বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য ৫০০+ প্রশ্নোত্তর
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশ
ব্যাখ্যাসহ ৫০০ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থেকে বার বার আসা প্রশ্ন
১. ‘আনারস’ ও ‘চাবি’ শব্দ দুটি বাংলা
ভাষা গ্রহণ করেছে—
ক) পর্তুগিজ ভাষা হতে
খ) আরবি
ভাষা হতে
গ) দেশি
ভাষা হতে
ঘ) ওলন্দাজ
ভাষা হতে তথ্য
ব্যাখ্যাঃ-পর্তুগিজ : আনারস,
আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি।
পর্তুগীজ
শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ গীর্জার পাদ্রি গুদামের বড় কামারার আলমারীর চাবি খুলে
বালতি ভর্তি পাউরুটি, আনারস আতা, আচার, কাবাব এবং কেরাণিকে দিয়ে ইস্পাতের অন্য
বাসনে আলকাতরা,আলপিন, ফিতা নিয়ে বেরিয়ে এসে সাবান মার্কা তোয়ালে পেতে বসলেন।
ব্যাখ্যা: গীর্জা, কামরা, পাদ্রি, গুদাম, আলমারী, চাবি, বালতি, পাউরুটি, আনারস,
আতা, আচার, কাবাব, কেরানী, ইস্পাত, বাসন, আলকাতরা, আলপিন, ফিতা, সাবান, মার্কা এবং
তোয়ালে পর্তুগীজ শব্দ।
স্পেশাল
টেকনিকঃ
আতা, আচার,
আয়া, আলকাতরা, ইস্পাত, ইস্ত্রি, কামিজ, কাতান, কেদারা, গামলা, কাবাব, পিরিচ, কেরানি,
কামরা, ক্রুশ, জানালা, গরাদ, তোয়ালে, নিলাম, পাচার, পেয়ারা, পেরেক, পিস্তল, ফালতু,
ফিরিঙ্গি, ফিতা, বারান্দা, তামাক, বোতাম, বাসন, বোমা, বেহালা, বর্গা, মার্কা, মিস্ত্রি,
মাস্তুল, মস্করা, মাইরি, যীশু, সাবান, টুপি, সালসা, সাগু, কপি, পেঁপে।
এবার
সিনেমা হবে, সিনেমা:-
"আতা"
এবং "আচার", চুরি করে খেল "আয়া"। গেল মেজাজ গরম হয়ে। ঢেলে দিলাম
মুখে "আলকাতরা"। তাতেও রাগ কমল না। দিলাম "ইস্পাতের" "ইস্ত্রি"
দিয়ে এক ছ্যাঁকা।
এমা এমা এমা!
পুড়ে গেল, পুড়ে গেল! এখন কি করা? তার পোড়া "কামিজ" খুলে তাকে "কাতান"
শাড়ি পড়ালাম। এরপর "কেদারায়" বসালাম।
"গামলা"
ভর্তি "কাবাব" এনে "পিরিচ" এ পরিবেশন করলাম। এই দৃশ্য খেয়াল করছিল
এক "কেরানি", "কামরায়" বসে। তার গলায় ছিল "ক্রুশ"। সে
"জানালা"র "গরাদ" দিয়ে এসব দেখছিল। এবং "তোয়ালে" দিয়ে
তার ঘাম মুছছিল। এখন তো আয়া আর কাজকর্ম করতে পারবে না। কি উপায়?
"নিলাম" এ উঠাও
কেউ কিনল নাতো
"পাচার"
করে দাও
যদি পুলিশ ধরে
ফেলে?
আয়াকে
"পেয়ারা"র বাক্সে ভরে, "পেরেক" দিয়ে ঠুকে, পাচার করে দেয়া হল।
[এখন ছবির শ্যুটিং
হবে বিদেশে। কোত্থাও যাবেন না]
বিদেশে নামার
পরই "পিস্তল" ঠেকাল এক "ফালতু" "ফিরিঙ্গি"। যে
"ফিতা" দিয়ে বেঁধে আয়াকে অপহরণ করে নিয়ে গেল। আয়াকে ফেলে রাখল "বারান্দায়"।
ফিরিঙ্গিটা হুকুম করতে লাগল:-
- এই আমার জন্য
"তামাক" নিয়ে আয়
- জামার
"বোতাম" টা লাগিয়ে দে
- "বাসন" গুলো মেজে দে
আয়া এসব হুকুম
সহ্য করতে পারল না। Boom! "বোমা" মেরে উড়িয়ে দিল ব্যাটা ফিরিঙ্গিকে। এরপর
সে মনের সুখে "বেহালা" বাজাতে লাগল।
এইসব খেয়াল
করছিল এক "বর্গা" চাষী "মার্কা" মারা "মিস্ত্রি"। সে
জাহাজের "মাস্তুল" ঠিক করছিল। এসব "মস্করা" দেখে সে বলেই উঠল,
"মাইরি" বলছি, সবই "যীশু"র ইচ্ছা
মিস্ত্রিকে
আয়ার মনে ধরল। মিস্ত্রির হাল দেখে আয়া তাকে "সাবান" দিয়ে গোসল করিয়ে দিল।
তার "টুপি" তে করে "সালসা" & "সাগু" এনে তাকে খাওয়াল।
এরপর- দুজনে
খুশি খুশি দিন যাপন করতে লাগল, "কপি" আর "পেঁপে" চাষ করে।
গল্প আর সিনেমাটা
মনে রাখবেন আর শব্দ গুলো নোট খাতায় লিখে রাখবেন। এরপর গল্প বা সিনেমাটা না দেখে নিজে
নিজে শব্দগুলো দেখে গল্পটা মনে করার চেষ্টা করবেন।
আশা করি, যে
এই সিনেমা ও গল্পটা মনে রাখতে পারবে, পর্তুগিজ শব্দ তার কাছে কিচ্ছুনা।
২. শুদ্ধ বানান কোনটি?
ক) মূমুষু
খ) মুমূর্ষু
গ) মুমূর্ষ
ঘ) মূমূর্ষ
ব্যাখ্যাঃ-মুমূর্ষু সঠিক বানান
৩. গুরুচণ্ডালী দোষমুক্ত কোনটি?
ক) শব পোড়া
খ) মড়া দাহ
গ) শবদাহ
ঘ) শব মড়া
ব্যাখ্যাঃ-শবদাহ শব্দটি গুরুচন্ডালী দোষ মুক্ত। কারণ শব ও দাহ দুটি শব্দই তৎসম শব্দ।
৪. ‘কবর’ নাটকটির লেখক—
ক)
জসীমউদ্দীন।
খ) কাজী
নজরুল ইসলাম
গ) মুনীর চৌধুরী
ঘ) দ্বিজেন্দ্রলাল
রায়
ব্যাখ্যাঃ-কবর নাটকটি মুনীর চৌধুরীর লেখা। ১৯৫৩ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী
অবস্থায় এই নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচনা করেন।
৫. উভয় কূল রক্ষা’ অর্থে ব্যবহৃত
প্রবচন কোনটি?
ক) কারো পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ
খ) চাল না
চুলো, চেঁকি না কুলোত
গ) সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে
ঘ) বোঝার উপর শাকের আঁটি
ব্যাখ্যাঃ-উভয় কূল রক্ষার্থে ব্যবহৃত হয় সাপও মারে লাঠিও না ভাঙে
৬. রত্নাকর’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ—
ক) রত্না +
কার
খ) রত্ন +
কর
গ) রত্না +
আকার
ঘ) রত্ন + আকর
ব্যাখ্যাঃ-অ + আ = আ (রত্ন+আকার = রত্নাকার)
৭. শুদ্ধ বাক্য কোনটি?
ক)
দুর্বলবশতঃ অনাথিনী বসে পড়ল
খ)
দুর্বলতাবশত অনাথিনী বসে পড়ল
গ) দুর্বলতাবশত অনাথ বসে
পড়ল
ঘ)
দুর্বলবশতঃ অনাথ বসে পড়ল
ব্যাখ্যাঃ-‘দুর্বলতাবশত অনাথ বসে পড়ল” শুদ্ধ বাক্য
৮. ক্রিয়া পদের মূল অংশকে বলা হয়—
ক) বিভক্তি
খ) ধাতু
গ)প্রত্যয়
ঘ) কৃৎ
ব্যাখ্যাঃ-ক্রিয়া পদের মূল অংশকে বলা হয় ধাতু
৯. কোন দ্বিরুক্ত শব্দ জুটি বহুবচন সংকেত করে?
ক) পাকা পাকা আম
খ) ছি ছি, কি করছ।
গ) নরম নরম
হাত
ঘ) উড়ু
উড়ু মন
ব্যাখ্যাঃ-পাকা পাকা বলতে আধিক্য বোঝানো হয়েছে। দ্বিরুক্ত শব্দ বলতে বোঝায় ঐ সকল শব্দ
যা বাক্যের মধ্যে পরপর দুবার উচ্চারিত হয়েছে।
১০. কোন প্রবচন বাক্য ব্যবহারিক দিক
হতে সঠিক?
ক) যত গর্জে
তত বৃষ্টি হয় না
খ) অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন
নষ্ট
গ) নাচতে না
জানলে উঠোন বাঁকা
ঘ) যেখানে
বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়
ব্যাখ্যাঃ-‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট” প্রবচন বাক্য ব্যবহারিক দিক হতে সঠিক।বাকি
গুলো হবে- যত গর্জে তত বর্ষে না, নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা
এবং যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।
১১. ‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ রচিত –
ক) কবিতার
নাম
খ) গল্প
সংকলনের নাম
গ) উপন্যাসের নাম
ঘ) কাব্য
সংকলনের নাম
ব্যাখ্যাঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে গোরা, চতুরঙ্গ, ঘরে বাইরে চোখের বালি, চার অধ্যায় ইত্যাদি।উপন্যাসের চরিত্র। অমিত লাবন্য।
১২. বাংলায় টি. এস. এলিয়টের কবিতার
প্রথম অনুবাদক—
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ) বিষ্ণু
দে
গ)
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
ঘ) বুদ্ধদেব
বসু
ব্যাখ্যাঃ-প্রথম বাংলায় টিএস ইলিয়টের কবিতা অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। টি এস
এলিয়ট এর The Journey of the Magi কবিতার অনুবাদ করা হয়েছিলো।
রবীন্দ্রনাথ তার পুনশ্চ কাব্যে “তীর্থযাত্রী” কবিতা নামে এটি সংকলন করেছিলেন।
১৩. অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের সংকলিত
প্রথম কবিতা-
ক) অগ্রপথিক
খ) বিদ্রোহী বিনতা।
গ) প্রলয়োল্লাস
ঘ) ধূমকেতু
ব্যাখ্যাঃ-অগ্নিবীণা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল
ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে (অক্টোবর ১৯২২
খ্রিষ্টাব্দ) প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হচ্ছে –
প্রলয়োল্লাস (কবিতা) ‘বিদ্রোহী, রক্তাম্বর-ধারিণী
মা, আগমণী, ধূমকেতু, কামাল পাশা, আনোয়ার রণভেরী, শাত-ইল-আরব,
খেয়াপারের তরণী কোরবানী ও মোহররম। এছাড়া গ্রন্থটির সর্বাগ্রে
বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ কে উৎসর্গ করে লেখা একটি উৎসর্গ কবিতাও আছে।
অগ্নি-বীণা প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এঁকেছিলেন তরুণ
চিত্রশিল্পী বীরেশ্বর সেন। বইটির তৎকালীন মূলা ছিল ৩ টাকা। ৭ নং প্রতাপ চ্যাটার্জি
লেন থেকে গ্রন্থকার কর্তৃক গ্রন্থটি মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
গ্রন্থে লেখা ছিল আর্য পাবলিশিং হাউস, কলেজ স্ট্রিট মার্কেট
(দোতলায়)। গ্রন্থটি ছাপা হয় মেটকাফ প্রেস, ৭৯ নং বলরাম দে
স্ট্রিট, কলিকাতা থেকে। দাম এক টাকা। গ্রন্থটির উৎসর্গ
হচ্ছে- বাঙলার অগ্নিযুগের আদি পুরোহিত সাপ্নিক বীর শ্রীবারীন্দ্রকুমার ঘোষ
শ্রীশ্রীচরণারবিন্দেষু। নিচে লেখা আছে তোমার অগ্নি-পূজারী-হে.. মহিমান্বিত
শিষ্য-কাজী নজরুল ইসলাম। অরবিন্দ ঘোষের ভ্রাতা বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, বাংলা তথা ভারতের বিপ্লববাদী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ছিলেন। বিপ্লবে বিশ্বাসী
নজরুল তাই নিজেকে বারীন্দ্রকুমারের হে-মহিমান্বিত শিষ্য বলে উল্লেখ করে তাকেই তার
প্রথম কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।
১৪. কোন বাক্যে মাথা’ শব্দটি বুদ্ধি
অর্থে ব্যবহৃত?
ক) তিনিই
সমাজের মাথা
খ) মাথা খাটিয়ে কাজ করবে
গ) লজ্জায়
আমার মাথা কাটা গেল
ঘ) যে মাথা
নেই আবার মাথা ব্যথা
ব্যাখ্যাঃ-বাক্যে মাথা বলতে বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কাজ করার কথা বুঝানো হয়েছে।
১৫. কোন শব্দে বিদেশি উপসর্গ ব্যবহৃত
হয়েছে?
ক) নিখুঁত
খ) আনমনা
গ) অবহেলা
ঘ) নিমরাজি
ব্যাখ্যাঃ-বিদেশি উপসর্গ মোট ২০ টি আরবি উপসর্গ —> কিরে (লা) লু
এই (গর) মে (বাজে) (আম) (খাস) ইংরেজি
উপসর্গ —> (হেড) (সাব) বাড়িতে (হাফ) এবং স্কুলে (ফুল)
হাতা শার্ট পরেন। হিন্দি উপসর্গ —> (হর) (হরেক) ফারসি
উপসর্গ —> (নিম) বাবু (বে) আদব (বদ) মাশ (না) লায়েক (কম)
(ব) খত (ফি) রোজকে (কার)চুপি করে (দর)বার থেকে (বর) খাস্ত করে দেন।
১৬. আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা-
ক) শামসুর
রাহমান।
খ) আলতাফ
মাহমুদ
গ) হাসান
হাফিজুর রহমান
ঘ) আবদুল গাফফার চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ-গানটির বর্তমান সুরকার-আলতাফ মাহমুদ।
১৭. কোনটি তদ্ভব শব্দ?
ক) চাঁদ
খ) সূর্য
গ) নক্ষত্র
ঘ) গগন
ব্যাখ্যাঃ-চন্দ্ৰ >চন্দ> চাঁদ তৎসম অর্ধ তৎসম তদ্ভব।
১৮. বাংলায় কুরআন শরীফের প্রথম
অনুবাদক কে?
ক) কেশব
চন্দ্র সেন
খ) ভাই গিরীশচন্দ্র সেন
গ) মওলানা
মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
ঘ) মওলানা
আকরম খাঁ
ব্যাখ্যাঃ-গিরিশচন্দ্র সেন বাংলায় কোরআন শরীফের প্রথম অনুবাদক। তিনি মিশকাত শরীফের
অধিকাংশ হাদিস, তাজকেরাতুল আউলিয়া সহ আরো কয়েকটি ইসলামি গ্রন্থের বাংলা
অনুবাদ করেন।
১৯. বৈরাগ্য সাধনে ___ সে আমার নয়। শূন্যস্থান পূরণ করুন।
A. আনন্দ
B. মুক্তি
C. বিশ্বাস
D. আশ্বাস
ব্যাখ্যাঃ-নৈবেদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈরাগ্যসাধনে মুক্তি সে আমার নয়। অসংখ্যবন্ধন মাঝে
মহানন্দময় লভিব মুক্তির স্বাদ। এই বসুধার মৃত্তিকার পাত্রখানি ভরি বারম্বার তোমার
অমৃত ঢালি দিবে অবিরত নানাবর্ণগন্ধময়। প্রদীপের মতো সমস্ত সংসার মোর লক্ষ
বর্তিকায় জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায় তোমার মন্দির মাঝে। ইন্দ্রিয়ের
দ্বার রুদ্ধ করি যোগাসন সে নহে আমার। যে কিছু আনন্দ আছে দৃশ্যে গন্ধে গানে তোমার
আনন্দ রবে তার মাঝখানে। মোহ মোর মুক্তিরূপে উঠিবে জ্বলিয়া প্রেম মোর ভক্তিরূপে
রহিবে ফলিয়া। রবীন্দ্রনাথের পাতা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত লাইনটা।
২০. সমাস ভাষাকে ___
A. সংক্ষিপ্ত করে
B. বিস্তৃত করে
C. ভাষারূপ ক্ষুন্ন করে
D. অর্থবোধক করে
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার
প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি
হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে। যেমন: দোয়াত ও কলম
দোয়াতকলম, পীত অম্বর যার = পীতাম্বর (শ্রীকৃষ্ণ)। সমাসের প্রক্রিয়ায়
সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদটিকে বলে সমস্ত পদ। যেমন: এখানে দোয়াতকলম, পীতাম্বর হলো সমস্ত পদ। সমস্ত পদ কতগুলো পদের মিলিত রূপ, এই প্রতিটি পদকে বলে সমস্যমান পদ। সমস্ত পদকে বিস্তৃত করে যে বাক্যাংশ
পাওয়া যায় তাকে বলে সমাসবাক্য ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য। সমাস শব্দের
ব্যুৎপত্তি হলো সম-অস(ধাতু) অ সমাসের উদ্দেশ্য অল্পকথায় অধিক ভাব প্রকাশ করা একটা
বিরাট শব্দগুচ্ছকে সমাসের মাধ্যমে সংক্ষেপণ করা যায়। তবে সাহিত্যিক প্রয়োজনেই
সংস্কৃত ভাষায় সমাসের আবির্ভাব হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কারণ সাহিতামূলক কর্মে
সমাসের ব্যবহার একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
২১. ‘সূর্য’ এর প্রতিশব্দ
A. সুধাংশু
B. শশাঙ্ক
C. বিধু
D. আদিত্য
ব্যাখ্যাঃ-সূর্যের সমার্থক শব্দ গুলি হলো রবি, আদিত্য,
অর্ক, ভানু, প্রভাবকর
মিহির, তপন, পুষা, সবিতা, অরুণ, চিত্রাভানু
অর্থমা, ভাস্কর দিবাকর, বিবস্বান তপন,
দিনমণি, হরিদশ্ব, দিননাথ,
কিরণমালী, বিভাবসু, ময়ূখমালী,
বিভাবসু বিভাকর মার্তণ্ড, বালার্ক, অংশুমালী, হরিদশ্ব, দিনেশ
ঊষাপতি, দিবাবসু।
২২. ‘অর্ধচন্দ্র’-এর অর্থ
A. গলাধাক্কা দেয়া
B. অমাবস্যা
C. দ্বিতীয়ত
D. কাস্তে
ব্যাখ্যাঃ-অর্ধচন্দ্র= অর্ধেক চন্দ্ৰ বা চাঁদ। বাগধারাটার অর্থ গলা ধাক্কা”। নিশ্চয়ই
খেয়াল করেছেন। আমরা যখন কাউকে গলা ধাক্কা দেই তখন আমাদের হাতটা তখন অর্ধেক চাঁদের
মত দেখায়। সেখান থেকেই অর্ধচন্দ্র শব্দের উৎপত্তি।
২৩. কোনটি শুদ্ধ?
A. সৌজন্নতা
B. সৌজন্যতা
C. সৌজনতা
D. সৌজন্য
ব্যাখ্যাঃ-সৌজন্য- [বিশেষ্য পদ] ভদ্রতা, অমায়িকতা
শিষ্ট ব্যবহার।
২৪. বেগম রোকেয়ার
রচনা কোনটি?
A. ভাষা ও সাহিত্য
B. আয়না
C. লালসালু
D. অবরোধবাসিনী
ব্যাখ্যাঃ-অবরোধ বাসিনী ভারতবর্ষের অগ্রণী নারীবাদী লেখিকা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত
একটি গ্রন্থ। বেগম রোকেয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি হিসেবে বিবেচিত গ্রন্থটি
১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয়। এতে তৎকালীন ভারতবর্ষীয় নারীদের বিশেষ করে মুসলমান ঘরের
নারীদের সমাজের অবরোধপ্রথার জন্য যে অসুবিধায় পড়তে হত তা বর্ণিত হয়েছে। “মতিচুর – “সুলতানার স্বপ্ন – Sultana’s dream’ তার রচনা। প্রথম প্রকাশিত ছোট গল্প পিপাসা।
২৫. বাংলা গীতিকবিতায় ‘ভোরের পাখি’ কে?
A. বিহারীলাল চক্রবর্তী
B. প্যারীচাঁদ মিত্র
C. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-বিহারীলাল চক্রবর্তী (২১ মে, ১৮৩৫ (২৪ মে,
১৮৯৪) বাংলা ভাষার কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতি কবি হিসেবে তিনি
সুপরিচিত। রবীন্দ্রনাথ তাকে বাঙলা গীতি কাব্য ধারার ভোরের পাখি’ বলে আখ্যায়িত
করেন। তার সব কাব্যই বিশুদ্ধ গীতিকাব্য। মনোবীণার নিভৃত ঝংকারে তার কাব্যের
সৃষ্টি। বাঙালি কবি মানসের বহির্মুখী দৃষ্টিকে অন্তর্মুখী করার ক্ষেত্রে তার অবদান
অনস্বীকার্য। অতি অল্পকালের ভিতরে তিনি বাংলা কবিতার প্রচলিত ধারার পরিবর্তন
ঘটিয়ে নিবিড় অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে গীতিকবিতার ধারা চালু করেন। এ বিষয়ে তিনি
সংস্কৃত ও ইংরেজি সাহিত্যের মাধ্যমে গভীরভাবে প্রভাবিত হন। বিহারীলাল তার কবিতায়
ভাবের আধিক্যকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকৃতি ও প্রেম, সংগীতের উপস্থিতি সহজ-সরল ভাষা বিহারীলালের কবিতাকে দিয়েছে আলাদাধারার
বৈশিষ্ট্য।
২৬. কোনটি শুদ্ধ বাক্য?
A. একটা গোপনীয় কথা বলি
B. একটি গোপন কথা বলি
C. একটা গোপন কথা বলি
D. একটি গুপ্ত কথা বলি
ব্যাখ্যাঃ-শুদ্ধ বাক্য”একটা গোপনীয় কথা বলি”।
২৭. ‘সংশয়’-এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
A. নির্ভয়
B. বিস্ময়
C. প্রত্যয়
D. দ্বিধা
ব্যাখ্যাঃ-প্রত্যয় – [বিশেষ্য পদ| নিশ্চয়তা,
প্রতীতি, বিশ্বাস (ব্যকরণ) শব্দ বা ধাতুর
উত্তর জায়মান বিভক্তি; ধাতু বা প্রাতিপদিকের উত্তর যা বিহিত
হয় (কৃৎ ও তদ্ধিত প্রত্যয়)।
২৮. ‘শিষ্টাচার’ এর সমার্থক শব্দ কোনটি?
A. নিষ্ঠা
B. সদাচার
C. সততা
D. সংযম
ব্যাখ্যাঃ-শিষ্টাচার এর সমার্থক শব্দ সদাচার। সংযম এর সমার্থক শব্দগুলো হলো নিয়ম নিয়ন্ত্রণ, নিগ্রহ দমন, নিয়মন, রোধ নিরোধ,
ব্রত।শিষ্টাচার/আদর/ভদ্রতা/সৌজন্য– যে নামেই ডাকি এটি একজন মানুষের
বড় গুণ। সামাজিক জীবনে এই গুণের চর্চা অন্য প্রাণী হতে মানুষের স্বাতন্ত্র্য
নির্দেশ করে। একটি দেশ কতটা সভ্য সেটির পরিমাপক হিসেবে সেই দেশের মানুষের
সৌজন্যবোধ-কে বিবেচনা করা হয়। ভদ্র ব্যবহারে অন্যের হৃদয় জয় করা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঝগড়া এড়ানো যায় এবং পারিপার্শ্বিক সবার সাথে সম্পর্ক
সৌহার্দপূর্ণ হয়ে উঠে।
২৯. ‘ক্ষমার যোগ্য’-এর
বাক্য সংকোচন
A. ক্ষমার্হ
B. ক্ষমাপ্রার্থীকে
C. ক্ষমা
D. ক্ষমাপ্রদ
ব্যাখ্যাঃ-বাক্য সংকোচন: যার অনুরাগ দূর হয়েছে – বীতরাগ। যার পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ
থাকে- জাতিস্মর। যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় – স্বয়ংবরা। যে ব্যক্তি দ্বার
রক্ষার জন্য নিযুক্ত দারোয়ান। যে সন্তান পিতার মৃত্যুর পরে জন্মে মরণোত্তরজাতক।
যে আলোতে কুমুদ ফোটে – কৌমুদী। ক্ষমার যোগ্য ক্ষমাই। বাঘের চামড়া-কৃত্তি।
৩০. _ সেপ্টেম্বর বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস।
শূন্যস্থান পূরণ করুন।
A. ৮
B. ৬
C. ১০
D. ৫
ব্যাখ্যাঃ-৮সেপ্টেম্বর বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস।
৩১. ‘মোস্তফা চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা
A. মুহম্মদ আবদুল হাই
B. মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
C. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
D. মওলানা আকরম খাঁ
ব্যাখ্যাঃ-১৯৩৬ সালের অক্টোবর মাসে মওলানা আকরম দৈনিক আজাদ পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।
সেই সময় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল। মুসলিম লীগের সমর্থন যোগাতে এই বাংলা
পত্রিকাটি সেই সময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
লাইব্রেরিতে পত্রিকার বহু পুরনো সংখ্যা সংরক্ষিত আছে। সাহিত্য কর্ম সমস্যা ও
সমাধান [এই গ্রন্থে লেখকের ইসলামে নারীর মর্যাদা, সুদ সমস্যা চিত্র (ছবি তোলা) সমস্যা, সঙ্গীত সমস্যা
এই চারটি প্রবন্ধ সংকলিত হয়) আমপারার বাংলা অনুবাদ মোস্তফা চরিত (বর্তমানে খোশরোজ
কিতাব মহল হতে প্রকাশিত) মোস্তফা-চরিতের বৈশিষ্ট্য বাইবেলের নির্দেশ ও প্রচলিত
খ্রীষ্টান ধর্ম মোছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস (ঐতিহ্য হতে প্রকাশিত) তাফসীরুল
কোরআন (১-৫ খণ্ড) (খোশরোজ কিতাব মহল হতে প্রকাশিত) মুক্তি ও ইসলাম।
৩২. ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’
গ্রন্থটির রচয়িতা
A. মুহম্মদ আবদুল হাই
B. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C. আবুল মনসুর আহমদ
D. আতাউর রহমান
ব্যাখ্যাঃ-আবুল মনসুর আহমেদ একজন শক্তিমান লেখক ছিলেন। তিনি ব্যঙ্গাত্মক রচনায় বিশেষ
খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। আয়না ও ফুড কনফারেন্স গল্পগ্রন্থদ্বয়ে তিনি মুসলিম
সমাজের গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, ভণ্ডামিসহ নানা কুসংস্কারের
ব্যঙ্গ করেছেন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে। গ্রন্থসমূহ ব্যঙ্গরচনা আয়না
(১৯৩৬-১৯৩৭) ফুড কনফারেন্স (১৯৪৪) গালিভারের সফরনামা স্মৃতিকথা আত্মকথা (১৯৭৮,
আত্মজীবনী) আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (১৯৬৯) শেরে বাংলা হইতে
বঙ্গবন্ধু (১৯৭২) অন্যান্য রচনা সত্য মিথ্যা (১৯৫৩) জীবনক্ষুধা (১৯৫৫) আবে হায়াত
(১৯৬৪) হুযুর কেবলা (১৯৩৫) বাংলাদেশের কালচার (১৯৬৬) বাংলা একাডেমি সম্প্রতি আবুল
মনসুর আহমদ রচনাসমগ্র নিয়ে তিন খণ্ড প্রকাশনা করেছে। আরও তিন খণ্ড প্রকাশিতব্য
রয়েছে (জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সম্পাদনায় ও কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজের
সহযোগিতায়।
৩৩. পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক
A. ভারতচন্দ্র রায়
B. কাজী দৌলত
C. সৈয়দ হামজা
D. আবদুল হাকিম
ব্যাখ্যাঃ-ফকির গরীবুল্লাহ (আনু. ১৬৮০-১৭৭০) এদেশের অষ্টাদশ শতাব্দীর একজন সাহিত্যিক।
ফকির গরীবুল্লাহ হুগলি জেলার (তখনকার বর্ধমান এর অংশ) বালিয়া পরগনার হাফিজপুর
গ্রামের অধিবাসী। গরীবুল্লাহ সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না। তাঁর পিতার নাম
শাহ্ দুন্দীর (সাহা দুন্দি)। তথ্যের অভাবে গরীবুল্লাহ এর সময় নির্ধারন করা দুরূহ।
সাহিত্যকর্ম তাঁর রচনা কোনগুলো তা নিয়েও মতবিরোধ আছে। তবে আমির হামজা প্রথম পর্ব
তাঁর রচনা। ফকির গরীবুল্লাহ-এর ইউসুফ-জোলেখা নামে একটি কাব্যগ্রন্থ আছে। মুহম্মদ
শহীদুল্লাহ মনে করেন কাব্যটি ১৭৬৫ সালের পর রচিত। ঐতিহাসিকরা বলেন আঠারো শতকের
মধ্যভাগে ফকির গরীবুল্লাহ কয়েকটি পুঁথি রচনা করেন। সেগুলো হচ্ছে ইউসুফ জোলেখা, আমির হামজা, সোনাভান ও সতয়পীরের পুথি। মৃত্যু: তাঁর
মৃত্যুর কোনো সঠিক সাল বা তারিখ পাওয়া যায় না।
৩৪. ‘চাচা কাহিনীর’ লেখক
A. সৈয়দ শামসুল হক
B. সৈয়দ মুজতবা আলী
C. শওকত ওসমান
D. ফররুখ আহমদ
ব্যাখ্যাঃ-শান্তিনিকেতনে পড়ার সময় সেখানের বিশ্বভারতী নামের হস্তলিখিত ম্যাগাজিনে
মুজতবা আলী লিখতেন। পরবর্তীতে তিনি সত্যপীর, ওমর খৈয়াম’,
‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী প্রভৃতি ছদ্মনামে
বিভিন্ন পত্রিকায়, যেমন: দেশ আনন্দবাজার, বসুমতী, সত্যযুগ, মোহাম্মদী
প্রভৃতিতে কলাম লিখেন। তাঁর বহু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন ভ্রমণলিপি।
এছাড়াও লিখেছেন ছোটগল্প উপন্যাস, রম্যরচনা।তাঁর রচিত বইয়ের
সংখ্যা ৩০। প্রকাশনা উপন্যাস অবিশ্বাস্য (১৯৫৪) শবনম (১৯৬০) শহর ইয়ার (১৯৬৯)
ভ্রমণকাহিনী দেশে বিদেশে (১৯৪৯) (কাবুল শহরের কাহিনী নিয়ে। লেখা।। জলে ডাঙ্গায়
(১৯৬০) ছোটগল্প চাচা কাহিনী (১৯৫২) চুনি মেম(১৯৬৪) পঞ্চতন্ত্র (১৯৫২) ময়ূরকণ্ঠী
(১৯৫৭)
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস লালসালু (১৯৪৮) শওকত
ওসমানের উপন্যাস ক্রীতদাসের হাসি ১৯৬২।
৩৫. শব্দ ও ধাতুকে বলে—
A. শব্দ
B. কারক
C. পদ
D. ক্রিয়াপদ
ব্যাখ্যাঃ-বিভক্তিযুক্ত শব্দকেই পদ বলে। পদের প্রকারভেদ। পদ প্রধানত ২ প্রকার সব্যয় পদ
ও অব্যয় পদ। সবায় পদ আবার ৪ প্রকার- বিশেষ্য, বিশেষণ,
সর্বনাম ও ক্রিয়া।
৩৬. ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রের স্রষ্টা
ঔপন্যাসিক
A. বঙ্কিমচন্দ্র
B. শরৎচন্দ্র
C. তারাশংকর
D. নজরুল ইসলাম
ব্যাখ্যাঃ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮) ছিলেন একজন
বাঙালি লেখক ঔপন্যাসিক ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাংলা
ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান
ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩) পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দ্যু (১৯১৮),
গৃহদাহ (১৯২০) পথের দারী (১৯২৬), পরিণীতা
(১৯১৪), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎচন্দ্র রচিত বিখ্যাত
উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি অপরাজেয়
কথাশিল্পী নামে খাতে।
৩৭. ক্রিয়া পদের মূল অংশকে বলা হয়____
A. বিভক্তি
B. ধাতু
C. প্রত্যয়
D. কৃৎ
ব্যাখ্যাঃ-যা থেকে ক্রিয়াপদের জন্ম
সেটাই ধাতু। যেমন, করি,
একটি ক্রিয়াপদ। একে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় কর-ই। কর ক্রিয়াপদের
মূল অংশ, এটিই ধাতু। সংজ্ঞা ক্রিয়াপদের মূল অংশকেই ধাতু
বলে। অর্থাৎ ক্রিয়ার মূল অর্থ যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় তাকেই ধাতু বলে। যেমন-
ক, চল, পড় এগুলো ধাতুর উদাহরণ।
৩৮. “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে
চায়”– চরণটি কার রচনা?
A. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
B. মধুসূদন দত্ত
C. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D. রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-স্বাধীনতা হীনতায় কে
বাঁচিতে চায় চরণটি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়র রচনা। জন্ম ও পরিবারঃ- ১৮২৭ সালে মাতুলালয়, বাকুলিয়ার বর্ধমানে জন্ম। তার আদি নিবাস বর্তমান হুগলি জেলার বাকুলিয়া। তার পিতার
নাম রামনারায়ণ।
৩৯. শুদ্ধ বাক্যটি চিহ্নিত করুন—
A. বিদ্যান ব্যক্তিগণ দরিদ্রের শিকার হন
B. বিদ্যান ব্যক্তিগণ দারিদ্রতার শিকার হন
C. বিদ্বান ব্যক্তিগণ দারিদ্র্যের শিকার হন
D. বিদ্যান ব্যক্তিগণ দরিদ্রতার শিকার হন
ব্যাখ্যাঃ-শুদ্ধ বাক্যটি -বিদ্বান
ব্যক্তিগণ দারিদ্র্যোর শিকার হন।
৪০. কোন শব্দে বিদেশি উপসর্গ ব্যবহৃত
হয়েছে?
A. নিখুঁত
B. আনমনা
C. অবহেলা
D. নিমরাজি
ব্যাখ্যাঃ-“নিমরাজী শব্দে ফারসি উপসর্গ ব্যবহৃত
হয়েছে। ফারসি উপসর্গ মনে রাখার সহজ উপায়: “”না”” “”ফি”” “”র “”বর”” “”বদ””
মায়েশ। “”বে”” আদব, “”কম”” “”জোর, ও
“”ব”” কলম। কিন্তু “”কার”” “”বার ও “”দর”” দালানে তিনি “”নিমরাজি। দ্রষ্টব্য
শুধুমাত্র এর মধ্যে যা দেওয়া আছে ওটাই উপসর্গ। আন- বাংলা উপসর্গ অব- সংস্কৃত
উপসর্গ”
৪১. কোন বানানটি শুদ্ধ?
A. পাষাণ
B. পাষান
C. পাসান
D. পাশান
ব্যাখ্যাঃ-পাষাণ বানানটি শুদ্ধ।
পাষাণ (১) (বিশেষ্য পদ পাথর তুলাদন্ডের দুই পাল্লা সমান করবার পাথর বা বাটখারা।
(২) (বিশেষণ পদ প্রস্তরবং নিঠুর কঠিন (পাষাণ হৃদয়)।
৪২. “মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা’ রচয়িতা?
A. রামনিধি গুপ্ত
B. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C. অতুলপ্রসাদ সেন
D. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
ব্যাখ্যাঃ-মোদের গরব, মোদের আশা/আ-মরি
বাংলা ভাষা রচিয়তা অতুল প্রসাদ সেন। বাংলা ভাষা সাহিত্যে ও সঙ্গীতের এক অতি
পরিচিত নাম অতুল প্রসাদ সেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গীতিকার
ও গায়ক। বাংলাভাষীদের নিকট অতুল প্রসাদ সেন প্রধানত একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও সুরকার
হিসেবেই পরিচিত। তার গানগুলি মূলত স্বদেশি সঙ্গীত, ভক্তিগীতি
ও প্রেমের গান; এই তিন ধারায় বিভক্ত।
৪৩. মধুসূদন দত্ত রচিত বীরাঙ্গনা’—
A. মহাকাব্য
B. পত্রকাব্য
C. গীতিকাব্য
D. আখ্যানকাব্য
ব্যাখ্যাঃ-“বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য
বীরঙ্গনা। বীরাঙ্গনা কাব্যের আঙ্গিক ও নামকরণের দিক থেকে
মধুসূদন পাশ্চাত্য কবিদের কাছে ঋণী। ইতালীর কবি ওভিদের হিরোয়দস কাব্যের পত্ররীতি
অবলম্বন করে বীরঙ্গনা কাব্য রচিত। বিভিন্ন কারণে পরিত্যক্ত নারীর মনোবেদনা
পত্রগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। মধুসূদনের নায়িকারা দৈহিক বীরত্ব ও মৌখিক
আস্ফালনের জন্য বীরঙ্গনা আখ্যা পাননি, তাদের বীরত্ব চিরাচরিত
সামাজিক রীতিনীতির শৃঙ্খল ও জড়তার আচরণ ঘুরিয়ে দিয়ে হৃদয়ের সত্য প্রকাশে।
বনবাসিনী শকুনতলার পক্ষে হৃদয়ের অনুভূতি কথা প্রকাশ্যে দুষ্মন্তকে বলা অথবা তার
বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করা এ চিরাচরিত ভারতীয় নীতিবিরুদ্ধ। এরা পতির কাজের
সমালোচনা শোনা পর্যন্ত পাপ মনে করে। সে সময়ে বাংলার সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের এমন
অবস্থা ছিল যে তারা পতিনিন্দা করা তো দূরে থাক কেউ যদি পতির নিন্দা করতো তাহলে
তারা সে স্থান ত্যাগ করতো”।
৪৪. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মুসলমান
কৰি
A. শাহ মুহম্মদ সগীর
B. সাবিরিদ খান
C. শেখ ফয়জুল্লাহ
D. মুহাম্মদ কবীর
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে
প্রাচীনতম মুসলমান কবি শাহ মুহাম্মদসগীর। তিনি আনুমানিক ১৩-১৪ শতকের কবি। বাঙালি
মুসলিম কবিদের মধ্যে তিনিই প্রাচীনতম। তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ এর
রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪১১ খ্রিষ্টাব্দে) ইউসুফ জোলেখা কাব্য রচনা করেন।
৪৫. রোহিনী’ কোন উপন্যাসের নায়িকা?
A. কৃষ্ণকান্তের উইল
B. চোখের বালি
C. গৃহদাহ
D. পথের পাঁচালী
ব্যাখ্যাঃ-কৃষ্ণকান্তের উইল বাংলা
সাহিত্যের প্রাণপুরুষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা উপন্যাস।
উপন্যাসটি ১৮৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। রোহিনী, ভ্রমর এবং গোবিন্দলালের ত্রিভুজ
প্রেমের কাহিনী বর্নিত হয়েছে কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে। সামাজিক উপন্যাস। ১৮৮২ ও
১৮৮৪ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
৪৬. নিম্নরেখ কোন শব্দে করণ কারকে
শূন্য বিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে?
A. ঘোড়াকে চাবুক মার
B. ডাক্তার ডাক
C. গাড়ি স্টেশন ছেড়েছে
D. মুষলধারে বৃষ্টি পড়েছে
ব্যাখ্যাঃ-করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র
সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে কিসের দ্বারা বা ‘কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি
পাওয়া যায়, তা-ই করণ
কারক। যেমন- নীরা কলম দিয়ে লেখে। উপকরণ-কলম) ‘জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়। (উপায়
সাধনা)।
৪৭. রূপসী বাংলার কবি-
A. জসীমউদ্দীন
B. জীবনানন্দ দাশ
C. কালিদাস রায়
D. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
ব্যাখ্যাঃ-রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ
দাশ (১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮ ২২
অক্টোবর, ১৯৫৪, ৬ ফাল্গুন, ১৩০৫ ৫ কার্তিক, ১৩৬১ বঙ্গাব্দ । তিনি ছিলেন বিংশ
শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক।
তিনি বাংলা কারো আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম।
৪৮. বটতলার পুঁথি বলতে কী বুঝায়?
