ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ভূগোল
ভূগোল শব্দের ইংরেজি পরিভাষা
Geography যার উৎপত্তি Geo + graphy থেকে , Geo শব্দের অর্থ ভূমি আর graphy শব্দের
অর্থ পরিমাণ। তাই Geography অর্থ হলো ভূমির পরিমাপ। বাংলায় ভূগোল শব্দের অর্থ হল
'পৃথিবী গোলাকার'। Geography শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন গ্রিক ভূগোলবিদ-
ইরাটসথেনিস, তাকে শাস্ত্রটির জনক বলা হয়। পৃথিবীর পাহাড়, পর্বত, মালভূমি, সমভূমি
,সাগর, মহাসাগর, নদ-নদী ইত্যাদির তাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক আলোচনার নামই ভূগোল। পৃথিবী
ও পরিবেশসহ মানব জীবনের সবকিছুই ভূগোলের প্রধান আলোচ্য বিষয়।
কয়েকজন ভূগোলবিদের
সংক্ষিপ্ত পরিচয়
ইরাটসথেনিস: ভূগোলের জনক হিসেবে
পরিচিত -প্রাচীন গ্রিক ভূগোলবিদ -ইরাটসথেনিস (খ্রি.পূর্ব ২৭৬ -খ্রি. পূর্ব ১৯২
মতান্তরে ১৯৬)। তিনি একাধারে গণিতবিদ , ভূগোলবিদ , কবি, জ্যোতির্বিদ সংগীহজ্ঞ।
তিনি প্রথম Geography শব্দটি ব্যবহার করেন 'Writing about the world' অর্থে। তিনি
এর সাথে আবহাওয়া ও তাপমাত্রার পরিবর্তন বিষয়ক ধারণাও যোগ করেন। তিনি Leap day এবং
পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানের দূরত্ব নির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করেছিলেন। এছাড়া তিনি বৈজ্ঞানিক
অনুক্রম এবং মৌলিক সংখ্যা চিহ্নিতকরণ সূত্র আবিষ্কার করেন।
নিকোলাস কোপার্নিকাস: নিকোলাস
কোপার্নিকাস (১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৪৭৩ খ্রি. ২৪ মে, ১৫৪৩ খ্রি.)একজন বিখ্যাত
জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনিই প্রথম আধুনিক সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের মতবাদ প্রদান করেন।
এডুইন হাবল: এডুইন হাবল (১৮৮৯
খ্রি. -১৯৫৩ খ্রি.)একজন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি ছায়াপথ, মহাবিশ্বের
সম্প্রসারণ এবং মহাবিশ্বের আকার-আকৃতি বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ
করেছিলেন। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন যে আমরা পৃথিবী থেকে যে কুণ্ডলাকার
নীহারিকাগুলো দেখি সেগুলো প্রকৃতপক্ষে আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের মতই এক ধরনের
ছায়াপথ। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হলো -মহাবিশ্বের ক্রম সম্প্রসারণ
আবিষ্কার।
ক্লডিয়াস টলেমিয়াস : ক্লডিয়াস
টলেমিয়াস (৯০ খ্রি. -১৬৮ খ্রি.)যিনি টলেমি নামে সমধিক পরিচিত, একজন গ্রিক গণিতবিদ,
ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ ও জ্যোতিষ। তিনি রোম -শাসিত মিসরের ইজিপ্টাস নামক প্রদেশের
অধিবাসী ছিলেন, ধারণা করা হয় যে তাঁর জন্ম মিসরেই।
আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ড:
আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ড (১৪ সেপ্টম্বর , ১৭৬৯ু খ্রি. -৬মে, ১৯৫৯ খ্রি)একজন
জার্মান অভিযাত্রী ও বিজ্ঞানী। তিনি উদ্ভিজ্জ ভূগোলের উপর প্রচুর গবেষণা করেন যার
মাধ্যমে জীবভূগোলের গোড়াপত্তন ঘটে। আর তার ফলে বর্তমানে আমরা মানবীয় ভূগোল নামে
ভূগোলের একটি নব শাখার বর্ণনা পাই।
এডমন্ড থ্যালি: এডমন্ড হ্যালি (৮
