যদি নিজের জায়গায় উচ্চারিত না হয়ে উক্ত ব্যঞ্জনের **আগে** উচ্চারিত হয়, তাকে অপিনিহিতি বলে।

সহজ কথায়, যখন **পরের ই-কার বা উ-কার আগে উচ্চারিত হয়** তাকেই অপিনিহিতি বলে। অপিনিহিতি শব্দের অর্থ **আগে স্থাপন**।

  • আজি > আ**ই**জ
  • রাখিয়া > রা**ই**খ্যা
  • চলিয়া > চ**ই**ল্যা
  • সত্য > স**ই**ত্য
  • আশু > আ**উ**শ
  • সাধু > সা**উ**ধ

বিশেষ ক্ষেত্রে: ক্ষ ও জ্ঞ-এর অন্তর্নিহিত ই-ধ্বনির অপিনিহিতি: সাক্ষাৎ > সাইকখাৎ, লক্ষ > লইকখ, বক্ষ > বইকখ ইত্যাদি।


৩. অসমীকরণ (Dissimilation)

একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে স্বরধ্বনি যুক্ত করাকে অসমীকরণ বলে।

  • ধপ + ধপ > ধপ**আ**ধপ
  • পট + পট > পট**আ**পট
  • গপ + গপ > গপ**আ**গপ

৪. স্বরসঙ্গতি (Vowel Harmony)

যদি একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। শব্দে স্বরের মধ্যে অসম দূর করে সঙ্গতি বা মিল রক্ষা করার নামই স্বরসঙ্গতি।

যেমন: ইচ্ছা > ইচ**ছে** (পূর্ববর্তী ই-এর প্রভাবে পরবর্তী আ > এ হয়েছে), বিলাতি > বিলি**তি**।

স্বরসঙ্গতি পাঁচ প্রকারের:

  • প্রগত (Progressive): আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বরের পরিবর্তন (পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাব)। যেমন: মুলা > মুল**ও**, শিকা > শিক**এ**।
  • পরাগত (Regressive): অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বরের পরিবর্তিত (পরবর্তী স্বরের প্রভাব)। যেমন: বুনা > ব**ও**না, শিখা > শ**এ**খা, দেশি > দ**ই**শি।
  • মধ্যগত (Mutual): আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বরের পরিবর্তন। যেমন: বিলাতি > বিলি**তি**, ভিখারি > ভিখি**রি**।
  • অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি (Reciprocal): আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পরকে প্রভাবিত করে উভয়ে পরিবর্তিত হয়। যেমন: মোজা > মুজ**ও**, পোষ্য > পুষ্য**ই**।
  • চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি: যেমন: গিলা > গেলা, মিঠা > মিঠে।

৫. সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ (Syncope/Apocope)

দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনির লোপ হয়। স্বরলোপ বস্তুত স্বরাগমের বিপরীত প্রক্রিয়া।

যেমন: বসতি > বস**তি** (মধ্যস্বরের লোপ), জানালা > জান**লা** (মধ্যস্বরের লোপ)।

  • আদিস্বরলোপ (Aphesis): উদ্ধার > উধার > **ধ**ার, অলাবু > লাবু > **লা**উ।
  • মধ্যস্বর লোপ (Syncope): গামোছা > গা**মছা**, সুবর্ণ > **স্বর্ণ**।
  • অন্ত্যস্বর লোপ (Apocope): আশা > আ**শ্**, আজি > আ**জ**, চাকা > চ**াক**।

৬. ধ্বনি বিপর্যয় (Metathesis)

শব্দের মধ্যে **দুটি ব্যঞ্জনের পরস্পর পরিবর্তন** ঘটে।

  • বাক্স > বা**স্ক**
  • রিক্সা > রি**স্কা**
  • তলোয়ার > তর**ও**য়াল
  • পিশাচ > পি**চা**শ

৭. সমীভবন বা সমীকরণ (Assimilation)

শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এটিকে **ব্যঞ্জনসঙ্গতিও** বলা হয়।

যেমন: জন্ম > জ**ম্ম**, কাঁদনা > কা**ন্না**, বিল্ব > বি**ল্ল**।

সমীভবন তিনভাবে হয়:

  • প্রগত (Progressive): পূর্ব ধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনির পরিবর্তন। যেমন: পদ্ম > প**দ্দ**, চক্র > চ**ক্ক**, স্বর্ণ > স**ন্ন**।
  • পরাগত (Regressive): পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন। যেমন: কর্ম > ক**ম্ম**, কর্তা > ক**ত্তা**, ধর্ম > ধ**ম্ম**।
  • অন্যোন্য (Mutual): পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয়। যেমন: সংস্কৃত সত্য > প্রাকৃত স**চ্চ**, সংস্কৃত বিদ্যা > প্রাকৃত বি**জ্জা**।

৮. বিষমীভবন (Dissimilation)