A. মধ্যযুগীয় কাব্যের হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি
B. বটতলা নামক স্থানে রচিত কাব্য
C. দোভাষী বাংলায় রচিত পুঁথি সাহিত্য
D. অবিমিশ্র দেশজ বাংলায় রচিত লোকসাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ-পুথি সাহিত্য আরবি, উর্দু, ফারসি ও
হিন্দি ভাষার মিশ্রণে রচিত এক বিশেষ শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য। আঠারো থেকে উনিশ শতক
পর্যন্ত এর ব্যাপ্তিকাল। এ সাহিত্যের রচয়িতা এবং পাঠক উভয়ই ছিল মুসলমান
সম্প্রদায়। পুঁথি (বা পুঁথি) শব্দের উৎপত্তি পুস্তিকা শব্দ থেকে। আরবদেশের
ইতিহাস-পুরাণ মিশ্রিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত আমীর হামজা জঙ্গনামা বা যুদ্ধ বিষয়ক
কাব্য। মধ্যযুগে প্রায় পাঁচশ বছর ধরে বাংলা ভাষার যে ঐতিহ্য তৈরি হয়েছিল,
তার সঙ্গে এ কাব্যের ভাষার মিল নেই। বাংলা শব্দের সঙ্গে আরবি,
ফারসি প্রভৃতি শব্দের মিশ্রণজাত একটি ভিন্ন ভাষায় কাব্যটি রচিত।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এ কাব্যে ৩২% বিদেশি শব্দের পরিসংখ্যান দিয়েছেন। হুগলি,
হাওড়া, কলকাতা, ২৪
পরগনা প্রভৃতি অঞ্চলের মুসলমানদের কথ্যভাষা এর উৎস ছিল বলে মনে করা হয়।
গরীবুল্লাহ নিজে এবং তাঁর শিষ্য সৈয়দ হামজা এ ভাষায় আরও কয়েকখানি কাব্য রচনা
করেন। তাঁদের অনুসরণে পরবর্তীকালে বহু সংখ্যক মুসলমান কবি এ জাতীয় কাব্য রচনা
করেন। এগুলির পাঠক ছিল সর্বস্তরের মুসলমান তবে নিম্নবিত্তের চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা ছিল সর্বাধিক। পুথি
সাহিত্যের শব্দসম্ভার ও ভাষারীতি লক্ষ করে বিভিন্ন জন এর বিভিন্ন নামকরণ করেছেন।
রেভারেন্ড জেমস লং এ ভাষাকে বলেছেন মুসলমানী বাংলা, আর এ
ভাষায় রচিত সাহিত্যকে বলেছেন মুসলমানী বাংলা সাহিত্য। কলকাতার বটতলার ছাপাখানার
বদৌলতে প্রচার লাভ করে বলে এগুলি বটতলার পুথি’ নামেও পরিচিত হয়। গবেষকগণ ভাষা
বৈশিষ্ট্য ও বাক্যরীতির দিক থেকে বিচার করে প্রথমে এগুলিকে দোভাষী পুথি এবং
পরবর্তীকালে মিশ্র ভাষারীতির কাব্য বলে অভিহিত করেন। দোভাষী পুথিকারদের সাধারণভাবে
শায়ের বলা হয়।
৪৯. মুসলমান কবি রচিত প্রাচীনতম বাংলা
কাব্য?
A. ইউসুফ জুলেখা
B. রসুল বিজয়
C. নূরনামা
D. শবে মেরাজ
ব্যাখ্যাঃ-মুসলমান কবি রচিত
প্রাচীনতম বাংলা কাব্য ইউসুফ-জোলেখা।এটি মধ্যযুগের পুঁথি লেখকদের রচিত বাংলা
সাহিত্যের একটি প্রণয় কাব্য। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুহম্মদ সগীর, গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম
শাহের রাজত্বকালে (১৩৯৩-১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ) ইউসুফ-জোলেখা কাব্য রচনা করেন। শাহ
মুহম্মদ সগীর ছাড়াও মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ জোলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা
করেন।
৫০. কবিগান রচয়িতা এবং গায়ক হিসেবে
এরা উভয়েই পরিচিত?
A. রাম বসু এবং ভোলা ময়রা
B. এন্টনি ফিরিঙ্গি এবং রামপ্রসাদ রায়
C. সাবিরিদ খান এবং দশরথী রায়
D. আলাওল এবং ভারতচন্দ্র
ব্যাখ্যাঃ-কবিগানের প্রথম কবি গোঁজলা
গুই কবি গান রচয়িতা এবং গায়ক হিসাবে পরিচিত এন্টনি ফিরিঙ্গি এবং রামপ্রসাদ রায়
কবিওয়ালা ও শায়ের-এর উদ্ভব ঘটে আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উশি শতকের প্রথমার্ধে
কবিওয়ালা বলতে বোঝায় কবিতাকে জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসাবে গ্রহণকারীকে।
৫১. কোন শব্দে ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয়
যুক্ত হয়েছে?
A. ঠগী
B. পানসে
C. পাঠক
D. সেলামী
ব্যাখ্যাঃ-পাঠক শব্দে ধাতুর সঙ্গে
প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে। প্রত্যয় শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে শব্দ বা নাম প্রকৃতির এবং
ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। কয়েকটি শব্দের
প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো নাম প্রকৃতি প্রত্যয় প্রত্যয়ান্ত
শব্দ হাত+ল = হাতল
ফুল+এল = ফুলেল মুখ+র = মুখর ক্রিয়া প্রকৃতি প্রতায় প্রত্যয়ান্ত শব্দ চল্+অন্ত = চলন্ত।
৫২. বাগধারা যুগলদের মধ্যে কোন জোড়া
সর্বাধিক সমার্থবাচক?
A. অমাবস্যার চাঁদ, আকাশ কুসুম
B. বকধার্মিক, বিড়াল তপস্বী
C. রুইকাতলা, কেউকেটা
D. বকধার্মিক, ভিজে বেড়াল
ব্যাখ্যাঃ-বাগধারা যুগলদের মধ্যে
জোড়া সর্বাধিক সমার্থবাচক বক ধার্মিক, বিড়াল তপস্বী।এই দুটো বাগধারা অর্থ কপটতা /প্রতারক /মুখোশ
ধারী।
৫৩. বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ
ধারা?
A. নাটক
B. ছোট গল্প
C. প্রবন্ধ
D. গীতিকবিতা
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক
সমৃদ্ধ ধারা–গীতি কাব্য। গীতি কাব্য একজন কবির একান্ত ব্যক্তি অনুভূতির সহজ, সাবলীল গতি ও ভঙ্গীমায় সঙ্গীত মুখর জীবনের
আত্ম প্রতিফলন। এটি গীতি কবিতা নামেই সাহিত্যামোদী ব্যক্তিবর্গের কাছে সমধিক
পরিচিত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, বক্তার
ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন মাত্র যাহার উদ্দেশ্য, সেই কাবাই
গীতিকাব্য। ভিত্তি মূল: গীতি কাব্য অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ বলে সাধারণতঃ দীর্ঘকায়
হয় না। কারণ কোন অনুভূতিই দীর্ঘকাল স্থায়ী নয়। কিন্তু কোন কবি যদি গীতি কবিতায়
তার ব্যক্তি-অনুভূতিকে একান্ত আন্তরিকতার সাথে অনায়াসে দীর্ঘকারে বর্ণনা করতে
পারেন, তবে তার মূল রস ক্ষুণ্ন হয় না। কবির আন্তরিকতাই
শ্রেষ্ঠ গীতি কবিতা বা গীতি কাব্যের একমাত্র কষ্টি পাথর। ইংরেজি সাহিত্যে গীতি
কাব্য লিরিক নামে অভিহিত হয়ে থাকে। বীণাযন্ত্র সহযোগে এই শ্রেণীর সঙ্গীত-কবিতা
গীত হতো বলে এটি লিরিক বা গীতকবিতা নামে চিহ্নিত।
৫৪. এক কথায় প্রকাশ করুন- ‘যা বলা
হয়নি’-
A. অউক্ত
B. অব্যক্ত
C. অনুক্ত
D. অভিব্যক্ত
ব্যাখ্যাঃ-এক কথায় প্রকাশ করুন যা
বলা হয়নি – অনুক্ত।
যা প্রকাশিত হয়নি – অব্যক্ত।
একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংক্ষেপণ বলে। এটি বাক্য সংকোচন বা এক কথায়
প্রকাশেরই নামান্তর।
৫৫. বাংলা ভাষা এ শব্দ দুটি গ্রহণ
করেছে চীনা ভাষা হতে-
A. চাকু, চাকর
B. খদ্দর, হরতাল
C. চা, চিনি
D. রিক্সা, রেস্তোরা
ব্যাখ্যাঃ-চীনা শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
চা, চিনি,
লিচু ও লুচি চীনাদের প্রিয় খাবার। ব্যাখ্যা: চা, চিনি, লিচু ও লুচি চীনা শব্দ।
৫৬. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ছিলেন
প্রধানত-
A. ভাষাতত্ত্ববিদ
B. সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা
C. ইসলাম প্রচারক
D. সমাজসংস্কারক
ব্যাখ্যাঃ-ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ছিলেন প্রধানত ভাষাতত্ত্ববিদ। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১০ জুলাই ১৮৮৫ – ১৩ জুলাই
১৯৬৯) ভারতীয় উপমহাদেশের একজন স্মরণীয় বাঙালি ব্যক্তিত্ব বহুভাষাবিদ বিশিষ্ট
শিক্ষক ও দার্শনিক ছিলেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত চব্বিশ পরগণা জেলার
পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৫৭. “‘এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে/রমনার
উর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নীচে/সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি’ এর রচয়িতা- “
A. জহির রায়হান
B. আবদুল গাফফার চৌধুরী
C. শামসুর রাহমান
D. মাহবুবুল আলম চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ-এখানে যারা প্রাণ
দিয়েছে/রমনার উর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নীচে/সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি’। এর রচয়িতা- মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
৫৮. ‘গোঁফ-খেজুরে’- এই বাগধারাটির অর্থ
কী?
A. আরামপ্রিয়
B. উদাসীন
C. নিতান্ত অলস
D. পরমুখাপেক্ষী
ব্যাখ্যাঃ-গোঁফ খেজুরে শব্দের অর্থ নিতান্ত অলস। কিন্তু ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাসের
গোঁফে খেজুর যার ব্যাসবাক্যে কি নিতান্ত অলসের সাথে কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া
যায়? প্রকৃতপক্ষে ‘গোঁফ খেজুরে শব্দটি মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
এবং এর ব্যাসবাক্য হলো গোঁফে খেজুর পরে থাকলেও খায় না যে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি
এ ব্যাসবাক্যটি মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাসের সকল শর্ত পূরণ করছে এবং এর অর্থ
নিতান্ত অলসকেও যথার্থতা দান করেছে।
৫৯. কোন দুটি অঘােষ ধ্বনি?
A. চ ছ
B. ড ঢ
C. ভ ব
D. দ ধ
ব্যাখ্যাঃ-অঘোষ কানি কোনো কোনো ধ্বনি উচ্চারণরে সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণতি হয় না। তখন
মনটিরি উচ্চারণ গাম্ভীর্যহীন ও মৃদু হয়। এরূপ ধ্বনিকে বলা হয় অঘোষ ধ্বনি/ Unvoiced ঘুমেন। কয ইত্যাদি। ঘোষ ধ্বনি ধ্বনি উচ্চারণরে সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণতি
হলে ঘোষ ধ্বনি/ Voiced হয়। যমেন গ ঘ ইত্যাদি।
৬০. কোন বাক্যে ‘ঢাক গুড়গুড়’
প্রবাদটির বিশেষ অর্থ প্রকাশ পেয়েছে?
A. ঢাল্টা গুড়গুড় করে কী লাভ, কাজে লেগে যাও
B. ঢাক গুড়গুড় করে কী লাভ, আসল কথাটি বল
C. ঢাঢ়া গুড়গুড় করে কী লাভ, কী খাবে বল
D. ঢাল্টা গুড়গুড় করে কী লাভ, নিজের পায়ে দাঁড়াও
ব্যাখ্যাঃ-“ঢাক গুড়গুড় করে কী লাভ, আসল কথাটি বল” বাক্যেঢাক
গুড়গুড়’ প্রবাদটির বিশেষ অর্থ প্রকাশ পেয়েছে।
৬১.” বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম–“
A. নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনী
B. মধুসূদন ও কুমুদিনী
C. গােবিন্দলাল ও রােহিনী
D. সুরেশ ও অচলা
ব্যাখ্যাঃ-কৃষ্ণকান্তের উইল বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত
একটি বাংলা উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৮৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। রোহিনী, ভ্রমর এবং গোবিন্দলালের ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী বর্নিত হয়েছে
কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে। সামাজিক উপন্যাস। ১৮৮২ ও ১৮৮৪ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকার
বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
৬২. কোন বাক্যে সমুচ্চয়ী অব্যয়
ব্যবহৃত হয়েছে?
A. ধন অপেক্ষা মান বড়
B. তােমাকে দিয়ে কিছু হবে নারায়ণ
C. ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে
D. লেখাপড়া করাে, নতুবা ফেল করবে
ব্যাখ্যাঃ-লেখাপড়া করাে, নতুবা ফেল করবে বাক্যে সমুচ্চয়ী অব্যয় ব্যবহৃত
হয়েছে।সমুচ্চয়ী অব্যয়: যে অব্যয় পদ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের অথবা
বাক্যস্থিত একটি পদের সঙ্গে অন্য একটি পদের সংযোজন বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে
সমুচ্চয়ী অবায় বা সম্বন্ধসূচক অব্যয় বলে। যেমন এবং ও কিংবা তবু প্রভৃতি।
৬৩. কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
শতবার্ষিকী পালিত হয়?
A. ১৯৫১ সালে
B. ১৯৬১ সালে
C. ১৯৭১ সালে
D. ১৯৮১ সালে
ব্যাখ্যাঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালে। কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
শতবার্ষিকী পালিত হয় ১৯৬১ সালে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ রচনা
করেন ১৮৮০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম- বৌঠাকুরানির
হাট। ভানুসিংহ কার ছদ্মনাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬৪. ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কোন
কাব্যের উপজীব্য?
A. জিঞ্জীর- কাজী নজরুল ইসলাম
B. সাত সাগরের মাঝি- ফররুখ আহমদ
C. দিলরুবা – আবদুল কাদির
D. নূরনামা- আবদুল হাকিম
ব্যাখ্যাঃ-সাত সাগরের মাঝি কবি ফররুখ আহমদের একটি কাব্যগ্রন্থ। এতে স্থান পাওয়া একটি
কবিতার নামও সাত সাগরের মাঝি। ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বইটি প্রকাশিত হয়। এই
বইয়ের ১১৯টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পাঞ্জেরী সিন্দবাদ আকাশ নাবিক, ডাহুক, এই সব রাত্রি ইত্যাদি। বইটি উৎসর্গ করা হয়
কবি আল্লামা ইকবালের প্রতি। বইটিতে পুনর্জাগরণের বাণী উচ্চারিত হয়েছে।
৬৫. যা পূর্বে ছিল এখন নেই’—এক কথায়
কী হবে?
A. অপূর্ব
B. অদৃষ্টপূর্ব
C. গ অভূতপূর্ব
D. ভূতপূর্ব
ব্যাখ্যাঃ-অভিধানমতে ভূতপূর্ব শব্দের অর্থ আগেকার পূর্বে ছিল কিন্তু এখন নেই এমন। সুতরাং
বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত প্রাক্তন শব্দের অর্থ ভূতপূর্ব বা প্রাক্তন শিক্ষার্থী নয়, এর অর্থ আগে ছিল কিন্তু এখন নেই এমন। যে কেউ প্রান্ত হতে পারে এবং কে
প্রাজন তা প্রাক্তন শব্দের সঙ্গে উল্লেখ করতে হয়।
৬৬. ‘অনল প্রবাহ’ রচনা করেন
A. সৈয়দ ইসমাইল হােসেন সিরাজী
B. মােজাম্মেল হক
C. এয়াকুব আলী চৌধুরী
D. মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
ব্যাখ্যাঃ-“অনল প্রবাহ রচনা করেন সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১)।তিনি ছিলেন
একজন বাঙালি লেখক ও কবি। তিনি ১৯৪২০ শতকে বাঙালি মুসলিম পুনর্জাগরণের প্রবক্তাদের
একজন। তিনি মুসলিমদের জন্যে বিজ্ঞানসাধনা মাতৃভাষাচর্চা নারীদের শিক্ষা এসবের
পক্ষে লেখালেখি করেন। তার অনল, প্রবাহ কাব্যগ্রন্থটি সরকার
রাজেয়াপ্ত করে এবং তিনি কারাবন্দী হন।”
৬৭. কোন বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া
ব্যবহৃত হয়েছে?
A. আমি ভাত খাচ্ছি
B. আমি ভাত খেয়ে স্কুলে যাব
C. আমি দুপুরে ভাত খাই
D. তাড়াতাড়ি ভাত খেয়ে ওঠো
ব্যাখ্যাঃ-সমাপিকা ক্রিয়া যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের (মনোভাব সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ
পায় তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন ছেলেরা বন খেলছে। এ বাকো ক্রিয়াপদ দ্বারা
বাক্যের সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ পেয়েছে। অসমাপিকা ক্রিয়া যে ক্রিয়াপদ দ্বারা
বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না। বক্তার আরো কিছু বেলার থাকে তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া
বলে। যেমন প্রভাতে সূর্য উঠলে। আমরা হাতমুখ ধুয়ে। এখানে উঠনে এবং দুয়ে
ক্রিয়াপদগুলো দ্বারা। কথা শেষ হয়নি। সুতরাং উঠলে এবং দুয়ে পদ দুটোকে অসমাপিকা
ক্রিয়া বলে।
৬৮. জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ
A. ধূসর পাণ্ডুলিপি
B. নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
C. একক সন্ধ্যায় বসন্ত
D. অন্ধকারে একা
ব্যাখ্যাঃ-ধূসর পান্ডুলিপি কবি জীবনানন্দ দাশের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থটি
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩৪৩ বঙ্গাব্দ) ভারতে প্রকাশিত হয়। জীবনানন্দ এই বইটি কবি
বুদ্ধদেব বসুকে উৎসর্গ করেন।
৬৯.” ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’- এ উক্তিটির প্রকৃত তাৎপর্য হচ্ছে–“
A. আদিবাসী মানুষ অরণ্য জনপদে বাস
করে
B. বনের পশু বনে থাকতেই ভালবাসে
C. জীবমাত্রই স্বাভাবিক অবস্থানে সুন্দর
D. প্রকৃতির রূপ-সৌন্দর্য আদি ও
অকৃত্রিম
ব্যাখ্যাঃ-বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ এ উক্তিটির প্রকৃত তাৎপর্য হচ্ছে —
জীবমাত্রই স্বাভাবিক অবস্থানে সুন্দর। বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
৭০. কোন বাক্যে নাম পুরুষের ব্যবহার
করা হয়েছে?
A. ওরা কী করে?
B. আপনি আসবেন
C. আমরা যাচ্ছি
D. তোরা খাসনে
ব্যাখ্যাঃ-‘ওরা কী করে?” বাক্যে নাম পুরুষের ব্যবহার করা
হয়েছে। নামপুরুষ : বাক্যে বক্তা অনুপস্থিত যেসব ব্যক্তি, বস্তৃত
বা প্রাণীর উল্লেখ করেন, তাদের নামপুরুষ বলে। অর্থাৎ,
বক্তার সামনে নেই এমন যা কিছুর কথা বক্তা বাক্যে বলেন, সবগুলোই নামপুরুষ। নাম পুরুষের সর্বনামের রূপ হলো সে, তারা, তাহারা, তাদের, তাহাকে, তিনি তাঁকে তাঁরা, তাঁদের
ইত্যাদি।
৭১. মধ্যপদলােপী কর্মধারয়ের উদাহরণ
কোনটি?
A. ঘর থেকে ছাড়া – ঘরছাড়া
B. অরুণের মত রাঙ্গা – অরুণরাঙা
C. হাসিমাখা মুখ – হাসিমুখ
D. ক্ষণ ব্যাপিয়া স্থায়ী –
ক্ষণস্থায়ী
ব্যাখ্যাঃ-মধ্যপদলোপী কর্মধারয়: যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন,
সাহিত্য বিষয়ক সভা সাহিত্যসভা, স্মৃতি
রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ, ব্রাহ্মণ ধর্মীয় প্রধান পুরোহিত
= ব্রাহ্মণ পুরোহিত, জগতের রক্ষাকারী ঈশ্বর = জগদীশ্বর,
সূর্য উদয়কালীন মন্ত্র= সূর্যযন্ত্র, মৌ
ভর্তি চাক = মৌচাক, গাছকদম = গাছে ফুটিত কদম, সন্ধিগীত= সন্ধি যোগঘটানো গীত কাঁচা অবস্থায় কলা =
কাঁচকলা।চিকিৎসাশাস্ত্র=চিকিৎসা বিষয়ক শাস্ত্র
৭২. “শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখ, এক ফোঁটা দিলেম শিশির। এ অংশটুকুর
মূল প্রতিপাদ্য”
A. প্রতিদান
B. প্রত্যুৎপকার
C. অকৃতজ্ঞতা
D. অসহিষ্ণুতা
ব্যাখ্যাঃ-শৈবাল দীঘিরে কহে উচ্চ করি শির, লিখে রেখ,
এক বিন্দু দিলেম শিশির।- এ অংশটুকুর মূল প্রতিপাদ্য অকৃতজ্ঞতা
৭৩. কোনটি ঐতিহাসিক নাটক?
A. শর্মিষ্ঠা
B. রাজসিংহ
C. পলাশীর যুদ্ধ
D. রক্তাক্ত প্রান্তর
ব্যাখ্যাঃ-রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২); পানিপথের
তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী এর মূল উপজীব্য। এতে তিনি যুদ্ধবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেন।
নাটকটির জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।
৭৪. মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেশ প্রেমের
প্রবল প্রকাশ ঘটেছে
A. মহাকাব্যে
B. নাটকে
C. পত্রকাব্যে
D. সনেটে
ব্যাখ্যাঃ-মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেশপ্রেম প্রবল প্রকাশ ঘটেছে সনেটে। বাংলা ভাষায় প্রথম
সনেট রচনার কৃতিত্ব মাইকেল মধুসূদন দত্তের সনেটকে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম মহাকবি
মাইকেল মধুসূদন’ই দিয়েছিলেন। বাংলা সনেট (চতুর্দশপদী) এর সার্থক স্রষ্টা কবি
মধুসূদন দত্ত ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালেই ইতালির কবি
পেত্রার্কের সনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেটের দিগন্ত উন্মোচন করেন।
১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই
কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের বাকুলতা স্বদেশ প্রেমিকতা ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।
৭৫. ‘মোসলেম ভারত’ নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
A. মীর মশাররফ হােসেন
B. মুন্সী রেয়াজদ্দীন আহমদ
C. মোজাম্মেল হক
D. রেয়াজুদ্দীন আহমদ মাশহাদী
ব্যাখ্যাঃ-মোজাম্মেল হক – ‘মোসলেম ভারত’ নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মোসলেম
ভারত একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ছিল। ১৯২০ সালে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনামলের সময়
এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকার নামে মুসলিম শব্দ থাকলেও এতে অন্যান্য ধর্মের
লেখকদের রচনাও প্রকাশিত হত। পত্রিকার প্রচ্ছদে ইসলামি শিল্পকলা তুলে ধরা হত।
এছাড়াও প্রচ্ছদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিম্নোক্ত বাণী উৎকীর্ণ ছিল: মানব সংসারে জ্ঞানালোকের
দিয়ালি উৎসব চলিতেছে। প্রত্যেক জাতি আপনার আলোটিকে বড় করিয়া জ্বালাইলে তবে সকলে মিলিয়া এই উৎসব সমাধা হইবে।”
৭৬. বাংলা বানান রীতি অনুযায়ী একই
শব্দের কোন দুটি বানানই শুদ্ধ?
A. হাতি/ হাতী
B. নারি/নারী
C. জাতি/ জাতী
D. দাদি/দাদী
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা বানান রীতি অনুযায়ী একই শব্দের দুটি বানানই শুদ্ধ: হাতি, হাতী [বিশেষ্য পদ] হস্তী, বারণ, কুঞ্জর, (ব্যঙ্গে) অতিশয় স্থূলকায় ব্যক্তি।
৭৭. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘পদ্মানদীর মাঝি’ নামক উপন্যাসের উপজীব্য
A. মাঝি-মাল্লার সংগ্রামশীল জীবন
B. জেলে-জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ
C. চাষী-জীবনের করুণ চিত্র
D. চরবাসীদের দুঃখী জীবন
ব্যাখ্যাঃ-চরবাসীদের দুঃখী-জীবন ‘পদ্মানদীর মাঝি নামক উপন্যাসের উপজীব্য।পদ্মানদীর মাঝি
উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর ফরিদপুর অঞ্চল। এই উপন্যাসের দেবীগঞ্জ ও
আমিনবাড়ি পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম। উপন্যাসে পদ্মার তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও
পার্শ্ববর্তী গ্রামের পদ্মার মাঝি ও জেলেদের বিশ্বস্ত জীবনালেখ্য চিত্রিত হয়েছে।
পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এর ভাঙন প্রবণতা ও প্রলয়ংকরী স্বভাবের কারণে
একে বলা হয় ‘কীর্তিনাশা’ বা রাক্ষুসী পদ্মা। এ নদীর তীরের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা
নেই। শহর থেকে দূরে এ নদী এলাকার কয়েকটি গ্রামের দীন-দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের
জীবনচিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। জেলেপাড়ারর মাঝি ও জেলেদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না অভাব-অভিযোগ যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারায় অবিচ্ছেদ্য
অঙ্গ তা এখানে বিশ্বস্ততার সাথে চিত্রিত হয়েছে। তাদের প্রতিটি দিন কাটে দীনহীন
অসহায় আর ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে-পরে বেঁচে
থাকাটাই যেন তাদের জীবনের পরম আরাধ্য। এটুকু পেলেই তারা খুশি।
৭৮. কবি জসীমউদ্দীনের জীবনকাল কোনটি?
A. ১৯০৩-১৯৭৬ ইং
B. ১৮৮৯-১৯৬৬ ইং
C. ১৮৯৯-১৯৯৭ ইং
D. ১৯১০-১৯৮৭ ইং
ব্যাখ্যাঃ-জসীমউদ্দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ – ১৪ মার্চ ১৯৭৬) একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। পল্লীকবি’ উপাধিতে ভূষিত,
জসীম উদ্দীন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম
পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি। ঐতিহ্যবাহী বাংলা কবিতার মূল ধারাটিকে নগরসভায় নিয়ে আসার
কৃতিত্ব জসীম উদ্দীনের। তার নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট বাংলা ভাষার
গীতিময় কবিতার উৎকৃষ্টতম নিদর্শনগুলোর অন্যতম। তার কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত
হয়েছে।
৭৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নিঝরের
স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতায় কবির উপলব্ধি হচ্ছে—
A. ভবিষ্যৎ বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়
B. বাধা-বিপত্তি প্রতিভাকে
অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে
C. প্রকৃতি বিপুল ঐশ্বর্যের
অধিকারী
D. ভাঙার পরেই গড়ার কাজ শুরু হয়
ব্যাখ্যাঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতায় কবির উপলব্ধি হচ্ছে—ভবিষ্যৎ
বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়। ১৮৮৩ সালে প্রভাতসংগীত কাব্যটির প্রকাশ। এ
কাব্যগ্রন্থের কবিতায় হচ্ছে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ। শৈশব থেকে কবি হওয়ার বাসনা ধরে
সংশোধিত হতে হতে তিনি প্রভাতসংগীতের কাছে পৌঁছে যান। এ কাব্যগ্রন্থের কবিতা
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতাটি তার কাব্যচর্চার সার্থক সৃষ্টি বলেই তিনি মতামত
ব্যক্ত করে গেছেন। কবিতাটিতে বাইরের জিনিসকে অন্তরে এবং তার রসায়নই যে এই কবিতার
মূল নির্যাস তা তার চিত্তের উচ্ছ্বাস থেকেই বোঝা যায়। এ কবিতায় কবি যেন গ্রহীতা
আর প্রকৃতি হচ্ছে দাতা। প্রকৃতির অকৃপণ দান কবি আনন্দচিত্তে গ্রহণ করেছেন। ১৮৮৩
সাল কবির জীবনে দুটি কারণে স্মরণীয় একটি নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতার গ্রন্থভুক্তি
এবং প্রকাশ অপরটি তার বিয়ে। ১৮৮৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাইশ বছর আট মাস বয়সে কবি
রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয়।
৮০. জাতিবাচক বিশেষ্যের দৃষ্টান্ত?
A. সমাজকল্যর নজির
B. পানি
C. মিছিল সারা
D. নদী
ব্যাখ্যাঃ-জাতিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো প্রাণী বা বস্তুর জাতি
বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন মানুষ, মুসলিম, হিন্দু ইত্যাদি।
৮১. বাংলা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল
কোনটি?
A. দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী
B. একাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী
C. দ্বাদশ থেকে ষােড়শ শতাব্দী
D. ত্রয়ােদশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী,
৮২. যৌগিক বাক্যের অন্যতম গুণ কী?
A. একটি জটিল ও একটি সরল বাক্যের
সাহায্যে বাক্য গঠন
B. একটি সংযুক্ত ও একটি বিযুক্ত
বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
C. দুটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
D. দুটি মিশ্র বাক্যের সাহায্যে
বাক্য গঠন
ব্যাখ্যাঃ-যৌগিক বাক্য: একাধিক সরল বাক্য কোন অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত হয়ে একটি বাক্য গঠন
করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন- তার বয়স হয়েছে কিন্তু বুদ্ধি হয়নি। (সরল
বাক্য দুটি তার বয়স হয়েছে তার বুদ্ধি হয়নি) সে খুব শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান।
(সরল বাক্য দুটি- সে খুব শক্তিশালী, সে খুব
বুদ্ধিমান) যৌগিক বাক্যে এবং, ও, আর,
কিন্তু, অথবা, অথচ,
কিংবা, বরং, তথাপি এই
অব্যয়গুলো দিয়ে দুটি সরল বাক্য যুক্ত হয়। এগুলো দেখে সহজেই যৌগিক বাক্যকে চেনা
যেতে পারে। তবে কোন অব্যয় ছাড়াও দুটি সরল বাক্য একসঙ্গে হয়ে যৌগিক বাক্য গঠন
করতে পারে।
৮৩. কোনটি ইব্রাহিম খাঁর গ্রন্থ নয়?
A. আনোয়ার পাশা
B. ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
C. কুচবরণ কন্যা
D. সোনার শিকল
ব্যাখ্যাঃ-কুচবরণ কন্যা। লেখক-ড. আশরাফ সিদ্দিকী
৮৪. কোন প্রবচনটি ‘হতভাগ্য’ অর্থে
ব্যবহৃত হয়?
A. আট কপালে
B. উড়নচণ্ডী
C. ছা-পোষা
D. ভূষণ্ডির কাকন
ব্যাখ্যাঃ-আট কপালে- হতভাগ্য, দুধের মাছি- সুসময়ের বন্ধু, কুল কাঠের আগুন– তীব্র জ্বালা,
একাদশে বৃহস্পতি- সুসময়।
৮৫. রাবণের চিতা’ বাগধারাটির অর্থ কি
A. অনিষ্টের ইষ্ট লাভ
B. চির অশান্তি
C. অরাজক দেশ
D. সামান্য জিনিস নিয়ে ঝগড়া লাগানো
ব্যাখ্যাঃ-রাবণের চিতা’ বাগধারাটির অর্থ- চির অশান্তি
৮৬. কার সম্পাদনায় ‘সংবাদ প্রভাকর’
প্রথম প্রকাশিত হয়?
A. প্রমথ চৌধুরী
B. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C. প্যারীচাঁদ মিত্র
D. দীনবন্ধু মিত্র
ব্যাখ্যাঃ-সংবাদ প্রভাকর ছিল ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি দৈনিক বাংলা
সংবাদপত্র। ১৮৩১ সালে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসেবে এটি চালু হয় এবং আট বছর পর
১৮৩৯ সালে এটি একটি দৈনিক সংবাদপত্রে রূপান্তরিত হয়। এটিই বাংলা ভাষায় প্রকাশিত
প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র।
৮৭. “বউ কথা কও, বউ
কথা কও কও কথা অভিমানিনী সেধে সেধে কেঁদে কেঁদে যাবে যত যামিনী’- এই কবিতাংশটুকুর
কবি কে?
A. বেনজীর আহমেদ
B. কাজী নজরুল ইসলাম
C. জীবনানন্দ দাশ .
D. শামসুর রাহমান
ব্যাখ্যাঃ-“বউ কথা কও, বউ কথা কও কও কথা অভিমানিনী সেধে সেধে
কেঁদে কেঁদে যাবে কত যামিনী”- এই কবিতাংশটুকুর কবি কাজী নজরুল ইসলাম (২৫ মে ১৮৯৯
২৯ আগস্ট ১৯৭৬ ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) । তিনি বাঙালি কবি এবং
পরবর্তী কালে বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী
বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার
সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল
প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও
সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য এবং তিনি ছিলেন
বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তার
কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে
বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের
ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
৮৮. বাংলা সাহিত্যে ‘ভােরের পাখী’ বলা
হয় কাকে?
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. রাজশেখর বসু
C. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D. বিহারীলাল চক্রবর্তী
ব্যাখ্যাঃ-বিহারীলাল চক্রবর্তী (২১ মে, ১৮৩৫- ২৪ মে,
১৮৯৪) বাংলা ভাষার কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতি-কবি হিসেবে তিনি
সুপরিচিত। রবীন্দ্রনাথ তাকে বাঙলা গীতি কাব্য ধারার ভোরের পাখি বলে আখ্যায়িত
করেন। তার সব কাব্যই বিশুদ্ধ গীতিকাব্য। মনোবীণার নিভৃত ঝংকারে তার কাব্যের
সৃষ্টি।
৮৯. বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম
নাট্যকার রচিত নাট্যগ্রন্থ কোনটি?
A. জগৎ মোহিনী
B. বসন্তকুমারী
C. আয়না
D. মোহনী প্রেমদাস
ব্যাখ্যাঃ-মীর মশাররফ হোসেন বসন্ত কুমারী নাটকটি রচনা করেছেন। কল্পনাকে আশ্রয় করে
কিন্তু বাস্তবতার চিত্র এতে প্রস্ফুটিত। হিংসা, দ্বেষ লোলুপতার
জন্য যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয় জীবনে তারই চিত্র তুলে ধরেছেন মীর মশাররফ হোসেন।
৯০. কোন বানানটি শুদ্ধ?
A. বিভিষীকা
B. বিভীষিকা
C. বীভিষিকা
D. বীভিষীকা
ব্যাখ্যাঃ-বিভীষিকা বানানটি শুদ্ধ। বিভীষিকা [বিশেষ্য পদ]
ভয়জনক দৃশ্য, ভয়প্রদর্শন, ভীষণ ভয়,আতঙ্ক।
৯১. কোন খ্যাতিমান লেখক ‘বীরবল’
ছদ্মনামে লিখতেন?
A. প্রমথ নাথ
B. প্রমথ চৌধুরী
C. প্রেমেন্দ্র মিত্র
D. প্রমথ নাথ বসু
ব্যাখ্যাঃ-প্রমথ চৌধুরী “বীরবল” ছদ্মনামে লিখতেন। প্রমথ চৌধুরী কিছুদিন কলকাতা হাইকোর্টে
আইন ব্যবসা করেন। কিছুকাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে পড়ান। তিনি ঠাকুর
এস্টেটের ম্যানেজার ছিলেন। এছাড়াও তিনি মাসিক সবুজপত্র ও বিশ্বভারতী সম্পাদনা
করেন। রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৪২-১৯২৩) কন্যা ইন্দিরা দেবীর
(১৮৭৩-১৯৬০) সহিত তাহার বিবাহ হয়। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভাইঝি জামাই। লেখক
আশুতোষ চৌধুরী (১৮৮৮-১৯৪৪) সম্পর্কে প্রমথ চৌধুরীর অগ্রজ। রবীন্দ্রনাথের ভগিনী
প্রতিভা দেবীর সহিত আশুতোষ চৌধুরী বিবাহ হয়। তার সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল।
তার সম্পাদিত সবুজ পত্র বাংলা সাহিত্যে চলতি ভাষারীতি প্রবর্তনে আগ্রণী ভূমিকা
পালন করে। তার প্রবর্তিত গদ্যরীতিতে সবুজ পত্র নামে বিখ্যাত সাহিত্যপত্র ইতিহাসে
প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তারই নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিত হয়। তিনি
বাংলা সাহিত্যে ইতালিয় সনেট এর প্রবর্তক।
৯২. মৌলিক শব্দ কোনটি?
A. গোলাপ
B. শীতল
C. নেয়েও
D. গৌরব
ব্যাখ্যাঃ-মৌলিক শব্দ: যে সব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আর কোন শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। অর্থাৎ, যে সব শব্দকে ভাঙলে আর
কোন অর্থসঙ্গতিপূর্ণ শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ
বলে। যেমন: গোলাপ, নাক, লাল, তিন, ইত্যাদি। এই শব্দগুলোকে আর ভাঙা যায় না,
বা বিশ্লেষণ করা যায় না। আর যদি ভেঙে নতুন শব্দ পাওয়াও যায়,
তার সঙ্গে শব্দটির কোন অর্থসঙ্গতি থাকে না। যেমন, উদাহরণের গোলাপ শব্দটি ভাঙলে গোল শব্দটি পাওয়া যায়। কিন্তু গোলাপ শব্দটি
গোল শব্দ থেকে গঠিত হয়নি। এই দুটি শব্দের মাঝে কোন অর্থসংগতি নেই। তেমনি নাক ভেঙে
না বানানো গেলেও নাক না থেকে আসেনি। অর্থাৎ, এই শব্দগুলোই
মৌলিক শব্দ। ‘গোলাপ’ শব্দটির সঙ্গে ই প্রত্যয় যোগ করে আমরা গোলাপী শব্দটি
বানাতে পারি। তেমনি নাক-র সঙ্গে ফুল শব্দটি যোগ করে আমরা নাকফুল’ শব্দটি গঠন করতে
পারি।
৯৩. যার কোন মূল্য নেই’ তাকে বাগধারা
দিয়ে প্রকাশ করলে কোনটা হয়?
A. ডাকাবুকা
B. তুলসী বনের বাঘ
C. তামার বিষ
D. ঢাকের বাঁয়া
ব্যাখ্যাঃ-ঢাকের বাঁয়া অকেজো অপ্রয়োজনীয়।
৯৪. আমীর হামজা’ কাব্য রচনা করেন কে?
A. আলাওল
B. ফকির গরীবুল্লাহ
C. সৈয়দ হাজমা
D. রেজাউদ্দৌলা
ব্যাখ্যাঃ-আমীর হামজা মধ্যযুগের দোভাষী পুথিসাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাব্য। এতে বীর
যোদ্ধা আমীর হামজার যুদ্ধজয়ের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। ফারসি দস্তান-ই-আমীর হামজা-র
অনুসরণে বাংলা ভাষায় প্রথম (১৬৮৪) আমীর হামজা কাব্য রচনা করেন চট্টগ্রামের কবি
আবদুন নবী। এরপর ফকির গরিবুল্লাহ ও সৈয়দ হামজা যৌথভাবে একই বিষয় নিয়ে কাব্য
রচনা করেন। মোট ৭০টি পর্বে এ বিশাল কাব্য সমাপ্ত হয়। এর প্রথম অংশ গরিবুল্লাহ
রচনা করেন আঠারো শতকের মধ্যভাগে, বাকি অংশ তাঁর
শিষ্য সৈয়দ হামজা ১৭৯৪ সালে সমাপ্ত করেন। বটতলার ছাপাখানায় এটি মুদ্রিত হয়ে
প্রচারের সুযোগ পায় বলে অধিক জনপ্রিয় হয় কিন্তু আবদুন নবীর কাব্য হস্তলিখিত
পান্ডুলিপির আকারে একটি অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
৯৫. বাংলা লিপির উৎস কী?
A. সংস্কৃত লিপি
B. চীনা লিপি
C. আরবি লিপি
D. ব্রাহ্মী লিপি
ব্যাখ্যাঃ-বাংলালিপির বিবর্তনের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। প্রাচীন ভারতে দু’টি লিপির
ইতিহাস পাওয়া যায়। একটি হলো ব্রাহ্মী, অপরটির নাম খরোষ্টি। ব্রাহ্মী লেখা হতো বাম থেকে ডানদিকে আর খরোষ্টি লেখা হতো ডান থেকে
বামে। খরোষ্টি ভারতীয়দের নিজস্ব লিপি নয়। এ লিপি গৃহীত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের
আরামিক লিপি থেকে। তবে এ লিপির ব্যবহার বিশেষ করে ভারতের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলেই
সীমাবদ্ধ। কুষাণযুগে খরোধি ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলায়
প্রাপ্ত কৃষাণমুদ্রায়, পশ্চিমবঙ্গের বেড়াচাঁপা ও
চন্দ্রকেতুগড়ে প্রাপ্ত পোড়ামাটির সীল ও মৃৎমাত্রের ভগ্নাবশেষে খরোষ্টি বিপি
পাওয়া গিয়েছে। তবে বাংলার লিপিতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ব্রাহ্মীলিপি থেকেই
বিকশিত হয়েছে বাংলালিপি। ব্রাহ্মী ভারতবর্ষের প্রাচীনতম ও বহুল প্রচলিত লিপি।
৯৬. কোনটি বিশেষণ জাতীয় শব্দ?
A. জীবন
B. জীবনী
C. জীবিকা
D. জীবাণু
ব্যাখ্যাঃ-জীবনী (১) (বিশেষ্য পদ| জীবনচরিত (২) (বিশেষণ পদ প্রাণদায়িনী জীবনসঞ্চারিণী।)
৯৭. বর্ণ হচ্ছে
A. শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ
B. একসঙ্গে উচ্চারিত ধ্বনিগুচ্ছ
C. ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক
D. ধ্বনির গ্রাহ্য রূপ
ব্যাখ্যাঃ-মনের কথা নিয়ে প্রকাশ করার জন্য যেসব সাংকেতিক চিহ্ন
ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে বর্ণ বলে।
৯৮. “সুন্দর হে, দাও
দাও সুন্দর জীবন।
হউক দূর
অকল্যাণ সকল অশোভন”। — চরণ দুইটি কার লেখা?