নভেম্বর, ১৬৫৬ খ্রি. -১৪ জানুয়ারি , ১৭৪২ খ্রি.)ছিলেন বিখ্যাত ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী
,ভূ-পদার্থবিদ, গণিততজ্ঞ , আবহাওয়াবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী। হ্যালি ইংল্যান্ডের এক
বিত্তশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি Catalogus Stellarum Australium নামক তারা
তালিকাটি প্রকাশ করেন যাতে ৩৪২ টি দক্ষিণাঞ্চলীয় তারার বিস্তারিত তথ্য ছিল। ১৬৮৬ সালে
হ্যালি তার সেন্ট হেলেনা অভিযোগের পর্যবেক্ষণ নিয়ে করা গবেষণাপত্রের দ্বিতীয় খণ্ড
প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে তিনি বায়ুমন্ডলীয় গতির কারণ হিসেবে সৌর উষ্ণায়নের
প্রভাবকে সনাক্ত করেন। একই সাথে সমুদ্র স্তর থেকে কোন স্থানের উচ্চতা এবং
ব্যারোমেট্রিক চাপের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি।
হিপ্পার্কাস ম্যাপ:
জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত হিপ্পার্কাস এর নামানুসারে তৈরি হয়েছে
'হিপ্পার্কাস মানচিত্র' নামক মহাজাগতিক মানচিত্র। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA)।
১৯৯৩ সালে এ ত্রিমাত্রিক মানচিত্রটি তৈরি করে যাতে ১ লক্ষ ১৮ হাজার তারার অবস্থান
ও গতিপথের উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ ও অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক,
আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব
পৃথিবী বৃত্তের ন্যায় গোলাকার। গোলাকার এই বৃত্তের পরিধি ৩৬০
ডিগ্রি , ব্যাস ১২,৭৬৫ কিলোমিটার এবং ব্যাসার্ধ ৬,৪৩৬ কিলোমিটার। বিজ্ঞানীদের মতে আজ
থেকে প্রায় ৫০০ কোটি বছর পূর্বে এক মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই গ্রহটি আবির্ভাব ঘটে।
পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর তার নিজ অক্ষে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছে।
পৃথিবী নিজ অক্ষে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট এবং পৃথিবী সূর্যকে
একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। নিজ অক্ষে পৃথিবী
সর্বদা পশ্চিম হতে পূর্বে দিকে প্রদক্ষিণ করছে। এর ফলে দিন ও রাত্রি সংগঠিত হচ্ছে।
পৃথিবীর সর্বদা পশ্চিম হতে পূর্বে দিকে প্রদক্ষিণ করছে। এর ফলে দিন ও রাত্রি সংগঠিত
হচ্ছে। পৃথিবীর মোট রাষ্ট্রের সংখ্যা ২০৪ টি এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যা বেশি আফ্রিকা
মহাদেশে। তবে এই স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ১৯৩ টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য। কসোভা ও ভ্যাটিক্যান
দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র কিন্তু জাতিসংঘের সদস্য নয়। পৃথিবীকে প্রাকৃতিকভাবে প্রধানত দুইভাগে
ভাগ করা হয়েছে। যেমন: স্থলভাগ ও জলভাগ। পৃথিবীর স্থলভাগের আয়তন মোট আয়তনের ২৯ ভাগ এবং
জলভাগের আয়তন মোট আয়তনের ৭১ ভাগ। পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণ ধারণের জন্য উপযুক্ত
পরিবেশ রয়েছে। পৃথিবীর থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব -১৪,৯৫,০০,০০০ কিমি। পৃথিবীর একমাত্র