দুটো **সমবর্ণের একটির পরিবর্তন** ঘটে। এটি সমীভবনের বিপরীত রীতি।

  • শরীর > শরী**ল**
  • লাঙ্গাল > নাঙ্গ**ল**
  • লাল > না**ল**

৯. অন্যান্য ব্যঞ্জন পরিবর্তন

দ্বিত্ত্ব ব্যঞ্জন (Long Consonant)/ব্যঞ্জনদ্বিত্বা

জোর দেয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ।

যেমন: পাকা > পা**ক্ক**া, ছোট > ছো**ট্ট**, সকাল > স**ক্ক**াল।

ব্যঞ্জন বিকৃতি বা ধ্বনিবিকার

শব্দ-মধ্যে কোনো ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়।

যেমন: কবাট > ক**পা**ট, ধোবা > ধ**পো**, শাক > শ**গা**।

ব্যঞ্জনচ্যুতি

পাশাপাশি সমউচ্চারণের দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে তার একটি লোপ পায়।

যেমন: বউদিদি > বউ**দি**, বড় দাদা > বড়**দা**।

অন্তর্হতি

ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পায়।

যেমন: ফাল্গুন > ফা**গু**ন, ফলাহার > ফ**লা**র, আলাহিদা > আ**লা**দা।

অভিশ্রুতি (Umlaut)

বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে অভিশ্রুতি বলা হয়। এটি অপিনিহিতির পরবর্তী ধাপ।

যেমন: করিয়া > কইরিয়া (অপিনিহিতি) > কইরা (বিপর্যয়) > **করে** (অভিশ্রুতি)।

এরূপ: শুনিয়া > শুনে, বলিয়া > বলে, মাছুয়া > মেছো।

হ-কার লোপ

আধুনিক চলিত ভাষায় অনেক সময় দুই স্বরের মাঝামাঝি **হ-কারের লোপ** হয়।

যেমন: পুরোহিত > পুরু**ত**, গাহিল > গা**ইল**, আল্লাহ্ > আ**ল্লা**।


১০. নাসিক্যীভবন (Nasalization)

নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি **ঙ, ঞ, ণ, ন, ম** লোপ পাওয়ার ফলে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনি সানুনাসিক হলে, এই প্রক্রিয়াকে নাসিক্যীভবন বলে।

যেমন: ভণ্ড > ভ**াঁ**ড়, গুম্ফ > গ**োঁ**ফ, কঙ্কণ > ক**াঁ**কন, হংস > হ**াঁ**স।

নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে **স্বতঃস্ফূর্তভাবে** স্বরধ্বনি সানুনিক হয় (স্বতোনাসিক্যীভবন)। যেমন: হাসি > হ**াঁ**সি, পুথি > প**ুঁ**থি, পেচা > প**েঁ**চা।


১১. ঘোষীভবন, অঘোষীভবন, মহাপ্রাণীভবন, অল্পপ্রাণীভবন

  • ঘোষীভবন (Voicing): অঘোষধ্বনিকে ঘোষধ্বনি করা। যেমন: ক (অঘোষ) > গ (ঘোষ) > কাক > **কাগ**।
  • অঘোষীভবন (De-voicing): ঘোষধ্বনিকে অঘোষ করা। যেমন: গুলাব > **গোলাপ**।
  • মহাপ্রাণীভবন (Aspiration): অল্পপ্রাণ ধ্বনিকে মহাপ্রাণ করা। যেমন: পাশ > **ফাঁস**।
  • অল্পপ্রাণীভবন (De-aspiration): মহাপ্রাণ ধ্বনিকে অল্পপ্রাণ করা। যেমন: ভগিনী > **বোন**।

১২. লোকনিরুক্তি ও লোক-ব্যুৎপত্তি

  • লোকনিরুক্তি: অপরিচিত শব্দ লোকমুখে পরিচিত শব্দের সাদৃশ্য পেয়ে পরিবর্তিত হওয়া। যেমন: উর্ণবাভ > **উর্ণনাভ**।
  • লোক-ব্যুৎপত্তি: প্রচলিত কোনো শব্দের সাদৃশ্য বা উক্তির প্রভাবে বিদেশি শব্দকে অনুরূপ করে উচ্চারণ। যেমন: Armchair > **আরামকেদারা**, Hospital > **হাসপাতাল**।

📝 ধ্বনি পরিবর্তন: মডেল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: কোন রীতিতে 'স্নান' শব্দটি 'সিনান' (স্নান > সিনান) শব্দে পরিণত হয়?

উত্তর: **স্বরাগম**

প্রশ্ন: গ্রাম > গেরাম- এখানে কোনটি ঘটেছে?

উত্তর: **স্বরাগম**

প্রশ্ন: রত্ন > রতন হওয়ার ধ্বনিসূত্র-

উত্তর: **স্বরভক্তি**

প্রশ্ন: আশু > আউশ- এটি ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়মের উদাহরণ?

উত্তর: **অপিনিহিতি**

প্রশ্ন: দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনি লোপ পেতে বলে?

উত্তর: **সম্প্রকর্ষ**

প্রশ্ন: পাশাপাশি সম উচ্চারণের দুটি ব্যঞ্জন ধ্বনি থাকলে তার একটি লোপ পায়—এরূপ লোপকে কী বলে?

উত্তর: **ব্যঞ্জনচ্যুতি**

প্রশ্ন: একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে কী বলে?

উত্তর: **স্বরসঙ্গতি**

প্রশ্ন: দুটি সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে কী বলে?

উত্তর: **বিষমীভবন**

কোন মন্তব্য নেই

Thank You

New Posts

প্রায় একই নামের সাহিত্য কর্ম

বাংলা সাহিত্যকর্ম: একই নামের ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যকর্ম: প্রায় একই নামের ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টি ...

fpm থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.