A. কাজী নজরুল ইসলাম
B. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C. গোলাম মোস্তফা
D. শেখ ফজলুল করিম
ব্যাখ্যাঃ-শেখ ফজলল করিম ৯ এপ্রিল ১৮৮/বাংলা ৩০শে চৈত্র ১২৮৯ ২৮ সেপ্টেম্বর, (১৯৩৬) একজন স্বনামধন্য বাঙালি সাহিত্যিক।
৯৯. যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না—
A. পতিত
B. অনুর্বর
C. ঊষর
D. বন্ধ্যা
ব্যাখ্যাঃ-যে জমিতে আবাদ করা হয়নি = পতিত। যে নির্ভরযোগ্য নয় = অনির্ভর। যে নারীর কোনো
সন্তান হয়নি = বন্ধ্যা। যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না = ঊষর। সুতরাং সঠিক উত্তর (গ)। ঊষর – [বিশেষণ পদ যাহার মাটি লোণা: অনুর্বর মরুময়।]
১০০. অপমান’ শব্দের ‘অপ’ উপসর্গটি কোন
অর্থে ব্যবহৃত?
A. বিপরীত
B. নিকৃষ্ট
C. বিকৃত
D. অভাব
ব্যাখ্যাঃ-উপসর্গ কথাটির মূল অর্থ
উপসৃষ্ট। এর কাজ হলো নতুন শব্দ গঠন করা। উপসর্গের নিজস্ব কোন অর্থ নেই তবে এগুলো
অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে থাকে। মনে রাখতে হবে, উপসর্গ সব সময় মূল শব্দ বা ধাতুর
পূর্বে যুক্ত হয়।
১০১. ‘সোনালী কাবিন’ এর রচয়িতা কে?
A. হাসান হাফিজুর রহমান
B. আল-মাহমুদ
C. হুমায়ুন আজাদ
D. শক্তি চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-সোনালী কাবিন’ এর রচয়িতা আল মাহমুদ।সোনালী কাবিন আল মাহামুদের সনেট জাতীয়
কাব্য। আল মাহমুদ যে সকল সাহিত্য রচনা করেছেন তার মধ্যে সোনালী কাবিন তাকে বেশি
পরিচিতি প্রদান করেছে। এতে মোট ১৪টি সনেট রয়েছে।
১০২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত কোন
নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন?
A. বিসর্জন
B. ডাকঘর
C. বসন্ত
D. অচলায়তন
ব্যাখ্যাঃ-বসন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি ঋতুনাট্য। ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ১০ ফাল্গুন নাটকটি
প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এটি একটি পালাগান এবং নাটকের আঙ্গিকে রচিত
রবীন্দ্রনাথের প্রথম পালাগান। এটি কবির প্রথম ঋতুনাট্যও বটে। নাটকের বিষয়বস্তু
বসন্তের আগমন ও বিদায়। নাটকে ব্যবহৃত গানগুলি গীতবিতান গীতিসংকলনের প্রকৃতি
পর্যায়ের বসন্ত উপপর্যায়ের অন্তর্গত। রবীন্দ্রনাথ নাটকটি উৎসর্গ করেন কাজী নজরুল
ইসলামের উদ্দেশ্যে। পরে এই নাটকটি ঋতু উৎসব (১৯২৬) সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়।
১০৩. বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত
ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকার নাম—
A. সুন্দরম
B. লোকায়ত
C. উত্তরাধিকার
D. কিছুধ্বনি
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা একাডেমি থেকে যে ৬ টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে উত্তরাধিকার একটি। প্রথমে মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলে ও
১৯৮৩ সালে তা ত্রৈমাসিক করা হয়। বর্তমানে আবারও ‘উত্তরাধিকার মাসিক পত্রিকা
হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে লোকায়েত আবুল কাশেম ফজলুল হক সম্পাদিত পত্রিকা।
১০৪. ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর
প্রধান লেখক ছিলেন –
A. কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
B. মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
C. মোহাম্মদ আকরাম খা, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
D. কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ
ব্যাখ্যাঃ-মুসলিম সাহিত্য সমাজ ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য ও
সাংস্কৃতিক সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও
সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯
জানুয়ারি মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ
করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম আবদুল হক, ঢাকা
ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির প্রমুখের ওপর। এরাই ছিলেন প্রথম
কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। নেপথ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতেন ঢাকা
ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ ও যুক্তিবিদ্যার
অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
১০৫. ঠক চাচা’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে
পাওয়া যায়?
A. আলালের ঘরের দুলাল
B. জোহরা
C. মৃত্যুক্ষুধা
D. হাজার বছর ধরে
ব্যাখ্যাঃ-আলালের ঘরের দুলাল বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম সফল উপন্যাস। প্যারীচাঁদ মিত্র
ওরফে টেকচাঁদ ঠাকুর (১৮১৪-১৮৮৩) ১৮৫৭ সালে এটি রচনা করেন।
১০৬. বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা কোন সালে
প্রথম প্রকাশিত হয়?
A. ১৮৬৫ সালে
B. ১৮৭২ সালে
C. ১৮৭৫ সলে
D. ১৮৮১ সালে
ব্যাখ্যাঃ-বঙ্গদর্শন উনিশ শতাব্দীতে প্রকাশিত একটি বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা বা
সাময়িকপত্র। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম স্থপতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ (১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ, বারো এপ্রিল) তারিখে মাসিক বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
সে সময়ে অবিভক্ত বাংলায় কোনো উন্নত মানের সাময়িকপত্র ছিল না।
১০৭. ট্রাজেডি, কমেডি
ও ফার্সের মূল পার্থক্য-
A. জীবনানুভূতির গভীরতায়
B. দৃষ্টিভঙ্গির সূক্ষ্মতায়
C. কাহিনীর সরলতা ও জটিলতায়
D. ভাষার প্রকারভেদে
ব্যাখ্যাঃ-নাটকের শ্রেণীবিভাগ কোনো বিশেষ বিষয়কে ভিত্তি করে করা হয়নি। নানারকম
বিষয়বস্তু অনুসারে নাটককে নানাভাবে শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে। নাটকের
শ্রেণীবিভাগগুলো এরকম: ক) ভাব সংবেদনা রীতি অনুসারে (০১) ট্রাজেডি (০২) কমেডি (০৩)
ট্রাজি-কমেডি (০৪) মেলোড্রামা ও (০৫) ফার্স। ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য- জীবনানুভূতির গভীরতায়।
১০৮. সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য
–
A. তৎসম ও অর্ধতৎসম শব্দের
ব্যবহারে
B. ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপে
C. শব্দের কথ্য ও লেখ্য রূপে
D. বাক্যের সরলতা ও জটিলতায়
ব্যাখ্যাঃ-সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য: বাংলা ভাষার দুটি রূপ—সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা।
দুটি রূপের মধ্যে যেমন প্রকৃতিগত সাদৃশ্য রয়েছে, তেমনি পার্থক্যও রয়েছে। নিচে এ দুয়ের পার্থক্য আলোচনা করা হলো।
সাধু ভাষা–চলিত ভাষা
১। যে ভাষায় সাধারণত সাহিত্য রচিত হয় এবং যা মার্জিত ও সর্বজনস্বীকৃত, তাই সাধু ভাষা।–১। শিক্ষিত লোক সাধারণ কথাবার্তায় যে ভাষা ব্যবহার করে
থাকে, তা-ই চলিত ভাষা।
২। সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট ও সুনির্ধারিত নিয়মের অনুসারী।–২। চলিত
ভাষার সুনির্ধারিত ব্যাকরণ আজও তৈরি হয়নি।
৩। সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী।–৩। চলিত ভাষা সহজ ও স্বাভাবিক।
এ ভাষা মানুষের মনোভাব প্রকাশে উপযোগী।
১০৯. সমকাল পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
A. বিনয় ঘোষ
B. সিকানদার আবু জাফর
C. মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
D. তফাজ্জল হোসেন
ব্যাখ্যাঃ-সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন সিকান্দার আবু জাফর। সমকাল বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষার অন্যতম
বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা। এর সম্পাদক ছিলেন কবি সিকান্দার আবু জাফর।
১১০. ‘প্রভাত চিন্তা’, ‘নিভৃত চিন্তা’, ‘নিশীত চিন্তা প্রভৃতি গ্রন্থের
রচয়িতা –
A. কালীপ্রসন্ন সিংহ
B. কালীপ্রসন্ন ঘোষ
C. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
D. এস ওয়াজেদ আলী
ব্যাখ্যাঃ-কালীপ্রসন্ন ঘোষ (জুলাই ২৩, ১৮৪৩ অক্টোবর
২৯, ১৯১০) ছিলেন একজন বাঙালী সাহিত্যিক। তিনি ছিলেন একাধারে
লেখক, সাংবাদিক ও বাগ্মী। কালীপ্রসন্ন ঘোষ এর জন্ম-মৃত্যু–১৮৪৩ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা বিভাগের বিক্রমপুরের
ভরাকর গ্রামে তার জন্ম। তার পিতার নাম শিবনাথ ঘোষ। ১৯১০ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি
পৃথিবী ত্যাগ করেন।
১১১. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই
স্বশিক্ষিত’-এ উক্তিটি কার?
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. কাজী আবদুল ওদুদ
C. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
D. প্রমথ চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ-প্রমথ চৌধুরী (৭ আগস্ট ১৮৬৮ – ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম
প্রাবন্ধিক, কবি ও লেখক। তার পৈতৃক নিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা
জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। তিনি বাংলা গদ্যে চলিতরীতির প্রবর্তক;
এছাড়া বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচনা করেন।
সবুজপত্র পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে চলিতরীতি প্রবর্তন করেন।
গল্পকার ও সনেটকার হিসেবেও তাঁর বিশিষ্ট অবদান রয়েছে।
১১২. শুদ্ধ বানানটি নির্দেশ করুন –
A. মুহুর্মুহু
B. মূহুর্মুহু
C. র্মুহর্মূহু
D. মুহুর্মুহু
ব্যাখ্যাঃ-মুহুর্মুহু /অব্যয় পদ/ বারংবার।
১১৩. দ্যুলোক শব্দের যথার্থ
সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
A. দুঃ + লোক
B. দিব্ + লোক
C. দ্বি + লোক
D. দ্বিঃ + লোক
ব্যাখ্যাঃ-ক. চ, ট, ত, পৃ এর পরে
স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো যথাক্রমে গ, জ্ব ডু (ড়), দৃ, বৃ হয়। পরবর্তী স্বরধ্বনিটি পূর্ববর্তী
ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন-
ক্ + অ = গ=দিক + অন্ত =দিগন্ত।
ট+ আড়=ষট্ + আনন= ষড়ানন,
ত্ + অদ=তৎ + অবধি = তদবধি।
প + অ = ব =সুপ + অন্ত = সুবন্ত।
১১৪. ‘তাপ’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ –
A. শৈত্য
B. শীতল
C. উত্তাপ
D. হিম
ব্যাখ্যাঃ-তাপ-শৈত্য। তাপ ও তাপমাত্রা একই বিষয় নয়। সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রার
বস্তু থেকে নিম্ন তাপমাত্রার বস্তুতে তাপ প্রবাহিত হয়। তাপমাত্রার পার্থক্যজনিত
কারণে বিভিন্ন পদ্ধতিতে, যেমন: পরিবহন, পরিচলন, বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তাপশক্তি গমন করে।
১১৫. ‘ইচ্ছা’ বিশেষ্যের বিশেষণ নির্দেশ
করুন –
A. ইচ্ছাময়
B. ঐচ্ছিক
C. ইচ্ছুক
D. অনিচ্ছা
ব্যাখ্যাঃ-ইচ্ছা-ঐচ্ছিক যে পদে সাধারণত কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, সমষ্টি বিষয় স্থান, কাল,
ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় বা কোনো
কিছুর নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন-সুন্দর (বিশেষ্য) মাত্রেরই একটা
আকর্ষণ শক্তি আছে। সুন্দর (বিশেষ্য) মানুষকে নিজের দিকে টানে।
১১৬. কোন বাক্যটিতে সমধাতুজ কর্ম আছে?
A. সে বই পড়ছে
B. সে গভীর চিন্তায় মগ্ন
C. সে ঘুমিয়ে আছে
D. সে যে চাল চেলেছে তাতে তাকে
ষড়যন্ত্রকারী ছাড়া আর কিছু বলা যায় না
ব্যাখ্যাঃ-সমধাতুজ কর্ম : বাক্যের ক্রিয়াপদ ও কর্মপদ যদি একই ধাতু বা ক্রিয়ামূল থেকে
গঠিত হয়, তবে তাকে সমধাতুজ কর্মপদ বলে। অর্থাৎ, ক্রিয়াপদ
ও কর্মপদ একই শব্দমূল থেকে গঠিত হলে তাকে সমধাতুজ কর্মপদ বলে। যেমন; আজ এমন ঘুম ঘুমিয়েছি।
এখানে ক্রিয়াপদ ঘুমিয়েছি, আর কর্মপদ ঘুম (কী
ঘুমিয়েছি?)। আর এই
ঘুমিয়েছি আর ‘ঘুম’ দুটি শব্দেরই শব্দমূল ‘ঘুম্। অর্থাৎ, শব্দ দুইটি একই ধাতু হতে গঠিত (ক্রিয়ার মূলকে ধাতু বলে)। সুতরাং, এই বাক্যে ঘুম কর্মটি একটি সমধাতুজ কর্ম। এরকম আজ কী খেলা খেললাম। (খেল)
আর মায়াকান্না কেঁদো না। (কাঁদ)।
১১৭. Wisdom শব্দের বাংলা অর্থ
A. জ্ঞান
B. বুদ্ধি
C. মেধা
D. প্রজ্ঞা
ব্যাখ্যাঃ-Wisdom শব্দের বাংলা অর্থ জ্ঞান –প্রজ্ঞা
১১৮. কোন গ্রন্থটি ঢাকা হতে প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল?
A. মেঘনাদবধ কাব্য
B. দুর্গেশনন্দিনী
C. নীলদর্পণ
D. অগ্নিবীণা
ব্যাখ্যাঃ-নীলদর্পণ গ্রন্থটি ঢাকা হতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।নীলদর্পণ হল দীনবন্ধু
মিত্র রচিত একটি বাংলা নাটক। এই নাটকের পটভূমি নীল চাষের জন্য সাধারণ উপর ইংরেজ
শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়ন।
১১৯. পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’
কথাটি কার?
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C. মীর মশাররফ হোসেন
D. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ? কথাটি সাহিত্য
সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস কপালকুণ্ডলার সাহিত্য
সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। সম্ভবত এটি বাংলা
সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত
হয়। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি কাব্যধর্মী উপন্যাস।
১২০. প্রত্যয়গতভাবে শুদ্ধ কোনটি?
A. উৎকর্ষতা
B. উৎকর্ষ
C. উৎকৃষ্ট
D. উৎকৃষ্টতা
ব্যাখ্যাঃ-অচিন শব্দের অ’ উপসর্গটি নঞর্থক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অ.— নিন্দিত-অর্থে -অকেজো, অচেনা, অপয়া অর্থে এবং অভাব-অচিন ক্রমাগত-অঝোর অঝোরে
১২১. ‘অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি কোন
অর্থে ব্যবহৃত?
A. নেতিবাচক
B. বিয়োগান্তক
C. নঞর্থক
D. অজানা
ব্যাখ্যাঃ-‘অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি নঞর্থক অর্থে ব্যবহৃত
১২২. বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে
কারা প্রথম এসেছিল?
A. ইংরেজরা
B. ফরাসিরা
C. ওলন্দাজরা
D. পর্তুগীজরা
ব্যাখ্যাঃ-বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম এসেছিল। বাংলায় বণিকেরা উর্বর বাংলায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের বণিকেরা বাণিজ্য
করতে আসে। বাণিজ্য করতে এলেও সম্পদের মোহে এক সময় শাসন ক্ষমতাও দখল করে। এদের
মধ্যে পর্তুগীজ ও ওলন্দাজরা অন্যতম।
১২৩. জিয়া সার কারখানায় উৎপাদিত সারের
নাম কি?
A. অ্যামোনিয়া
B. সুপার ফসফেট
C. টিএসপি
D. ইউরিয়া
ব্যাখ্যাঃ-জিয়া সার
কারখানায় উৎপাদিত সারের নাম ইউরিয়া।
[পিডিএফ প্রস্তুত ও তথ্য সংগ্রহঃ- রাইসুল ইসলাম হৃদয়]
১২৪. ‘সব কটি জানালা খুলে দাও না’-এর
গীতিকার কে?
A. মরহুম আলতাফ মাহমুদ
B. মরহুম নজরুল ইসলাম বাবু
C. ড. মনিরুজ্জামান
D. মরহুম ড. আবু হেনা মোস্তাফা
কামাল
ব্যাখ্যাঃ-সব কটা জানালা খুলে দাও না এর গীতিকার মরহুম নজরুল ইসলাম বাবু । সব কটা জানালা
খুলে দাও না ১৯৮২ সালে প্রকাশিত বাংলা ভাষায় রচিত একটি দেশাত্মবোধক সঙ্গীত।
স্বাধীনতা দিবসের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের নির্মিত বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য
প্রস্তুতকৃত এই সঙ্গীত বা গানের গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু। আহমেদ ইমতিয়াজ
বুলবুলের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় এই গানে কণ্ঠ দেন সাবিনা ইয়াসমিন। ঐ বিশেষ
সঙ্গীতানুষ্ঠানে সব কটা জানালা খুলে দাও না ছাড়াও সাবিনা ইয়াসমিন কণ্ঠে ইমতিয়াজ
আহমেদ বুলবুলের লেখা ও সুর করা সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ এই দেশ আমার সুন্দরী রাজকন্যা ও আয় আয় আয় রে মা
আয় আমার কোলে গানগুলিও প্রচারিত হয়েছিল।
১২৫. কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সঞ্চিতা’
কাব্যটি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?
A. বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
B. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C. বীরজাসুন্দরী দেবী
D. মুজাফফর আহমদ
ব্যাখ্যাঃ-কবি কাজী নজরুল ইসলাম সঞ্চিতা’ কাব্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ
করেছিলেন।সঞ্চিতা (কাব্যগ্রন্থ) সঞ্চিতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় এবং
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন। এই গ্রন্থে ঊনআশিটি কবিতা
ও সতেরোটি গান আছে। এর মধ্যে বিদ্রোহী, সর্বহারা,
সাম্যবাদী, মানুষ, ‘জীবন
বন্দনা’, ‘খুকী ও কাঠবেড়ালী, চল্ চল্
চল্ প্রভৃতি প্রধান। গ্রন্থটির উৎসর্গ পত্রে লেখা আছে। বিশ্বকবিসম্রাট শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শ্রীশ্রীচরণারবিন্দেষু।
১২৬. কোন উপন্যাসটির রচয়িতা
রবীন্দ্রনাথ?
A. বিষবৃক্ষ
B. গণদেবতা
C. আরণ্যক
D. ঘরে-বাইরে
ব্যাখ্যাঃ-ঘরে-বাইরে উপন্যাসটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঘরে বাইরে (উপন্যাস)-ঘরে
বাইরে (১৯১৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি উপন্যাস। এটি চলিত ভাষায় লেখা রবীন্দ্রনাথের
প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটি সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। স্বদেশী
আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত এই উপন্যাসে একদিকে আছে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা, অন্যদিকে আছে
সমাজ ও প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নারী পুরুষের সম্পর্ক বিশেষত পরস্পরের আকর্ষণ
বিকর্ষণের বিশ্লেষণ।
১২৭. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গ্রন্থের
সম্পাদক কে ছিলেন?
A. হাসান হাফিজুর রহমান
B. বেগম সুফিয়া কামাল
C. মুনীর চৌধুরী
D. আবুল বরকত
ব্যাখ্যাঃ-একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থের সম্পাদক কে ছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান
একুশে ফেব্রুয়ারী (উপন্যাস)–একুশে ফ্রেব্রুয়ারী উপন্যাসটি বিখ্যাত
উপন্যাসিক জহির রায়হান এর এক অনবদ্য সৃষ্টি। তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে
একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন এ উপন্যাসটি সেই উদ্দেশ্যেই ১৯৭০ সালে
লেখা।
প্রেক্ষাপট
– একুশে ফেব্রুয়ারী (উপন্যাস)
বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলন শুধু এদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে নয় শিল্প
সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও নতুন চেতনাপ্রবাহ সৃষ্টি করেছিল। এই চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং সামাজিক মূল্যবোধসঞ্জাত ঝাভের দেয়াল চলচ্চিত্র নির্মাণের
পরে তিনি একুশে ফেব্রুয়ারি নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু
তিনি তা করতে পারেননি) পরবর্তিতে তিনি জীবন থেকে নেয়া চলচ্চিত্রে ভাষা আন্দোলনের
প্রেক্ষাপট যোগ করেন এবং তার অপ্রকাশিত চলচ্চিত্রকে উপন্যাস আকারে প্রকাশ করেন।
১২৮. ‘রোহিনী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে
পাওয়া যায়?
A. চরিত্রহীন
B. গৃহদাহ
C. কৃষ্ণকান্তের উইল
D. সংশপ্তক
ব্যাখ্যাঃ-রোহিনী’ চরিত্রটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে
পাওয়া যায়। কৃষ্ণকান্তের উইল বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত
একটি বাংলা উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৮৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। রোহিনী, ভ্রমর এবং গোবিন্দলালের ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে
কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে। সামাজিক উপন্যাস। ১৮৮২ ও ১৮৮৪ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকার
বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবিতকালে চারটি সংস্করণ প্রকাশিত
হয় যার মধ্যে সর্বশেষ সংস্করণ ১৮৯২ সালে মুদ্রিতা
১২৯. বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে কোন
বিষয়টি প্রধান ভাবে আছে?
A. বাংলার প্রকৃতির কথা
B. বাংলার মানুষের কথা
C. বাংলার ইতিহাসের কথা
D. বাংলার সংস্কৃতির কথা
ব্যাখ্যাঃ-বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে বাংলার প্রকৃতির কথা প্রধানভাবে আছে। আমার সোনার
বাংলা গানটি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের
জাতীয় সঙ্গীত। বঙ্গমাতা সম্পর্কে এই গাঁথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৯০৫ সালে
রচিত। বাউল গায়ক গগন হরকরার গান আমি কোথায় পাব তারে থেকে এই গানের সুর ও সঙ্গীত
উদভূত।
১৩০. যা চিরস্থায়ী নয়
A. অস্থায়ী
B. ক্ষণিক
C. ক্ষণস্থায়ী
D. নশ্বর
ব্যাখ্যাঃ-যা চিরস্থায়ী নয় নম্বর।
ক্ষণকালের জন্য স্থায়ী ক্ষণস্থায়ী।
অল্পক্ষণের জন্য ক্ষণিক।
১৩১. Intellectual শব্দের বাংলা অর্থ-
A. বুদ্ধিমান
B. মননশীল
C. বুদ্ধিজীবী
D. মেধাবী
ব্যাখ্যাঃ-Intellectual
শব্দের বাংলা অর্থ বুদ্ধিজীবী।
১৩২. কোন নগরীতে মুঘল আমলে সুবে বাংলার
রাজধানী ছিল?
A. গৌড়
B. সোনারগাঁ
C. ঢাকা
D. হুগলী
ব্যাখ্যাঃ-ঢাকা নগরীতে মোঘল আমলে সুবে বাংলার রাজধানী ছিল। সুবাহ বাংলা-সুবাহ বাংলা ফার্সি: jiSir use, প্রতিবর্ণী,
সুবাহ্ বাঙ্গালাহ্) বা মুঘল বাংলা ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের একটি মহকুমা
যা ১৬শ থেকে ১৭শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে বর্তমানের বাংলাদেশ এবং ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বাংলা
সালতানাত ভেঙ্গে গেলে এই সাম্রাজ্যের উদ্ভব হয় এবং সেই সময়ের বিশ্বের অন্যতম বড়
এ সাম্রাজ্যটি বিলীন হয়ে যায়। মুঘলেরা বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৮ শতকের দিকে এসে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তাদের
উত্থান ঘটে।
১৩৩. ‘অবমূল্যায়ন’ ও ‘অবদান’ শব্দ
দুটিতে ‘অব’ উপসর্গটি সম্পর্কে কোন মন্তব্যটি ঠিক?
A. দুটিতে উপসর্গটি মোটামুটি একই
অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
B. শব্দ দুটিতে উপসর্গটি একই অর্থে
ব্যবহৃত হয়েছে
C. দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ দু’রকম
D. দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ
আপাতবিচারে ভিন্ন হলেও আসলে এক
ব্যাখ্যাঃ-অবমূল্যায়ন ও অবদান শব্দ দুটিতে অব উপসর্গটির অর্থ দুরকম
১৩৪. “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।” এ
উক্তিটি কোন পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় লেখা থাকত?
A. সওগাত
B. মোহাম্মদী
C. সমকাল
D. শিখা
ব্যাখ্যাঃ-জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট মুক্তি সেখানে অসম্ভব। এই উক্তিটি শিখা পত্রিকার
প্রতি সংখ্যায় লেখা থাকতো। শিখা পত্রিকা–শিখা ১৯২৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মুসলিম সাহিত্য সমাজ কর্তৃক
প্রকাশিত পত্রিকা। এটি উনিশ শতকের বিশের দশকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হত। এর প্রথম
সংখ্যার প্রকাশকাল চৈত্র ১৩৩৩ (৮ এপ্রিল ১৯২৭) এবং এর প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ছিলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হুসেন। এটি বাৎসরিক পত্রিকা ছিল ও ১৯৩১ সালে
এর পঞ্চম ও শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। তার প্রধান কারণ ১৯৩২ সালের মার্চ মাসে আবুল
হুসেনের ঢাকা ত্যাগ। তিনিই মূলত প্রকাশনার সামগ্রিক দায়িত্ব পালন করতেন ও প্রকাশনা
ব্যয়ের একটি বড় অংশও বহন করতেন। এ পত্রিকার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মডার্ন
লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন আবুল হুসেন। এ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন কাজী
আবদুল ওদুদ, কাজী মোতাহার হোসেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। একে বলা হয়ে থাকে
ঢাকার যুক্তিবাদ আন্দোলন।
১৩৫. ‘মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক,
মানুষেতে সুরাসুর’-এ পংক্তিটি কার রচনা?
A. ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
B. ১৩৫৫ বঙ্গাব্দে
C. ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে
D. ১৩৫২ বঙ্গাব্দে
ব্যাখ্যাঃ-'মানুষের মাঝে স্বর্গ - নরক, মানুষেতে সূরাসূর'
- শেখ ফজলল করিমের রচিত কবিতার অংশ। শেখ ফজলুল
করিম (৯ এপ্রিল ১৮৮২/বাংলা ৩০শে চৈত্র ১২৮৯ - ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬) একজন স্বনামধন্য বাঙালি সাহিত্যিক।
১৩৬. সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য-
A. বাক্যের সরল ও জটিল রূপে
B. শব্দের রূপগত ভিন্নতায়
C. তৎসম ও অর্ধতৎসম শব্দের
ব্যবহারে
D. ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতায়
ব্যাখ্যাঃ-ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতায় সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য
বিদ্যমান।সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য বাংলা ভাষার দুটি রূপ—সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা।
দুটি রূপের মধ্যে যেমন প্রকৃতিগত সাদৃশ্য রয়েছে তেমনি পার্থক্যও রয়েছে।
১৩৭. সমগ্র পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা
অনুবাদ কে করেন?
A. গোলাম মোস্তফা
B. ফররুখ আহমদ
C. ভাই গিরীশচন্দ্র সেন
D. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-Girish
Chandra Sen C. 1835-15 August 1910 was a Bengali religious scholar and
translator. He was a Brahmo Samaj missionary and known for being the first
publisher of the Quran into the Bengali language in 1886.
১৩৮. সমকাল পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
A. মোহাম্মদ আকরাম খান
B. তফাজ্জল হোসেন
C. নাসিরুদ্দিন
D. সিকান্দার আবু জাফর
ব্যাখ্যাঃ-সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন সিকান্দার আবু জাফর। সমকাল বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষার অন্যতম
বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা। এর সম্পাদক ছিলেন কবি সিকান্দার আবু জাফর।
A. ১৩৯. সওগাত’ পত্রিকার
সম্পাদক কে ছিলেন?
A. কাজী নজরুল ইসলাম
B. আবুল কালাম শামসুদ্দীন
C. খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন
D. মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন
ব্যাখ্যাঃ-সওগাত পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন। সওগাত (মাসিক পত্রিকা) সওগাত ছিল একটি সচিত্র মাসিক পত্রিকা। এই পত্রিকা
বাংলার মুসলিমদের সাংবাদিকতায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে।ধরন-মাসিক পত্রিকা।সম্পাদক-মোহাম্মদ
নাসিরউদ্দীন। প্রথিষ্ঠা কাল-১৯১৮।ভাষা-বাংলা। সদরদপ্তর-কলকাতা,
বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান
কলকাতা, ভারত) ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান
পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)
১৪০. জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোন
জেলায়?
A. বরিশাল জেলা
B. ফরিদপুর জেলা
C. ঢাকা জেলা
D. রাজশাহী জেলা
ব্যাখ্যাঃ-Jibanananda
Das (17 February 1899-22 October 1954) was an Indian poet writer, novelist and
essayist in the Bengali language. Popularly called “Rupashi Banglar Kabi (Poet
of Beautiful Bengal). Born in Barshal to a Vaidya Brahmo family. Das studied
English literature at Presidency College Kolkata and earned his MA from
Calcutta University।
[পিডিএফ প্রস্তুত ও তথ্য সংগ্রহঃ- রাইসুল ইসলাম হৃদয়]
১৪১. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন
‘চর্যাপদ’-এর আবিষ্কারক-
A. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B. ডক্টর সুনীতিকুমার
চট্টোপাধ্যায়
C. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D. ডক্টর সুকুমার সেন
ব্যাখ্যাঃ-মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (৬ ডিসেম্বর, ১৮৫৩ ১৭ নভেম্বর, ১৯৩১) ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি
ভারততত্ত্ববিদ, সংস্কৃত বিশারদ, সংরক্ষণবিদ
ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা। তার আসল নাম ছিল হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য। তিনি
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের আবিষ্কর্তা। তিনি সন্ধ্যাকর নন্দী
রচিত রামচরিতম্ বা রামচরিতমানস পুঁথির সংগ্রাহক।
১৪২. হিন্দী ‘পদুমাবৎ’-এর অবলম্বনে
‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা-
A. দৌলত উজীর বাহরাম খান
B. সৈয়দ সুলতান
C. আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
D. আলাওল
ব্যাখ্যাঃ-পদ্মাবতী মধ্যযুগের বাঙালি কবি আলাওলের একটি কাব্য। এটিকে আলাওলের শ্রেষ্ঠ কাজ
বলে গণ্য করা হয়
১৪৩. ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা প্রথম
প্রকাশিত হয়-
A. ১৮৪১ সালে
B. ১৮৪২ সালে
C. ১৮৫০ সালে
D. ১৮৪৩ সালে
ব্যাখ্যাঃ-তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ছিল ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র।
ব্রাহ্মধর্মের প্রচার এবং তত্ত্ববোধিনী সভার সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার
উদ্দেশ্যে ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৪৪. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের
পার্থক্য-
A. অব্যয় ও শব্দাংশে
B. নতুন শব্দ গঠনে
C. উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
D. ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
ব্যাখ্যাঃ-যেসব অব্যয় শব্দ বা ধাতুর পূর্বে বসে মূল শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় ও
নতুন শব্দ গঠন করে তাকে উপসর্গ। অন্যদিকে যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের
পরে বসে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে। যেমন কাঁদ • অন কদিন এখানে অন প্রত্যয়।
১৪৫. যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা
সংখ্যা চার, তাকে বলা হয়-
A. স্বরবৃত্ত
B. পয়ার
C. মাত্রাবৃত্ত
D. অক্ষরবৃত্ত
ব্যাখ্যাঃ-যে ছন্দ পাঠকালে, উচ্চারন গতিবেগ দ্রুত হয় শ্বাসঘাত পরে পর্বগুলো হয় ছোট কেবল
৪ মাত্রার এবং যে ছন্দে অক্ষর মানেই ১ মাত্রা ধরা হয়, তাকে
স্বরবৃত্ত ছন্দ বলে।
১৪৬. আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’
লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া-
A. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B. ভারতচন্দ্র রায়
C. মদনমোহন তর্কালংকার
D. কামিনী রায়
ব্যাখ্যাঃ-“রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র রায় (১৭১২- ১৭৬০ অষ্টাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি
কবি ও মঙ্গলকাবোর সর্বশেষ শক্তিমান কবি।”
১৪৭. পর্তুগীজ ভাষা থেকে নিম্নোক্ত
একটি শব্দ বাংলা ভাষায় আত্তীকরণ করা হয়েছে-
A. টেবিল
B. চেয়ার
C. বালতি
D. শরবত
ব্যাখ্যাঃ-“পর্তুগীজ ভাষা থেকে নিম্নোক্ত একটি শব্দ বাংলা ভাষায় আত্তীকরণ করা
হয়েছে-বালতি। [পর্তুগীজ শব্দ মনে রাখার কৌশল গীর্জারপাদ্রী চাবি দিয়ে গুদামের
আলমারি খুলে তাতে আনারস পেঁপে পেয়ারা আলপিন ও আলকাতরা রাখলেন। কেরানি দিয়ে কামরা
পরিষ্কার করে জানালা খুলে দিলেন। তারপর পেরেক ইস্ত্রি ইস্পাত ও পিস্তল বের
করে।বালতিতে রেখে বোমা বানালেন।
শব্দঃ গির্জা, চাবি ওদাম আলমারি, আনারস, পেঁপে পেয়ারা, আলপিন,
আলকাতরা, কেরানি, কামরা
জানালা, পেরেক ইস্ত্রি ইস্পাত পিস্তল, বালতি,
টুপি সাবান, বোতাম, পাউরুটি,
মিস্ত্রি পেরেক ইংরেজ নিলাম ও বেহালা ইত্যাদি।]”
বিঃদ্রঃ- ১ম প্রশ্নের ব্যাখ্যায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১৪৮. ‘লাঠালাঠি’ শব্দটির সমাস-
A. দ্বন্দ্ব
B. বহুব্রীহি
C. কর্মধারয়
D. তৎপুরুষ
ব্যাখ্যাঃ-“যে সমাসের পূর্বপদ ও পরপদ কারো অর্থ প্রাধান্য পায় না, সম্পূর্ণ তৃতীয় একটি অর্থ প্রকাশ পায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
প্রধানত বহুব্রীহি সমাস সাত প্রকার
১/ সমানাধিকরণ বহুব্রীহি দশানন–দশ আনন যার
২/ ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি পাপমতি পাপে মতি ধার
৩) মধ্যপদোলোপি বহুব্রীহি বিড়ালাক্ষী বিড়ালের অক্ষির মতো অক্ষি যার
৪/ আলোপ বহুব্রীহি মুখেভাত মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে।
৫/ ব্যাতিহার বহুরীহি লাঠালাঠি-নাঠিতে লাঠিতে লড়াই। ৬/ না বছরাহি নির্বাক নেই
বাক যার।”
১৪৯. বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে
নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে-
A. সংস্কৃত
B. পালি
C. প্রাকৃত
D. অভ্রংশ
ব্যাখ্যাঃ-সংস্কৃত থেকে নয়, প্রাকৃত ভাষা থেকেই উদ্ভব ঘটেছে বাংলা ভাষার প্রাচীন
ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে মনের ভাব প্রকাশের নানা রীতি চালু ছিল। সেখান থেকেই
অঞ্চলভেদে উৎপত্তি হয় ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতভাষা। আমাদের এই নদী বিধৌত পূর্ব
অঞ্চলের মানুষেরা যে প্রকৃত ভাষায় কথা বলতে, তা হলো মাগধী।
১৫০. শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার
শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায়-
A. দুই ভাগে
B. তিন ভাগে
C. চার ভাগে
D. পাঁচ ভাগে
ব্যাখ্যাঃ-“বাংলা ভাষার যে শব্দসম্ভারের সমাবেশ ঘটেছে সেগুলোকে পণ্ডিতরা নিম্নলিখিত
পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন। নিচে তা তুলে ধরা হলো।
তৎসম শব্দ : যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের
রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। উদাহরণ–চন্দ্র, সূর্য নক্ষত্র, ভবন ধর্ম পাত্র মনুষ্য ইত্যাদি।
তদ্ভব শব্দ: যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে
আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে সেসব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ। উদাহরণ
হাত, চাঁদ, আজ চামার।
অর্ধতৎসম শব্দ: বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে
ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলে অর্ধতৎসম শব্দ। তৎসম মানে। সংস্কৃত। আর অর্ধতৎসম মানে
আধা সংস্কৃত। উদাহরণ—জোছনা ছেরাদ্দ গিন্নী, বোষ্টম কুচ্ছিত
ইত্যাদি।
দেশি শব্দ বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান
বাংলায় রক্ষিত হয়েছে। এসব শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়। উদাহরণ-কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, চৌপর, ডাব ডাগর ঢেঁকি ইত্যাদি।
বিদেশি শব্দ : রাজনৈতিক, ধর্মীয়,
সংস্কৃতিগত ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন ভাষাভাষী
মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে নিয়েছে। এসব শব্দকে বলা হয় বিদেশি
শব্দ।”
A. ১৫১. ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’, ‘উন্নতজীবন’ প্রভৃতি
গ্রন্থের রচয়িতা—
A. এস ওয়াজেদ আলী
B. এয়াকুব আলী চৌধুরী
C. মোঃ লুৎফর রহমান
D. মোঃ ওয়াজেদ আলী
ব্যাখ্যাঃ-“মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (১৮৮৯-১৯৩৬) ছিলেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক, সম্পাদক ও সমাজকর্মী। তিনি ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান হিসেবে সমধিক
পরিচিত।
নারী সমাজের উন্নতির জন্য নারীতীর্থ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান গঠন এবং
নারীশক্তি নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন তিনি এবং একজন চিন্তাশীল ও
যুক্তিবাদী প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।”
১৫২. ‘সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যের
রচয়িতার নাম-
A. তালিম হোসেন
B. ফররুখ আহমদ
C. গোলাম মোস্তফা
D. আবুল হোসেন
ব্যাখ্যাঃ-ফররুখ আহমদ (জন্ম: জুন ১০, ১৯১৮ মৃত্যু:
অক্টোবর ১৯, ১৯৭৪) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি। এই বাঙালি
কবি মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত
মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে।
১৫৩. ষড়ঋতু শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ-
A. ষড় + ঋতু
B. ষট + ঋতু
C. ষট + ঋতু
D. ষট্ + ঋতু
ব্যাখ্যাঃ-বর্গের প্রথম বর্ণ (ক, চ, ট, ত/ৎ, প)+ স্বরবর্ণ = বর্গের তৃতীয় বর্ণ (গ, জ, ড/ড়, দ, ব) যেমন,ষড়ঋতু =
ষট্ + ঋতু।
১৫৪. ‘বীরবল’ নিমোক্ত একজন লেখকের
ছদ্মনাম
A. প্রমথ চৌধুরী
B. ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
C. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D. নবীনচন্দ্র সেন
ব্যাখ্যাঃ-‘বীরবল’ নিমোক্ত প্রমথ চৌধুরী ছদ্মনাম
১৫৫. ‘লাপাত্তা’ শব্দের ‘লা’ উপসর্গটি
বাংলা ভাষায় এসেছে
A. আরবি ভাষা থেকে
B. ফরাসি ভাষা থেকে
C. হিন্দি ভাষা থেকে
D. উর্দু ভাষা থেকে
ব্যাখ্যাঃ-“‘লাপাত্তা’ শব্দের ‘লা’ উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে আরবি ভাষা থেকে । আরবি
মনে রাখার কৌশল: আম লা খায়েস গর একদম বাজে।”
১৫৬. কেউ মালা, কেউ
তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’ এ পংক্তিটি নিচের একজনের
লেখা-
A. লালন শাহ
B. সিরাজ সাঁই
C. মদন বাউল
D. পাগলা কানাই
ব্যাখ্যাঃ-কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’
এ পংক্তিটি লালন শাহের লেখা। লালন (জন্ম: ১৭৭২ খ্রি মৃত্যু: ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ খ্রি.)
ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি, যিনি ফকির লালন,
লালন সাঁই, লালন শাহ মহাত্মা লালন ইত্যাদি
নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী
সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার
ও গায়ক ছিলেন।
১৫৭. অক্ষির সমীপে’র সংক্ষেপ হলো-
A. সমক্ষ
B. পরোক্ষ
C. প্রত্যক্ষ
D. নিরপেক্ষ
ব্যাখ্যাঃ-অক্ষির সমীপে >> সমক্ষ অক্ষির অভিমুখে প্রত্যক্ষ অক্ষির অগোচরে
>> পরোক্ষ, চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত ->
চাক্ষুষ।
১৫৮. হজরত মুহাম্মদ (স) ছিলেন একজন
আদর্শ মানব’ বাক্যটি নিম্নোক্ত একটি শ্রেণীর
A. মিশ্র
B. জটিল
C. যৌগিক
D. সরল
ব্যাখ্যাঃ-সরল বাক্য যে বাক্যে একটি কর্তা বা উদ্দেশ্য ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে তাকে
সরল বাকা বলে। যেমন- পুকুরে পদ্ম ফোটে। (উদ্দেশ্য পুকুরে সমাপিকা ক্রিয়া ফোটে) মা
শিশুকে ভালোবাসে।
১৫৯. ‘মধুর চেয়েও আছে মধুর /সে আমার
এই দেশের মাটি/ আমার দেশের পথের ধুলা/ খাঁটি সনার চেয়ে খাঁটি’ -কবিতার এ অংশ
বিশেষের রচয়িতা-
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
C. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
D. নির্মলেন্দু গুণ
ব্যাখ্যাঃ-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১১, ১৮৮২ – মৃত্যু:
ফেব্রুয়ারি ২৫, ১৯২২) একজন বাঙালি কবি ও ছড়াকার। তার
কবিতায় ছন্দের কারুকাজ শব্দ ও ভাষা যথোপযুক্ত ব্যবহারের কৃতিত্বের জন্য তাকে
ছন্দের যাদুকর নামে আখ্যায়িত করা হয়।
১৬০. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন
বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
A. এগারটি
B. নয়টি
C. দশটি
D. আটটি
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা বর্ণমালায় বর্ণসংখ্যা। স্বরবর্ণ ১১ টি এবং বাঞ্ছনবর্ণ ৩৯ টি) ৫০টি।
তন্মধ্যে মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি স্বরবর্ণ ৪ টি এ ঐ ও ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬ টি উৎ। অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮ টি। স্বরবর্ণ ১টি বা এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি য গণ খপশা।
পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি। স্বরবর্ণ ৬ টি রাবণ ২৬ টি)
১৬১. তার বয়স বেড়েছে কিন্তু বুদ্ধি
বাড়েনি’-এটা কোন ধরনের বাক্য?