উপগ্রহ হল -চাঁদ। পৃথিবীর থেকে চাঁদের দূরত্ব- ৩,৮৪,৪০০ কিমি। পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত
- নায়াগ্রা। বিশ্বের উচ্চতম জলপ্রপাত -নায়াগ্রা। বিশ্বের উচ্চতম জলপ্রধাত -নায়াগ্রা
বিশ্বের উচ্চতম জলপ্রপাত -অ্যাঞ্জেলস। পৃথিবীর সর্বাধিক দ্বীপ রাষ্ট্র- ইন্দোনেশিয়া।
পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশ্রেণির নাম হিমালয়। পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রাবার উৎপন্ন
হয়- শ্রীলংকা ও ভারতে। পৃথিবীর বৃহত্তম রেলপথ- ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ। বিশ্বের ব্যস্ততম
সমুদ্র বন্দর- সিংঙ্গাপুর সমুদ্র বন্দর। আয়তনে ও জনসংখ্যায় পৃথিবীর ছোট দেশ- ভ্যাটিকান।
পৃথিবীর সরু রাষ্ট্র- চিলি। পৃথিবীর সর্ব দক্ষিণের নগরী- পুয়োটা ইউলিয়াম (চিলি)। পৃথিবীর
দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ- আফ্রিকা। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ - ওশেনিয়া। আয়তনে ও জনসংখ্যার
পৃথিবীর বড় মহাদেশ - এশিয়া আয়তনে ও জনসংখ্যায় পৃথিবীর ছোট মহাদেশ ওশেনিয়া।
মহাদেশ পরিচিতি
মহাদেশ |
আয়তন (বর্গ কিমি) |
লোকসংখ্যা |
স্বাধীন দেশ |
জাতিসংঘভুক্ত দেশ |
সর্বোচ্চ (মিটার) |
সর্বনিম্ন (মিটার) |
এশিয়া |
৪,৪৪,৯৩,০০০ |
৪২৯ কোটি ৮৭ লাখ |
৪৪ |
৪৪ |
মাউন্ট এভারেস্ট |
মৃত সাগর |
আফ্রিকা |
২,৯৮০০,৪৫০ |
১১১ কোটি ৬৩ লাখ |
৫৪ |
৫৪ |
কিলিমাঞ্জারো |
লেক আসাই |
উত্তর আমেরিকা |
২,৪৩,২০,১০০ |
৩৫ কোটি ৫৩ লাখ |
২৩ |
২৩ |
ম্যাককিনলে |
ডেথ ভ্যালি |
দক্ষিণ আমেরিকা |
১,৭৫,৯৯,০৫০ |
৫৮কোটি ৮৬ লাখ |
১২ |
১২ |
আকাঙ্গাগুয়া |
পেনিনসুলা |
ইউরোপ |
১,০৫,৩০,৭৫০ |
৭৪ কোটি ২৪ লাখ |
৪৮ |
৪৬ |
মাউন্ট এলবুর্জ |
কাম্পিয়ান সাগর |
ওশেনিয়া |
৭৬,৮৭,১২০ |
৩ কোটি ৮৩ লাখ |
১৪ |
১৪ |
পুঁসাক জায়া |
লেক আয়ার |
এন্টাকর্টিকা |
১,৫২,০৪,৫০০ |
৪ হাজার |
- |
- |
ভিনসন মাসিক |
বেন্টলে ট্রেড |
পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ -এশিয়া।
পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ - ওশেনিয়া। পৃথিবীর কোন দেশ দুটি মহাদেশে অবস্থিত-
রাশিয়া ও তুরঙ্ক (এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশে)। পৃথিবীর কোন শহর বা নগরটি দুটি মহাদেশে
- ইস্তাম্বুল (এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশে)। আয়তনে ইউরোপ তথা পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ -
রাশিয়া। আয়তনে ইউরোপে তথা পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ - ভ্যাটিকান। কোন দেশের সাথে
সবচেয়ে বেশি দেশের সীমানা রয়েছে -চীন। পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ- ইন্দোনেশিয়া।
আয়তনে এশিয়া তথা পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ- কাম্পিয়ান সাগর। এশিয়া তথা পৃথিবীর বৃহত্তম
সাগর- দক্ষিণ চীন সাগর। এশিয়া তথা পৃথিবীর শীতলতম স্থান - ভারখয়ানস্ক (রাশিয়া)।
এশিয়া তথা পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত- কক্সবাজার। এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশেকে
একত্রে বলা হয়- ইউরেশিয়া। পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে একই সময়ে দুজন প্রধানমন্ত্রী
