বাঙালি জাতির অভ্যুদয়
বাঙালি জাতির পরিচয়
- বাঙালি জাতির পরিচয়: শংকর জাতি হিসেবে।
- বাংলা ভূমি খন্ডের প্রাচীন জনপদ: গৌড় (পুন্ড্রু, বরেন্দ্রীয়, রাঢ়), সুহ্ম (তাম্র, লিপ্পি, সমতট), বঙ্গ (বঙ্গাল, হরিকেল)।
- রাজা শশাঙ্কের পর বঙ্গদেশ তিনটি জনপদে বিভক্ত ছিল: পুন্ড্রু, গৌড়, বঙ্গ।
- পুন্ড্র রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ: বগুড়ার মহাস্থানগড়।
- দেশবাচক নাম হিসেবে "বাংলা" শব্দের ব্যবহার: মুসলিম শাসনামলের প্রথম দিকে।
- সম্রাট আকবরের আমলে বঙ্গদেশের নাম: সুবহ-ই-বাঙ্গালাহ।
- Bengal / Bangla শব্দের উৎস: ফারসি ‘বাঙ্গালহ্’।
- বাংলা শব্দের প্রথম ব্যবহার: আইন-ই-আকবরীতে।
- সমগ্র বাংলাদেশ ‘বঙ্গ’ নামে ঐক্যবদ্ধ: পাঠান আমলে।
- প্রাচীন কর্ণসুবর্ণ: বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি।
- আর্য আগমন: খ্রিস্টপূর্ব ২০০০।
- আর্য আগমনের আগে বাসিন্দা: অনার্য।
- হিউ-এন-স্যাং বাংলায় আগমন: সপ্তম শতকে।
- বাংলার শাসনব্যবস্থার বিবরণ: গুপ্ত যুগে।
- বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার: সম্রাট অশোকের আমলে।
- প্রাচীন সভ্যতার অভ্যুদয়: এশিয়া ও আফ্রিকা।
- প্রাচীন বাংলাদেশ তিনটি জনপদে বিভক্ত ছিল।
- আর্য ধর্মগ্রন্থ: বেদ।
- বৈদিক যুগের ভাষা: সংস্কৃত।
- বাংলার আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা: অষ্ট্রিক।
- সিন্ধু সভ্যতা: তাম্র যুগের। আবিষ্কার: ১৯২২ সালে।
- গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান: লুম্বিনী (নেপাল)।
প্রাক সুলতানী আমল
মৌর্য বংশ
- প্রথম সর্বভারতীয় সম্রাট: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
- মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
- সর্বশেষ মৌর্য সম্রাট: বৃহদ্রথ।
- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি: বিক্রমাদিত্য।
- হিউয়েন সাঙ আগমন: হর্ষবর্ধনের আমলে।
- গ্রীকদের বিতাড়ন: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
- মগধ দখল: নন্দবংশের শেষ রাজাকে পরাজিত করে।
- Indika গ্রন্থের লেখক: মেগাস্থিনিস।
- অর্থশাস্ত্র রচয়িতা: কৌটিল্য (চানক্য/বিষ্ণুগুপ্ত)।
- অশোকের পিতা: বিন্দুসার।
- অশোকের কলিঙ্গ বিজয়: খ্রিস্টপূর্ব ২৬০।
- মৌর্য যুগে বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী: পুন্ডনগর।
গুপ্ত বংশ
- প্রতিষ্ঠাতা: ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
- যুগ শুরু: খ্রিস্টপূর্ব ৩২০।
- বাংলার দুই ভাগ: উত্তর ও দক্ষিণ।
- শ্রেষ্ঠ রাজা: সমুদ্রগুপ্ত।
- বিক্রমাদিত্য উপাধি: দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
- অজন্তা গুহাচিত্র: গুপ্তযুগের সৃষ্টি।
- ভারতীয় নেপোলিয়ন: সমুদ্রগুপ্ত।
- প্রথম চীনা পরিব্রাজক: ফা-ইয়েন।
- ফা-হিয়েনের আগমন: দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে।
- ফা-হিয়েনের উদ্দেশ্য: বিনয়পিটক সংগ্রহ।
- গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন: স্কন্দগুপ্তের পর।
- রাজত্বকাল: ৩২০–৫৫০ খ্রিঃ
গৌড় বংশ
- গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা: শশাঙ্ক।
- প্রতিষ্ঠাকাল: ৬০৬ খ্রিঃ
- রাজধানী: কর্ণসুবর্ণ।
- উপাধি: মহাসামন্ত।
- বৌদ্ধ নিগ্রহকারী হিসেবে উল্লেখ: হিউয়েন সাঙ।
- শশাঙ্কের পর গৌড় দখল: হর্ষবর্ধন।
- আরবদের সিন্ধু আক্রমণ: ৭১২ খ্রিঃ
পাল বংশ
- প্রতিষ্ঠাতা: গোপাল (৭৫০–৭৭০ খ্রিঃ)।
- রাজত্বকাল: ৪০০ বছর।
- ধর্ম: বৌদ্ধ।
- দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ: পাল বংশ।
- শ্রেষ্ঠ রাজা: ধর্মপাল।
- বিখ্যাত বিহার নির্মাণ: বিক্রমশীলা, সোমপুর, ময়নামতি।
- সোমপুর বিহারের প্রতিষ্ঠাতা: ধর্মপাল।
- পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি: ১১২৪ খ্রিঃ
চন্দ্র বংশ
- সময়কাল: দশম–একাদশ শতক।
- প্রথম শক্তিশালী রাজা: ত্রৈলোক্যচন্দ্র।
- ত্রৈলোক্যচন্দ্রের সময়কাল: ৯০০–৯৩০ খ্রিঃ।
- উপাধিসমূহ: শ্রীচন্দ্র – রমেশ্বর, মহারাজাধিরাজ।
দেব বংশ
- রাজধানী: দেবপর্বত (কুমিল্লা, ময়নামতি)।
- সময়কাল: ৭৪০–৮৯৯ খ্রিঃ
সেন বংশ
- প্রতিষ্ঠাতা: সামন্ত সেন।
- মূল আবাস: কর্ণাটক।
- প্রথম একত্র বাংলা: বিজয় সেনের শাসনে।
- বিজয় সেনের সময়কাল: ১০৯৮–১১৬০ খ্রিঃ
- কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক: বল্লাল সেন।
- শেষ হিন্দু রাজা: লক্ষণ সেন।
- রাজধানী: গৌড় ও নদীয়া।
- সমাপ্তি: ১৩শ শতক।
সুলতানী আমল / মুসলিম রাজত্ব
- বখতিয়ার খিলজীর নদীয়া আক্রমণ: ১২০৪ খ্রিঃ
- মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠা: ১৩শ শতক।
- সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণ: ১৭ বার (শুরু ১০০০ সালে)।
- মুহাম্মদ ঘুরী–পৃথ্বীরাজ যুদ্ধ: তরাইন।
- ইবনে বতুতার আগমন: মুহাম্মদ বিন তুঘলকের আমলে।
- প্রথম মুসলিম নারী শাসক: সুলতানা রাজিয়া।
- কুতুব মিনার নির্মাণ শুরু: কুতুবউদ্দিন আইবেক।
- পানি পথের প্রথম যুদ্ধ: ১৫২৬ খ্রিঃ



Thank You