A. যৌগিক বাক্য
B. সাধারণ বাক্য
C. মিশ্র বাক্য
D. সরল বাক্য
ব্যাখ্যাঃ-যৌগিক বাক্যে দুই বা ততোধিক সরল বা জটিল বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য
তৈরি করে। যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো ও, এবং, অথবা, কিন্তু বরং,
তথাপি প্রভৃতি অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে।
১৬২. ‘একাদশে বৃহস্পতি’ এর অর্থ কি?
A. আশার কথা
B. সৌভাগ্যের বিষয়
C. মজা পাওয়া
D. আনন্দের বিষয়
ব্যাখ্যাঃ-বিষয়টি হিন্দু ধর্মীয় শুভক্ষণ বিষয়ক প্রবাদ মাত্র। একাদশী তিথি হিন্দুধর্মে
একটি বিশেষ দিন, অপরদিকে বৃহস্পতিবার হিন্দুধর্মের অপর একটি সাপ্তাহিক
নিত্যকর্মের দিন। তাই একই দিনে দুইটি শুভক্ষণের আবির্ভাব প্রকাশ করতে উক্ত
প্রবাদটি ব্যবহৃত হয়।
১৬৩. লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ কোনটি?
A. সাহেব
B. বেয়াই
C. সঙ্গী
D. কবিরাজ
ব্যাখ্যাঃ-লিঙ্গান্তর হয় না এমন কিছু পুরুষবাচক শব্দ হল কবিরাজ,ঢাকী, কাজী, কুস্তিগীর,
কৃতদার, অকৃতদার, রাষ্ট্রপতি,
পুরোহিত, যোদ্ধা বিচারপতি ইত্যাদি।
১৬৪. সাধু ভাষা সাধারণত কোথায়
অনুপযোগী?
A. কবিতার পংক্তিতে
B. গানের কলিতে
C. গল্পের কলিতে
D. নাটকের সংলাপে
ব্যাখ্যাঃ-নাটকের সংলাপ ব্যতিত প্রায় সব জায়গায় সাধু ভাষার ব্যাবহার চলে।
১৬৫. দুটি পুরুষবাচক শব্দ রয়েছে কোনটি?
A. ননদ
B. প্রিয়া
C. শিষ্যা
D. আয়া
ব্যাখ্যাঃ-ননদ এর দুটি পুরুষবাচক শব্দ হল- দেবর নন্দাই। প্রিয়-প্রিয়া, শিষ্য শিষ্যা, খানসামা আয়া।
১৬৬. বিভক্তিহীন নাম শব্দকে কি বলে?
A. নামপদ
B. উপপদ
C. প্রাতিপদিক
D. উপমিত
ব্যাখ্যাঃ-যে পদ দ্বারা নাম বুঝায় থাকে নামপদ বলে। যে পদের পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সঙ্গে
কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে উপপদ বলে। বিভক্তিহীন নাম শব্দকে বলা হয় প্রাতিপদিক।
১৬৭. কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বোঝায়?
A. তুই বাড়ি যা
B. ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C. কাল একবার এসো
D. দূর হও
ব্যাখ্যাঃ-তুই বাড়ি যা ( আদেশ), ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ (প্রার্থনা), কাল
একবার এসো (অনুরোধ) দূর হও (ভর্ৎসনা)।
১৬৮. ধাতুর পর কোন প্রত্যয় যুক্ত করে
ভাববাচক বিশেষ্য বোঝায়?
A. আন
B. আই
C. আল
D. আও
ব্যাখ্যাঃ-যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয় তাকে ভাববাচক
বিশেষ্য বলে। ধাতুর পর আই প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ভাববাচক বিশেষ্য গঠিত হয়। যেমন
(চর–আই) – চড়াই
১৬৯. বচন অর্থ কি?
A. সংখ্যার ধারণা
B. গণনার ধারণা
C. ক্রমের ধারণা
D. পরিমাপের ধারণা
ব্যাখ্যাঃ-ব্যাকরণে বিশেষ্য ও সর্বনামের সংখ্যার ধারণা প্রকাশের উপায়কে বচন বলে।
১৭০. ‘মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের
রূপ’- বাক্যে মরি মরি’ কোন শ্রেণীর অব্যয়?
A. সমুচ্চয়ী
B. অনন্বয়ী
C. পদন্বয়ী
D. অনুকার
ব্যাখ্যাঃ-“‘মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের রূপ’- বাক্যে মরি মরি’অনন্বয়ী অব্যয় “
১৭১. ‘দোলনা’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি
প্রত্যয় কোনটি?
A. √দুল্ + অনা
B. দোল্ + না
C. দোল্ + অনা
D. দোলনা + আ
ব্যাখ্যাঃ-যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দ (প্রাতিপদিক) এর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ
গঠন করে সেগুলোকে প্রত্যয় বলে। যেমন দুল+অনা=দোলনা। এখানে মূল ক্রিয়াপদ ‘দুল এবং
প্রত্যয় হল অনা’।
১৭২. ‘কৌশলে কার্যোদ্ধার’-কোনটির অর্থ?
A. গাছে তুলে মই কাড়া
B. এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো
C. ধরি মাছ না ছুঁই পানি
D. আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া
ব্যাখ্যাঃ-গাছে তুলে মই কাড়া সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা, এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো- একই স্বভাবের ধরি মাছ না ছুঁই পানি- কৌশলে
কার্যোদ্ধার আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া-দুর্লভ বস্তু হাতে পাওয়া।
১৭৩. সন্ধি ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য
বিষয়?
A. রূপতত্ত্ব
B. ধ্বনিতত্ত্ব
C. পদক্রম
D. বাক্য প্রকরণ
ব্যাখ্যাঃ-গাছে তুলে মই কাড়া সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা, এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো- একই স্বভাবের ধরি মাছ না ছুঁই পানি- কৌশলে
কার্যোদ্ধার আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া-দুর্লভ বস্তু হাতে পাওয়া।
১৭৪. কোনটি অপ্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে
ব্যবহৃত হয়?
A. বৃন্দ
B. কুল
C. বর্গ
D. দাম
ব্যাখ্যাঃ-উন্নত প্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে গণ, বৃন্দ, মণ্ডলী, বর্গ এবং অপ্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে আবলি
গুচ্ছ দাম, নিকর, পুঞ্জ, মালা, রাজি রাশি ব্যবহৃত হয়।
১৭৫. বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?
A. শব্দ
B. বর্ণ
C. ধ্বনি
D. চিহ্ন
ব্যাখ্যাঃ-“শব্দের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?ধ্বনি বাক্যের ক্ষুদ্রতম
একক কী? শব্দ”
১৭৬. সন্ধির প্রধান সুবিধা কি?
A. পড়ার সুবিধা
B. লেখার সুবিধা
C. উচ্চারণের সুবিধা
D. শোনার সুবিধা
ব্যাখ্যাঃ-“সন্ধি মূলত দুটো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে করা হয়। সুতরাং যেখানে সন্ধির
মাধ্যমে এই দুটি উদ্দেশ্যই পূরণ হবে। সেখানেই কেবল সন্ধি করা যাবে। এগুলো হলো ১.
সন্ধির ফলে উচ্চারণ আরো সহজ হবে (স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা), ২. সন্ধি করার পর শুনতে আরো ভালো লাগবে (ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন)।”
১৭৭. কোন বানানটি শুদ্ধ?
A. সমীচীন
B. সমিচীন
C. সমীচিন
D. সমিচিন
ব্যাখ্যাঃ-সমীচীন [বিশেষণ পদ সঙ্গত যথার্থ উচিত উপযুক্ত ন্যায়সঙ্গত।]
১৭৮. কোন বইটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রচিত নয়?
A. শেষের কবিতা
B. দোলন-চাঁপা
C. সোনার তরী
D. মানসী
ব্যাখ্যাঃ-দোলন-চাঁপা বইটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়।
১৭৯. কাজী ইমদাদুল হক-এর ‘আবদুল্লাহ’
উপন্যাসের উপজীব্য কি?
A. চাষী জীবনের করুণ চিত্র
B. কৃষক সমাজের সংগ্রামশীল জীবন
C. তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
D. মুসলিম জমিদার শ্রেণীর জীবন
কাহিনী
ব্যাখ্যাঃ-“আবদুল্লাহ উপন্যাসটি লেখকের জীবদ্দশায় সম্পূর্ণ বা প্রকাশ হয়নি। তিনি এ
উপন্যাসটি জীবনের শেষান্তে শুরু করলেও শেষ করে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে তার খসড়ার
ভিত্তিতে উপন্যাসটি সম্পূর্ণ করা হয় এবং তা ১৯৩২ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৬৮ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড (আজকের বাংলা একাডেমি) আবদুল
কাদিরের সম্পাদনায় প্রকাশ করে কাজী ইমদাদুল হকের রচনাবলি।”
১৮০. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির
পটভূমিতে রচিত ‘কবর’ নাটকের রচয়িতা কে?
A. কবির চৌধুরী
B. মুনীর চৌধুরী
C. সৈয়দ শামসুল হক
D. মুনতাসীর মামুন
ব্যাখ্যাঃ-জেলখানায় নারী চরিত্রের অভিনেত্রী পাওয়া যাবে না বলে কবর নাটকে নাট্যকার
কোনো নারী চরিত্র রাখেননি। কেবল নাটকীয় মুহূর্তে ইন্সপেক্টর হাফিজ মাথায় চাদর
টেনে নারীর অভিনয় করেন। নাটকটি মুনীর চৌধুরী লেখা শেষ করেছিলেন ১৯৫৩ সালের ১৭
জানুয়ারি আর জেলখানায় অভিনীত হয়েছিল ২১ ফেব্রুয়ারি।
১৮১. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে
ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা কে?
A. আব্দুল গাফফার চৌধুরী
B. আলতাফ মাহমুদ
C. আব্দুল লতিফ
D. আব্দুল আলীম
ব্যাখ্যাঃ-আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।-এ গানের
গীতিকার আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি
কি ভুলিতে পারি।এ গানের ১ম সুরকার আব্দুল লতিফ। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে
ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। গানটির বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
১৮২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হলো-
A. পরশুরাম
B. নীললোহিত
C. ভানুসিংহ ঠাকুর
D. গাজী মিয়া
ব্যাখ্যাঃ-ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি কাব্যগ্রন্থা
রবীন্দ্রনাথ কৈশোর ও প্রথম যৌবনে ভানুসিংহ ছদ্মনামে বৈষ্ণব কবিদের অনুকরণে কিছু পদ
রচনা করেছিলেন। ১৮৮৪ সালে সেই কবিতাগুলিই ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী নামে প্রকাশিত
হয়। কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে বিভিন্ন সময়ে ভারতী পত্রিকায়
প্রকাশিত হয়েছিল।
১৮৩.‘পদ’ বলতে কি বােঝায়?
A. যে কোন শব্দ
B. কবিতার চরণ
C. প্রত্যয়ান্ত শব্দ বা ধাতু
D. বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু
ব্যাখ্যাঃ-যদি ‘পদ’ শব্দটির অর্থ কি জানতে চাওয়া হতো তবে বলা যেত পদ শব্দের অর্থ -চরণ, কবিতার পঙক্তি কিংবা মধ্যযুগের সাহিত্যের বৈষ্ণব কবিদের রচিত গীতিকবিতা।
ব্যাকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘পদ’ বলতে বোঝায় বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে। এছাড়া
বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ।
১৮৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?
A. সুশ্রুষা
B. শুশ্রুষা
C. শুশ্রূষা
D. সুশ্রুসা
ব্যাখ্যাঃ-শুশ্রূষা বানান টি শুদ্ধ । এর অর্থ প্রধানত রোগীর) পরিচর্য্য বা সেবা।
১৮৫. ঠোট-কাটা বলতে কি বােঝায়?
A. স্পষ্টভাষী
B. অহংকারী
C. মিথ্যাবাদী
D. পক্ষপাতদুষ্ট
ব্যাখ্যাঃ-ঠোঁট কাটা শব্দের অর্থ কাউকে কোনো কিছু বলতে দ্বিধাবোধ করে না এমন স্পষ্টবক্তা
বা স্পষ্টবাদী। পক্ষপাতদুষ্ট বলতে বোঝায় একচোখা বা কে পক্ষের প্রতি অনুরক্ত।
অহংকারী অর্থ অহংকার করে এমন অভিমানী। মিথ্যাবাদী অর্থ মিথ্যা কথা বলে এমন
অসত্যভাষী।
১৮৬. বিষাদ-সিন্ধু’ কার রচনা?
A. মীর মশাররফ হােসেন
B. কায়কোবাদ
C. মােজাম্মেল হক
D. ইসমাইল হােসেন সিরাজী
ব্যাখ্যাঃ-বিষাদ সিন্ধু মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। উপন্যাসটিতে তিনটি পর্ব
আছে। মহরম পর্ব (১৮৯৫), উদ্ধার পর (১৮৮৭) এজিদবধ পর্ব (১৮৯১) উপন্যাসটি কারবালার
বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে রচিত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর দৌহিত্র ইমাম হাসান ও
ইমাম হোসেনের সঙ্গে দামেস্ত অধিপতি মুয়াবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের বিরোধ ও
যুদ্ধ এই উপন্যাসের মূল কাহিনী।
১৮৭. কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
A. শেষ লেখা
B. শেষ প্রশ্ন
C. শেষের কবিতা
D. শেষের পরিচয়
ব্যাখ্যাঃ-শেষ লেখা। কাব্যগ্রন্থ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ প্রশ্ন (উপন্যাস) শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় শেষের কবিতা (উপন্যাস) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নবযুগ (পত্রিকা) সম্পাদক
কাজী নজরুল ইসলাম।
১৮৮. নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A. ব্যথার দান
B. রাজবন্দীর জবানবন্দী
C. অগ্নিবীণা
D. নবযুগ
ব্যাখ্যাঃ-নজরুল ইসলারে প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ব্যথার দান (ফেব্রুয়ারি ১৯২২)। ব্যথার
দান নজরুলের গল্পগ্রন্থ। অগ্নিবীণা তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ (সেপ্টেম্বর, ১৯২২) রাজবন্দীর জবানবন্দী তার প্রবন্ধগ্রন্থ (১৯২৩) এবং নবযুগ তার
সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকা (১৯২০)।
১৮৯. কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
A. আগুনের পরশমণি
B. চিলেকোঠার সেপাই
C. একাত্তরের দিনগুলো
D. পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
ব্যাখ্যাঃ-চিলেকোঠার সিপাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস। ৬৯-এর
গণআন্দোলন এর উপজীব্য। আগুনের পরশমনি হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক
উপন্যাস। একান্তের দিনগুলি জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা (প্রবন্ধ)।
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। সৈয়দ শামসুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক।
১৯০. কোনটি শামসুর রাহমানের রচনা?
A. নির্জন স্বাক্ষর
B. নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
C. নিরালােকে দিব্যরথ
D. নির্বাণ
ব্যাখ্যাঃ-নিরালোক নিবারণ কাব্যগ্রন্থ) শামসুর রহমান নির (উপন্যাস। বুদ্ধদেব বসু নিরন্তর
ঘটকানি (উপন্যাস) সেলিনা হোসেন।
১৯১. ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল
বান’ -এখানে ‘টাপুর টুপুর’ কোন ধরনের শব্দ?
A. বাক্যালঙ্কার শব্দ
B. অবস্থাবাচক শব্দ
C. ধ্বন্যাত্মক শব্দ
D. দ্বিরুক্ত শব্দ
ব্যাখ্যাঃ-যেসব শব্দ অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিথ হয় তাকে অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক
শব্দ বলে। যেমন: কুহু কুহু (কোকিলের রব ) টাপুর টুপুর (বৃষ্টির পতনের শব্দ) হু হু
(বাতাস প্রবাহের শব্দ)
১৯২. কোনটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ?
A. ভাই-বোন
B. সিংহাসন
C. কানাকানি
D. গাছপাকা
ব্যাখ্যাঃ-সিংহাসন :সিংহ চিহ্নিত আসন (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস) ভাইবোন : ভাই ও বোন
(দ্বন্দ্ব সমাস) : কানাকানি কানে কানে যে কথা (ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস) গাছপাকা:
গাছে পাকা (সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস)।
১৯৩. যা সহজে অতিক্রম করা যায় না’- এ
বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কি?
A. অলঙ্ঘ্য
B. অনতিক্রম্য
C. দুরতিক্রম্য
D. দুর্গম
ব্যাখ্যাঃ-সিংহাসন :সিংহ চিহ্নিত আসন (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস) ভাইবোন : ভাই ও বোন
(দ্বন্দ্ব সমাস) : কানাকানি কানে কানে যে কথা (ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস) গাছপাকা:
গাছে পাকা (সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস)।
১৯৪. ব্যাঙের সর্দি’- অর্থ কি?
A. সম্ভাব্য ঘটনা
B. রােগ বিশেষ
C. অসম্ভব ঘটনা
D. প্রতারণা
ব্যাখ্যাঃ-ব্যাঙের সর্দি’- অর্থ অসম্ভব ঘটনা।
১৯৫. সংশপ্তক’ কার রচনা?
A. শহীদুল্লাহ কায়সার
B. মুনীর চৌধুরী
C. জহির রায়হান
D. শওকত ওসমান
ব্যাখ্যাঃ-সংশপ্তক’ (১৯৬৫) শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত একটি উপন্যাস। তার অন্য একটি বিখ্যাত
উপন্যাস ‘সারেং বৌ’। শহীদুল্লাহ কায়সার ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী। ১৯৭১ সালের ১৪
ডিসেম্বের তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জহির হয়। এরপর তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। জহির রায়হান তার সহোদর। নাট্যকার
গল্প লেখক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত নাটক ‘কবর’ (১৯৬৬), রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২), ‘মুখরা রমণী বশীকরণ
(১৯৭০)। তিনি কোনো উপন্যাস রচনা করেননি। জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
আরেক ফাল্গুন হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী । শওকত ওসমানের
উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২) জননী (১৯৬১) . জাহান্নাম হইতে বিদায়
(১৯৭১), ‘দুই সৈনকি (১৯৭৩) প্রভৃতি।
১৯৬. একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম সংকলনের
সম্পাদক কে?
A. জহির রায়হান
B. শওকত ওসমান
C. আব্দুল গনি হাজারী
D. হাসান হাফিজুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ-৫২ ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৫৩ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি সাহিত্য
সংকলনটি প্রকাশিত হয়। হাসান হাফিজুর রহমান ছিলেন এর সম্পাদক। এছাড়াও তার
সম্পাদনায় ১৬ খণ্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র’ (১৯৮২-৮৩) প্রকাশিত
হয়।
১৯৭. নদী ও নারী’ কার রচনা?
A. আবুল ফজল
B. কাজী আব্দুল ওদুদ
C. শামসুদ্দিন আবুল কালাম
D. হুমায়ুন কবির
ব্যাখ্যাঃ-৫২ ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৫৩ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি সাহিত্য
সংকলনটি প্রকাশিত হয়। হাসান হাফিজুর রহমান ছিলেন এর সম্পাদক। এছাড়াও তার
সম্পাদনায় ১৬ খণ্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র’ (১৯৮২-৮৩) প্রকাশিত
হয়।
১৯৮. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ
কোনটি?
A. মরুশিখা
B. অগ্নিকোণ
C. মরুসূর্য
D. রাঙা জবা
ব্যাখ্যাঃ-রাঙাজবা: কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থ। মরুশিয়ান যতীন্দ্রনাথ
সেনগুপ্তের কাব্যগ্রন্থ। মরুসূর্য: আ. ন. ম. বজলুর রশীদ রচিত কাব্যগ্রন্থ।
১৯৯. আত্মঘাতী বাঙালি’ কার রচিত গ্রন্থ?
A. দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
B. অশােক মিত্র
C. নীরদচন্দ্র চৌধুরী
D. অতুল সুর
ব্যাখ্যাঃ-আত্মঘাতী বাঙালি রচনা করেন নীরদ চন্দ্র চৌধুরী। অশোক মিত্র রচিত গ্রন্থ ‘কবিতা
থেকে মিছিল দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় রচিত গ্রন্থ যে গল্পের শেষ নেই।
২০০. সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ গ্রন্থ কে
রচনা করেছেন?
A. বিনয় ঘােষ
B. মােতাহের হােসেন চৌধুরী
C. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
D. রাধারমণ মিত্র
ব্যাখ্যাঃ-সংস্কৃতির ভাঙা সেতু আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ। সংস্কৃতির কথা মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ। এছাড়া সংস্কৃতির
চড়াই উৎরাই (প্রবন্ধ) শওকত ওসমান সংস্কৃতির রূপান্তর(প্রবন্ধ) গোপাল হালদার ও
সংস্কৃতির সংকট (প্রবন্ধ) বদরুদ্দিন উমর রচিত।
২০১. কাক ভূষণ্ডির অর্থ কি?
A. বাকসর্বস্ব
B. ষড়যন্ত্রকারী
C. দীর্ঘ প্রতীক্ষমাণ
D. দীর্ঘায়ু ব্যক্তি
ব্যাখ্যাঃ-ভূশন্ডির কাক = দীর্ঘজীবী
২০২. নিত্য মূর্ধন্য ষ- কোন শব্দে বর্তমান?
A. উপনিষদ
B. কষ্ট
C. কল্যাণীয়েষু
D. আষাঢ়
ব্যাখ্যাঃ-কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ বসে। যেমন আষাঢ় ঊষা ,ঈষৎ পাষণ্ড পাষাণ ভাষা, শোষণ ইত্যাদি।
২০৩. ‘বাঙ্গলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কার রচনা?
A. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B. মুহম্মদ আবদুল হাই
C. মুনীর চৌধুরী
D. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ-ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি) হলেন একজন বিশিষ্ট ভাষাবিদ
ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। তিনি তার জীবদ্দশায় বহু গবেষণা, ভাষাতত্ত্ব ও প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো
বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা (১ম খণ্ড, ১৯৫৩ ২য় খণ্ড, ১৯৬৫) ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১)। বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৬৫) ইত্যাদি।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের (১৮৯০-১৯৭৭ খ্রি) উল্লেখযোগ্য এ জাতীয় গ্রন্থের
মধ্যে রয়েছে- -The Origin and Development of the Bengali Language, বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা, ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা
ব্যাকরণ ইত্যাদি।
২০৪. ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ কার রচনা?
A. দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C. রামমোহন রায়
D. কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-লেখক, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের
(১৮২০-১৯৯১ খ্রি) একটি মৌলিক গ্রন্থ প্রভাবতী সম্ভাষণ তার রচিত অন্যান্য
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে হয়েছে ‘বেতালপঞ্চবিংশতি (হিন্দি বৈতালপচ্চীসীর
বঙ্গানুবাদ), ‘শকুন্তলা (কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তলম নাটকের
উপাখ্যান ভাগের বঙ্গানুবাদ) ভ্রান্তিবিলাস’ (শেক্সপীয়রের Comedy of Errors
এর বঙ্গানুবাদ) ইত্যাদি।
২০৫. ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ কার রচনা?
A. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
B. নবীনচন্দ্র সেন
C. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D. রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা লেখেন কবি ও নাট্যকার
মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩ খ্রি) তার রচিত সনেটসমূহ চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬)
তে সংকলিত। প্রশ্নে উল্লিখিত অন্য কবি – সাহিত্যিকগণ সনেট রচনা করেননি।
২০৬. কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত
গ্রন্থ?
A. বিষের বাঁশী
B. বন্দীর বন্দনা
C. সন্দ্বীপের ছর
D. রুপসী বাংলা
ব্যাখ্যাঃ-বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.) বিষের বাঁশী’ (১৯২৪) একটি
বিদ্রোহত্মক কাব্যগ্রন্থ। তার এরুপ আরো কিছু কাব্যগ্রন্থ হলো ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২)
‘ভাঙার গান (১৯২৪), ‘সাম্যবাদী (১৯২৫) সর্বহারা (১৯২৬), ফনি
মনসা’ (১৯২৭) ‘জিঞ্জির’ (১৯২৮), ‘সন্ধ্যা’ (১৯২৯) এবং
‘প্রলয় শিখা’ (১৯৩০)। অন্যদিকে ‘বন্দীর বন্দনা’ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন
কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক,
নাট্যকার, অনুবাদক ও সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু
(১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি.)। রুপসী বাংলা (১৯৫৭) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন কবি জীবনানন্দ দাশ
(১৮৯৯-১৯৫৪খ্রি.)।
২০৭. ‘কবর’ নাটক কার রচনা?
A. শহীদুল্লাহ কায়সার
B. জহির রায়হান
C. মুনীর চৌধুরী
D. সত্যেন সেন
ব্যাখ্যাঃ-শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সমালোচক ও বাগ্মী মুনীর
চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১ খ্রি.) ‘কবর’ (১৯৬৬) নাটকটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে
রচনা করেন। তার অন্যান্য উল্লেখ্যযোগ্য নাটক হলো ‘রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২),
‘চিঠি’ (১৯৬৬) দাওরণ্য (১৯৬৬) ইত্যাদি।
২০৮. ‘চাঁদের হাট’ – অর্থ কী?
A. বন্ধুদের সমাগম
B. আত্মীয় সমাগম
C. প্রিয়জন সমাগম
D. গণ্যমান্যদের সমাগম
ব্যাখ্যাঃ-চাঁদের হাট: একটি বাগধারা, যার অর্থ ধনে
জনে পরিপূর্ণ সুখের সংসার বা সুন্দর ও সুরেশ মানুষজনের সমাবেশ।
২০৯. কোনটি বানান শুদ্ধ?
A. সূচিষ্মিতা
B. শুচিস্মিতা
C. সুচীস্মিতা
D. সুচিস্মিতা
ব্যাখ্যাঃ-শুদ্ধ বানান শুচিস্মিতা। যার অর্থ মৃদু ও নির্মল হাসিযুক্ত।
২১০. ‘কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই’ এ
বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কি?
A. ক্লান্তিহীন
B. অক্লান্ত
C. অক্লান্ত কর্মী
D. অবিশ্রাম
ব্যাখ্যাঃ-‘কর্মে যার ক্লান্তি নেই এই বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ অক্লান্ত কর্মী।
২১১. ণত্ব বিধি সাধারণত কোন শব্দে
প্রযােজ্য?
A. দেশি
B. বিদেশি
C. তৎসম
D. তদ্ভব
ব্যাখ্যাঃ-যে বিধান বা নিয়ম অনুসরণে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ণ (মূর্ধন্য ণ) ও ‘ন’
(দন্ত্য-ন) এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাকে ণত্ব বিধান হলো। উল্লেখ্য, খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দে মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন- কান, সোনা, কুরআন গভর্নর ইরান ইত্যাদি।
২১২. ক্রিয়াপদ—
A. সবসময়ে বাক্যে থাকবে
B. কখনাে কখনাে বাক্যে উহ্য থাকতে পারে
C. শুধু অতীতকাল বােঝাতে বাক্যে ব্যবহৃত
হয়
D. আসলে বিশেষণ থেকে অভিন্ন
ব্যাখ্যাঃ-যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। বাক্যের দুটি
অংশের (উদ্দেশ্য ও বিধেয়) উদ্দেশ্য অংশে থাকে বিশেষ্য ব্য সর্বনাম পদের এবং
বিধেয় অংশে থাকে ক্রিয়াপদের প্রাধান্য। প্রকৃতপক্ষ বিধেয় ছাড়া যথার্থ বাক্য
হয় না এবং সেই সূত্রে ক্রিয়াপদ ছাড়া বাক্য হয় না। অনেক সময় অন্যান্য পদ উহ্য
রেখে শুধু ক্রিয়াপদ দিয়েই মনের ভাব প্রকাশ করা যায়।
২১৩. কোনটি অনুজ্ঞা?
A. তুমি গিয়েছিলে
B. তুমি যাও
C. তুমি যাচ্ছিলে
D. তুমি যাচ্ছ
ব্যাখ্যাঃ-যা বাক্যে ক্রিয়া দ্বারা কোনো আদেশ ,নিষধ ,বা অনুরোধ বোঝায় তাকে অনুজ্ঞা বলে। এখানে ‘তুমি যাও’ বাক্যটিতে আদেশ করা
হয়েছে তাই বলা যায় এই বাক্যটি অনুজ্ঞা বাক্য।
২১৪. ‘যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা’-
এখানে মুখ’ বলতে কি বুঝাচ্ছে?
A. অনুভূতি
B. গালি
C. প্রত্যঙ্গ
D. শক্তি
ব্যাখ্যাঃ-যে ভাষায় শব্দভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ এবং যত বেশি অর্থবৈচিত্র্যে ঋদ্ধ সেই ভাষা তত
উন্নত বলে স্বীকৃত। বাংলা একটি সমৃদ্ধ ভাষা হওয়ায় এ ভাষায় বানান ও উচ্চারণগত
অভিন্নতা সত্ত্বে ও একই শব্দ বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে।
উপরিউক্ত প্রশ্নে মুখ দ্বারা এখানে স্পষ্টতই শক্তি বুঝানো হয়েছে।
২১৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?
A. মুুমুর্ষূ
B. মুমূর্ষ
C. মূমুর্ষ
D. মূমূর্ষূ
ব্যাখ্যাঃ-শুদ্ধ বানান মুমূর্ষু শব্দিটর অর্থ মরণাপন্ন বা মরণোম্মুখ (মুমূর্ষু অবস্থা)
২১৬. ‘বিরাগী’ শব্দের অর্থ কি?
A. উদাসীন
B. প্রতিকূল
C. রাগহীন
D. বিশেষভাবে রুষ্ট
ব্যাখ্যাঃ-বিরাগী একটি পুরুষবাচক শব্দ যার অর্থ বিরাগযুক্ত, উদাসীন, নিস্পৃহ বা বিরক্ত। বিরাগী শব্দটির
স্ত্রীবাচক রুপ হলো বিরাগিনী।
২১৭. ‘ব্রজবুলি’ বলতে কি বােঝায়?
A. ব্রজধামে কথিত ভাষা
B. একরকম কৃত্রিম কবিভাষা
C. বাংলা ও হিন্দির যােগফল
D. মৈথিলি ভাষার একটি উপভাষা
ব্যাখ্যাঃ-ব্রজবুলি হলো মৈথিলী ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে গঠিত এক প্রকার কৃত্রিম কবিভাষা।
এই ভাষায় বৈষ্ণব পদ রচনা করেছেন অনেক কবি, যাদের মধ্যে
গোবিন্দদাস, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস ও
জ্ঞানদাস অন্যতম। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ব্রজবুজি ভাষায়
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী নামে কাব্য রচনা করেন।
২১৮. ‘সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’ – কে বলেছেন?
A. চণ্ডীদাস
B. বিদ্যাপতি
C. রামকৃষ্ণ পরমহংস
D. বিবেকানন্দ
ব্যাখ্যাঃ-এই অমর উক্তিটি করেছেন মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর
আদি রচিয়তা চণ্ডীদাস। উল্লেখ্য, পদাবলীতে ভিন্ন
ভিন্ন চণ্ডীদাসের নাম (চণ্ডীদাস দ্বিজ চণ্ডীদাস দীন, চণ্ডীদাস
আদি ইত্যাদি।) জানা যায়। তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চণ্ডীদাস
তিনজন – বড়ু চণ্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা এবং দ্বিজ ও দীন পদাবলীর কবি।
২১৯. কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?
A. চতুরঙ্গ
B. চতুষ্কোণ
C. চতুর্দশী
D. চতুস্পাঠী
ব্যাখ্যাঃ-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুরঙ্গ (১৯১৬) একটি উপন্যাস। তার অন্যান্য
উল্লেখ্যযোগ্য উপন্যাস হলো-‘ গোরা’ (১৯১০), ‘ঘরে-বাইরে’
(১৯১৬) ‘শেষের কবিতা’ (১৯২৯) ইত্যাদি।
২২০. কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
A. কবিতা
B. কাব্যপরিক্রমা
C. কয়েকটি কবিতা
D. বাঙলার কাব্য
ব্যাখ্যাঃ-নাগরিক কবি সমর সেন (১৯১৬-১৯৮৭ খ্রি) রচিত কয়েকটি কবিতা (১৯৩৭)। একটি
কাব্যগ্রন্থ।
২২১. কোনটি নাটক?
A. কর্তার ইচ্ছায় কর্ম
B. গড্ডলিকা
C. পল্লীসমাজ
D. সাজাহান
ব্যাখ্যাঃ-সাজাহান’ (১৯০৯) কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬০-১৯১৩ খ্রি.) রচিত
একটি ঐতিহাসিক নাটক। গড্ডলিকা’ (১৯২৪) বিশিষ্ট লেখক রাজশেখর বসু (১৮৮০-১৯৬০ খ্রি.)
রচিত একটি ছোটগল্প। অন্যদিকে ‘পল্লী সমাজ (১৯১৬) খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)। রচিত একটি
উপন্যাস।
২২২. ‘আবােল-তাবােল’ কার লেখা?
A. উপেন্দ্রকিশাের রায় চৌধুরী
B. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
C. সুকুমার রায়
D. সত্যজিৎ রায়
ব্যাখ্যাঃ-প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও শিশুতোষ পত্রিকা সন্দেশ (১৯১৩) প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার
রায় (১৮৮৭-১৯২৩ খ্রি.) এর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত ‘আবোল তাবোল’ (১৯২৩), হ-য-ব-র-ল’ (১৯২৪) ‘পাগলা দাশু (১৯৪০) বহুরুপী (১৯৪৪) ইত্যাদি বইগুলো
বাংলা শিশুতোষ সাহিত্যের অমর সৃষ্টি।
২২৩. ‘পদাবলী’র প্রথম কবি কে?
A. শ্রীচৈতন্য
B. বিদ্যাপতি
C. চণ্ডীদাস
D. জ্ঞানদাস
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব
পদাবলীর আদি রচয়িতা কবি চণ্ডীদাস (আনুমানিক ১৩৭০-১৪৩৩খ্রি) কিন্তু পাদাবলির প্রথম
কবি বিদ্যাপতি। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি (১৩৮০-১৪৬০ খ্রি মতান্তরে ১৩৯০-১৪৯০খ্রি.)
ছিলেন বাঙালি বৈষ্ণবের গুরুস্থানীয় রসিক বাঙালির শ্রদ্ধেয় কবি, বৈষ্ণব সহজিয়া সাধকদের নবরসিকের
অন্যতম। চৈতন্য পরবর্তী কবি জ্ঞানদাস ছিলেন আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর কবি এবং
চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য।
২২৪. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক
প্রথম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কার রচনা?
A. দীনেশ চন্দ্র সেনগুপ্ত
B. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D. সুকুমার সেন
ব্যাখ্যাঃ-বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক
দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি), কর্তৃক রচিত বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের
প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ। পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ ও ‘মৈমনসিংহ গীতিকা সম্পাদনা তার
বঙ্গ সংস্কৃতি সেবার আর এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।
২২৫. ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ কে
রচনা করেন?
A. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
D. মুহম্মদ এনামুল হক
ব্যাখ্যাঃ-বিশিষ্ট লেখক, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষবিদ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি.) রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম
‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা ও ব্যাকরণ কৌমুদী (১ম, ২য়,
৩য় ও ৪র্থ ভাগ)। ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী,
গবেষক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি.) রচিত বাংলা
ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক
(১৯০৬-১৯৮২ খ্রি.) রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ‘ব্যাকরণ মঞ্জরী’।
২২৬. দোভাষী পুঁথি বলতে কী বােঝেন?
A. দুই ভাষায় রচিত পুঁথি।
B. কয়েকটি ভাষার শব্দ ব্যবহার করে মিশ্রিত ভাষায় রচিত পুঁথি
C. তৈরি করা কৃত্রিম ভাষায় রচিত পুঁথি ।
D. আঞ্চলিক বাংলায় রচিত পুঁথি
ব্যাখ্যাঃ-‘দোভাষী পুঁথি শুধু দুটি ভাষায় রচিত
পুঁথি নয়। বাংলা, হিন্দি, ফারসি,
আরবি, তুর্কি ইত্যাদি ভাষার সংমিশ্রণে রচিত
পুঁথিই হলো দোভাষী পুঁথি।
২২৭. ‘সঞ্চয়িতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C. কাজী নজরুল ইসলাম
D. জসীমউদদীন
ব্যাখ্যাঃ-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি.) অন্যতম কাব্য সংকলন হলো সঞ্চয়িতা কবি সত্যন্দ্রনাথ
দত্তের (১৮৮২-১৯২২ খ্রি.) উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ‘বেণু ও বীণা’ কুহু ও কেকা, সন্ধিক্ষণ ইত্যাদি। বিদ্রোহী কবি
কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.) কাব্য সংকলন হলো ‘সঞ্চিতা’। পল্লীকবি
জসীমউদ্দিনের (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি), কাবা হলো ‘রাখালী’ ‘বালুচর
ধানক্ষেত ‘মাটির কান্না’ সুচয়নী ও রূপবতী।
২২৮. রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থটি নাটক?
A. চোখের বালি
B. বলাকা
C. ঘরে-বাইরে
D. রক্তকরবী
ব্যাখ্যাঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত
উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘চিত্রাঙ্গদা (১২৯৯), প্রায়শ্চিত্ত (১৯০৯), ‘রাজা’ (১৯১০),
‘অচলায়তন’ (১৯১১) ‘ডাকঘর’ (১৯১২), রক্তকরবী
(১৯২৪), ‘তাসের দেশ (১৯৩৩), চণ্ডালিকা
(১৯৩৩) ইত্যাদি।
২২৯. কোন কবিতা রচনার কারণে নজরুল
ইসলামের কারাদণ্ড হয়েছিল?
A. বিদ্রোহী
B. আনন্দময়ীর আগমনে
C. কাণ্ডারী হুঁশিয়ার
D. অগ্রপথিক
ব্যাখ্যাঃ-আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা
রচনার জন্য তিনি এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন। এছাড়া প্রলয় শিখা’র জন্য ও তিনি
ছয় মাস কারারুদ্ধ হন।
২৩০. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম
প্রকাশিত লেখা কোনটি?
A. বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী
B. মুক্তি
C. হেনা
D. বিদ্রোহী
ব্যাখ্যাঃ-কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম
প্রকাশিত লেখা (গল্প) বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’ মাসিক সওগাত পত্রিকায় ১৩২৬
বঙ্গাব্দের (১৯১৯ খ্রি.) জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। তার রচিত প্রথম
কবিতা ‘মুক্তি’ প্রথম প্রকাশিত হয় ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার শ্রাবণ
সংখ্যায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দে।
২৩১. ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক কে
ছিলেন?
A. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
B. আবুল কালাম শামসুদ্দীন
C. কাজী আব্দুল ওদুদ
D. সিকান্দার আবু জাফর
ব্যাখ্যাঃ-সওগাত পত্রিকার সম্পাদক
ছিলেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। ১৯১৮ সালের নভেম্বর/ডিসেম্বরে (১৩২৫ বঙ্গাব্দ, অগ্রহায়নে) মোহাম্মদ
নাসিরউদ্দীনের সম্পাদনায় কলকাতা থেকে সওগাত প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯২১ সালের মার্চ
- এপ্রিল (১৩২৭ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত পত্রিকা চালু ছিল। এরপর ১৯২৬ সালে (১৩৩৩
বঙ্গাব্দ) সওগাত - নবপর্যায় নামে পুনরায় প্রকাশ হয়। ১৯৩০ সাল (১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
পর্যন্ত পত্রিকা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫০ এর পর থেকে তিন বছর পত্রিকার
কোনো সংখ্যা প্রকাশিত হয় নি। এরপর ১৯৫২ - এর নভেম্বর/ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ ১৩৫৯
বঙ্গাব্দ, অগ্রহায়ণে) থেকে ঢাকা থেকে পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে।
২৩২. ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
A. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
C. সত্যেন সেন
D. সুকান্ত ভট্টাচার্য
ব্যাখ্যাঃ-খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবি’ ১৯২৬ সালে প্রকাশিত রাজনৈতিক পটভূমিতে
লিখিত উপন্যাস, যা
তৎকালীন সময়ে রাজরোষে বাজেয়াপ্ত ও হয়েছিল। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
হলো ‘পরিণীতা’ (১৯১৪), ‘বিরাজ বৌ’ (১৯১৪), ‘বৈকুণ্ঠের উইল’ (১৯১৬), ‘দেবদাস’ (১৯১৭), ‘চরিত্রহীন’ (১৯১৭), ‘শ্রীকান্ত’ (১ম পর্ব ১৯১৭),
২য় পর্ব ১৯১৮, ৩য় পর্ব ১৯২৭), ৪র্থ পর্ব ১৯৩৩) শেষ প্রশ্ন’ (১৯৩১) ‘বিপ্রদাস’ (১৯৩৫)।
২৩৩. ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থটির
কবি কে?