দায়িত্বরত - কম্বোডিয়া।
এশিয়া মহাদেশ
Asia Coutinent
(ক)দূরপ্রাচ্য (Far
East)৬টি দেশ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
উত্তর
কোরিয়া |
পিয়ংইয়ং |
চীন |
বেইজিং |
তাইওয়ান |
তাইপে |
জাপান |
টোকিও |
দক্ষিণ
কোরিয়া |
সিউল |
মঙ্গোলিয়া |
উলানবাটোর |
(খ)দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া
(Southeast Asia)১১টি দেশ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
ভিয়েতনাম |
হ্যানয় |
মালোয়েশিয়া |
কুয়ালালামপুর,
পুত্রজায়া (প্রশাসনিক) |
সিঙ্গাপুর |
সিঙ্গাপুর |
ফিলিপাইন |
ম্যানিলা |
মায়ানমার |
নাইপিদো |
কম্বোডিয়া |
নমপেন |
পূর্ব
তিমুর |
দিলি |
||
থাইল্যান্ড |
ব্যাংকক |
ব্রুনেই |
বন্দর
সেরি বেগওয়ান |
লাওস |
ভিয়েনতিয়েন |
ইন্দোনেশিয়া |
জাকার্তা |
(গ)দক্ষিণ এশিয়া (South Asia)সার্কভুক্ত ৮টি দেশ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
বাংলাদেশ |
ঢাকা |
আফগানিস্তান |
কাবুল |
নেপাল |
কাঠমান্ডু |
পাকিস্তান |
ইসলামাবাদ |
ভারত |
নয়াদিল্লি |
মালদ্বীপ |
মালে |
ভুটান |
থিম্পু |
||
শ্রীলঙ্কা |
কলম্বো
(বাণিজ্যিক), শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্রে (প্রশাসনিক) |
(ঘ)মধ্য এশিয়া (Central Asia)৫টি দেশ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
কাজাকিস্তান১ |
আস্তানা |
তুর্কেমেনিস্তান |
আশখাবাদ |
কিরগিস্তান |
বিশকেক |
উজবেকিস্তান |
তাসখন্দ |
তাজিকিস্তান |
দুশানবে |
(ঙ)দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া
(Southewstern Asia)১৬টি দেশ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
ইরান |
তেহরান |
সংযুক্ত
আরব আমিরাত |
আবুধাবি |
কয়েত |
কুয়েতসিটি |
ইসরায়েল |
জেরুজালেম |
ইরাক |
বাগদাদ |
ইয়েমেন |
সানা |
বাহরাইন |
মানামা |
সিরিয়া |
দামাস্ক |
জর্ডান |
আম্মান |
তুরস্ক |
আঙ্কারা |
ওমান |
মাস্কাট |
লেবানন |
বৈরুত |
সৌদি
আরব |
রিয়াদ |
প্যালেস্টাইন |
জেরুজালেম |
কাতার |
দোহা |
সাইপ্রাস |
নিকোশিয়া |
ওরিয়েন্টাল অঞ্চল
(Oriental Region)
‘ওরিয়েন্ট’ অর্থ পূর্ব। ‘ওরিয়েন্ট
অঞ্চল’ বলতে পৃথিবীর পূর্ব অংশের দেশসমূহকে বোঝায়। যথা- জাপান, চীন, কোরিয়া, মালয়েশিয়া,
সিঙ্গাপুর, হংকং, কাইওয়ান, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন,
মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা।
এশিয়া মহাদেশের বিশেষ
অঞ্চলসমূহ
ইন্দোচীন |
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি উপদ্বীপ।
ভারত ও চীন এর মাঝখানে অবস্থিত। একে ফাদার ইন্ডিয়া ও বলা হয়। দেশগুলো হল ১. লাওস
২. কম্বোডিয়া ৩. ভিয়েতনাম। |
ফোর টাইগার |
এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশসমূহকে
বলা হয়। দেশগুলো হলো -১. সিঙ্গাপুর ২. হংকং ৩. তাইওয়ান ৪. দক্ষিণ কোরিয়া। |
সুপার সেভেন |
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড
+ ফোর টাইগার (১. সিঙ্গাপুর , ২. হংকং ৩. তাইওয়ান ও ৪. দক্ষিণ কোরিয়া)। |
ইস্ট এশিয়ান মিরাকল |
জাপান + সুপার সেভন (১. মালয়েশিয়া
