Class 9-10 Biology New Note
প্রথম অধ্যায়
জীবন পাঠ
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
জীববিজ্ঞান : জীববিজ্ঞানের ইংরেজি পরিভাষা ইরড়ষড়মু। ইরড়ষড়মু শব্দটি দুটি ল্যাটিন শব্দ নরড়ং অর্থ জীবন এবং ষড়মড়ং অর্থ জ্ঞান এর সমন্বয়ে গঠিত। বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে সম্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় তাকেই জীববিজ্ঞান বলা হয়। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলকে (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২) জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
জীববিজ্ঞানের শাখাসমূহ : জীবের ধরন অনুসারে জীববিজ্ঞানকে প্রধান দুটি শাখায় ভাগ করা হয়, যথা : উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণী বিজ্ঞান। জীবের কোন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে জীববিজ্ঞানকে আবার ভৌত জীববিজ্ঞান ও ফলিত জীববিজ্ঞান এ দুটি শাখায় ভাগ করা হয়।
ভৌত জীববিজ্ঞান : ভৌত জীববিজ্ঞান শাখায় তত্ত¡ীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এতে সাধারণত যেসব বিষয়গুলো আলোচিত হয় তা হলো : ১. অঙ্গসংস্থান (গড়ৎঢ়যড়ষড়মু); ২. শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (ঞধীড়হড়সু); ৩. শারীরবিদ্যা (চযুংরড়ষড়মু); ৪. হিস্টোলজি (ঐরংঃড়ষড়মু); ৫. ভ্রƒণবিদ্যা (ঊসনৎুড়ষড়মু); ৬. কোষবিদ্যা (ঈুঃড়ষড়মু); ৭. বংশগতিবিদ্যা (এবহবঃরপং); ৮. বিবর্তনবিদ্যা (ঊাড়ষঁঃরড়হ); ৯. বাস্তুবিদ্যা (ঊপড়ষড়মু); ১০. এন্ডোক্রাইনোলজি (ঊহফড়পৎরহড়ষড়মু); ১১. জীবভ‚গোল (ইরড়মবড়মৎধঢ়যু) ইত্যাদি।
ফলিত জীববিজ্ঞান : ফলিত জীবজ্ঞিান শাখায় জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়সমূহ আলোচিত হয়। এতে সাধারণত যে বিষয়গুলো আলোচিত হয় তা হলো : ১. প্রতœতত্ত¡বিদ্যা (চধষধবড়হঃড়ষড়মু); ২. জীবপরিসংখ্যান বিদ্যা (ইরড়ংঃধঃরংঃরপং); ৩. পরজীবীবিদ্যা চধৎধংরঃড়ষড়মু; ৪. মৎস্যবিজ্ঞান (ঋরংযবৎরবং); ৫. কীটতত্ত¡ (ঊহঃড়সড়ষড়মু); ৬. অণুজীববিজ্ঞান (গরপৎড়নরড়ষড়মু); ৭. কৃষিবিজ্ঞান (অমৎরপঁষঃঁৎব); ৮. চিকিৎসাবিজ্ঞান (গবফরপধষ ঝপরবহপব); ৯. জিন প্রযুক্তি (এবহবঃরপ ঊহমরহববৎরহম); ১০. প্রাণরসায়ন (ইরড়পযবসরংঃৎু); ১১. মৃত্তিকা বিজ্ঞান (ঝড়রষ ঝপরবহপব); ১২. পরিবেশ বিজ্ঞান (ঊহারৎড়হসবহঃধষ ঝপরবহপব); ১৩. সমুদ্র বিজ্ঞান (ঙপবধহড়মৎধঢ়যু) ১৪. বন বিজ্ঞান (ঋড়ৎবংঃৎু); ১৫. জীবপ্রযুক্তি (ইরড়ঃবপযহড়ষড়মু), ১৬. ফার্মেসি (চযধৎসধপু); ১৭. বন্যপ্রাণিবিদ্যা (ডরষফষরভব) এবং ১৮. বায়োইনফরমেটিকস (ইরড়রহভড়ৎসধঃরপং).
জীববিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব : জীববিজ্ঞানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিক্ষেত্রে নানান উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা উদ্ভব করা সম্ভব হয়েছে। প্রাণী প্রজননকে কাজে লাগিয়ে অধিক দুগ্ধ প্রদানকারী গরু ও মহিষ উদ্ভব করা সম্ভব হয়েছে। অধিক পরিমাণ মাংস ও ডিম প্রদানকারী হাঁস ও মুরগি উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। মাছ চাষেও ব্যাপক সাফল্য এসেছে। জীববিজ্ঞানের অবদানের ফলে একদিকে যেমন বিভিন্ন রোগের জীবাণু আবিষ্কৃত হয়েছে, তেমনি নানান দুরারোগ্য রোগ দমন করার জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে।
শ্রেণিবিন্যাস : জীবের আকৃতিগত ও প্রকৃতিগত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিভিন্ন জগৎ, পর্ব, শ্রেণি, বর্গ, গোত্র, গণ, প্রজাতি ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের নামকরণ, শনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা (ঞধীড়হড়সু) বলে।
প্রাণী শ্রেণিবিন্যাস : পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে প্রাণীদের গোষ্ঠীভুক্ত করার পদ্ধতিকে প্রাণী শ্রেণিবিন্যাস বলে।
কোন মন্তব্য নেই