A. ফররুখ আহমদ
B. আহসান হাবীব
C. শামসুর রাহমান
D. হাসান হাফিজুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ-চল্লিশের দশকে আবির্ভূত
শক্তিমান কবিদের অন্যতম ফররুখ আহমদের (১৯১৮-১৯৭৪ খ্রি.) প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত
সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ খ্রি.) তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের
মধ্যে রয়েছে। সিরাজাম মুনীরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম (কাব্যনাট্য, ১৯৬১),
‘মুহূর্তের কবিতা’ (সনেট সংকলন ১৯৬৩), হাতেমতায়ী’
(কাহিনী কাব্য, ১৯৬৬) ইত্যাদি।
২৩৪. ‘অপলাপ’ শব্দের অর্থ কী?
A. অস্বীকার
B. মিথ্যা
C. প্রলাপ
D. অসদালাপ
ব্যাখ্যাঃ-‘অপলাপ’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত,
যার শাব্দিক অর্থ সত্য অস্বীকার গোপন বা মিথ্যা উক্তি।
২৩৫. “ভিক্ষুকটা যে পিছনে লেগেই রয়েছে,
কী বিপদ।” এই বাক্যের কী-এর অর্থ—
A. ভয়
B. রাগ
C. বিরক্তি
D. বিপদ
ব্যাখ্যাঃ-এরূপ ক্ষেত্রে বাক্যের ভাব
বুঝেই ‘কী’ এর অর্থ নিরুপণ করতে হবে। সে হিসেবে এর অর্থ ভয় ‘রাগ বা ‘বিপদ’ নয়, অবশ্যই বিরক্ত।
২৩৬. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
(আধুনিক) কারা রচনা করেন?
A. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সৈয়দ আলী আহসান
B. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মুহম্মদ আবদুল হাই
C. মুহম্মদ আবদুল হাই, আনিসুজ্জামান ও আনােয়ার পাশা
D. মুহম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান
ব্যাখ্যাঃ-শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্ত্বিক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ
আব্দুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি.) এবং শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান
(১৯২২-২০০২ খ্রি.) যুগ্মভাবে বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (আধুনিক) গবেষণা গ্রন্থটি
রচনা করেন।
২৩৭. কোনটি ঠিক?
A. গোরা (নাট্যগ্রন্থ)
B. বিদ্রোহী (কাব্যগ্রন্থ
C. পথের দাবি (উপন্যাস)
D. একাত্তরের দিনগুলি (উপন্যাস)
ব্যাখ্যাঃ-পথের দাবী ১৯২৬ সালে
প্রকাশিত কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে রচিত উপন্যাস।
‘গোরা’ ১৯১০ সালে প্রকাশিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের
প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস। বিদ্রোহী ১৯২১ সালে সাপ্তাহিক বিজলী’র ২২ পৌষ (১৩২৮) সংখ্যায়
প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা, যার রচনা তাকে বিদ্রোহী’ খ্যাতি এনে দেয়। একাত্তরের দিনগুলো
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের (১৯২৯-১৯৯৪) খ্রি.) ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের
ওপর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ।
২৩৮. কোনটি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবনীগ্রন্থ?
A. মরুমায়া
B. মরু ভাস্কর
C. মরুতীর্থ
D. মরু কুসুম
ব্যাখ্যাঃ-হযরত মুহাম্মদ (সা) এর
জীবনী নিয়ে লিখিত ‘মরু ভাস্কর (১৯৪১) গ্রন্থটি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ
ওয়াজেদ আলী (১৮৯৬-১৯৫৪ খ্রি.) রচনা করেন। অন্যদিকে ‘মরুমায়া’ (১৯৩০)
কাব্যগ্রন্থটি কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৮৭-১৯৫৪ খ্রি) রচনা করেন।
২৩৯. ‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারা অর্থ-
A. সাহায্যকারী
B. তোষামুদে
C. বাদক
D. কায়কোবাদ
ব্যাখ্যাঃ-‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারা অর্থ-তোষামুদে।
২৪০. বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা
অভিধান’-এর সম্পাদক কে?
A. মুহম্মদ আবদুল হাই
B. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
C. মুহম্মদ এনামুল হক
D. আহমদ শরীফ
ব্যাখ্যাঃ-বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আহমদ
শরীফ (১৯২১-১৯৯৯) বাংলা একাডেমি সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান সম্পাদনা করেন, যা ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর প্রকাশিত
হয়। অন্যদিকে ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক
ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি.) সম্পাদনা করেন আঞ্চলিক ভাষার
অভিধান’ (দুই খণ্ড)।
২৪১. পদাবলি লিখেছেন-
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D. কায়কোবাদ
ব্যাখ্যাঃ-রাধা-কৃষ্ণের জীবন অবলম্বন
করে যে ধারাটি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে সেটা হলো পদাবলী বা পদাবলী কাব্য।
প্রশ্নে উল্লিখিত চারজনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই পদাবলী যা তিনি ব্রজবুলি
ভাষায় রচনা করেন। বৈষ্ণব পদাবলীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি এটি রচনা করেন।
পদাবলীর প্রধান কবিদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস,
গোবিন্দদাস প্রমুখ।
২৪২. পদ বা পদাবলী বলতে কী বুঝায়?
A. লাচাড়ী ছন্দে রচিত পদ্য বা কবিতাবলি
B. পদ্যাকারে রচিত দেবস্তুতিমূলক রচনা
C. বাউল বা মরমী গীতি
D. বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গৃঢ় বিষয়ের বিশেষ সৃষ্টি
ব্যাখ্যাঃ-পদ বা পদাবলী বলতে সাধারণত
শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের লীলাকথা নিয়ে গান করার জন্য রচিত কমনীয় কবিতাকে
বুঝায়। দ্বাদশ শতকে ব্যবহার করেন। এটি একাধারে সাহিত্য ও সাধানার অবলম্বন।
উপনিষদে যে ব্রাহ্মকে রসস্বরূপ বলা হয়েছে এবং প্রিয়রুপে উপাসনা করতে উপদেশ দেয়া
হয়েছে সেই অনন্তরসের আধার শ্রীকৃষ্ণকে আস্বাদন করার ও করানোর জন্য পদাবলী রচিত
হয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য পদাবলী বলে মনে করা হয়। পদাবলীর বৃহত্তম ও অধিক প্রচারিত
সংকলন বৈষ্ণবদাস ওরফে গোকুলানন্দ সেনের পদকল্পগুরু (৩১০১ টি পদ)।
২৪৩. চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্যধারার
চরিত্র?
A. চণ্ডীমঙ্গল
B. মনসামঙ্গল
C. ধর্মমঙ্গল
D. অন্নদামঙ্গল
ব্যাখ্যাঃ-মঙ্গলকাব্যগুলোর মধ্যে
মনসাঙ্গল প্রাচীনতম। সাপের দেবী মনসার পূজা প্রচারের কাহিনীই এ কাব্যের
বিষয়বস্তু। এ কাব্যের মূল চরিত্রগুলো হলো চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, লখিন্দর
ও মনসা দেবী। চণ্ডীমঙ্গল কাব্য হলো চণ্ডীমঙ্গল কাব্য হলো চণ্ডী (পার্বতীর রূপভেদ) দেবীকে
অবলম্বন করে রচিত মঙ্গলাকব্য। ধর্মমঙ্গল হলো পঞ্চদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম বর্ধমান, বাকুঁড়া মেদিনীপুর ইত্যাদি
অঞ্চলে ধর্মঠাকুর বা ধর্ম নামের যে দেবতাকে নিম্নশ্রেণী ও কোথাও কোথাও উচ্চশ্রেণীর
হিন্দুরা পূজা করত, সেই কাহিনী অবলম্বনে রচিত কাব্য। এ
কাব্যের মূল চরিত্রগুলো হলো হরিশ্চন্দ্র, মদনা, লুইচন্দ্ৰ, কর্ণসেন গৌড়েশ্বর, লাউসেন । অন্নদামঙ্গল হলো দেবী অন্নদার মাহাত্ম্য প্রচারে ভবানন্দ
মজুমদারের জীবন নিয়ে রচিত কাব্য কবি ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর রচিত এ কাব্যের মূল
চরিত্রগুলো হলো ভবানন্দ, হরিহোড়, মানসিংহ
ঈশ্বরী পাটনী।
২৪৪. ইউসুফ-জোলেখা’ প্রণয়কাব্য অনুবাদ
করেছেন –
A. দৌলত উজির বাহরাম খান
B. মাগন ঠাকুর
C. আলাওল
D. শাহ মুহম্মদ সগীর
ব্যাখ্যাঃ-শাহ মুহাম্মদ সগীর
আনুমানিক ১৩-১৪ শতকের কবি। বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে তিনিই প্রাচীনতম। তিনি
গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ এর রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪১১ খ্রিষ্টাব্দে)
ইউসুফ-জোলেখা কারা রচনা করেন। কবি ছিলেন গিয়াসউদ্দিন আজম শাস্ত্রের রাজকর্মচারী
২৪৫. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের
‘ভ্রান্তিবিলাস’ কোন নাটকের গদ্য অনুবাদ?
A. মার্চেন্ট অব ভেনিস
B. কমেডি অব এররস
C. অ্যা মিডসামার নাইটস ড্রিম
D. টেমিং অব দ্য শ্রু
ব্যাখ্যাঃ-ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম
শ্রেষ্ঠ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়র (১৫৬৪-১৬১৬ খ্রি.) রচিত নাটক কমেডি অফ এররস
অবলম্বনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি.) ভ্রান্তিবিলাস রচনা করেন। ১৮৬৯
সালে তিনি শেক্সপিয়রের এ নাটকটির বঙ্গানুবাদ করেন।
২৪৬. কখনো
উপন্যাস লেখেন নি –
A. কাজী নজরুল ইসলাম
B. জীবনানন্দ দাশ
C. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D. বুদ্ধদেব বসু
ব্যাখ্যাঃ-ধীন্দ্রনাথ দত্ত
(১৯০১-১৯৬০ খ্রি.) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি। তিনি অনেক কবিতা ও
গদ্য রচনা করলেও কোনো উপন্যাস রচনা করেননি। কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.)
রচিত উপন্যাস হলো বাঁধনহহারা (১৯২৭), মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০) ও কুহেলিকা (১৯৩১) পল্লীকবি জসীমউদ্দীন
(১৯০৩-১৯৭৬খ্রি.) রচিত উপন্যাস হলো বোঝা কাহিনী (১৯৬৪)। কবি ও কথাসাহিত্যিক
বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি.) রচিত উপন্যাস হলো সাড়া (১৯৩০) সানন্দা (১৯৩৩),
নির্জন স্বাক্ষর (১৯৫১), তিথিডোর (১৯৫২),
নীলাঞ্জনের খাতা (১৯৬০) ইত্যাদি।
২৪৭. দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থের
রচয়িতা
A. শওকত ওসমান
B. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
C. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
D. হাসান আজিজুল হক
ব্যাখ্যাঃ-দুধেভাতে উৎপাত
গল্পগ্রন্থটি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭ খ্রি) কর্তৃক
রচিত। ১৯৮৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উল্লেখ্যযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে
চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), খোয়াবনামা
(১৯৯৬) ইত্যাদি।
২৪৮. ‘রোহিণী-বিনোদিনী-কিরণময়ী’ কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?
A. বিষবৃক্ষ-চতুরঙ্গ-চরিত্রহীন
B. কৃষ্ণকান্তের উইল-যোগাযোগ-পথের
দাবীতে
C. দুর্গেশনন্দিনী-চোখের বালি-চরিত্রহীন
D. কৃষ্ণকান্তের উইল-চোখের বালি-চরিত্রহীন
ব্যাখ্যাঃ-ঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
রচিত ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’-এর প্রধান চরিত্রগুলো হলো ভ্রমর, রোহিণী, হরলাল
ও গোবিন্দলাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত চোখের বালি’র প্রধান
চরিত্রগুলো হলো মহেন্দ্র ও বিনোদিনী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত চরিত্রহীন’ এর
প্রধান চরিত্রগুলো হলো সতীশ, সাবেত্রী কিরণময়ী ও দিবাকর।
২৪৯. আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে –
এ প্রার্থনাটি করেছে
A. ভাডু দত্ত
B. চাঁদ সওদাগর
C. ঈশ্বরী পাটনী
D. নলকুবের
ব্যাখ্যাঃ-অষ্টাদশ শতকের শ্রেষ্ঠ কবি
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (আনুমানিক ১৭০৭-১৭৬০ খ্রি.) রচিত ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে
ঈশ্বরী পাটনী, হীরা
মালিনী প্রভৃতি চরিত্র একান্ত বাস্তব হয়ে ফুটে উঠেছে। আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে
বাংলা সাহিত্যের অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী অন্নদা (চণ্ডী) দেবীর কাছে প্রার্থনা
করেছিলেন।
২৫০. ‘হ্ম’-এর বিশিষ্ট রূপক
A. ক+ষ
B. ক+ষ+ণ
C. ক+ষ+ম
D. হ+ম
ব্যাখ্যাঃ-দুই বা তার চেয়ে বেশি
ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে কোনো স্বরধ্বনি না থাকলে সে ব্যঞ্জনধ্বনি দুটি বা ধ্বনি কয়টি
একত্রে উচ্চারিত হয়। এরুপ যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির দ্যোতনার জন্য দুটি বা অধিক
ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে সংযুক্ত বর্ণ (Ligature) গঠিত হয়। হ্ম এখানে এরূপ একটি সংযুক্ত বর্ণ।
২৫১. নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে—
A. কল্যাণীয়েসু
B. সুচরিতেষু
C. শ্রদ্ধাস্পদাসু
D. প্রীতিভাজনেষু
ব্যাখ্যাঃ-পত্রের উপরাংশে বাম পাশে
যাকে পত্র লেখা হয় তাকে যে সম্বোধন করে পত্রের মূল বক্তব্য আরম্ভ করা হয় তাকে
সম্ভাষণ বলে। পত্র প্রাপকের শ্রেণীভেদে সম্ভাষণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত
সম্বোধনে পুরুষের ক্ষেত্রে দোয়াবরেষু দোয়াবর, কল্যাণরেষু, কল্যাণীবরেষু, পরম কল্যাণীয়াষু, বন্ধু-বান্ধবদের ক্ষেত্রে
সুহৃদবরেষু, প্রিয় প্রিয়বরেষু, প্রিয়বন্ধুবরেষু
প্রীতিভাজনেষু, সুচরিতেষু, সুচরিতাম্বু
ইত্যাদি এবং গুরুজনদের ক্ষেত্রে শ্রদ্ধাভাজনেষু শ্ৰদ্ধাস্পদেষু (পং), শ্রদ্ধাম্পদাষু (স্ত্রী) ইত্যাদি।
২৫২. ‘পেয়ারা’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
A. হিন্দি
B. উর্দু
C. পর্তুগিজ
D. গ্রিক
ব্যাখ্যাঃ-পেয়ারা শব্দটি পর্তুগীজ
ভাষা থেকে এসেছে। পর্তুগীজ ভাষা থেকে আগত এরূপ আরো কিছু শব্দ হলো আনারস .আলপিন, আলমারি, গির্জা,
গুদাম, চাবি, পাউরুটি
বালতি।
২৫৩. সমার্থক শব্দগুচ্ছ সনাক্ত করুন—
A. দীর্ঘিকা, নদী, প্রণালী
B. শৈবলিনী, তরঙ্গিণী, সরিৎ
C. গাঙ, তটিনী, অর্ণব
D. স্রোতস্বিনী, নিঝরিণী, সিন্ধু
ব্যাখ্যাঃ-কোনো শব্দের সম অর্থপূর্ণ
অন্য শব্দই হলো প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ। এরুপ ‘নদী’র সমার্থক শব্দ স্রোতস্বিনী, তটিনী, তরঙ্গিনী,
প্রবাহিনী শৈবলিনী, কল্লোলিনী।
২৫৪. শুদ্ধ বানানের শব্দগুচ্ছ সনাক্ত
করুন—
A. ভবিষ্যত, ভৌগলিক, যক্ষা
B. যশলাভ, সদ্যোজাত, সংবর্ধনা
C. স্বায়ত্তশাসন, আভ্যন্তর, জন্মবার্ষিক
D. কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ-উপরিল্লিখিত অশুদ্ধ শব্দগুলোর
শুদ্ধ বানান হলো- ভবিষ্যত ভবিষ্যৎ, ভৌগলিক যক্ষ্মা-যক্ষা, আভ্যন্তর-অভ্যন্তর
ঐক্যতান ঐকতান কেবলমাত্র কেবল, উপরোক্ত উপর্যুক্ত। উল্লেখ্য,
অন্য শব্দগুলো শুদ্ধ এবং জন্মবার্ষিক শব্দের শব্দরুপ নেই।
২৫৫. ‘প্রাতরাশ’-এর সন্ধি
A. প্রাত+রাশ
B. প্রাতঃ+রাশ
C. প্রাতঃ+আশ
D. প্রাত+আশ
ব্যাখ্যাঃ-প্রাতরাশ শব্দটির অর্থ
প্রাতর্ভোজন বা সকালের নাশতা। সংস্কৃত ‘প্রাতঃ(র) এর সাথে আশ’ যুক্ত হয়ে প্রাতরাশ
শব্দটি গঠিত।
২৫৬. যে পদে বাক্যের ক্রিয়াপদটির গুণ,
প্রকৃতি, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থা
বোঝায়, তাকে বলা হয়—
A. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
B. ক্রিয়া-বিশেষণ
C. ক্রিয়াবিশেষ্যজাত বিশেষণ
D. ক্রিয়াবিভক্তি
ব্যাখ্যাঃ-ক্রিয়ার স্থান, কাল ও কারণাদির বৈশিষ্ট্য বা
প্রকৃতিগত অবস্থা যেসব শব্দ দ্বারা প্রকাশিত হয় তাদের ক্রিয়া-বিশেষণ বলে। যেমন
ধীরে যাও, সুন্দর গায় ইত্যাদি। যে বিশেষ্য ক্রিয়ার কোনো
নাম বোঝায় তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন খাওয়া যাওয়া, গমন ইত্যাদি।
২৫৭. রামগরুড়ের ছানা’ কথাটির অর্থ –
A. কাল্পনিক জন্তু
B. গোমড়ামুখো লোক
C. মুরগি
D. পুরাণোক্ত পাখি
ব্যাখ্যাঃ-“রামগরুড়ের ছানা কথাটির অর্থ –
গোমড়ামুখো লোক”
২৫৮. নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন
যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
A. ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
B. ২৬ মার্চ, ১৯৭১
C. ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
D. পয়লা বৈশাখ, ১৪০৭
ব্যাখ্যাঃ-বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে
বোঝানোর জন্য বাক্যের মধ্যে বা শেষে বিভিন্ন বিরাম বা যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এরকম
একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন হলো কমা বা পাদচ্ছেদ’ (,)। বাক্যে ‘কমা বসানোর বিভিন্ন
নিয়মের মধ্যে একটি নিয়ম হলো মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর কমা বসাতে হয়।
সুতরাং (গ) উত্তরটিতেই যথাযথ বিরাম চিহ্ন ব্যবহৃত হয়নি।
২৫৯. বামেতর’ শব্দটির অর্থ-
A. বাম চোখ
B. ডান
C. ইতর
D. বাম দিক
ব্যাখ্যাঃ-বামেতর /বিশেষণ পদ। বাম
হতে অন্য অর্থাৎ দক্ষিণ বা ডান।
২৬০. প্রথম বাংলা থিসরাস’ (সমার্থক
শব্দ) অভিধান সংকলন করেছেন—
A. অশোক মুখোপাধ্যায়
B. জগন্নাথ চক্রবর্তী
C. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
D. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ-ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯
খ্রি.) বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান (দুই খণ্ড) সম্পাদনা করেন, যা তার জীবনের প্রথম একটি কাজ।
২৬১. নিরানব্বইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির
অর্থ –
A. তীরে পৌঁছার ঝক্কি
B. সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি
C. মুমূর্ষু অবস্থা
D. আসন্ন বিপদ
ব্যাখ্যাঃ-নিরানব্বইয়ের ধাক্কা বাগধারাটির
অর্থ টাকা জমানোর লোভ, অর্থাৎ
সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি। [সূত্র: বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান
২৬২. যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না,
কিংবা তা করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে বলা হয়—
A. দ্বন্দ্ব সমাস
B. অব্যয়ীভাব সমাস
C. কর্মধারয় সমাস
D. নিত্য সমাস
ব্যাখ্যাঃ-যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো
সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ের অর্থই প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। কাঁচা-পাকা
ইত্যাদি। অব্যয় পদ পূর্বে বসে যে সমাস পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে অব্যয়ীভাবে সমাস বলে। যেমন- কূলের সমীপে উপকূল আমিষের অভাব= নিরামিষ
ইত্যাদি। আবার, যে সমাসে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদের
বিশেষণরূপে অবস্থান করে এবং সমস্তপদে পরপদ তথা দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য থাকে,
তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- নীল যে আকাশ= নীলাকাশ।
২৬৩.‘সঞ্চিতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C. কাজী নজরুল ইসলাম
D. জীবনানন্দ দাশ
ব্যাখ্যাঃ-সঞ্চিতা বাংলা সাহিত্যের
অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন। এই
গ্রন্থে ঊনআশিটি কবিতা ও সতেরোটি গান আছে। এর মধ্যে বিদ্রোহী সর্বহারা সাম্যবাদী
মানুষ জীবন বন্দনা, খুকী ও
কাঠবেড়ালী’, চল্ চল্ চলা প্রভৃতি প্রধান। গ্রন্থটির
উৎসর্গ পত্রে লেখা আছে বিশ্বকবিসম্রাট শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শ্রীশ্রীচরণারবিন্দেষু।
২৬৪.ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর
প্রতিষ্ঠা কোন খ্রিস্টাব্দে?
A. ১৯২৬
B. ১৯১১
C. ১৮৬৪
D. ১৯০৫
ব্যাখ্যাঃ-১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল
শিক্ষক ও ছাত্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম সাহিত্য সমাজ। সাহিত্য ও
সংস্কৃতিবিষয়ক সংগঠনটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি
ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ এফ এম আবদুল হক, ঢাকা
ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদিরসহ আরো কয়েকজন। এঁরাই ছিলেন প্রথম
কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। নেপথ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট
কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ ও যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী
আনোয়ারুল কাদীর।
২৬৫.‘লাজ’ কোন ধরনের শব্দ?
A. বিশেষ্য
B. বিশেষণ
C. ক্রিয়া-বিশেষণ
D. বিশেষ্যের বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ-‘লাজ’ বিশেষ্য শব্দ। কোনো কিছুর নামকে
বিশেষ্য পদ বলে।। বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য পদ বলে।
২৬৬.হাত-ভারি’ বাগধারার অর্থ-
A. দাতা
B. কম খরচে
C. দরিদ্র
D. কৃপণ
ব্যাখ্যাঃ-বাগধারা শব্দের আভিধানিক
অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে
বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু
বাগধারা তৈরী হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ
ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে। হাত-ভারি’ বাগধারার অর্থ-কৃপণ।
২৬৭.‘বেটাইম’ শব্দটি গঠিত হয়েছে-
A. ফারসি ও ইংরেজি শব্দে
B. ফরাসি ও ইংরেজি শব্দে
C. ফারসি ও ফরাসি শব্দে
D. ফারসি ও হিন্দি শব্দে
ব্যাখ্যাঃ-বেটাইম’ শব্দটি গঠিত
হয়েছে—ফারসি (বে) ও ইংরেজি (টাইম) শব্দে
২৬৮.‘শাশ্বত বঙ্গ’ গ্রন্থটির রচয়িতা
কে?
A. কাজী মোতাহার হোসেন
B. আবুল হোসেন
C. কাজী আবদুল ওদুদ
D. কাজী আনোয়ারুল কাদির
ব্যাখ্যাঃ-গত শতাব্দীর বিশের দশকের
প্রারম্ভেই বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে কাজী আবদুল ওদুদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সাহিত্য
জীবন ‘মীর পরিবার’ নামক ছোট গল্প গ্রন্থ দিয়ে শুরু হলেও তাঁর আসল ও প্রধান পরিচয়
তিনি একজন পরিশ্রমী প্রবন্ধকার ও সমালোচক। তিনি সর্বমোট বাইশ খানা গ্রন্থের
রচয়িতা। সাহিত্য, সমাজ,
ধর্ম, দর্শন ও রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর
অসংখ্য প্রবন্ধ রয়েছে। ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ’ (দুই খণ্ড), ‘কবিগুরু’
গ্যেটে (দুই খণ্ড) ও শাশ্বত বঙ্গ”- এই তিনখানা তাঁর কালজয়ী গ্রন্থ। এই তিনখানি
গ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা প্রবন্ধ ও সমালোচনা সাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
২৬৯.‘কাশবনের কন্যা’ গ্রন্থটির লেখক কে?
A. আবুল কালাম শামসুদ্দীন
B. শামসুদ্দীন আবুল কালাম
C. আবুল ফজল
D. জসীমউদ্দীন
ব্যাখ্যাঃ-কাশবনের কন্যা শামসুদ্দীন
আবুল কালাম আখ্যান খুব জটিল নয়। মূলত দু’জোড়া নায়ক-নায়িকার দুটি প্রায়
সমান্তরাল উপকাহিনী এ উপন্যাসে বিবৃত হয়েছে। দুই নায়ক পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু
হলেও সময়ক্রমে একে অন্যের অনুবতী-সখিনা আর মেহেরজান। শিকদারের ক্ষেত্রে একটি, জুবেদা। হোসেনের উপাখ্যানে
হোসেন-সখিনার সম্পর্কের মধ্যে গ্রাম্য প্রেমের চেহারাটাও তত স্পষ্ট হয়নি। সখিনাকে
বিয়ে করার কথা হোসেন ভেবেছে অনেকটা হঠাৎ কিশোরী সখিনাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে, নিজের সাংসারিক প্রয়োজনের কথা হিসেব করে।
২৭০.অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির
উদাহরণ আছে কোন বাক্যটিতে?
A. ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
B. কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়
C. ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা একলা জেগে রই
D. আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস
ব্যাখ্যাঃ-ক্রিয়া সম্পাদনের কাল
(সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ ‘এ’ ‘য়’ ‘তে’
ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন আধার (স্থান) আমরা রোজ স্কুলে যাই। এ বাড়িতে কেউ
নেই। কাল (সময়) প্রভাতে সূর্য ওঠে। বসন্তে কোকিল ডাকে। সুতরাং অধিকরণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তির উদাহরণ আছে – আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস
২৭১.কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে
নৈরাশ্যবাদ আছে?
A. রোমান্টিসিজম
B. আধুনিকতাবাদ
C. উত্তরাধুনিকতাবাদ
D. বাস্তববাদ
ব্যাখ্যাঃ-উত্তরাধুনিকতাবাদের মর্ম
মূলে আছে নৈরাশ্যবাদ। রোমান্টিক মূল সুর হলো
কল্পনা প্রবণ সৌন্দর্যবোধ।
আধুনিকতার মর্মকথা হলো মানবিকতা, ব্যক্তিচেতনা, জাতীয়তাবোধ,
মৌলিকতা, নাগরিকতা, মুক্তিবুদ্ধি ইত্যাদি।
২৭২.কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁথিবি মালিকা
গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা’- এ উদ্বৃতাংশটি কোন কবির রচনা?
A. কাজী নজরুল ইসলাম
B. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C. সুকান্ত ভট্টাচার্য
D. বেনজীর আহমেদ
ব্যাখ্যাঃ-কাটাকুঞ্জে বসি তুই
গাঁথিবি মালিকা গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা’- এ উদ্বৃতাংশটি কাজী নজরুল ইসলাম কবির
রচনার।নজরুলের প্রথম গদ্য রচনা ছিল “বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী। ১৯১৯ সালের মে মাসে
এটি সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সৈনিক থাকা অবস্থায় করাচি সেনানিবাসে বসে এটি
রচনা করেছিলেন। এখান থেকেই মূলত তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটেছিল। এখানে বসেই
বেশ কয়েকটি গল্প লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে “হেনা, ব্যথার দান, মেহের
নেগার, ঘুমের ঘোরে। ১৯২২ সালে নজরুলের একটি গল্প সংকলন
প্রকাশিত হয় যার নাম ব্যথার দান এছাড়া একই বছর প্রবন্ধ সংকলন যুগবাণী প্রকাশিত
হয়।
২৭৩.কাঁচি’ কোন ধরনের শব্দ?
A. আরবি
B. ফারসি
C. হিন্দি
D. তুর্কী
ব্যাখ্যাঃ-তুর্কি শব্দ সহজে মনে
রাখার কৌশল নিচের বাক্য গুলো মনে রাখুনঃ
১। সুলতান খাঁর বোচকা
বাবুর্চিকে দেখে উজবুক মনে হলেও, কোর্মাটা বেশ বানায় (সুলতান, খাঁ,
বোচকা, বাবুর্চি, উজবুক,
কোর্মা)
২। ছুরি, কাচি যতই চকমক করুক, বন্ধুক বারুদের তোপের সামনে কি আর টেকে? কিছু লাশ
পরতেই কুলিরা কাবু হয়ে পড়ল। (ছুরি, কাচি, চকমক বন্দুক, বারুদ, তোপ,
লাশ কুলি, কাবু)
৩। তোশক চুরির দায়ে
ছেমড়া চাকরের বাবাকে কোর্তা পরা দারোগা ধরে নিয়ে গেলেও বেগম সাহের পরে মুচলেকা
দিয়ে ছাড়িয়ে আনলেন (তোশক ছেমড়া, চাকর, বাবা, কোর্তা,
দারোগা বেগম মুচলেকা)
২৭৪. সনেটের কয়টি অংশ?
A. একটি
B. দুইটি
C. তিনটি
D. চারটি
ব্যাখ্যাঃ-চতুর্দশপদী হল এক ধরনের
কবিতা যার প্রথম উদ্ভব হয় মধ্যযুগে ইতালিতে। ইংরেজিতে চতুর্দশপদী কবিতাকে সনেট (sonnet) বলা হয় এর বৈশিষ্ট্য হল যে এই
কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে সাধারণভাবে মোট ১৪টি করে অক্ষর
থাকবে। এর প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষষ্টক বলে।
অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে।
২৭৫.বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক অভিধান’
সম্পাদনা কে করেন?
A. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B. মুহম্মদ এনামুল হক
C. মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন
D. মুহম্মদ আব্দুল হাই
ব্যাখ্যাঃ-আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপভাষার একটি সংকলন গ্রন্থ। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর
সম্পাদনায় ১৯৬৫ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষাসমূহের
সংকলন জাতীয় গ্রন্থ এটিই প্রথম।
২৭৬.বীরবলের হালখাতা’ কোন ধরনের গ্রন্থ?
A. কাব্য
B. নাটক
C. উপন্যাস
D. প্রবন্ধ
ব্যাখ্যাঃ-প্রমথ চৌধুরীর প্রবন্ধ গ্রন্থ
তেল নুন-লাকড়ী (১৯০৬) বীরবলের হালখাতা (১৯১৬) নানাকথা (১৯১৯) আমাদের শিক্ষা
(১৯২০) রায়তের কথা (১৯১৯) নানাচর্চা (১৯৩২) প্রবন্ধ সংগ্ৰহ (১৯৫২ ১ম খণ্ড ও ১৯৫৩
২য় খণ্ড)
২৭৭.ফণিমনসা’ কাব্যের রচয়িতা কে?
A. কাজী নজরুল ইসলাম
B. আহসান হাবিব
C. সিকান্দার আবু জাফর
D. হাসান হাফিজুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ-কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা
অগ্নিবীণা (১৯২২) সঞ্চিতা (১৯২৫)ফনীমনসা (১৯২৭)চক্রবাক (১৯২৯) সাতভাই চম্পা
(১৯৩৩)নির্ঝর (১৯৩৯)নতুন চাঁদ (১৯৩৯) মরুভাস্কর (১৯৫১) সঞ্চয়ন (১৯৫৫) নজরুল ইসলাম
ইসলামী কবিতা (১৯৮২)
২৭৮.সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম কী?
A. সওগাত
B. সমকাল
C. উত্তরণ
D. শিখা
ব্যাখ্যাঃ-সিকান্দার আবু জাফর (১৯
মার্চ ১৯১৮/১৯১৯-৫ আগস্ট ১৯৭৫) একজন বাঙালি কবি, সঙ্গীত রচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক। তিনি ভারত বিভাগোত্তর কালে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা
সমকাল সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। তার একটি বিখ্যাত কবিতা হলো জনতার সংগ্রাম
চলবেই আমাদের সংগ্রাম চলবেই হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে
বাঁচবার অধিকার কাড়তে দাস্যের নির্মোক ছাড়তে অগণিত মানুষের প্রাণপণ যুদ্ধ চলবেই
চলবেই আমাদের সংগ্রাম চলবেই। এটি পরে জনপ্রিয় গণসঙ্গীতে রূপান্তরিত হয়।
২৭৯.সাম্য’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A. কাজী নজরুল ইসলাম
B. মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ
C. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
ব্যাখ্যাঃ-সাহিত্যসম্রাট
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যচর্চা শুরু হয় ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে, সংবাদ প্রভাকর” পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের
মাধ্যমে। বাংলা ভাষায় প্রথম সার্থক উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫) তাঁর লেখা।
বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধগ্রন্থ লোকরহস্য (১৮৭৪) বিজ্ঞান রহস্য (১৮৭৫)
কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫) বিবিধ সমালোচনা (১৮৭৬) সাম্য (১৮৭৯) কৃষ্ণচরিত্র (১৮৮৬)
বিবিধ প্রবন্ধ (১ম খন্ড-১৮৮৭, ২য় খন্ড ১৮৯২) ধর্মতত্ত্ব
অনুশীলন (১৮৮৮) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (১৯০২)
২৮০.সুন্দর’ মাত্রেরই’ একটা আকর্ষণ
শক্তি আছে।’- এ বাক্যে ‘সুন্দর’ শব্দটি কোন পদ?
A. বিশেষ্য
B. বিশেষণ
C. সর্বনাম
D. বিশেষণের বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ-গুণবাচক বিশেষ্য: যে
বিশেষ্য পদে কোনো গুণ, অবস্থা ও
ভাবের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: সুখ,
দুঃখ, দয়া, বীরত্ব
ইত্যাদি।
২৮১.কোন গ্রন্থটি এয়াকুব আলী চৌধুরী
প্রণীত?
A. মোস্তফা চরিত
B. নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ
C. বিশ্বনবী
D. মানবমুকুট
ব্যাখ্যাঃ-মোহাম্মদ এয়াকুব আলী
চৌধুরী (১৮৮৮-১৯৪০) লেখক, সাংবাদিক।
১৩৯৫ বঙ্গাব্দের ১৮ কার্তিক (নভেম্বর, ১৮৮৮) ফরিদপুর জেলার
পাংশা উপজেলার অন্তর্গত মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা এনায়েতুল্লাহ চৌধুরী
ছিলেন পুলিশ অফিসার। তাঁর প্রধান রচনা হলো: ধর্মের কাহিনী (১৯১৪), নূরনবী (১৯১৮), শান্তিধারা (১৯১৮) ও মানব মুকুট
(১৯২৬)।
২৮২.ভানুসিংহ’ কার ছদ্মনাম?
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C. প্রমথ চৌধুরী
D. টেকচাঁদ ঠাকুর
ব্যাখ্যাঃ-ভানুসিংহ’ রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ছদ্মনাম
২৮৩. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কে
রচনা করেন?
(ক) সুকুমার সেন
(খ) দীনেশচন্দ্র সেন
(গ) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
(ঘ) অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক
দীনেশ্চন্দ্র সেন (৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি) ১৮৯৬ সালে ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ বামে প্রাচীন ও
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সুশৃঙ্খল ও তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক ইতিহাসসমূলক এ
গ্রন্থটি রচনা করেন। আর এটিই বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ হিসেবে
শ্বীকৃত। অন্যদিকে ড.সুকুমার সেন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং প্সিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত
ইতিহাস বিষয়ক উল্লেখ্যযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো যথাক্রমে ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’
(১৯৪০) ,’বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৫৯), ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত' (১ম খন্ড) (১৯৫৯)।
২৮৪. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম
সম্পাদক কে ছিলেন?
(ক) প্যারীচাঁদ মিত্র
(খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) প্রমথ চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ-১৮৭২ সালে বাংলা সাহিত্যের
স্থপতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)খ্রি প্রথম ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি
প্রকাশকরেন এবং তিনিই এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক।
২৮৫. কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল
ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
(ক) বিদ্রোহী
(খ) আনন্দময়ীর আগমনে
(গ) প্রলয়োল্লাস
(ঘ) রক্তাম্বরধারিণী মা
ব্যাখ্যাঃ-বিদ্রোহী কবি নজরুল
ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণাতে প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী এবং রক্তাম্বরধারিণী মা
কবিতা তিনটি অন্তর্ভুক্ত। ধূমকেতুর ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের রাজনৈতিক
কবিতা “আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশ হলে ৮ নভেম্বর পত্রিকার ঐ সংখ্যা নিষিদ্ধ করা হয়
এবং কবিতা রচনার জন্য ব্রিটিশ সরকার ঐ সংখ্যা নিষিদ্ধ করা হয় এবং কবিতা রচনার
জন্য ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ১ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। উল্লেখ্য, অনেকে লিখে থাকেন অগ্নিবীণা’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এ
তথ্য সত্য নয়। গ্রন্থটি কোনোদিন নিষিদ্ধ হয়নি।
২৮৬. ‘মৃন্ময়ী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
কোন ছোটগল্পের নায়িকা?
(ক) সমাপ্তি
(খ) দেনা-পাওনা
(গ) পোস্ট মাস্টার
(ঘ) মধ্যবর্তিনী
ব্যাখ্যাঃ-বীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
সমাপ্তি ছোটগল্পের নায়িকা মৃন্ময়ী এবং নায়ক অপূর্বকৃষ্ণ । অন্যদিকে তার
দেনাপাওনা’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘নিরু’ পোস্টমাস্টার গল্পের বালিকা চরিত্র রতন এবং
মধ্যবর্তিনী গল্পের নায়িকা হরসুন্দরী ও শৈলবালা এবং নায়ক নিবারণ।
২৮৭. “উত্তম পুরুষ” উপন্যাসের রচয়িতা
কে?
(ক) শওকত ওসমান
(খ) জহির রায়হান
(গ) শহীদুল্লা কায়সার
(ঘ) রশীদ করিম
ব্যাখ্যাঃ-রশীদ করিমের একটি অন্যতম
উপন্যাস হলো উত্তম পুরুষ ১৯৬১ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি নগরজীবনের বৈশিষ্ট্য
অবলম্বনে রচিত। তার অন্যান্য উল্লেখ্যযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে। প্রসন্ন পাষাণ
(১৯৬৩), আমার যত
গ্লানি (১৯৭৩) মায়ের কাছে যাচ্ছি- ইত্যাদি। শওকত ওসমান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
– জননী (১৯৬৮) ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২), জাহান্নাম হইতে
বিদায় (১৯৭১) ইত্যাদি। জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- হাজার বছর ধরে
(১৯৬৪), আরেক ফাল্গুন (১৯৬৮), বরফ গলা
নদী (১৯৬৯) ইত্যাদি। শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস সারেং বউ (১৯৬২)
ও সংশপ্তক (১৯৬৫)
২৮৮. ‘কাশবনের কন্যা’ কোন জাতীয় রচনা?
(ক) নাটক
(খ) উপন্যাস
(গ) কাব্য
(ঘ) ছোটগল্প
ব্যাখ্যাঃ-ঔপন্যাসিক শামসুদ্দীন আবুল
কালাম রচিত অন্যতম উপন্যাস ‘কাশবনের কন্যা এটি জেলে সম্প্রদায়ের জীবনভিত্তিক
উপন্যাস। ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত (গ্রন্থাকারে) উপন্যাসটিতে বরিশাল অঞ্চলের মুখের ভাষা
ও জীবনবোধ অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
২৮৯. কোনটি মুহম্মদ এনামুল হকের রচনা?
(ক) ভাষার ইতিবৃত্ত
(খ) আধুনিক ভাষাতত্ত্ব
(গ) মনীষা মঞ্জুষা
(ঘ) বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
ব্যাখ্যাঃ-মনীষা মঞজুষা বিশিষ্ট
শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২)খ্রি রচিত এক সংকলন গ্রন্থ। দু
খণ্ডের এ গ্রন্থের প্রথম খণ্ড ১৯৭৫ সালে এবং দ্বিতীয় খন্ড ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত
হয়। আধুনিক ভাষাতত্ত্ব গবেষণা গ্রন্থটি রচনা করেন আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ।
‘বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
উল্লেখ্য ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত আরেকটি ভাষাতত্ত্ব হলো ‘বাংলা ভাষার
ইতিবৃত্ত।
২৯০. বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার
প্রবর্তক কে?
(ক) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) মোহিতলাল মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ-ইতালীয় সনেটো শব্দটি থেকে
সনেট শব্দের উৎপত্তি। Sonnetto শব্দের
অর্থ গীতি স্পন্দিত মৃদু ধ্বনি। বাংলা সনেট হলো গীতিকবিতার একটি শাখা। যে কবিতায়
কবি হৃদয়ের একটিমাত্র ভাব বা অনুভূতি অখণ্ড থেকে চতুর্দশ অক্ষর ও চতুর্দশ চরণ
দ্বারা একটি বিশেষ পদের মধ্য দিয়ে কবিতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ লাভ করে তাকে
চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেট বলে। ইতালীয় রেনেসাঁর সন্ধিক্ষণে চতুর্দশ শতকে কবি
পেত্রার্ক (Petrach) সনেটের উদ্ভাবক। বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে
বাংলায় সনেট রচনা শুরু করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং তার হাতেই এসেছে সনেট রচনার
যুগান্তর সাফল্য। এ কারণেই তাকে বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার প্রবর্তক বলা হয়। ১৮৬০
সালে তিনি সনেট রচনার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও ১৮৬৫ সালে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে
অবস্থানকালেই প্রথম বাংলা সনেট রচনা করেন। তার রচিত ১০২ টি সনেটের সমন্বয়ে ১৮৬৬
সালের ১ আগস্ট চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ প্রকাশিত হয়। তিনি বাংলা সনেট ছাড়াও বেশ
কয়েকটি ইংরেজি সনেট ও রচনা করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলা সনেট রচনায় দেবেন্দ্রনাথ
সেন, মোহিতলাল মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরসহ আরো অনেকে সার্থকতার স্বাক্ষর রাখেন।
২৯১. জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা কোন
পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
(ক) তত্ত্ববোধিনী
(খ) ধূমকেতু
(গ) কল্লোল
(ঘ) কালি ও কলম
ব্যাখ্যাঃ-পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের
(১৯৩০-১৯৭৬) খ্রি. একটি বিখ্যাত কবিতা কবর প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কল্লোল পত্রিকার
১৩৩২ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায়। কবিতাটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী (১৯২৭)
তে অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি যখন দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন তখন এ কবিতাটি রচনা
করেছিলেন।
২৯২. ‘ক্ষীয়মাণ’-এর বিপরীত শব্দ কী?
(ক) বৃহৎ
(খ) বর্ধিষ্ণু
(গ) বর্ধমান
(ঘ) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
ব্যাখ্যাঃ-ক্ষীয়মান শব্দটি বিশেষ্য
পদ যার অর্থ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে এমন। এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো বর্ধমান। অন্যদিকে
বৃহৎ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ ক্ষুদ্র বর্ধিষ্ণু শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ
ক্ষয়িষ্ণু বা হ্রাসপ্রাপ্ত এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ
হ্রাসপ্রাপ্ত।
২৯৩. ‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’ এক
কথায় হবে-
(ক) নিদাঘ
(খ) নশ্বর
(গ) নষ্টমান
(ঘ) বিনশ্বর
ব্যাখ্যাঃ-নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার এর
এক কথায় প্রকাশ হবে নশ্বর। নশ্বর এর অপর অর্থ হলো নাশশীল, অনিত্য বা অস্থায়ী। অন্যদিকে নিদাঘ
অর্থ গ্রীষ্মকাল বা উত্তাপ, নষ্টমান অর্থ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
যা এবং বিনশ্বর অর্থ বিনাশধর্মী বা অনিত্য।
২৯৪. যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং
সমস্তপদের দ্বারা সমাহার বোঝায়, তাকে বলে-
(ক) দ্বন্দ্ব সমাস
(খ) রূপক সমাস
(গ) বহুব্রীহি সমাস
(ঘ) দ্বিগু সমাস
ব্যাখ্যাঃ-যে সমাসে সমাহার অর্থাৎ
সমষ্টি অর্থে সংখ্যাবাচক পূর্বপদের সাথে উত্তরপদের সমাস হয় এবং উত্তরপদের অর্থ
প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন- সে (তিন) তারের সমাহার
সেতার।
২৯৫. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
(ক) তাহার জীবন সংশয়পূর্ণ
(খ) তাহার জীবন সংশয়ময়
(গ) তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ
(ঘ) তাহার জীবন সংশয়ভরা
ব্যাখ্যাঃ-সংশয় শব্দটি একটি
বিশেষ্যপদ, যার
বিশেষণ হলো সংশয়াপূর্ণ। সংশয়াপূর্ণ শব্দটির অর্থ সন্দেহপূর্ণ বা দ্বিধাপূর্ণ।
উপরিউক্ত বাক্যে তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ দ্বারা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করা
হয়েছে।
২৯৬. ‘চাঁদমুখ’ -এর ব্যাসবাক্য হলো-
(ক) চাঁদ মুখের ন্যায়
(খ) চাঁদের মত মুখ
(গ) চাঁদ মুখ যার
(ঘ) চাঁদ রূপ মুখ
ব্যাখ্যাঃ-সাধারণ গুণের উল্লেখ
ব্যতীত উপমেয়র সাথে উপমান পদের যে সমাস হয়। তাকে বলে উপমিত কর্মধারয় সমাস।
চাঁদমুখ এর ব্যাসবাক্য হলো মুখ চাঁদের ন্যায়। এটি উপমিত কর্মধারয় সমাসের
অন্তর্গত।
২৯৭. ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা’ এই বাক্যে ‘ঔষধ’ শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
(ক) কর্মকারকে শূন্য
(খ) সম্প্রদানে সপ্তমী
(গ) অধিকরণে শূন্য
(ঘ) কর্তৃকারকে শূন্য
ব্যাখ্যাঃ-কর্তা যা করে বা যাকে
আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে কর্মকারক বলে। যেমন তুমি বই পড়। এখানে এই
কর্মকারক। যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দান করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন
দরিদ্রকে ধন দাও। ক্রিয়ার সময় বিষয় ও স্থানকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন শিশুরা খেলা
করছে। সুতরাং প্রশ্নে ঔষধ কর্মকে কেন্দ্র করে দেয়া ক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ায় ঔষধ
শব্দটি কর্মকারক (শূন্য বিভক্তি)।
২৯৮. ‘যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ,
সুতরাং তুমি প্রথম হবে’ কোন ধরনের বাক্য?
(ক) সরল
(খ) জটিল
(গ) যৌগিক
(ঘ) অনুজ্ঞামূলক
ব্যাখ্যাঃ-‘যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ,
সুতরাং তুমি প্রথম হবে’ জটিল বাক্য
২৯৯. ‘সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের
স্রোতখানি বাঁকা’ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা?
(ক) বলাকা
(খ) সোনার তরী
(গ) চিত্রা
(ঘ) পুনশ্চ
ব্যাখ্যাঃ-প্রদত্ত পংক্তিটি কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি) ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্থের ‘বলাকা’ নামক কবিতার
প্রথম পঙক্তি। বলাকা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে।
৩০০. বাংলা ছন্দ কত রকমের?
(ক) এক রকমের
(খ) দুই রকমের
(গ) তিন রকমের
(ঘ) চার রকমের
ব্যাখ্যাঃ-বাক্য পরম্পরায় ভাষাগত
ধ্বনি প্রবাহের সুসামঞ্জসা, সঙ্গীত-মধুর
ও তরঙ্গ ঝঙ্কৃত ভঙ্গি রচনা করা হয় যে পরিমিত পদবিন্যাস রীতিতে তাকেই বলে ছন্দ।
বাংলাছন্দকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয় মাত্রাবৃত্ত ছন্দ (Moric Metre) স্বরবৃত্ত ছন্দ (Stressed Maetre) এবং অক্ষরবৃত্ত (Mixed
or composite Meter)
৩০১. কোনটি শুদ্ধ বানান?
(ক) দন্দ
(খ) দ্বন্দ
(গ) দ্বন্দ্ব
(ঘ) দন্ধ
ব্যাখ্যাঃ-দ্বন্দ্ব শব্দটি একটি
বিশেষ্য পদ, যার অর্থ
ঝগড়া বিবাদ, যুদ্ধ ইত্যাদি। শব্দটির বিশ্লেষণকৃত রূপ হলো
দ্বি-দ্বি।
৩০২. ‘অমিত্রাক্ষর’ ছন্দের বৈশিষ্ঠ্য
হলো–
(ক) অন্ত্যমিল আছে
(খ) অন্ত্যমিল নেই
(গ) চরনের প্রথমে মিল
(ঘ) বিস মাত্রার পর্ব থাকে
ব্যাখ্যাঃ-অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ হলো
অন্ত্যমিলনহীন এবং যতির বাধাধরা নিয়ম লঙ্ঘনকারী ছন্দবিশেষ। এর ইংরেজি পরিভাষা Blank verse। অমিত্রাক্ষরে ভাবের প্রবহমানতা নেই এবং ১৪ মাত্রার চরণ থাকে এবং চরণ শেষে
অন্ত্যমিল থাকে না।
৩০৩. বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ কয়টি?
A. ১৩টি
B. ১০টি
C. ১২টি
D. ১১টি
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা বর্বমালায় মোট ৫০ টি
বর্ণ আছে। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি। স্বরধ্বনি দ্যোতক
সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন- অ,আ,ই ইত্যাদি।
৩০৪. বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
A. কাহ্নপা
B. চেণ্ডনপা
C. লুইপা
D. ভূসুকুপা
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন
যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য নিদর্শন চর্যাপদ।
চর্যাপদে ২৩, মতান্তরে ২৪ জন কবি ছিলেন। চর্যাপদের
পদসংখ্যা হলো ৫১ টি। ড. হরপ্রসাদ শাস্তী ১ নং পদের পদকর্তা হিসেবে লুইপার নাম পান।
তাই,তাঁর মতে বাবগ্লা সাহিত্যের আদি কবি লুইপা। কিন্তু ড.
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা সাহিত্যের আদি কবি হলো শবরপা।
৩০৫. তৎসম শব্দের ব্যবহার কোন রীতিতে
বেশি হয়?
A. চলিত রীতি
B. সাধু রীতি
C. মিশ্র রীতি
D. আঞ্চলিক রীতি
ব্যাখ্যাঃ-চলিত রীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত
রয়েছে সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ । সাধু রীতি গুরুগম্ভীর ও
তৎসম শব্দবহুল। বাংলা ভাষায় মিশ্র রীতির ব্যবহার নেই। মৌখিক রীতির দুটি ভাগের একটি
হলো আঞ্চলিক রীতি। বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক রীতির বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
৩০৬. বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা
করেন কে?
A. অক্ষয় দত্ত
B. মার্সম্যান
C. ব্রাসি হেলহেড
D. রাজা রামমোহন
ব্যাখ্যাঃ-১৮২৬ সালে রাজা রামমোহন
রায় ইংরেজিতে বাংলা ব্যাকরণ লেখেন। এরপর তিনি স্কুল বুক সোসাইটির জন্য ঐ গ্রন্থ
বাংলায় অনুবাদ করে নাম দেন ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ যা প্রকাশ হয় ১৮৩৩ সালে। আর এ গ্রন্থটি
বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
৩০৭. ফররুখ আহমদ-এর শ্রেষ্ঠ
কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
A. সাত সাগরের মাঝি
B. পাখির বাসা
C. হাতেমতাই
D. নৌফেল ও হাতেম
ব্যাখ্যাঃ-মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ
আহমেদ। তিনি ছিলেন ইসলামী আদর্শের উজ্জ্বল প্রতীক। ‘সাতসাগরের মাঝি’ (১৯৪৪০ তাঁর
শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। তার রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ ‘পাখির বাসা’ (১৯৬৫) – এর জন্য তিনি
১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো পুরষ্কার লা করেন। ‘হাতেমতায়ী’ তার রচিত কাহিনী কাব্য। ১৯৬৬
সালে ‘হাতেমতায়ী’ গ্রন্থের জন্য তিনি আদমজী পুরষ্কার লাভ করেন। আর ‘নৌফেল ও হাতেম'(১৯৬১) তার কাব্যনাট্যের নাম।
৩০৮. প্রাচীনতম বাঙালি মুসলমান কবি কে?
A. আলাওল
B. সৈয়দ সুলতান
C. মুহম্মদ খান
D. শাহ মুহম্মদ সগীর
ব্যাখ্যাঃ-মহাকবি আলাওল ছিলেন
মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি। সৈয়দ সুলতান মধ্যযুগের উল্লেখযোগ্য মুসলিম কবি। মুসলমান
কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম শাহ মুহম্মদ সগীর। তার বিখ্যাত কাব্য ‘ইউসুফ জোলেখা’।
৩০৯. ‘চাচা কাহিনী’র লেখক কে?
A. সৈয়দ সামসুল হক
B. শওকত ওসমান
C. সৈয়দ মুজতবা আলী
D. ফররুখ আহমদ
ব্যাখ্যাঃ-সরস, মার্জিত, বুদ্ধিদীপ্ত
সাহিত্য ধারার প্রবর্তক্সৈয়দ মুজতবা আলী। ব্যঙ্গ ও রঙ্গ রসিকতায় তার গদ্য রচনা
প্রদীপ্ত। ‘চাচা কাহিনী’ (১৯৫৯) তার বিখ্যাত গ্রন্থ।
৩১০. মুসলমান নারী জাগরণের কবি কে?
A. ফজিলাতুন্নেছা
B. ফয়জুন্নেছা
C. বেগম রোকেয়া
D. শামসুন্নাহার
ব্যাখ্যাঃ-ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী, যিনি গণিতে এম এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। নওয়াব
ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন সমাজসেবী। বেগম রোকেয়া ছিলেন সাহিত্যিক , সমাজসেবী ও শিক্ষাব্রতী । তিনি আজীবন মুসলমান নারীদের মধ্যে শিক্ষা
বিস্তারে কাজ করেছেন। তাকে বলা হয় মুসলিম নারী মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ । সামসুন্নাহার ছিলেন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। তিনি
বেগম রোকেয়ার সাথে নারী মুক্তি আন্দোলন সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
৩১১. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ এর রচয়িতা কে?
A. জ্ঞানদাস
B. দীন চণ্ডীদাস
C. বড়ু চণ্ডীদাস
D. দীনহীন চণ্ডীদাস
ব্যাখ্যাঃ-‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ মধ্যযুগের প্রথম
কাব্য এবং বড়ু চন্ডীদাস মধ্যযুগের আদি কবি। তিনি ভাগবতের কৃষ্ণলীলা সম্পর্কিত
কাহিনী অবলম্বনে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য রচনাকরেন। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের
প্রধান চরিত্র তিনটি, কৃষ্ণ, রাধা ও
বড়াই। এ কব্যের মোট ১৩ টি খণ্ড আছে।
৩১২. বাংলা কথ্য ভাষায় আদি গ্রন্থ
কোনটি?
A. প্রভু যিশুর বাণী
B. কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ
C. ফুলমণি ও করুণার বিবরণ
D. মিশনারি জীবন
ব্যাখ্যাঃ-‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ (১৭৩৫)
মনোএল দ্য আসসুম্পসাউ নামক পর্তুগিজ খ্রিস্টান মিশনারি কর্তৃক রচিত বাংলা
গদ্যগ্রন্থ। ১৭৪৩ সালে লিসবন শহর থেকে গ্রন্থটি রোমান লিপিতে ম্যদ্রিত হয়।
৩১৩. কবি আলাওলের জন্মস্থান কোনটি?
A. ফরিদপুরের সুরেশ্বর
B. চট্টগ্রামের জোব্রা
C. বার্মার আরাকান
D. চট্টগ্রামের পটিয়া
ব্যাখ্যাঃ-মহাকবি আলাওলের জন্মস্থান
নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, কবি আলাওলের জন্ম ফরিদপুরের ফতেহাবাদ
পরগনায়। অধিকানহশ পণ্ডিত ও মত গ্রহণ করেছেন। ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মতে কবি আলাওল
আনুমানিক ১৬০৭ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাট হাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে জন্মগ্রহণ
করেন।
৩১৪. ‘অনল প্রবাহ’ রচনা করেন—
A. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
B. মোজাম্মেল হক
C. এয়াকুব আলী চৌধুরী
D. মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি
ব্যাখ্যাঃ-মুসলি্ম পুনর্জাগরণ বাদী
কবি ও আজনীতিবিদ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। তিনি কাজী নজরুল ইসলামের পূর্বসূরি ।
‘অনল প্রবাহ’ (১৯০০) তার বিখ্যাত গ্রন্থ।
৩১৫. ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের প্রথম কবিতা
কোনটি?
A. ধূমকেতু
B. বিদ্রোহী
C. প্রলয়োল্লাস
D. অগ্রপথিক
ব্যাখ্যাঃ-বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল
ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা'(১৯২২)। এ কাব্যগ্রনহের প্রথম কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’। ধূমকেতু ও
বিদ্রোহী কবিতাও অগ্নিবীণার অন্তর্গত। অগ্রপথিক কবিতাটি নজরুল ইসলামের ‘জিঞ্জীর’
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
৩১৬. বাংলা সাহিত্যে কথ্যরীতির প্রচলনে
কোন পত্রিকার অবদান বেশি?
A. কল্লোল
B. সবুজপত্র
C. বঙ্গদর্শন
D. কালিকলম
ব্যাখ্যাঃ-প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত
‘সবুজ পত্র’বাংলা সাময়িক পত্র হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৪ সালে। প্রমথ চৌধুরী
বীরবলী রীতি নামে যে কথ্য ভাষারীতির সাহিত্য প্রচলন করে যুগান্তর এনেছিলেন তা
প্রচারের মাধ্যম ছিল এই ‘সবুজপত্র’।
৩১৭. ‘জনৈক’ শব্দটির সন্ধি-বিচ্ছেদ-
A. জন + ইক
B. জন + এক
C. জনৈ + এক
D. জন + ঈক
ব্যাখ্যাঃ-স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে অ-
কার কিংবা আকারের পর এ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঐ- কার হয়। ঐ – কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের
সাথে যুক্ত হয়। অর্থাৎঃ অ+এ=ঐ (জন+এক=জনৈক)
৩১৮. বাক্যের তিনটি গুণ কী কী?
A. আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও
বিধেয়
B. আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা
C. যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
D. কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ-বাক্যের তিনটি গুণ
আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা।
৩১৯. “একাত্তরের চিঠি”- কোন জাতীয়
রচনা?
A. মুক্তিযুদ্ধের বিবরণ
B. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
C. মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র সংকলন
D. ভিন্নধর্মী ডায়েরি
ব্যাখ্যাঃ-বেসরকারি মোবাইল ফোন
কোম্পানি গ্রামীণফোন ও জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’ যৌথ উদ্যোগে একাত্তরের চিঠি নামের
মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র সংকলনটি প্রকাশ করেছে। এতে মুক্তি যুদ্ধ চলাকালে অসংখ্য
মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের কাছে লিখিত ৮২ টি পত্র স্থান পেয়েছে। ২৭ মার্চ ২০০৯ বইটির
প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
৩২০. বাংলা একাডেমি কোন বছর প্রতিষ্ঠিত
হয়?
A. ১৯৫৫ খ্রিঃ
B. ১৯৫২ খ্রিঃ
C. ১৩৫৫ বঙ্গাব্দ
D. ১৩৫২ বঙ্গাব্দ
ব্যাখ্যাঃ-বাংলাদেশের জাতীয়
প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তৎকালীন পূর্ববাংলার
মুখ্যমন্ত্রীত সরকারি বাসভবন বর্ধমান হাউসে। বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ড.
মুহম্মদ এনামুল হক এবং প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম।
৩২১. “সনেট” কবিতার প্রবর্তক কে?
A. দ্বিজেন্দ্র লাল রায়
B. রজনীকান্ত সেন
C. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D. অতুলপ্রসাদ সেন
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাাহিত্যের প্রথম
আধুনিক কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনিই বাংলায় প্রথম সনেট রচনা করেন
এবং তার নাম দেন ‘চতির্দিশপদী। বাংলা সনেটের আদি গ্রন্থ ‘চতুর্দধপদী কবিতা’
(১৮৬৬)।
৩২২. সমাস ভাষাকে কী করে?
A. সংক্ষেপ করে
B. বিস্তৃত করে
C. অর্থপূর্ণ করে
D. অর্থের রূপান্তর ঘটায়
ব্যাখ্যাঃ-সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ, মিলন, একাধিক
পদের একপদীকরণ। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের এক পদে মিলিত হওয়াকে সমাস বলে।
৩২৩. ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
A. মোহাম্মদ নজীবর রহমান
B. কাজী ইমদাদুল হক
C. শেখ ফজলুল করিম
D. মমতাজউদ্দিন আহমেদ
ব্যাখ্যাঃ-‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের রচয়িতা কাজী
ইমদাদুল হক।
৩২৪. বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাসের
নাম-
A. দুর্গেশনন্দিনী
B. কপালকুণ্ডলা
C. কৃষ্ণকান্তের উইল
D. রজনী
ব্যাখ্যাঃ-বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম
উপন্যাসের নাম- দুর্গেশনন্দিনী। এবং এটি বাংলা সাহইত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
৩২৫. কোন গোষ্ঠী
থেকে বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে?
A. নেগ্রিটো
B. ভোটচীন
C. দ্রাবিড়
D. অস্ট্রিক
ব্যাখ্যাঃ-বাঙালি একটি সংকর জাতি।
বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণে সময়ের পরিক্রমায় বাঙালি জাতির উদ্ভব হয়। এ দেশে অনার্য, আর্য, মঙ্গল,
দ্রাবিড় পর্তুগিজ ইংরেজ প্রভৃতি জাতির আগমন ঘটে। এ দেশ প্রথমে
অনার্য তথা অস্ট্রিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীনে ছিল। অস্ট্রিক গোষ্ঠীর আগমনের অন্তত
চৌদ্দশ বছর পর বঙ্গদেশে আর্য ও পরে দ্রাবিড় জাতির আগমন ঘটে। আর্যগণ সভ্যতা ও
সংস্কৃতিতে অনার্য অপেক্ষা উন্নততর হওয়ায় আর্যদের ভাষা ও সংস্কৃতি কালক্রমে
বঙ্গদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নৃতাত্ত্বিক বিচারে অনার্য ভাষাভাষী কোল, শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল প্রভৃতি বাংলার আদমি অধিবাসী যারা
অস্ট্রিক বা অস্ট্রো-এশিয়াটিক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। আনুমানিক পাঁচ-ছয় হাজার বছর
পূর্বে ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে এ অস্ট্রিক গোষ্ঠীর বঙ্গদেশে আগমন ঘটে। এরা
চাষাবাদ লোহা-তামা প্রভৃতির ব্যবহার জানতো। কাজেই বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে
উঠেছে অস্ট্রিক বা অনার্য গোষ্ঠী থেকে।
৩২৬. চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?
A. বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে
B. আরাকান রাজগ্রন্থাগার থেকে
C. নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে
D. যে সুদূর চীন দেশ থেকে
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন
যুগের একমাত্র নিদর্শন’ চর্যাপদ’ । ‘চর্যাপদ’ হলো গানের সংকলন , যা রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালে রাজগ্রন্থশালা তথা নেপালের রয়েল লাইব্রেরি
থেকে ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করেন।
৩২৭. মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কী?
A. বিজয় গুপ্ত
B. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
C. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D. কানাহরি দত্ত
ব্যাখ্যাঃ-১২০১- ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ
মধ্যযুগের মেয়াদকাল। ভারতচন্দ্র রায় গুণাকারের জীবনকাল ১৭১২ থেকে ১৭৬০
খ্রিষ্টাব্দ। তিনি আঠারো শতকের মঙ্গল্কাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি ছিলেন
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি। তাকে মধ্যযুগের শেষ বড় কবি বলা হয়।
৩২৮. বিদ্যাপতি কোথাকার কবি ছিলেন?
A. নবদ্বীপের
B. মিথিলার
C. বৃন্দাবনের মিলি
D. বর্ধমানের
ব্যাখ্যাঃ-মিথিলার কবি বিদ্যাপতি
(১৩৭৪-১৪৬০) বোষ্ণব সহজিয়া সাধকদের নবরসিকের অন্যতম। তিনি বাংলায়েকটি পঙতি না লখেও
বাঙালিদের কাছে একজন শ্রদ্ধেয় কবি। ‘মৈথিল কোকিল’ ও ‘অভিনব জয়দেব’ নামে খ্যাত
বিদ্যাপতি বৈষ্ণব কবি ও পদসঙ্গীত ধারার রুপকার। তিনি মিথিলার সীতাময়ী মহকুমার
বিসফি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৩২৯. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়ায়ি
কী ধরনের চরিত্র?
A. শ্রী রাধার ননদিনী
B. শ্রী রাধার শাশুড়িতে
C. রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
D. জনৈক গোপবালা
ব্যাখ্যাঃ-বড়ু চণ্ডীদাস লোকসমাজে
প্রচলিত রাধাকৃষ্ণ প্রেম-সম্পর্কিত গ্রাম্য গল্প অবলম্বনে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য
রচনা করেন। পুরো কাব্যটি আবর্তিত হয়েছে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম নিবেদন, দেহসম্ভোগ, দুঃখ
ভোগ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। আর বড়াই চরিত্রটিকে কবি সৃষ্টি করেছেন রাধা-কৃষ্ণের
প্রেমের সংবাদ আদান-প্রদাবকারিণী হিসেবে।
৩৩০. লোকসাহিত্য কাকে বলে?
A. গ্রামীণ নরনারীর প্রণয়সংবলিত উপাখ্যানকে
B. লোক সাধারণের কল্যাণে দেবতার স্তুতিমূলক
রচনাকে
C. লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদিকে
D. গ্রামের অশিক্ষিত ও অখ্যাত লোকের সৃষ্ট রচনাকেও
ব্যাখ্যাঃ-সাহিত্য হলো একের সাথে
অন্যের মিলনের মাধ্যমে। লোকসাহিত্য হলো জনসাধারণের মুখেমুখে প্রচলিত গাঁথা , কাহিনী, গান,
ছড়া প্রবাদ ইত্যাদি।
৩৩১. বাংলা সাহিত্যে কখন গদ্যের সূচনা
হয়?
A. নবম শতকে
B. ত্রয়োদশ শতকে
C. ষোড়শ শতকে
D. উনিশ শতকে
ব্যাখ্যাঃ-গবেষকদের মথে,ষোল থেকে আঠারো শতক অবধি বাংলা গদ্যের
নিদর্শন প্রধানত চিঠিপত্রে ও দলিল-দস্তাবেজে আবদ্ধ ছিল। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে
গদ্যেরসূচনা হয় উনিশ শতকে।
৩৩২. বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র
কোনটি?
A. দিগদর্শন
B. সংবাদ প্রভাকর
C. তত্ত্ববোধিনী
D. বঙ্গদর্শন
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র
‘দিকদর্শন’ প্রকাশকাল ১৮১৮। সম্পাদনা জন ক্লার্ক মার্শম্যান। বাংলা সংবাদপত্রের
ইতিহাসে ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ (দিকদর্শন,সমাচার দর্পণ,বেঙ্গল
গেজেট) পত্রিকা প্রকাশিত হয় হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের খ্রিষ্টান মিশনারিদের
তত্ত্বাবধানে, তার মধ্যে ‘দিকদর্শন’ অন্যতম।
৩৩৩. ইয়ংবেঙ্গল কী?
A. বাংলাভাষা শিক্ষার্থী ইংরেজ
B. দি ইংরেজি ভাবধারাপুষ্ট বাঙালি যুবক
C. একটি সাহিত্যিক গোষ্ঠীর নাম
D. একটি সাময়িক পত্রের নাম
ব্যাখ্যাঃ-ইয়ং বেঙ্গল উনিশ শতকের
বাংলা নবজাগরণ বা রেনেসাঁসের বার্তাবাহী পাশ্চাত্য শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির আলোকে আলোকিত
বাঙালি যুবসমাজ।এই দলের প্রায় সকলেই ছিলেনহিন্দুকলেজের ছাত্র এবং অধ্যাপক ডিরোজিওর
শিষ্য।
৩৩৪. দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন কোনটি?
A. বুড়ো সালিকের
ঘাড়ে রোঁ
B. বিয়ে পাগলা বুড়ো
C. কিঞ্চিত জলযোগ
D. কল্কি অবতার
ব্যাখ্যাঃ-মাইকেল মধুসূদন দত্তের
দুটি প্রহসন হলো-”বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ” ‘একেই কি বলে সভ্যতা? দীনবন্ধু মিত্র প্রহসন রচনায় অত্যন্ত
দক্ষতার পরিচয় দেন। তার রচিত প্রহসন” সধবার একাদশী' (১৮৬৬),
”বিয়ে পাগল বুড়ো” (১৮৬৬)। ”বিয়েপাগল বুড়ো সমাজের প্রাচীন পন্থিদের
ব্যঙ্গ করে রচনা করেন।
৩৩৫. মীর মশাররফ হোসেনের নাটক কোনটি?
A. নটির পূজা
B. বেহুলা গীতাভিনয়
C. নবীন তপস্বিনী
D. কৃষ্ণকুমারী
ব্যাখ্যাঃ-মীর মশাররফ হোসেন রচিত
নাটক হলো–[বসন্ত কুমারী, জমিদার
দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়] ।মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা
নাটক–[পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী, শর্মিষ্ঠা,
মায়াকানন]। দীনবন্ধু মিত্রের নাটক–[নবীন তপস্বিনী,লীলাবতী, জামাইবারিক, কমলে
কামিনী]
৩৩৬. কলকাতায় প্রথম রঙ্গমঞ্চ তৈরি হয়
কত সালে?
A. ১৮১৭ সালে
B. ১৮৩২ সালে
C. ১৮৫২ সালে
D. ১৭৫৩ সালে
ব্যাখ্যাঃ-কলকাতায় প্রথম রঙ্গমঞ্চ
তথা নাট্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে। নাটক ও
নৃত্যকর্মকে উৎসাহিত করতে
ব্রিটিশরা’প্লে হাউস’ নামক এ রঙ্গমঞ্চটি প্রতিষ্ঠা করে।
কলকাতা লালদিঘীর পূর্বপাশে
লাল বাজার রোডে এটি অবস্থিত।
৩৩৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত
গল্প কোনটি?
A. একরাত্রি
B. নষ্টনীড়
C. ক্ষুধিত পাষাণ
D. মধ্যবর্তিনী রিয়ার
ব্যাখ্যাঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
অতিপ্রাকৃতিক [অলৌকিক,অনৈসর্গিক]
গল্পগুলো হল– ‘গুপ্তধন’,’জীবিত ও মৃত’, ‘মণিহারা’ ,’ক্ষুধিত পাষাণ’, ;নিশীথে’,
‘সম্পত্তি সমার্পণ’ প্রভৃতি। অন্যদিকে ‘একরাত্রি’, ‘নষ্টনীড়’, ও ‘মধবর্তিনী’ তার রচিত প্রেমবিষয়ক গল্প।
৩৩৮. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম
ঔপন্যাসিকের নাম কী?
A. মোতাহের হোসেন
B. ইসমাইল হোসেন সিরাজী
C. মীর মশাররফ হোসেন
D. ফররুখ আহমদ
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের প্রথম
মুসলিম ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন’রত্নাবতী’ উপন্যাসটি রচনা করেন ১৮৬৯ সালে যা, বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রচিত প্রথম
উপন্যাস। ‘বিষাদ-সিন্ধু'(১৮৮৫-১৮৯১) তার অন্যতম উপন্যাস।
৩৩৯. নজরুল ইসলামের সম্পাদিত পত্রিকা
কোনটি?
A. মাহেনও
B. সওগাত
C. ধূমকেতু
D. কালিকলম
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী
কবি বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা ‘দৈনিক নবযুগ’,’ধুমকেতু’,’লাঙ্গল’।
৩৪০. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয় কত সালে?
A. ১৮০০ সালে
B. ১৮০১ সালে
C. ১৮০২ সালে
D. ১৮০৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ-ইংরেজিস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানি বাংলা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার পর প্রশাসন চালাতে এ দেশী ভাষাজ্ঞান, সাহিত্য, সমাজ্জ,
ইতিহাস ইত্যাদি জানার প্রয়োজন অনুভব করে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে ফোর্ট
উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। কোম্পানির তরুন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দানই ছিল
এরপ্রধান কাজ। ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দে উইলিয়াম কেরির নের্তৃত্বে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে
বাংলা বিভাগ চালু হয়।
৩৪১. ‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’ কোন
জাতীয় রচনা?
A. নাটক
B. কাব্য
C. আত্মজৈবনিক উপন্যাস
D. গীতিকবিতার সংকলন
ব্যাখ্যাঃ-উদাসীন পতিকের মনের কথা’
মুসলমান নাটয়কার মশারফ হোসেন রচিত একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস।
৩৪২. ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’-পঙক্তিটির রচয়িতা কে?
A. মদনমোহন তর্কালঙ্কার
B. রামনারায়ণ তর্করত্ন
C. বিহারীলাল চক্রবর্তী
D. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ-মদন্মোহন তর্কালঙ্কার
কর্তৃক রচিত ‘শিশু শিক্ষা’- এর একটি বিখ্যাত পংক্তি। শিশুদের শিক্ষা প্রাথমিক বই
হিসেবে বইটি পাঠ্য পুস্তকরুপে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৩৪৩. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন
রাজসভার কবি?
A. আরাকান রাজসভা
B. কৃষ্ণনগর রাজসভা
C. রাজা গণেশের রাজসভা
D. লক্ষ্মণ সেনের রাজসভা
ব্যাখ্যাঃ-ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
আঠারো শতকের বাংলা মঙ্গল্কাব্য ধারার অন্যতম কবি।তিনি নবদ্বীপাধিপতি মহারাজ
কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় ‘সভাকবি ‘নিযুক্ত হন। কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি ‘অন্নদা
মঙ্গল' (১৭৫২)
কাব্যটিরচনা করেন। পরবর্তীতে এ রচনা তাঁকে মহারাজ কর্তৃক ‘রায়গুণাকর’ উপাধি লাভ
করিয়ে দেয়। তিনিই মধ্যযুগের শেষ কবি।
৩৪৪. যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন,
কেষ্টা বেটাই চোর- এখানে হারায় কোন ধাতু?
A. কর্মবাচ্যের ধাতু
B. ভাব বাচ্যের ধাতু
C. সংযোগমূলক ধাতু
D. নাম ধাতু
ব্যাখ্যাঃ-মৌলিক ধাতুর পরের
প্রেরনার্থ (অপরকে নিয়োজিত করে অর্থে) ’আ’প্রত্যয় যোগ করে যে ধাতু গঠিত হয় তাকেই
প্রোযোজক বা নিজন্ত ধাতু যা কখনও কখনও কর্মবাচ্যের ধাতু বলা হয়। তাই সঠিক উত্তর
হবে প্রযোজক ধাতু।
৩৪৫. ‘মহুয়া’ পালাটির রচয়িতা-
A. দ্বিজ কানাই
B. মনসুর বয়াতী
C. নয়নচাঁদ ঘোষ
D. দ্বিজ ঈশান
ব্যাখ্যাঃ-মহুয়া ময়মনসিংহের
পূর্বাঞ্চল থেকে সংগৃহীত একটি পালা গান। দ্বিজ কানাই প্রণিত এই পালা চন্দ্রকুমার
দে সংগ্রহ করেন এবং পরবর্তীতে তা ময়মন্সিংহ গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
৩৪৬. কে সর্বপ্রথম বাংলা টাইপ সহযোগে বাংলা ব্যাকরণ মুদ্রণ করেন?
A. স্যার উইলিয়াম জোনস
B. স্যার উইলিয়াম কেরি
C. রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়
D. ব্রাসি হ্যালহেড
ব্যাখ্যাঃ-১৭৭৮ খ্রিষ্ঠাব্দে
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড নামক ইংরেজ পণ্ডিত ইংরেজি ভাষায় ‘A grammar of the Bengel Langguage’ নামে
প্রথম বাংলা ব্যাকারণ রচনা করেন। এ গ্রন্থ মুদ্রণে সর্বপ্রথম ধাতুতে খোদাই বাংলা
হরফ ব্যবহৃত হয়। গ্রন্থটি আংশিক বাংলা হরফে মুদ্রণ করা হয়েছিল।
৩৪৭. তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
A. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
B. অক্ষয়কুমার দত্ত
C. প্যারীচাঁদ মিত্র
D. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন,
ইতিহাস, রাজনীতি , সামাজিক
অর্থনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ১৮৪৩ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকাটি যাত্রা
শিরি করে। তখন পত্রিকার সম্পাদনা করতেন অক্ষয়কুমার দত্ত। অন্যদিকে ঈশ্বরচন্দ্র
গুপ্তের সম্পাদনায় ‘সংবাদ প্রভাকর'(১৮৩১) ও ‘সংবাদ রত্নাবলী'
(১৮৩২)এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ‘বঙ্গদর্শন'
(১৮৭২) পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
৩৪৮. কোন গ্রন্থটি মহাকাব্য?
A. অবকাশ রঞ্জিনী
B. বৃত্রসংহার
C. বিরহ বিলাপ
D. বীরাঙ্গনা কাব্য
ব্যাখ্যাঃ-মহাকাব্য হলো কোনো জাতির
উত্থান-পতনের কাহিনী ওজস্বী ছন্দে বর্ণিত সাহিত্যকর্ম। ‘বৃত্রসংহার’– ১ম ও ২য় খন্ড
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৭৫ ও ১৮৭৭ সালে রচনা করেন। ‘বৃত্র; নামক অসুর কর্তৃক স্বর্গবিজয় ও
দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক স্বর্গের অধিকার পুনস্থাপন বৃত্তাসুরের নিধনই ‘বৃত্রসংহার’
মহাকাব্যের উপজীব্য।
৩৪৯. বত্রিশ সিংহাসন কার রচনা?
A. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B. রামরাম বসু
C. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D. রাজিব লোচন মুখোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-ভাষাবিদ মৃত্যুঞ্জয়
বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২-১৮১৯) ছিলেন উইলিয়াম কেরির অধীন পণ্ডিত। তিনি অধ্যাপনার
পাশাপাশি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।তিনিউইলিয়াম কেরির
উৎসাহে বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২), রাজবলি, হিতোপদেশ, বেদান্তচন্দ্রিকা এ প্রবোধচন্দ্রিকা গ্রন্থগুলো রচনা করেন।
৩৫০. ‘ঠকচাচা’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসের?
A. হুতোম প্যাঁচার
নকশা
B. আলালের ঘরের দুলাল
C. সধবার একাদশী
D. বুড়ো সালিকের
ঘাড়ে রো
ব্যাখ্যাঃ-ঠক চাচা’ চরিত্রটি
প্যারীচাঁদ মিত্র রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল” এর একটি
প্রধান চরিত্র। এ উপন্যাসের অন্যান প্রধান চরিত্র হলো বাঞ্ছারাম ও বাবু রাম বাবু।
৩৫১. ‘তাজকেরাতুল আউলিয়া’ অবলম্বনে
‘তাপসমালা’ কে রচনা করেন?
A. মুন্সী আব্দুল লতিফ
B. কাজী আকরাম হোসেন
C. গিরিশচন্দ্র সেন
D. শেখ আব্দুল জব্বার
ব্যাখ্যাঃ-শেখ ফরিদুদীন সাত্তারের
ফারসি ভাষার রচিত’তাজকেরাতুল আওলিয়া’ অবলম্বনে ভাই গিরিশ্চন্দ্র সেন ‘তাপস্মালা’
গ্রন্থটি রচনা করেন। উল্লেখ্য ,গিরিশচন্দ্র সেন প্রথম বাংলায় পূর্ণাঙ্গ কুরয়ান শরীফ অনুবাদ
করেন।
৩৫২. কোন নাটকটি সেলিম আল দীনের?
A. মুনতাসীর ফ্যান্টাসী
B. পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
C. কবর
D. বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ-মুন্তাসীর ফ্যান্টাসী’
বিশিষ্ট নাটয়কার সেলিম আলদীণের একটি প্রতীকাশ্রয়ী কৌতুক নাটক। নাট্যকার তার
নাট্যচর্চার শুরুর দিকে লেখা ।নাটকটির নাম ‘মুন্তাসীর ফ্যান্টাসী’ রাখলেও পরে
ফ্যান্টাসী বাদ দিয়ে শুধুই ‘মুনতাসীর’ নামকরণ করেন।’পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ সৈয়দ
শামসুলহকের। ‘কবর’ (১৯৬৬) মুনীর চৌধুরীর এবং ‘বহুব্রীহি’ হুমায়ূন আহমেদের।
৩৫৩. ‘দারিদ্র্য’ কবিতাটি নজরুল
ইসলামের কোন কাব্যের অন্তর্ভুক্ত?
A. সাম্যবাদী
B. বিষের বাঁশী
C. সিন্ধুহিন্দোল
D. নতুন চাঁদ
ব্যাখ্যাঃ-নিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলিসলামের
(১৮৯৯-৯৭৬) ‘সিন্দু-হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘দারিদ্র্য’
কবিতাটি।কাব্যগ্রন্থটি১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
৩৫৪. কোন শব্দটি ফারসি?
A. মুসাফির
B. তকদির
C. পেরেশান
D. মজলুম
ব্যাখ্যাঃ-পেরেশান’ শব্দটি ফারসি
শব্দ, যার অর্থ
উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত। ’তকদির’শব্দটি আরবি শব্দ, যার অর্থ
অদৃষ্ট, নসিব বা ভাগ্য । ‘মুসাফির’ শব্দটি আরবি শব্দ,
যার অর্থ বিদেশে ভ্রমণকারীব্যাক্তি। ‘মজলিম’ শব্দটি ও আরবি শব্দ,
যার অর্থ অত্যাচারিত।
৩৫৫. উপসর্গ কোনটি?
A. অতি
B. থেকে
C. চেয়ে
D. দ্বারা
ব্যাখ্যাঃ-অতি’ একটি সংস্কৃত বা তৎসম
উপসর্গ । এটা অধিক, অতিক্রান্ত,অনুচিত ইত্যাদি অর্থে বাক্যে
যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে থেকে , চেয়ে ও দ্বারা তিনটি অব্যয়
পদ।
৩৫৬. দাপ্তরিক কোন শব্দটি ইংরেজি ভাষা
থেকে আগত?
A. আইন
B. দাখিল
C. এজেন্ট
D. মুচলেকা
ব্যাখ্যাঃ-এজেন্ট’ ইংরেজই ভাষা থেকে আগত
রকটি শব্দ। এটার অর্থ শাসক, ব্যবসায়ী
বা অন্য কারো প্রতিনিধি বা উকিল। ‘দাখিল’ শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে, যার অর্থ সরকারি বিধি,বিধান বা কানুন। ‘মুচলেকা’
শব্দটি এসেছে তুর্কি ভাষা থেকে , যার অর্থ শর্তভঙ্গ করলে
দণ্ডভোগ করতে হবে।এ মর্মে লিখিত অঙ্গীকার পত্র।
৩৫৭. ‘নেমেসিস’ কোন জাতীয় রচনা?
A. কাব্য
B. নাটক
C. উপন্যাস
D. গীতিকবিতা
ব্যাখ্যাঃ-নেমেসিস’ঊনপঞ্চাশের
মন্বন্তরকে নিয়ে লেখা একটি নিরীক্ষাধর্মী নাটক। বিশিষ্ট নাট্যকার নূরল মোমেনের
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক হলো-‘নেমেসিস’,’রুপান্ত’,’আলোছায়া ’ইত্যাদি। নূরুল
মোমেন সামাজিক সংকটের পটভূমিকায় অন্তর্দ্বন্দ্বমূলক নাট্য – চরিত্র অংকন করেই অধিক
খ্যাতি অর্জন করেন। নেমেসিস নাটকট আ আলোকেই রচিত।
৩৫৮. ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ
করি’ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা?
A. পূরবী
B. শেষলেখা
C. আকাশ প্রদীপ
D. সেঁজুতির
ব্যাখ্যাঃ-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ‘তোমার সৃষ্টির পথ’ কবিতার অন্তর্গত আলোচ্য অংশটুকু তার ‘শেষলেখা’ কাব্য
থেকে উদ্ধৃত হয়েছে। কবি কোলকাতা থাকাকালীন জোড়াসাঁকোত্র ১৯৪১ সালের ৩০ জুলাই (১৪
শ্রাবণ ১৩৪৮ ) কবিতাটি রচনা করেন।
৩৫৯. ‘জয়গুন’ কোন উপন্যাসের চরিত্র?
A. জননী
B. সূর্য দীঘল বাড়ী
C. সারেং বৌ
D. হাজার বছর ধরে
ব্যাখ্যাঃ-আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০২
খ্রি) রচিত ‘সূর্য – দীঘল বাড়ী উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো ”জয়গুন”। ১৯৬২
সালেরচিত এ উপন্যাসে তিনিগ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থা হয়গুনের সংগ্রামী জীবনের
মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন।
৩৬০. ‘নবান্ন’ শব্দটি কোন প্রক্রিয়ায়
গঠিত?
A. সমাস
B. সন্ধি
C. প্রত্যয়
D. উপসর্গ
ব্যাখ্যাঃ-নবান্ন =নতুন ধানের অন্ন
শব্দটিতে সমস্যমান পদের অর্থকে না বুঝিয়ে একটি উতসবকে বোঝানো হয়েছে। সুতরাং এটি
একটি বহুব্রীহি সমাস। আবার পূর্বপদে বিশেষণ ও পরপদে বিশেষ্য থাকায় এটি সমানাধিকরণ
বহুব্রীহি।
৩৬১. কোনটি “পক্ব” অর্থে প্রকাশ পায়?
A. পাকা বাড়ি
B. পাকা রং
C. পাকা কাজ
D. পাকা আম
ব্যাখ্যাঃ-‘পাকা’ শব্দটি সাধারণত পক্ক,শুভ্র বা শুক্ল,স্থায়ী, নিপুণ,
সম্পুর্ণ,খাঁটি ইত্যাদি হও্যা অর্থে ব্যবহৃত
হয়। এখানে পক্ক অর্থ বোজগানো হচ্ছে ‘পাকা আমদ্বারা’। অন্যদিকে পাকা বাড়ি বলতে ইটের
তৈরি বাড়ি,পাকা রঙ বলতে স্থায়ী রঙ এবং পাকা কাজ বলতে
নিপুণতার সাথে কৃতকাজকে বোঝানো হয়েছে।
৩৬২. টা, টি,
খানা ইত্যাদি-
A. পদাশ্রিত নির্দেশক
B. প্রকৃতি
C. বিভক্তি
D. উপসর্গ
ব্যাখ্যাঃ-পদশ্রিত নিদের্শক হলো
একধরনের অব্যয় বা প্রত্য্য বিশেষ, যা পদের সংখ্যা বা পরিমাণ প্রকাশ করে। যেমন– টী, টা, টু, টুকু, টুক, খান, খানা, খানি, গুলি, গুলো ইত্যাদি।
পদাশ্রিত নিদের্শক বিশেষ্য ও সর্বনাম পদকে নির্দেশ করে।
৩৬৩. প্র, পরা,
অপ—
A. বাংলা উপসর্গ
B. সংস্কৃত উপসর্গ
C. বিদেশি উপসর্গ
D. উপসর্গ স্থানীয় অব্যয়
ব্যাখ্যাঃ-সংস্কৃত উপসর্গ প্রধানত ২০
টি। যথা- প্র, পরা,
অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ ,পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি উপ, আ।
৩৬৪. ভানু সিংহ ঠাকুরের পদাবলী’-এর রচয়িতা
কে?
A. ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
B. চণ্ডীদাস
C. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D. ভারতচন্দ্র বস
ব্যাখ্যাঃ-ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীর’
রচয়িতা রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম ভানুসিংহ)। ”ভানুসিংহ
ঠাকুরের পদাবলী” কাব্যগ্রন্থটি ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়।
৩৬৫.
‘লাঠালাঠি’—এটি কোন সমাস?
A. প্রাদি সমাস
B. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
C. তৎপুরুষ সমাস
D. কর্মধারয় সমাস
ব্যাখ্যাঃ-ব্যাতিহার বহুব্রীহি সমাস
হলো যে সমাসে একই রুও দুটি বিশেষ্যপদ এক সাথে বসে পরস্পর একই জাতীয় কাজ করে যেমন-
কানে কানে যে কথা = কানাকানি । তৎপুরুষ সমাস হলো যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ
পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়। যেমন-ঢেঁকিতে ছাটা চাল= ঢেঁকিছাটা।
এখানে লাঠালাঠি = লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ অর্থাৎ এটি ব্যতিহা বহুব্রীহি সমাস।
৩৬৬. “যে-ই তার দর্শন পেলাম, সে-ই আমরা প্রস্থান করলাম”—এটি কোন জাতীয় বাক্য?
A. সরল বাক্য
B. যৌগিক বাক্য
C. মৌলিক বাক্য
D. মিশ্র বাক্য
ব্যাখ্যাঃ-যা পূর্ন বাক্যে একটি
প্রধান খণ্ডবাক্য এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকে তাকে
মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। এক্ষেত্রে অপ্রধান বাক্যটি প্রধান বাক্যের উপর নির্ভর
করে। “যে-ই তার দর্শন পেলাম, সে-ই আমরা প্রস্থান করলাম”—এটিতে দুটি খন্ড বাক্য একটি প্রধান
অপরটি প্রধান এবং একটি খন্ডবাক্য আরেকটির উপর নির্ভরশীল।
৩৬৭. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
A. মৃত্যুক্ষুধা
B. আলেয়
C. ঝিলিমিলি
D. মধুমালা
ব্যাখ্যাঃ-বিদ্রোহী কবি কাজীনজরুল
ইসলামের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মৃতুয়ক্ষুধা’ ১৯৩০ সালে তিনি রচনাআ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী
অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমিতে উপন্যাসটি রচিত। অন্যদিকে ঝিলিমিলি, আলেয়া এবং মধুমালা তার রচিত তিনটি
নাটক।
৩৬৮. ‘বনফুল’ কার ছদ্মনাম?
A. প্রমথ চৌধুরী
B. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
C. যতীন্দ্রমোহন বাগচী
D. মোহিতলাল মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ-‘বনফুল’ বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়র ছদ্মনাম। প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম ‘বীরবল’। মোহিতলাল মজুমদারের
ছদ্মনাম ‘সত্যসুন্দর দাস’। যতীন্দ্র মোহন বাগচীর কোনো ছদ্মনাম নেই।
৩৬৯. ‘সাজাহান’ নাটকের প্রথম রচয়িতা
কে?
A. তুলসী লাহিড়ী
B. ক্ষীরোদপ্রসাদ
বিদ্যাবিনোদ
C. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
D. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-সাজাহান’
একটি ঐতিহাসিক নাটক। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬৩-১৯১৩) রচিত এনাটকটী ১৯০৯ সালে প্রথম
প্রকাশিত হয়। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটকের মধ্যে রয়েছে
-নূরজাহান (১৯০৮)প্রতাপসিংহ (১৯০৫), সিংহল বিজয় (১৯১৬)।
৩৭০. কাজী নজরুল ইসলাম কোন কবিতা রচনার
জন্য কারাবরণ করেন?
A. বিদ্রোহী
B. প্রলয়োল্লাস
C. আনন্দময়ীর আগমনে
D. নারী
ব্যাখ্যাঃ-কবি কাজী নজরুল ইসলামের
(১৮৯৯-১৯৭৬) খ্রি। তার ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতাটি রচনার জন্য কারারুদ্ধ হনেবং এক
বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ‘বিদ্রোহী কবিতা রচনার জন্য তিনি বিদ্রোহী
কবি নামে পরিচিত।
৩৭১. বাংলা একাডেমী কোন সালে
প্রতিষ্ঠিত হয়?
A. ১৯৫৪
B. ১৯৫৫
C. ১৯৫৬
D. ১৯৫৭
ব্যাখ্যাঃ-ভাষা আন্দোলনার
পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমির প্রথম
পরিচালক ড. মুহম্মদ এনামুল হক এবং প্রথম মহা পরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম।
৩৭২. কোনটি দীনবন্ধু মিত্রের রচনা?
A. কমলে কামিনী
B. চক্ষুদান
C. বিধবা বিবাহ
D. ভদ্রার্জুন
ব্যাখ্যাঃ-দীনবন্ধু মিত্র(১৮৩০-১৮৭৩
খ্রি) বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে
রয়েছে-‘নীলদর্পণ’, ’সধবার একাদশী’,’কমলে কামিনী’, ’নবীন তপস্বিনী’ ইত্যাদি। ’ভদ্রার্জুন’
হলো তারাচরণ শিকদার রচিত নাটক যা বাঙালি লিখিত প্রথম মৌলিক নাটক।
৩৭৩. Ballad কী?
A. লোকগীতি
B. লোকগাথা
C. গীতিকা
D. গাথা
ব্যাখ্যাঃ-ballad শব্দের বাংলা পরিভাষা
‘গীতি-কাহিনীকাব্য’ বা গীতিকা। এটা একটা গান,গল্প বা গল্প ও
কথা- যার কোনো সাহিত্যিক রুপ নেই বা মুখে মুখে চলে এসেছে এবং যার মধ্যে রয়েছে
একটিকাহিনী বা গল্প।
৩৭৪. কোনটি উপন্যাস?
A. নতুন চাঁদ
B. কন্যা কুমারী
C. গড্ডলিকা
D. নেমেসিস
ব্যাখ্যাঃ-নতুন চাঁদ ‘কাজী নজরুল
ইসলাম রচিত কাব্য গ্রন্থ। ‘কন্যাকুমারী’ আব্দুর রাজ্জাক কর্তৃক রচিতুপন্যাস। ’গড্ডালিকা’
রাজসেখর বসুর গল্পগ্রন্থ। এবং ‘নেমেসিস ‘নুরুল মোমেনের বিখ্যাত নাটক।
৩৭৫. লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতা কে?
A. আলাওল
B. কোরেশী মাগন ঠাকুর
C. দৌলত কাজী
D. সৈয়দ সুলতান
ব্যাখ্যাঃ-পুরুষানুক্রমে মুখে মুখে
প্রচলিত বর্ণনামূলক গল্পকে লোক কাহিনী বা লৌকিক কাহিনী বলা হয়। এর মূল্ভিত্তি
কল্পনা। স্বর্গ-মর্ত্য পাতাল পর্যন্ত গল্পের আখ্যানের সীমা বিস্তৃত্ব। লৌকিক
কাহিনীর রচয়িতা হিসেবে দৌলত কাজীই অগ্রগণ্য। দৌলত কাজী ‘সতীময়না’ ও লোর
‘চন্দ্রানী’ কাব্য রচনা করে মানবীয় আখ্যায়িকার ধারা প্রবর্তন করেন।
৩৭৬. সাপ্তাহিক সুধাকর’-এর সম্পাদক কে?
A. মুন্সি মোহাম্মদ
রিয়াজউদ্দিন আহমদ
B. মুন্সি মোহাম্মদ মেহের
উল্লাহ
C. শেখ আব্দুর রহিম
D. ইসমাইল হোসেন সিরাজী
ব্যাখ্যাঃ-মুন্সি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন আহমদ সম্পাদনা
করেছেন– [‘মুসলমান’, সাপ্তাহিক’নব সুধাকর’, ’ইসলাম’,]। মুন্সি মোহাম্মদ মেহের উল্লাহ ছিলেন
ধর্মপ্রচারক, তিনি কোনো পত্রিকা সম্পাদনা করেননি, তিনি ‘খ্রিষ্ঠান ধর্মের অসাড়তা’ নামে বই প্রকাশ করতেন। শেখ আব্দুর রহিম
সম্পাদনা করেছেন [সাপ্তাহিক সুধাকর, মাসিক মিহির, মাসিক হাফেজ, মোসলেম ভারত]। ইসমাইল হোসেন সিরাজী সম্পাদনা করেছেন–[মাসিক নুর, সাপ্তাহিক
সুলতান]
৩৭৭. মাসিক মোহাম্মদী
কোন সালে প্রকাশিত হয়?
A. ১৯২৬
B. ১৯২৭
C. ১৯২৮
D. ১৯২৯
ব্যাখ্যাঃ-দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা
সম্পাদক মোহম্মদ আকরাম খাঁর সম্পাদনায় ‘মোহাম্মদী’ ১৯০৩ সালের ১৮ ই আগস্ট কলকাতায়
আত্মপ্রকাশ করে। তখন এটি ছিল মাসিক পত্রিকা । এরপর ১৯১০ সালে এটি ‘সাপ্তাহিক
মোহাম্মদী’ নামে মোহাম্মদ আকরাম খাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। ১৯২২ সালে এটি দৈনিক
পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯২৭ সালের ৬ ই নভেম্বর ‘মাসিক মোহাম্মদী’ আবার
নতুন ভাবে প্রকাশিত হয়।
৩৭৮. কোন পত্রিকাটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত
হয়?
A. কালিকলম
B. প্রগতি
C. কল্লোল
D. সবুজপত্র
ব্যাখ্যাঃ-দীনেশরঞ্জন দাসের সম্পাদনায়
১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয় মাসিক ‘কল্লোল’ পত্রিকাটি। শৈলজানন্দের সম্পাদনায় সচিত্র
মাসিক ‘কালি কলম’ ১৯২৬ সালে, বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্তের সম্পাদনায় সচিত্র মাসিক
‘প্রগতি’১৯২৭ সালে এবং প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ‘সবুজপত্র’ ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়।
৩৭৯. ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় কোন
পত্রিকাটি?
A. অরণি
B. পরিচয়
C. নবশক্তি
D. ক্রান্তি
ব্যাখ্যাঃ-সম্বাদ কৌমুদী’ সাময়িক
পত্রিকাটি কোনপত্রিকার জবাব স্বরূপ প্রকাশিত হয় সমাচার দর্পণ। হরিনাথ মজুমদার
সম্পাদিত পুত্রিকার নাম – গ্রাম বার্তা প্রকাশিকা। ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্য
পত্রিকা-‘শিখা’,’প্রগতি’,’ক্রান্তি’,’ লোকায়াত’। কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা
সাহিত্য পত্রিকা –‘ কালি-কলম’, ’কল্লোল’।
৩৮০. গ্রিক শব্দ কোনটি?
A. তুফান
B. লুঙ্গী
C. কুপন
D. দাম
ব্যাখ্যাঃ-দাম হচ্ছে গ্রিক শব্দ।
‘তুফান’, ‘লুঙ্গী’
ও ‘কুশন’ যথাক্রমে আরবি, বর্মি ও ইংরেজি শব্দ।
৩৮১. বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি উপসর্গ
আছে?
A. উনিশ
B. কুড়ি
C. একুশ
D. বাইশ
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা
উপসর্গ রয়েছে ২১ টি। এগুলো হচ্ছে-অ,অঘা, অজ, অনা,
আ, আড়, আব, আন, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাত, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা। এবং সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০টি।
৩৮২. শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের সংলাপ?
A. একরাত্রি
B. শুভা
C. সমাপ্তি
D. পোস্টমাস্টার
ব্যাখ্যাঃ-সংলাপটি রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘মৃন্ময়ী’ সম্পর্কে লেখকের উক্তি।
৩৮৩. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস
গ্রন্থ কোনটি?
A. বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
B. বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
C. বাংলা সাহিত্যের কথা
D. বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
ব্যাখ্যাঃ-দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্তের
‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ। ১৮৯৬
সালে এটি প্রকাশিত হয়।
৩৮৪. কত খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী’ পদক লাভ করেন?
A. ১৯১৬
B. ১৯২৩
C. ১৯৩৩
D. ১৯০৩
ব্যাখ্যাঃ-অপরাজেয় কথা সাহিত্যিক
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে ১৯২৩ সালে ‘জগত্তারিণী’ স্বর্ণপদক এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
‘ডিলিট’ উপাধিলাভ করেন।
৩৮৫. রাজা রামমোহন
রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম কী?
A. মাগধীয় ব্যাকরণ
B. গৌড়ীয় ব্যাকরণ
C. মাতৃভাষা ব্যাকরণ
D. ভাষা ও ব্যাকরণ
ব্যাখ্যাঃ-রাজা রামমোহন রায় প্রথম
বাঙালি হিসেবে ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ (১৮৩৩) রচনা করেন। তার অন্যান্য রচনা হচ্ছে
‘বেদান্তসার'(১৮১৫),
‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার’ (১৮১৭), ‘সহমরণ
বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ'(১৮১৮) ইত্যাদি।
৩৮৬. ‘মেছো’
শব্দের প্রকৃতি প্রত্যয় কী?
A. মাছ + ও
B. মেছ + ও
C. মাছি+উয়া> ও
D. মাছ + উয়া > ও
ব্যাখ্যাঃ-মাছ + উয়া > ও=মেছো।
৩৮৭. কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ?
A. বাক + দান = বাগদান
B. উৎ + ছেদ – উচ্ছেদ
C. পর + পর = পরস্পর
D. সম + সার = সংসার
ব্যাখ্যাঃ-কোনো নিয়ম অনুসরণ না করে
যখন সন্ধি সাধিত হয় তখন তাঁকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে। উপরিউক্ত সন্ধিগুলোর মধ্যে ‘পর +
পর =পরস্পর’ ছাড়া অন্য সন্ধিগুলো ব্যাকারণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে।
৩৮৮. বাংলা মৌলিক নাটকের যাত্রা হয়
কোন নাট্যকারের হাতে?
A. মধুসূদন দত্ত
B. দীনবন্ধু মিত্র
C. জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর
D. তারাচরণ সিকদার
ব্যাখ্যাঃ-উনিশ শতকের গোড়ার দিকে
সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ শুরু হলেও তারাচরণ
শিকদারের ‘ভদ্রার্জুন'(১৮৫২) ও রামায়নারায়ণ তর্ক রত্নের
‘কুলীন কুল সর্বস্ব (১৮৫৪) নাটক থেকে প্রকৃত পক্ষে বাংলা মৌলিক নাট্য সাহিত্যের
সূত্রপাত হয়।
৩৮৯. প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয়-
A. উপমিত
B. উপমান
C. উপমেয়
D. রূপক
ব্যাখ্যাঃ-উপমান’শব্দের অর্থ’ তুলনীয়
বস্তু। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে অন্য কোনো পরোক্ষ বস্তুর সাথে অন্য কোনো
পরোক্ষ বস্তুর তুলনা করা হলে ঐ প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে ‘উপমেয়’ বলা হয়।পক্ষান্তরে , যার সাথে উপমা দেয়া হয় বা তুলনা করা
হয় তাকে উপমান বলা হয়।
৩৯০. পাখি সব করে রব রব রাতি পোহাইল’
-পঙক্তির রচয়িতা?
A. রামনারায়ণ তর্করত্ন
B. বিহারীলাল
C. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
D. মদনমোহন তর্কালঙ্কার
ব্যাখ্যাঃ-পংক্তিটির রচিয়িতা মদনমোহন
তর্কালঙ্কার (১৮১৭-১৮৫৮)। ‘শিশু শিক্ষা’ (১ম ও ২য় ভাগ- ১৮৪৯ এবং ৩য় ভাগ ১৮৫০) নামক
শিশুতোষ গ্রন্থ রচনা করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল’ পংক্তিটি এ গ্রন্থের
প্রথম ভাগের একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতা।
৩৯১. আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’- এর
রচয়িতা কে?
A. সিকানদার আবু জাফর
B. ফররুখ আহমেদ
C. আবু জাফর ওবায়েদুল্লাহ
D. আহসান হাবীব
ব্যাখ্যাঃ-আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি –
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ রচিত কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয় ১৯৮১ সালে। এ লেখকের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে
‘সাতনরী হার’, ‘কখনও রঙ কখনও সুর’, ‘কমলের
চোখ’, ‘সহিষ্ণু প্রতিক্ষা’, ‘প্রেমের
কবিতা’, ‘নির্বাচিত কবিতা’ ইত্যাদি।
৩৯২. জীবনে জ্যাঠামি ও সাহিত্যে
ন্যাকামি সহ্য করতে পারতেন না-
A. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B. সৈয়দ মুজতবা আলী
C. প্রমথ চৌধুরী
D. প্রমথনাথ বিশী
ব্যাখ্যাঃ-জ্যাঠামি’- শব্দের অর্থ
বাচালতা,পাকামি,
অকালপক্কতা ইত্যাদি আর ‘ন্যাকামি’ শব্দের অর্থ- সারল্য বা সাধুলতা
ভানকারী। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ছিলেন মার্জিত নাগরিক
রুচি, প্রখর, বুদ্ধিদীপ্ত ও অপূর্ব বাক
– চাতুর্যের অধিকারী। সাহিত্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তার মত হলো -‘সাহিত্যের
উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দান কয়া, কারএ মলোরঞ্জন নয়।
সাহিত্য ছেলের হাতের খেলনাও নয়, গুরুর হাতের বেতও নয়।
৩৯৩. এ মাটি সোনার বাড়া’- এ উদ্বৃতিতে
সোনা কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
A. বিশেষনের অতিশায়ন
B. রূপবাচক বিশেষণ
C. উপাদানবাচক বিশেষণ
D. বিধেয় বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ-বিশেষণ পদ যখন দুই বা
ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায়
একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তাকে ‘বিশেষণের অতিশায়ন’
বলে। এ মাটি সোনার চেয়ে বড় বা মূল্যবান মনে করা হয়েছে।
৩৯৪. ‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক
ছিলেন—
A. মুন্সী মেহেরুল্লা
B. সঞ্জয় ভট্টাচার্য
C. কামিনী রায়
D. মোজাম্মেল হক
ব্যাখ্যাঃ-কবি ও কথাসাহিত্যিক সঞ্জয়
ভট্টাচার্য সম্পাদিত মাসিক পত্রিকা ‘পূর্বাশা’। পত্রিকাটি ১৯৩২ সালে কুমিল্লা থেকে
প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক নুভযুগ (যুগ্ন সম্পাদক) ধূমকেতু, লাঙ্গল।
৩৯৫. পাহাড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন—
A. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B. সৈয়দ শামসুল হক
C. শামসুর রাহমান
D. কাজী নজরুল ইসলাম
E. সঠিক উত্তর নেই.
ব্যাখ্যাঃ-কবি শামসুর রহমানের জন্ম
পুরনো ঢাকার মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা
বেগম।
৩৯৬. ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন কোনটি?
A. সহ + চর + র্য
B. সহচর + ৎ ফলা
C. সহচর + য
D. কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ-সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়
‘য’-যুক্ত হলে প্রাইপদিকের অন্তে স্থিত অ।আ,ই এবং ঈ কার লোপ হয়। যথা -সম্+য=সাম্য। তেমনি সহচর+য= সাহচর্য,
এখানে আ, ই নেই তাই লোপ পায় নি , কিন্তু বৃদ্ধির নিয়মে আ-কা এসে সাহচর্য হয়েছে।
৩৯৭. রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতা কোন ছন্দে রচিত?
A. স্বরবৃত্ত
B. কায় অক্ষরবৃত্ত
C. মন্দাক্রান্তা
D. মাত্রাবৃত্ত
ব্যাখ্যাঃ-মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
(কলাবৃত্ত বা ধ্বনি প্রধান ছন্দ) বাংলা সাহিত্যে প্রচলিত প্রধান তিনটি ছন্দের
একটি। অন্য দুটি হলো স্বরবৃত্ত ছন্দ এবং অক্ষরবৃত্ত ছন্দ। মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা কবিতাগুলোর
মূলপর্ব ৪,৫,৬,৭ মাত্রার হতে পারে।
৩৯৮. নিচের কোনটি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
A. ১৮৪৭-১৯১১
B. ১৮৫২-১৯১২
C. ১৮৫৭-১৯১১
D. ১৮৪৭-১৯১২
ব্যাখ্যাঃ-মীর মশাররফ হোসেন (নভেম্বর
১৩, ১৮৪৭-
ডিসেম্বর১৯, ১৯১১) ছিলেন একজন বাঙালি ঔওইন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি তৎকালীন বৃটিশভারতে (বর্তমান বাংলাদেশ)
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়িনের লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ
করেন।
৩৯৯. অপ’ কী ধরনের উপসর্গ?
A. সংস্কৃত
B. বাংলায়
C. বিদেশি
D. মিশ্র.
ব্যাখ্যাঃ-অপ’ সংস্কৃত উপসর্গ
৪০০. নিচের কোনটি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি?
A. ভ
B. ঠ
C. ফ
D. চ
ব্যাখ্যাঃ-যে ধ্বনি উচ্চরণের সময়
স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না তাঁকে অঘোষ ধ্বনি বলে। এরূপ ধ্বনির উচ্চারণ
গাম্ভীর্যহীন মৃদু হয়। আরল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো, যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না। কাজেই
অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনির নিয়ম অনুসারে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনিগুলো হল- ক, চ, ট, ত, প। ‘ভ’ হচ্ছে ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি, ‘ঠ’ ও ‘ফ’ হচ্ছে
অঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি।
৪০১. কাঁঠালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন কোন
লেখক?
A. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
C. কাজী ইমদাদুল হক
D. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
তারিখ ২৭ জুন, ১৮৩৮
অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে।
৪০২. বাংলা ভাষায় ছন্দ প্রধানত কত
প্রকার?
A. ২ প্রকার
B. ৪ প্রকার
C. ৩ প্রকার
D. ৫ প্রকার
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ছন্দ প্রধানত তিন
প্রকার- ১। স্বরবৃত্ত, ২। মাত্রাবৃত্ত,
৩। অক্ষরবৃত্ত।
৪০৩. ঠাকুরমার ঝুলি’ কী জাতীয় রচনার
সংকলন?
A. রুপকথা
B. ছোটগল্প
C. গ্রাম্যগীতিকা
D. রূপকথা-উপকথায়
ব্যাখ্যাঃ-ঠাকুমারঝুলি বাংলা
শিশুসাহিত্যের একটি জনপ্রিয় রূপকথার সংকলন। এই গ্রন্থের সংকলক দক্ষিণারঞ্জন মিত্র
মজুমদার। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রূপকথার গল্পগুলো সংগ্রহ করেছিলেন তৎকালীন
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে।
৪০৪. “সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।” এই
চরণদ্বয়ের লেখক-
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. কুসুমকুমারী দাশ
C. মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ-“সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি সারাদিন
আমি যেন ভাল হয়ে চলি।” এই চরণদ্বয়ের লেখক-মদনমোহন
তর্কালঙ্কার। তিনি বাংলা ভাষার শিক্ষা বিস্তারের জন্য যথেষ্ট শ্রম ব্যয় করেন। তাঁর
রচিত শিশুশিক্ষা গ্রন্থটি ঈশ্বরচন্দ্র কর্তৃক রচিত ”বর্ণপরিচয়” গ্রন্থটিরও পূর্বে
পেওকাশিত। তিনি ‘শিশুশিক্ষা’ পুস্তক্টির ‘প্রথম ভাগ’ ১৮৪৯ সালে এবং ‘দ্বিতীয়
ভাগ’১৮৫০ সালে প্রকাশ করেন।
৪০৫. বাগাড়ম্বর শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ
–
A. বাগ + অম্বর
B. বাগ + আড়ম্বর
C. বাক্ + অম্বর
D. বাক্ + আড়ম্বর
ব্যাখ্যাঃ-ক, চ, ট, ত, প থাকলে এবং তাঁদের পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো
যথাক্রমে গ, জ, ড (ড়), দ, ব হয়। যেমন দিক্ + অন্ত = দিগন্ত, বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর। বাক্ + ঈশ = বাগীশ।
৪০৬. ‘আফতাব’ শব্দের সমার্থ কোনটি?
A. অর্ণব
B. রাতুল
C. অর্ক
D. জলধি
ব্যাখ্যাঃ-আফতাব অর্থ সূর্য। সূর্যের
সমার্থক শব্দ গুলো- রবি, সবিতা,
দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ,
দিবাবসু, অর্ক, ভানু,
তপন, আদিত্য, ভাস্কর
ইত্যাদি।
৪০৭. কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয়
দিয়েছেন?
A. গোবিন্দ দাস
B. কায়কোবাদ আর
C. কাহ্নপা
D. ভুসুকুপা
ব্যাখ্যাঃ-‘আজি ভুসুকু বাঙ্গালী ভইলী। নিএঘরিণী
চন্ডালে লেলী।”- ভুসুকুর এই উক্তিকে পেওমাণ স্বরূপ মনে করে তাঁকে বাঙালি অনুমান
করা হয়। চর্যাগীতি রচনার সংখ্যাধিক্যে দ্বিতীয় স্থানের অধুকারী হলেন ভুসুকপা। তাঁর
রচিত আটটি পদ চর্যাপদ গ্রন্থে সংগ্রহীত হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম শান্তিদেব। তিনি
সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র ছিলেন এবং শেষ জীবনে নালন্দায় বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে নিঃসঙগ
ভাবেওবস্থান করেন। সেজন্য ভুক্তির ভু, সুপ্তির সু, এবং কুটিরের কু – এই তিন আদ্যাখর যোগে তাঁকে ভুসুকু বলে পরিহাস করা হতো।
৪০৮. জ্যোৎস্নারাত কোন সমাসের
দৃষ্টান্ত?
A. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B. ষষ্ঠী তৎপুরুষ
C. পঞ্চমী তৎপুরুষ
D. উপমান কর্মধারয়
ব্যাখ্যাঃ-যে কর্মধারায় সমাসে
ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয় তাকে মধ্যলোপী কর্মধারায় বলে। যেমন-মৌ ভর্তি চাক=
মৌচাক, জোসনা
স্নাত রাত= জ্যোৎস্নারাত।
৪০৯. ‘অনীক’ শব্দের অর্থ—
A. সূর্য
B. সমুদ্র
C. যুদ্ধক্ষেত্র
D. সৈনিক
ব্যাখ্যাঃ-অনীক- সৈন্যবাহিনী সমূহ, সেনা, সৈনিক,যুদ্ধ, লড়াই, কটক।
৪১০. আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাসের লেখক কে?
A. প্যারীচাঁদ মিত্র
B. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C. দামোদর
বন্দ্যোপাধ্যায়
D. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-আধ্যাত্মিকা’(১৮৮০)
উপন্যাসের লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। তার শ্রেষ্ঠ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস
‘আলালের ঘরের দুলাল”। এই গ্রন্থটি ইংরেজী তে অনুবাদ করাহয় ‘দ্য স্পয়েল্ড চাইল্ড”
নামে।
৪১১. নিচের কোনটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
ছদ্মনাম?
A. বীরবল
B. ভিমরুল
C. অনিলাদেবী
D. যাযাবর
ব্যাখ্যাঃ-অপরাজেয় কথাশিল্পী
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছদ্ম নাম ‘অনিলাদেবী’ । ”নারীর মূল্য” প্রবন্ধে তিনি এ ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম
বীরবল। বিনয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম যাযাবর।
৪১২. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ
আবিস্কৃত হয় কত সালে?
A. ২০০৭
B. ১৯০৭
C. ১৯০৯
D. ১৯১৬
ব্যাখ্যাঃ-চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও
সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে পুঁথি আবিষ্কার করেন।
৪১৩. বৃক্ষ’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
A. কলাপী
B. নীরধিকে
C. বিটপী
D. অবনি
ব্যাখ্যাঃ-বৃক্ষ’ শব্দের সমার্থক
শব্দ বিটপী।
৪১৪. ‘Subconscious’ শব্দটির বাংলা
পারিভাষিক শব্দ হল—
A. অর্ধচেতন
B. অবচেতন
C. চেতনাহী
D. চেতনাপ্রবাহ
ব্যাখ্যাঃ-‘Subconscious’ শব্দটির বাংলা
পারিভাষিক শব্দ হল—অবচেতন বা যেসব মানসিক ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে মানুষ(পুরোপুরি)
সচেতন থাকে না। অন্যদিকে ”চেতনাহীন” শব্দটির ইংরেজী ‘unconscious’, অর্ধচেতন শব্দের ইংরেজী ”half-conscious”
৪১৫. কোনটি ইংরেজি শব্দ?
A. ম্যাজেন্টা
B. পিস্তল
C. আলমারি
D. কমা
ব্যাখ্যাঃ-ম্যাজেন্টা’ শব্দটি ইতালীয়, যার অর্থ টকটকে লাল; ‘পিস্তল’ পর্তুগীজ শব্দ। ”আলমারি” পর্তুগিজ শব্দ;। ”কমা” ইংরেজই শব্দ,যা একটি যতিচিহ্ন।
৪১৬. শূন্যপুরাণ’ রচনা করেছেন—
A. রামাই পণ্ডিত
B. শ্রীকর নন্দী
C. বিজয় গুপ্ত
D. লোচন দাস
ব্যাখ্যাঃ-শূন্যপুরাণ’ রামাই
পণ্ডিত্রচিত বৌদ্ধধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ। বাংলা সাহিত্যে ১২০১ থেকে
১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত
সময়কে অন্ধকার যুগ বলা হয়। এ অন্ধকার যুগে তেমন কোনো সাহিত্য রচিত হয়নি। তবে রামাই
পণ্ডিতের ‘শূন্যপুরাণ’, হলায়ুধ
মিশ্রের ‘সেক শুভোদয়া’ এ যুগের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম। শ্রিকর নন্দীর রচনা ‘ভারত
পাঁচালী’। বিজয় গুপ্ত মনসামঙ্গলের প্রাচীন্তম কবি।বাংলায় চৈতন্যদেবের দ্বিতীয়
জীবনীগ্রন্থের নাম ‘চৈতন্য মঙ্গল” যা লোচন দাসের রচনা।
৪১৭. কোন শব্দ গঠনে বাংলা উপসর্গ
ব্যবহৃত হয়েছে?
A. পরাকাষ্ঠা
B. অভিব্যক্তি
C. পরিশ্রান্ত
D. অনাবৃষ্টি
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ব্যাকারণে খাঁটি
বাংলা উপস্ররগ একুশটি। এগুলো হুলো- অ, অঘা, অজ, অনা,
আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন(ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু ও হা । সংস্কৃত উপসর্গ ২০টি। এর মধ্যে আ, সু,
বি, নি এই চারটি বাংলা ও সংস্কৃত উভয় উপসর্গে
আছে। অপশনগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পরাকাষ্ঠা = পরা + কাষ্ঠা;
অভিব্যক্তি = অভি + ব্যক্তি; পরিশ্রান্ত = পরি
+ শ্রান্ত; অনাবৃষ্টি = অনা + বৃষ্টি। প্রথম তিনটি সংস্কৃত
উপসর্গ দ্বারা গঠিত। কিন্তু ৪র্থ অপশনে প্রদত্ত ”অনাবৃষ্টি” শব্দটি বাংলা ‘অনা’
উপসর্গযোগে গঠিত।
৪১৮. “পালামৌ” ভ্রমণকাহিনীটি কার রচনা?
A. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
C. সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল
ভ্রমণ কাহিনী ‘পালামৌ’। লেখক– সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অগ্রজ।
৪১৯.” ‘আলোছায়া’
পদটি কোন সমাসের অন্তর্গত?
A. দ্বন্দ্ব সমাস
B. অব্যয়ীভাব সমাস
C. তৎপুরুষ সমাস
D. কর্মধারয় সমাস
ব্যাখ্যাঃ-যে সমাসে দুই বা বহুপদ
মিলে একপদ এবং প্রত্যেক পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- জায়া ও
পতি = দম্পতি। আলো ও ছায়=আলোছায়, হাট ও বাজার = হাট-বাজার
ইত্যাদি।
৪২০. কোনটি সাধিত শব্দ নয়?
A. পানসা
B. ফুলেল
C. গোলাপ
D. হাতল
ব্যাখ্যাঃ-গঠনগত দিক থেকে বাংলা শব্দাবলী
দুভাগে বিভক্ত মৌলিক ও সাধিত। যে শব্দকে আর কোনোভভাবে বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন- মা,
লাল, তিন, হাত, পা, গোলাপ ইত্যাদি। যেসব শব্দকে বিশ্লেষ্ণ করা হলে
আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, তাই
সাধিত শব্দ। যেমন- দ্যালু, পানসা, ফুলেল
ইত্যাদি।
৪২১. ‘দিবারাত্রির কাব্য’ কার লেখা
উপন্যাস?
A. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
B. শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
C. ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ-দিবারাত্রির কাব্য' (১৯৩৫) মানিক বন্দোপাধ্যায়। তার রচিত
অন্যান্য উপন্যাস হলো-‘জননী' (১৯৩৫),’ পদ্মানদীর
মাঝি' (১৯৩৬),’পুতুলনাচের ইতিকথা'
(১৯৩৬)।
৪২২. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গল্প কোনটি?
A. পদ্মরাগ
B. পদ্মগোখরা
C. পদ্মপুরাণ
D. পদ্মাবতী
ব্যাখ্যাঃ-কাজী নজরুল ইসলামের
গল্পগ্রন্থগুলো হল- বাউন্ডলের আত্মকাহিনী,ব্যাথার দান।রিক্তের বেদন,শিউলীমালা,পদ্মগোখরা, জিনের বাদশা ইত্যাদি। পদ্মরাগ – বেগম
রোকেয়া সাখাও্যাত রচিতুপন্যাস। হিন্দি কবি মালিক মুহামদ
জায়সির ‘পদুমাবৎ” অবলম্বনে মহাকবি আলাওল পদ্মাবতী রচনা করেন।
৪২৩. আনোয়ারা’
গ্রন্থটি কার রচনা?
A. কাজী এমদাদুল হক
B. মীর মশাররফ হোসেন
C. মোহাম্মদ নজিবর রহমান
D. ইসমাইল হোসেন সিরাজী
ব্যাখ্যাঃ-‘আনোয়ারা”(১৯১৪) উপন্যাস্টি মোহাম্মদ
নজিবর রহমানের সৃষ্টি। এটি তার প্রথম ও জনপ্রিয় উপন্যাস। মুসলিম মধ্যবিত্ত শ্রেনীর
বিকাশশীলতার চিত্র ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে।
৪২৪. “বীরবল” ছদ্মনামে কে লিখতেন?
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B. মুনীর চৌধুরী
C. সমরেশ বসু
D. প্রমথ চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ-প্রমথ চৌধুরীত ছদ্মনাম
”বীরবল”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম ‘ভানুসিংহ’। সমরেশ বসুর ছদ্মনাম “কালকূট”।
৪২৫. কোনটি শুদ্ধ বানান?
A. আকাংখা
B. আকাঙ্ক্ষা
C. আকাঙ্খা
D. আকাংক্ষা
ব্যাখ্যাঃ-ক,খ,গ,ঘ পরে থাকলে বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে নিয়ম অনুসারে পদের অন্তঃস্থ ‘ম’
স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে। যেমন- অহংকার, ভয়ংকার,সংগীত ইত্যাদি। বিকল্পে ”ঙ” লেখা যাবে। ক্ষ -এর পূর্বে সর্বত্র ‘ঙ” হবে ।
যেমন- আকাঙ্ক্ষা।
৪২৬. কোনটি ‘বাতাস’ শব্দের সমার্থক নয়?
A. পাবক
B. মারুত
C. পবন
D. অনিল
ব্যাখ্যাঃ-‘বাতাস’ শব্দের সমার্থক শব্দঃ মারুত,পবন,সমীর,বাত ইত্যাদি।
পক্ষান্তরে, ‘পাবক’ শব্দের সমার্থক শব্দঃ অগ্নি, আগুন, আনল, বহ্নি ইত্যাদি।
৪২৭. ভাষার ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?
A. বর্ণ
B. শব্দ
C. অক্ষর
D. ধ্বনি
ব্যাখ্যাঃ-ভাষার ক্ষুদ্রতম একক হলো
‘ধ্বনি’। এটি ভাষার মৌলিক অংশ। ধ্বনির লিখিত রুপ হলো ‘বর্ণ’। শব্দের অংশ হলো
অক্ষর। বাক্যের ক্ষুন্দ্রতম একক বা অংশকে শব্দ বলে।
৪২৮. “মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে
দেয়নি।” এটি একটি –
A. জটিল বাক্য
B. যৌগিক বাক্য
C. সরল বাক্য
D. মিশ্র বাক্য
ব্যাখ্যাঃ-যে বাক্যে একটি মাত্র
কর্তা ও একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন-পুকুরে পদ্মফুল জন্মে। যে বাক্যে
একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত
হয়। তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা
মিশ্রবাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পুর্ণ বাক্য বলে।
৪২৯. ‘গাছপাথর’ বাগধারাটির অর্থ
A. ভূমিকা করা
B. হিসাব-নিকাশ
C. অসম্ভব বস্তু
D. বাড়াবাড়ি করা
ব্যাখ্যাঃ-গাছপাথর’বাগধারাটির অর্থঃ
হিসাব-নিকাশ। গৌরচন্দ্রিকা (ভূমিকা করা), অকালকুসুম (অসম্ভব বস্ত) এবং ‘আঠারো আনা’ বাগধারাটি অর্থঃ বাড়াবাড়ি
করা।
৪৩০. ‘তুমি অধম, তাই
বলে আমি উত্তম হব না কেন?” – এই প্রবাদটির রচয়িতা কে?
A. মীর মশাররফ হোসেন সকল
B. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
C. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্যাখ্যাঃ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(১৮৩৮-১৮৯৪) বিখ্যাত উপন্যাস ‘কপালকুন্ডলা’ (১৮৬৬)। উপন্যাসটিতে কিছু বিখ্যাত
উক্তি আছে। যেমন- ‘তুমি অধম তাই বলিয়া
আমি উত্তম হইব না কেন?’ ‘পথিক তুমি পথ
হারাইয়াছ?’ ইত্যাদি।
৪৩১. ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস
কোনটি?
A. আরেক ফালগুন
B. জীবন ঘষে আগুন
C. নন্দিত নরকে
D. পিঙ্গল আকাশ
ব্যাখ্যাঃ-কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র
পরিচালক জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২)
১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনের ওপর তার
রচিত উপন্যাস ‘আরেক ফাল্গুন' (১৯৬৮) এবং আখতারুজ্জামান
ইলিয়াসের উপন্যাস ‘চিলেকোঠার সেপাই(১৯৭৮) ঊনসত্তরের গণ
অভ্যুত্থানের রচিত।
৪৩২. মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর রচনা কোনটি?
A. এইসব দিন রাত্রি
B. নূরলদীনের সারা জীবন
C. একাত্তরের দিনগুলি
D. সৎ মানুষের খোঁজে
ব্যাখ্যাঃ-একাত্তরের দিনগুলি’
জাহানারা ইমাম (১৯২৯-১৯৯৪)
রচিত উপন্যাস। ‘নূরলদীনেরসারা জীবন’ সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাট্য।
৪৩৩. বাংলা গদ্যের জনক কে?
A. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C. উইলিয়াম কেরী
D. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা গদ্যের জনক
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ছোট গল্পের জনক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথম সার্থক
উপন্যাসের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
৪৩৪. ‘আনন্দমঠ উপন্যাসের লেখক কে?
A. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
C. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D. আনন্দমোহন বাগচী
ব্যাখ্যাঃ-‘আনন্দমঠ (১৮৩৮-১৮৯৪) উপন্যাসের লেখক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এই উপন্যাসটি ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয়। তার
উল্ল্যেখযোগ্য উপন্যাস হলোঃ দুর্গেশনন্দীনি, বিষব্রিক্ষ,
রজনী, মৃণালিনী, সীতারাম,
কৃষ্ণকান্তের উইল ইত্যাদি। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যাইয়ের রচিত
প্রতিনিধিস্থানীয় উপন্যাস হলোঃ চৈতালী ঘূর্ণি, ধাত্রীদেবতা,
কালিন্দী, পঞ্চপুণ্ডলী, রাধা।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলোঃ বিরাজ বউ, পল্লী
সমাজ, বৈকুণ্ঠের উইল, দেবদাস, গৃহদাহ, শ্রীকান্ত ইত্যাদী।
৪৩৫. ‘বিদ্রোহী’ কবিতা কোন কাব্যের
অন্তর্গত?
A. দোলনচাঁপা
B. বিষের বাঁশী
C. সাম্যবাদী
D. অগ্নিবীণা
ব্যাখ্যাঃ-অগ্নিবীণা’ কাব্যের
দ্বিতীয় কবিতা’বিদ্রোহী’ এবং প্রথম কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’। এটি নজরুল ইসলামের প্রথম
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
৪৩৬. তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মেছিলেন
কোন কবি?
A. জসীমউদ্দীন
B. ফররুখ আহমদ
C. আবুল হাসান
D. শহীদ কাদরী
ব্যাখ্যাঃ-পল্লীকবি জসীমুদ্দীনের
জন্ম ১৯০৩ সাল্র ১ জানুয়ারী ফরিদপুর গেলার তাম্বুলখানা গ্রামে(মাতুলালয়)। তার
পৈতৃক নিবাস ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
৪৩৭. ‘ছিন্নপত্রের অধিকাংশ পত্র কাকে
উদ্দেশ্য করে লেখা?
A. ইন্দিরা দেবী
B. কাদম্বরী দেবী
C. মৃণালিনী দেবী
D. মৈত্রেয়ী দেবী
ব্যাখ্যাঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮৮৭-১৮৯৫ সময়কালে ভ্রাতুষ্পুত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে যেসকল চিঠি
লিখেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’ প্রধানত তারই সংকলন। বহু চিঠিই রবীন্দ্রনাথ ‘ছিন্নপত্র’ -এ
অন্তর্ভুক্ত করেননি।
৪৩৮. মাইকেল মধুসূদন দত্তের বীরাঙ্গনা
কাব্য কোন ধরনের কাব্য?
A. মহাকাব্য
B. সনেট
C. পত্রকাব্য
D. গীতিকাব্য
ব্যাখ্যাঃ-বীরাঙ্গনা কাব্য’ (১৮৬২)
পত্রকাব্য। পত্রাকারে ধরনের কাব্য বাংলা সাহিত্যে এটাই প্রথম। রোমান কবিওভিদের
‘হেরোইদাইদস’ কাব্যের অনুকরণে এই
গ্রন্থ রচিত। এ কাব্যে মোট ১১ টি পত্র আছে।
৪৩৯. আলাওলের ‘তোহফা’
কোন ধরনের কাব্য?
A. আত্মজীবনী
B. প্রণয়কাব্য
C. নীতিকাব্য
D. জঙ্গনামা
ব্যাখ্যাঃ-আলাওল্বে ‘তোহফা’ কাব্য
গ্রন্থটি বিখ্যাত সুফী সাধক শেখ ইউসুফ গদা দেহলভীর ‘তোহফাতুন নেসায়েহ্’ নামক ফারসি
গ্রন্থের অনুবাদ। ‘তোহফা’ গ্রন্থটি কাব্যাকারে রচিত হলেও ধর্মীয় নীতিকথাই এতে রূপ লাভ করেছে।
৪৪০. উজবুক’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে
বাংলা ভাষায় এসেছে?
A. ফার্সি
B. তুর্কি
C. পর্তুগিজ
D. আরবি
ব্যাখ্যাঃ-উজবুক’ শব্দটি তুর্কি ভাষা
থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে তুর্কি ভাষা থেকে আসা আরো কয়েকটি শব্দ হলো; চকমক, তালাশ,
বাবুর্চি, সওগাত, খোকা,
বাবা ইত্যাদি।
৪৪১. সমাসবদ্ধ শব্দ ‘আনত’ কোন সমাসের
উদাহরণ?
A. বহুব্রীহি
B. কর্মধারয়
C. সুপসুপা
D. অব্যয়ীভাব
ব্যাখ্যাঃ-ঈষৎ + নত = আনত (অব্যয়ীভাব সমাস)। পূর্বপদে অব্য্যযোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরি
অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাঁকে
অব্যয়ীভাব সমাস বলে। সামীপ্য, পর্যন্ত,
অভাব, অন্তিক্রম্যতা, সাদৃশ্য,
যোগ্যতা প্রভৃতি অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়।
৪৪২. অশোক সৈয়দ
কার ছদ্মনাম?
A. আবদুল মান্নান সৈয়দ
B. সৈয়দ আজিজুল হক
C. আবু সয়ীদ আইয়ুব
D. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ-আবদুল্মান্নান সৈয়দের
ছদ্মনাম ‘অশোক সৈয়দ’। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ’ ছোটগল্প
‘সত্যের মতে বদমাশ’ উপন্যাস ক্ষুধা প্রেম আগুন।
৪৪৩. সন্ধি-সাধিত শব্দ পরস্পর কোন
ধরনের সন্ধির দৃষ্টান্ত?
A. ব্যঞ্জনধ্বনি
B. স্বরধ্বনি
C. নিপাতনে সিদ্ধ
D. বিসর্গ সন্ধি
ব্যাখ্যাঃ-নিয়ম বহির্ভূত অথচ প্রচিলত
এরকম কিছুকেই নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলা হয় । যেমন – আ + চর্য = আশ্চর্য, মনস + ঈষা = মনীষা, ষট্ + দশ = ষোড়শ, পর + পর = পরস্পর।
৪৪৪. ‘অদিতি’ শব্দের সমার্থক শব্দ নয়
কোনটি?
A. পৃথ্বী
B. নীর
C. ক্ষিতি
D. অবনী
ব্যাখ্যাঃ-অদিতি’ শব্দের অর্থ পৃথিবী, পৃথিবীর অন্যান্য সমার্থক
শব্দগুলোহলো -ধরা, ধরণী,ধরত্রী,
মহী,মোদিনী, ক্ষিতি,
অবনী,বসুন্ধরা প্রভৃত। অন্যদিকে নীর শব্দের
সমার্থক শব্দঃ পানি, জল, বারি।
৪৪৫. পরাগলী মহাভারত’ খ্যাত গ্রন্থের
অনুবাদকের নাম কী?
A. সঞ্চয়
B. কবীন্দ্র পরমেশ্বর
C. শ্রীকর নন্দী
D. কাশীরাম দাস
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ভাষায় মহাভারত
কাব্যের প্রথম অনুবাদক ‘পরাগলী মহাভারতের’ লেখক কবীন্দ্র পরমেশ্বর। গৌড়েশ্বর
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের (১৪৯৩-১৫১৮) সেনাপতি লস্ক্র পরাগল খানের উৎসাহে কবি
এ কাব্য রচনা করেছিলেন বলে কাব্যটি ‘পরাগলী ময়াভারত” নামে খ্যাত।
৪৪৬.
বটতলার উপন্যাস’ গ্রন্থের লেখকের নাম কী?
A. দিলারা হাশেম
B. রাজিয়া খান
C. রিজিয়া রহমান
D. সেলিনা হোসেন
ব্যাখ্যাঃ-বটতলা উপন্যাস’ গ্রন্থের
লেখক রাজিয়া খান। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলোঃ ‘অনুকল্প (১৯৫৯)’, ‘প্রতিচিত্র (১৯৭৬)’, ‘চিত্রকাব্য (১৯৮০)’, ‘দ্রৌপদী (১৯৯৩)’,’পদাতিক (১৯৯৮)’।
৪৪৭. Quarterly শব্দের অর্থ কী?
A. সাপ্তাহিক
B. পাক্ষিক
C. ষান্মাসিক
D. ত্রৈমাসিক
ব্যাখ্যাঃ-সাপ্তাহিক- weekly, পাক্ষিক- fortnightly, ষাণ্মাসিক- half-yearly, ত্রৈমাসিক- Quarterly
৪৪৮. নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
A. নিশিথীনী
B. নিশীথিনি
C. নীশিথিনী
D. নিশীথিনী
ব্যাখ্যাঃ-নিশীথিনী- [বিশেষ্যপদ]
রাত্রি, রজনী।
৪৪৯. শিখণ্ডী শব্দের অর্থ কী?
A. কবুতর
B. কোকিল
C. খরগোশ
D. ময়ূর
ব্যাখ্যাঃ-শিখন্ডী শব্দের অর্থঃ
ময়ূর। এছাড়াও ময়ূরের অন্য সমার্থক শব্দ হলোঃ শিখী,কলাপী,বুহী।
কবুতরের সমার্থক শব্দঃ- পায়রা, কপোত,
পারাবত। কোকিলের সমার্থক শব্দঃ পিক, প্রভৃত।
খরগোশের সমার্থক শব্দঃ শশক।
৪৫০. “সাহিত্যে অলঙ্কার প্রধানত কত
প্রকার?”
A. ৬
B. ২
C. ৪
D. ৫
ব্যাখ্যাঃ-যা দ্বারা সজ্জিতবা ভূষিত
করা হয় তাই অলঙ্কার। সাহিত্যের বা কাব্যের অলঙ্কার বলতে কাব্যের সৌন্দর্য
সৃষ্টিকারী তারই অন্তর্গত প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ শব্দালঙ্কার ও অর্থালঙ্কার।
৪৫১. গাড়ি চলে না, চলে না, চলে না রে….. গানের গীতিকার কে?
A. সঞ্চীব চৌধুরী
B. বাপ্পা মজুমদার
C. শাহ আবদুল করিম
D. দাশরথি রায়
ব্যাখ্যাঃ-গাড়ি চলে না, চলে না, চলে না
রে….. গানের গীতিকার ‘বাউল সম্রাট’ খ্যাত শাহ আবদুল করিম।
তার লেখা ও সুর করা উল্লেখযোগ্য গান হলোঃ আগে কীসুন্দর দিন কাটাইতাম……; কেমনে ভুলিব আমি বাঁচি না তারে ছাড়া…; আমি কুলহারা কলঙ্কিনী……;বন্দে মায়া লাগাইছে………; প্রভৃত।
৪৫২. অধ্যাপক আহমদ শরীফের মৃত্যু সন
কোনটি?
A. ১৯৯৭
B. ১৯৯৮
C. ১৯৯৯
D. ২০০০
ব্যাখ্যাঃ-শিক্ষাবিদ ও গবেষক আহমেদ
শরীফের জন্ম ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ চট্টগ্রামের সুচক্র দণ্ডীতে এবং ১৯৯৯ সালে তিনি
মৃত্যুবরণ করেন।
৪৫৩.চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা?
A. অক্ষরবৃত্ত
B. মাত্রাবৃত্ত
C. স্বরবৃত্ত
D. অমিত্রাক্ষর ছন্দ
ব্যাখ্যাঃ-চর্যাপদের ভাষা মূলত
প্রাচীন বাংলা। এর পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভব নয়। কারও মতে, চর্যাপদ চার মাত্রার চালভিত্তিক ষোল
মাত্রার পাদাকুলক ছন্দ, কারো মতে পজঝটিকা ছন্দ, কারও মতে অপভ্রংশ – অবহটঠ রচনায় ব্যবহৃত ছন্দের অনুকরণ। তবে আধুনিক ছন্দের
বিচারে চর্যাপদ্র পদগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা।
মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত
হলেও মাত্রাবৃত্তের বর্তমান সুনির্দিষ্ট গণণা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
৪৫৪.কবিওয়ালা ও শায়েরের উদ্ভব ঘটে
কখন?
A. আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উনিশতকের প্রথমার্ধে
B. ষোড়শ শতকের শেষার্ধে ও সপ্তদশ
শতকের প্রথমার্ধে
C. সপ্তদশ শতকের শেষার্ধে ও আঠারো শতকের প্রথমার্ধে
D. উনিশ শতকের শেষার্ধে ও বিংশ শতকের প্রথমার্ধে
ব্যাখ্যাঃ-আঠারো শতকের শেষার্ধে ও
উনিশ শতকের প্রথমার্ধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের মুখে কলকাতার হিন্দু সমাজে
কবিও্যালা ও মুসলিম সমাজে শায়েরদের উদ্ভবঘটে। কবিও্যালারা তৎকালীন বিশৃঙ্খল
সমাজব্যবস্থায় যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেছিলেন । কবিওয়ালাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেনঃ গোঁজলা গুই, হর ঠাকুর, ভবানী
বেনে, নিতাই বৈরাগী।
৪৫৫.কবি গানের প্রথম কবি কে?
A. গোঁজলা পুট
B. হরু ঠাকুর
C. ভবানী ঘোষ
D. নিতাই বৈরাগী
ব্যাখ্যাঃ-কবিওয়ালাদের যিনি প্রাচীন
তার নাম গোঁজলা গুই। এছাড়া কয়েকজন বিখ্যাত কবিওয়ালার নাম রামবসু, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, হরু ঠাকুর, নিধুবাবু, কেষ্টা
মুচি, ভবানী।
৪৫৬.‘কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ
পথ?’—কার লেখা?
A. কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার
B. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C. কামিনী রায়
D. যতীন্দ্র মোহন বাগচী
ব্যাখ্যাঃ-কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সদ্ভাবশ্তক’। তার রচিত উল্লেখযোগ্য পঙতি গুলো হলো- ১। কেন
পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ? ২। যেজন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি। ৩।চিরসুখী জন
ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পার?
৪৫৭.কোন চরণটি সঠিক?
A. ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা
B. ধন্য ধান্যে পুষ্পে ভরা
C. ধণ্যে ধান্যে পুষ্পে ভরা
D. ধন্যে ধান্য পুষ্পে ভরা
ব্যাখ্যাঃ-উল্লিখিত চরণটি
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানের অংশ। তার রচিত
উল্ল্যেখযোগ্য নাটক হলো –
প্রতাপসিংহ (১৯০৫), দুর্গাদাস
(১৯০৬), মেবারপতন (১৩১৫), নূরজাহান (১৯০৮),
সাজাহান (১৯০৯), চন্দ্রগুপ্ত (১৯১১), সিংহল বিজয় (১৯১৬)।
৪৫৮.কোন বানানটি শুদ্ধ নয়?
A. দরিদ্রতা
B. উপযোগিতা
C. শ্রদ্ধাঞ্জলি
D. উৰ্দ্ধ
ব্যাখ্যাঃ-‘উদ্ধ’ -এর সঠিক বানান ‘উর্ধ্ব’।
৪৫৯.‘গৃহী’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ
A. সংসারী
B. সঞ্চয়ী
C. সংস্থিতি
D. সন্ন্যাসী
ব্যাখ্যাঃ-‘গৃহী’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ
সন্ন্যাসী
৪৬০.Excise duty-র পরিভাষা কোনটি?
A. অতিরিক্ত কর
B. আবগারি শুল্ক
C. অর্পিত দায়িত্ব
D. অতিরিক্ত কর্তব্য
ব্যাখ্যাঃ-Excise duty-র পরিভাষা আবগারি শুল্ক।
৪৬১.কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
A. তোমার গোপন কথা শোনা আমার
পক্ষে সম্ভব নয়
B. দরিদ্রতা আমাদের প্রধান সমস্যা
C. সলজ্জিত হাসি হেসে মেয়েটি উত্তর দিল
D. সর্ব বিষয়ে বাহুল্যতা বর্জন করা উচিত
ব্যাখ্যাঃ-তোমার গোপন কথা শোনা আমার
পক্ষে সম্ভব নয়” এর স্থলে গোপনীয়। ”সলজ্জিত হাসি হেসে মেয়েটি উত্তর দিল”-এখানে
‘সলজ্জ’ হবে। “সর্ব বিষয়ে বাহুল্যতা বর্জন করা উচিত” বাহুল্যতা- এর স্থলে
‘বাহুল্য’ হবে।
৪৬২.তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা। সখিনা
বিবির কপাল ভাঙল।’—এটি কোন বাক্য?
A. সরল
B. মিশ্র বা জটিল
C. যৌগিক
D. সংযুক্ত
ব্যাখ্যাঃ-একটি প্রধান বাক্যের সঙ্গে
অঙ্গীভূত এক বা একাধিক খণ্ডবাক্য সাধারণভাবে বা কোনো অনুগামী সমুচ্চয়ী অব্যয় বা
সাপেক্ষ সর্বনাম দিয়ে যুক্ত হয়ে পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হলে তাঁকে মিশ্র বা
জটিল বাক্য বলে।
৪৬৩.কোনটি ‘অগ্নি’-র সমার্থক শব্দ নয়?
A. পাবক
B. বৈশ্বানরত
C. সর্বশুচি
D. প্রজ্জলিত
ব্যাখ্যাঃ-‘অগ্নি’র সমার্থক শব্দ ‘প্রজ্জ্বলিত’।
প্রজ্জ্বলিত শব্দের সমার্থক শব্দ- উজ্জ্বল, আলোকিত, উদ্ভাসিত, ঝলমলে, দীপ্ত,
দীপ্তিমান, প্রদীপ্ত, চকচকে।
পক্ষান্তরে,’অগ্নি’র সমার্থক শব্দ -অনল, বহ্নি, হুতাসন, পাবক, দহন ইত্যাদি।
৪৬৪.কোনটি সঠিক বানান?
A. নিশিথিনী
B. নীশিথিনী
C. নিশীথিনী
D. নিশিথিনি
ব্যাখ্যাঃ-নিশীথিনী- [বিশেষ্য পদ]
রাত্রি,রজনী।
৪৬৫.কোনটি ‘কোলন’?
A. ;
B. :
C. *
D. “ “
ব্যাখ্যাঃ-কোলন, ”;” সেমিকোলন, ”=” সমান সমান,
৪৬৬.বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিশিষ্ট
পত্রিকা কল্লোল’ কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
A. ১৯২৩ সালে
B. ১৯২৪ সালে
C. ১৯২৫ সালে
D. ১৯২৭ সালে
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের অন্যতম
বিশিষ্ট পত্রিকা ‘কল্লোল” ১৯২৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
‘কল্লোল’ পত্রিকার সম্পাদক
ছিলেন দীনেশ্রঞ্জন দাশ। পত্রিকাটি সাত বছর চলমান থাকার পর বন্ধ হয়ে যায়।
৪৬৭.কোন গ্রন্থটি সুকান্ত ভট্টাচার্য
কর্তৃক রচিত?
A. হরতাল
B. পালাবদল
C. উত্তীর্ণ পঞ্চাশে
D. অন্বিষ্ট স্বদেশ
ব্যাখ্যাঃ-‘হরতাল’ গ্রন্থটি সুকান্ত ভট্টাচার্য
কর্তৃক রচিত। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হলো ছাড়পত্র (১৩৫৪), ঘুম
নেই (১৩৫৭), পুর্বাভাস (১৩৫৭), অভিযান (১৩৬০)।
৪৬৮. ‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারার অর্থ কি?
A. কপট ব্যক্তি
B. ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
C. হতভাগ্য
D. মোসাহেব
ব্যাখ্যাঃ-‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারার অর্থঃ মোসাহেব,
তোষামুদে। ‘দহরম-মহরম’ বাগধারার অর্থঃ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, ইঁদুর কপালে/আটকপালে বাগধারার অর্থ হতভাগ্য।
৪৬৯.বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
A. কুন্দনন্দিনী
B. শ্যামাসুন্দরী
C. বিমলা
D. রোহিনী
ব্যাখ্যাঃ-বিষবৃক্ষ উপন্যাসের প্রধান
চরিত্র কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ,
হীরা, সূর্যমুখী। অন্যদিকে ‘বিমলা” রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ‘ঘরে বাইরে” উপন্যাসের এবং ‘রোহেনী” বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যাইয়ের
কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র।
৪৭০.কোন বানানটি শুদ্ধ?
A. পিপিলিকা
B. পিপীলিকা
C. পীপিলিকা
D. পিপিলীকা
ব্যাখ্যাঃ-পীপিলিকা বানানটি শুদ্ধ
৪৭১.”গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ
সম্পাদনা করেছেন_____?
A. এজরা পাউন্ড
B. টি.এস. এলিয়ট
C. ডবলিউ বি. ইয়েটস
D. কীটস
ব্যাখ্যাঃ-‘গীতাঞ্জলি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি
অন্যতম কাব্যগ্রন্থ। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয়। গীতাঞ্জলি
কাব্যগ্রন্থে মোট ১৫৭ টি কবিতা ও গান আছে। গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ সম্পদলা
করেছেন ডাবলিউ . বি. ইয়েটস।
৪৭২. কোনটি বাগধারা বোঝায়?
A. চৈত্র সংক্রান্তি
B. পৌষ সংক্রান্তি
C. শিরে সংক্রান্তি
D. শিরে সংক্রান্তি
ব্যাখ্যাঃ-শিরে-সনহক্রান্তি’
বাগধারার অর্থ- আসন্ন বিপদ,উপস্থিত
মহাবিপদ,সামনেই বিপদ। চৈত্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি কিংবা শিব সংক্রান্তি বাগধারা নয়।
৪৭৩. কোনটি মৌলিক শব্দ?
A. মানব
B. গোলাপ
C. একাঙ্ক
D. ধাতব
ব্যাখ্যাঃ-যেসব শব্দ ভেঙে আলাদা করা
যায়না তাকে মৌলিক শব্দ বলে। গোলাপ শব্দটিলে ভেঙে আলাদা করা যায় না তাই এটিই মোয়লিক
শব্দ।
৪৭৪. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক
গ্রন্থসমূহের মধ্যে কোনটি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা?
A. বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
B. বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
C. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
D. বাংলা সাহিত্যের কথা
ব্যাখ্যাঃ-বহুভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ
শহীদুল্লাহর (১৮৮৫-১৯৬৯) দুইখন্ডে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক
উল্ল্যেখযোগ্য গ্রন্থ-‘বাংলা সাহিত্যের কথা” (১ম খন্ডে) ১৯৫৩ , (২য় খন্ড) ১৯৬৫।
৪৭৫. ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম
পত্রিকার সম্পাদকের নাম কী?
A. মুনীর চৌধুরী
B. হাসান হাফিজুর রহমান
C. শামসুর রাহমান
D. গাজীউল হক
ব্যাখ্যাঃ-ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম
সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’-এর সম্পাদখাসান হাফিজুর রহমান।ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক
প্রথম নাটক ‘কবর’- এর রচয়িত হাসান হাফিজুর রহমান।ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম নাটক
‘কবর’- এর রচয়িতা মুনীর চৌধুরী। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক হিসাবে
পরিচিত গাজীউল হক।
৪৭৬. নিচের কোন বানানগুচ্ছের সবগুলো
বানানই অশুদ্ধ?
A. নিক্কন, সূচগ্র, অনুর্ধ্ব
B. অনুর্বর, ঊর্ধ্বগামী, শুদ্ধ্যশুদ্ধি
C. ভূরিভূরি, ভুঁড়িওয়ালা, মাতৃষবসা
D. রানি, বিকিরণ, দুরতিক্রম্য
ব্যাখ্যাঃ-{নিক্কণ, সূচগ্র,
অনুর্ধ্ব} – বানান গুলো অশুদ্ধ। এর শুদ্ধরুপ-
[নিক্বণ, সূচ্যগ্র, অনুর্ধ্ব]
৪৭৭. বাংলাদেশে ‘গ্রাম থিয়েটারে’র
প্রবর্তক কে?
A. মমতাজ উদ্দীন আহমেদ
B. আব্দুল্লাহ আল মামুন
C. সেলিম আল দীন
D. রামেন্দু মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ-নাট্যকার ড. সেলিম আল দীন
(১৯৪৯-২০০৮) নাট্যনির্দেশক নাসিরউদ্দিন ইউসুফের সাথে ১৯৮১-৮২ সালে ‘গ্রাম থিয়েটার’
গঠন করেন এবং তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
৪৭৮. ‘সমভিব্যাহারে’ শব্দটির অর্থ কী?
A. এক্যগ্রতায়
B. সমান ব্যবহারে
C. সম ভাবনায়
D. একযোগে
ব্যাখ্যাঃ-সিমভিব্যাহারে’ শব্দটি
ক্রিয়া বিশেষন, যার
অর্থ-সঙ্গে; একযোগে বা সংঘব্ধ হয়ে। যেমন- মন্ত্রী অমাত্য
সমভিব্যাহারে রাজা শিকারে চললেন।
৪৭৯. শৃঙ্গার রসকে বৈষ্ণব পদাবলিতে কী
রস বলে?
A. ভাবরস
B. মধুর রস
C. প্রেমরস
D. লীলারস
ব্যাখ্যাঃ-বৈষ্ণব সাহিত্য ও সাধনার
পাঁচ পন্থা-শান্ত,দাস্য,সখ্য,বাৎসল্য,মথুর রস।বৈষ্ণব
পদাবলির মধুর রসের মধ্যে রাধাকৃষ্ণর রপকাশ্রয়ে ভক্ত ও ভগবানের নিত্য বিরহমিলনের
লীলাবৈচিত্র্যের পরিচয় পাও্যা যায়।
৪৮০. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত
চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
A. Buddhist Mystic Songs
B. চর্যাগীতিকা
C. চর্যা গীতি কোষ
D. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা
ব্যাখ্যাঃ-মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থের নাম -Buddhist Mystic Songs (১৯৬০)।
৪৮১. পূর্ববঙ্গ গীতিকা’র লোকপালাসমূহের
সংগ্রাহক কে?
A. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
B. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C. চন্দ্রকুমার দে
D. দীনেশচন্দ্র সেন
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যে তিন ধরনের গীতিকা
প্রচলিত রয়েছে। যথাঃ নাথ গীতিকা, মৈমনসিংহ গীতিকা ,পূর্ববঙ্গ গীতিকা।
‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’র লোকপালাগুলো সংগ্রহ করেন চন্দ্রকুমার দে। তার সংগ্রহীত
পূর্ববঙ্গ গীতিকার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য পালা; মইষাল বন্ধু,
ভেলুয়া, কমল্রানী, আয়না
বিবি ইত্যাদি।
৪৮২. চর্যাচর্য বিনিশ্চয়-এর অর্থ কী?
A. কোনটি চর্যাগান, আর কোনোটি নয়
B. কোনটি আচরণীয়, আর কোনোটি নয়
C. কোনটি চরাচরের, আর কোনোটি নয়
D. কোনটি আচার্যের, আর কোনোটি নয়
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক
বাংলা অভিধান অনুযায়ী চর্যা শব্দের অর্থ- নিয়ম পালন;পালনীয় নিয়ম আচার। চর্যাচর্য অর্থ-
আচণীয় ও অনাচরণীয়; পালনীয় ও বর্জনীয়। চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
অর্থ- কী করা উচিত এবং কী করা অনুচিত এটিযে গ্রন্থে বা যে সমস্ত গীতিকবিতায়
স্থিরীকৃত হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলা সাহিত্যের প্রচীন যুগের
একমাত্র নিদর্শন চর্যাপদের মূল নাম চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।
৪৮৩. গোরক্ষ বিজয়’ কাব্য কোন ধর্মমতের
কাহিনী অবলম্বনে লেখা?
A. শৈবধর্ম
B. বৌদ্ধ সহজযান
C. নাথধর্ম
D. কোনোটি নয়
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে
নাথধর্মের কাহিনি অবলম্বনে রচিত শেখ ফয়জুল্লার একটি উল্ল্যেখ্যযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
‘গোরক্ষ বিজয়’। এ কাব্যের কাহিনিতে নাথবিশ্বাস-জাত যোগের মহিমা এবং নারী-ব্যাভিচার
পধন সমাজচিত্র রুপায়িত হয়েছে।
৪৮৪. শাক্ত পদাবলির জন্য বিখ্যাত-
A. রামনিধি
B. বৌদ্ধ সহজযান
C. এ্যান্টানি ফিরিঙ্গি
D. রামপ্রসাদ সেন
ব্যাখ্যাঃ-শাক্তসাধক বা সিদ্ধ
পুরষদের লেখা সাধন সংগীতকেই শাক্ত পদাবলি বলা হয়। রামপ্রসাদ সেন বাংলা সাহিত্যে
শাক্তপদের প্রবর্তক। তার নামে প্রচারিত পদের সংখ্যা তিন শতাধিক।অন্যদিকে রামনিধি
গুপ্ত বাংলা সাহিত্যে টপ্পা গানের প্রবর্তক। পর্তুগিজ এন্টনি ফিরিঙ্গি ছিলেন
কবিয়াল। ও দাশরথি র্য ছলেন পাঁচালী গানের বিখ্যাত কবি।
৪৮৫. অলৌকিক ইস্টিমার’ গ্রন্থের
রচয়িতা কে?
A. হুমায়ুন আজাদ
B. হেলাল হাফিজ
C. আসাদ চৌধুরী
D. রফিক আজাদ
ব্যাখ্যাঃ-কবি ও প্রথাবিরোধী লেখক
হুমায়ুন আজাদের(১৯৪৭-২০০৪) প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অলৌকিক ইস্টিমার' (১৯৭৩)।
৪৮৬. “Custom” শব্দের পরিভাষা কোনটি
যথার্থ?
A. আইন
B. প্রথা
C. শুল্ক
D. রাজস্বনীতি
ব্যাখ্যাঃ-custom’ শব্দের যথার্থ পারিভাষিক অর্থ-
প্রথা, অভ্যাস।অন্যদিকে act বা law
এর পরিভাষা আইন, duty- এর পরিভাষা শুক্ল,
revenue policy- এর পরিভাষা রাজস্বনীতি।
৪৮৭. কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায়
‘কালাপাহাড়’ কে স্মরণ করেছেন কেন?
A. ব্রাহ্মণযুগে নব মুসলিম ছিলেন বলে
B. ইসলামের গুণকীর্তন করেছিলেন বলে
C. প্রাচীন বাংলার বিদ্রোহী ছিলেন বলে
D. প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কার বিদ্বেষী ছিলে বলে
ব্যাখ্যাঃ-সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থের
অন্ত্ররগত ‘মানুষ’ কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যারা পবিত্র উপাসানলয়ের দরজা বন্ধ করে, তাদের ধ্বংসের জন্য কালাপাহারকে
স্বরণ করেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় ‘কালাপাহাড়’ কে স্মরণ করেছেন কারণ
প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কার-বিদ্বেষী ছিলেন বলে।
৪৮৮. “প্রদীপ নিবিয়া গেল”।- এ বিখ্যাত
বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
A. বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বিষবৃক্ষ
B. রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’
C. বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকুণ্ডলা’
D. রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগ
ব্যাখ্যাঃ-প্রদীপ নিবিয়া গেল’ ___উক্তটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
রচিত কপাল্কুন্ডলা (১৮৬৬) উপন্যাসের। এটি কপাল্কুন্ডলা উপন্যাসের দ্বিতীয় খন্ডের
দ্বুতীয় পরিচ্ছেদ”পান্থনিবাসে’- এর শেষ বাক্য।
৪৮৯. “মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে
মানুষ নহে।”-কার উক্তি?
A. মীর মশাররফ হোসেনের
B. ইসমাইল হোসেন সিরাজীর
C. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
D. কাজী নজরুল ইসলামের
ব্যাখ্যাঃ-ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার মীর মশারফ
হোসনের বিখ্যাত উক্তি-‘মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই যে মানুষ নহে’। মাতৃভাষা
সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি ‘শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ’।
৪৯০. বর্গের কোন বর্ণসমূহের ধ্বনি
মহাপ্রাণধ্বনি?
A. তৃতীয় বর্ণ
B. দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ
C. প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ
D. কোনোটি নয়
ব্যাখ্যাঃ-যে ধ্বনি উচ্চারণে
নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় তাকে বলা হয় মহাপ্রান ধ্বনি।বর্গের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ
বর্ণ বা ধ্বনিকে বলা হয় মহাপ্রাণ ধ্বনি। যেমন – খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ঢ ইত্যাদি।বর্গের প্রথম
ও তৃতীয় বর্ণ অল্পপ্রান ধ্বনি এবং পঞ্চম বর্ণ হলো নাসিক্য ধ্বনি।
৪৯১. “কদাকার” শব্দটি কোন উপসর্গযোগে
গঠিত?
A. দেশি উপসর্গযোগে
B. বিদেশি উপসর্গযোগে
C. সংস্কৃত উপসর্গযোগে
D. কোনোটি নয়।
ব্যাখ্যাঃ-বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত
নিজস্ব উপসর্গকে বলা হয় খাঁটি বাংলা বা দেশি উপসর্গ। বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা
উপসর্গের সংখ্যা ২১ টি। যথাঃ অ, অঘা, অজ, অনা,
আ, আন, আড়, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি,পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা। ’কদাকার’ শব্দটি দেশি ‘কদ’ উপসর্গযোগে গঠিত।
৪৯২. যুক্তাক্ষর এক মাত্রা এবং
বদ্ধাক্ষরও একমাত্রা গণনা করা হয় কোন ছন্দে?
A. মাত্রাবৃত্ত
B. অক্ষরবৃত্ত
C. মুক্তক
D. স্বরবৃত্ত
ব্যাখ্যাঃ-প্রশ্নে ‘যুক্তাক্ষর’-এর
স্থলে হবে ‘মুক্তাক্ষর’। কবিতার নির্দিষ্ট একটি সুর বা গতি দেয়ার জন্য ছন্দব্যাকরণ
তৈরি হয়েছে।ছন্দ পর্ব ও মাত্রানির্ভর, তাই ছন্দের নামকরণ করা হয়েছে। তিনভাগে-অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত।
৪৯৩. নিচের কোনটি অশুদ্ধ?
A. অহিংস-সহিংস
B. প্রসন্ন-বিষণ্ণ
C. দোষী-নির্দোষী
D. নিষ্পাপ-পাপিনী
ব্যাখ্যাঃ-দোষী-নির্দোষী এটি অশুদ্ধ।
শুদ্ধরূপ হবে দোষী-নির্দোষ।
৪৯৪. ‘কল্লোল’ পত্রিকার প্রথম
সম্পাদকের নাম কী?
A. বন্ধুদেব বসু
B. দীনেশরঞ্জন দাশ
C. সজনীকান্ত দাস
D. প্রেমেন্দ্র মিত্র
ব্যাখ্যাঃ-১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে
মাসিক ‘কল্লোল’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন দীনেশরঞ্জন
দাশ।
৪৯৫.“আমি এ কথা, এ
ব্যাথা, সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে দিব নিছনি”।-
রবীন্দ্রনাথের এ গানে “নিছনি” কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
A. অপনোদন অর্থে
B. পূজা অর্থে
C. বিলানো অর্থে
D. উপহার অর্থে
ব্যাখ্যাঃ-নিছনি’ শব্দের আভিধানিক
অর্থ রূপ,লাবণ্য,উপহার, অর্ঘ্য ইত্যাদি রবীন্দ্রনাথের এ গানে চরণতলে
‘নিছনি’ শব্দিটি অর্ঘ্য অর্থাৎ পূজা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৪৯৬. “ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি,
আর সংস্কৃতি শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম”। -কে বলেছেন?
A. মোতাহের হোসেন চৌধুরী
B. রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
C. প্রমথ চৌধুরী
D. কাজী আব্দুল ওদুদ
ব্যাখ্যাঃ-ঢাকার মুসলিম সাহিত্য
সমাজের মুক্তবুদ্ধিচর্চা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, প্রাবন্ধিক মোতাহেরশাসন চৌধুরী
(১৯০৩-১৯৫৬) রচিত প্রবন্ধের সংকলন ‘সংস্কৃতি – কথা' (১৯৫৮)।
এ প্রবন্ধগ্রন্থে মোট – ত্রিশটি প্রবন্ধ রয়েছে উপরিউক্ত বাক্যটি মোতাহের হোসন
চৌধুরী তার ‘সংস্কৃত-কথা’ প্রবন্ধে প্রথমেই উল্লেখ করেছেন।
৪৯৭. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
A. আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত
B. তার কথা শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত হলাম
তোমার পরশ্রীকাতরতায় আমি মুগ্ধ
সেদিন থেকে তিনি সেখানে আর যায় না
ব্যাখ্যাঃ-‘তার কথা শুনে আমি আশ্চর্যান্তি হলাম” বাক্যটি
শুদ্ধ। (ক)অপশনে ‘স্বপরিবারে’-এর স্থানে ‘সপরিবারে’। (গ) অপশনে ‘পরশ্রীকাতরতা”
শব্দের অর্থ অপরের উন্নতিতে ঈর্ষা প্রকাশ। তাই এখানে মুগ্ধ শব্দটির অপপ্রয়োগ
ঘটেছে। (ঘ) অপশনে’যায়’ – এর স্থলে ‘যান’ বসবে।
৪৯৮. Ode কী?
A. শোককবিতা
B. পত্রকাব্য
C. খন্ড কবিতা
D. কোরাস গান
ব্যাখ্যাঃ-ode’- এর আভিধানিক বা গাথাকবিতা। এটি
যেহেতু কোরাসে গাওয়া হয় তাই কোরাস গান বলা হয়।
৪৯৯. মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনি
বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
A. বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
B. আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
C. ধ্বনিবিজ্ঞানের কথা
D. ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
ব্যাখ্যাঃ-মুহম্মদ আব্দুল
হাই(১৯১৯-১৯৬৯) শিক্ষাবিদ ধ্বনিতাত্ত্বিক ও সাহিত্যিক। তার ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম ‘ধ্বন
বিজ্ঞান ও বাঙ্গা ধ্বনিতত্ত্ব(১৯৬৪)।
৫০০. জলে-স্থলে’ কী সমাস?
A. সমার্থক দ্বন্দ্ব
B. বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
C. অলুক দ্বন্দ্ব
D. একশেষ দ্বন্দ্ব
ব্যাখ্যাঃ-যে দ্বন্দ সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি সমস্তপদেঅক্ষুণ্ন থাকে তাকে অলুক দ্বন্দ সমাস বলে। যেমন; জলে-স্থলে, হাতে-কলম, দেশে -বিদেশে ইত্যাদি।
কোন মন্তব্য নেই
Thank You