২. ইন্দোনেশিয়া, ৩. থাইল্যান্ড, ৪. সিঙ্গাপুর , ৫. হংকং ৬. তাইওয়ান ও ৭. দক্ষিণ কোরিয়া
)। |
সেভেন সিস্টারস |
আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর,
মিজোরাম , অরুণাচল ,নাগাল্যান্ড ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এই ৭ টি রাজ্যকে একত্রে
সেভেন সিস্টারস বলা হয়। |
গোন্ডেন ট্রায়াঙ্গেল |
থাইল্যান্ড, লাওস ও মায়ানমার সীমান্তে
অবস্থিত আফিম মাদক উৎপাদনকারী অঞ্চল। |
গোন্ডেন ক্রিসেন্ট |
ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে
অবস্থিত আফিম মাদক উৎপাদনকারী অঞ্চল। |
গোন্ডেন ওয়েজ |
বাংলাদেশে , ভারত ও নেপাল সীমান্তে
অবস্থিত মাদক পাচার ও চোরাচালানের জন্য বিখ্যাত। |
গোল্ডেন ভিলেজ |
বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার ২৬ টি
গ্রাম গাঁজা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। |
ইউরোপ মহাদেশ
Europe Continent
উত্তর ইউরোপ
ক)স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ
(Scandinavian Countries)- ৫টি দেশ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
ফিনল্যান্ড |
হেলসিংকি |
সুইডেন |
স্টকহোম |
ডেনমার্ক, |
কোপেনহেগেন |
নরওয়ে |
অসলো |
ডেনমার্ক, |
কোপেনহেগেন |
নরওয়ে |
অসলো |
আইসল্যান্ড |
রিকজাভিক |
এই
৫টি দেশকে নর্ডিক অঞ্চল ও বলা হয় |
মনে রাখার কৌশল: ফিডে আসুন।
ফি- ফিনল্যান্ড, ডে - ডেনমার্ক,
আ- আইসল্যান্ড, সু - সুইডেন, ন - নরওয়ে
খ)বাল্টিক দেশসমূহ (Baltic
Countries)- ৩টি দেশ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
এস্তোনিয়া |
তাল্লিন |
লিথুয়ানিয়া |
ভিলনিয়াস |
লাটভিয়া |
রিগা |
মধ্য ইউরোপ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
চেক রিপাবলিক |
প্রাগ |
হাঙ্গেরি |
বুদাপেস্ট |
পোল্যান্ড |
ওয়ারস |
স্লোভাকিয়া |
ব্রাটিশ্লাভা |
লিচটেনস্টেইন |
ভাডাউজ |
ট্রান্স ককেশিয়ান
অঞ্চল
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
জর্জিয়া |
তিবলিসি |
আর্মেনিয়া |
ইয়েরেভান |
আজারবাইজান |
বাকু |
দক্ষিণ ওশেটিয়া দক্ষিণ ওশেটিয়া
দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে অবস্থিত সীমিত পরিসরে স্বীকৃত একটি বাধীন রাষ্ট্র। ১৯৯১ সালে
জর্জিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
পূর্ব ইউরোপ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
রাশিয়া |
মস্কো |
ইউক্রেন |
কিয়েভ |
বেলারুশ |
মিনস্ক |
মলদোভা |
কিশিনেভ |
পশ্চিম ইউরোপ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
অস্ট্রিয়া |
ভিয়েনা |
স্পেন |
মাদ্রিদ |
নেদারল্যান্ড |
আমস্টারডাম |
যুক্তরাজ্য |
লন্ডন |
ফ্রান্স |
প্যারিস |
অ্যান্ডোরা |
অ্যান্ডোরা লা ভিলা |
লুক্সেমবার্গ |
লুক্সেমবার্গ |
আয়ারল্যান্ড |
ডাবলিন |
জার্মানি |
বার্লিন |
সুইজারল্যান্ড |
বার্ন |
ইতালি |
রোম |
মোনাকো |
মোনাকো |
বেলজিয়াম |
ব্রাসেলস |
পতুর্গাল |
লিসবন |
সানম্যারিনো |
সানম্যারিনো |
ভ্যাটিকান সিটি |
ভ্যাটিকান সিটি |
দক্ষিণ ইউরোপ
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
দেশ |
রাজধানী |
আলবেনিয়া |
তিরানা |
মেসিডোনিয়া |
স্কোপজে |
ক্রোয়েশিয়া |
জাগরেব |
রুমানিয়া |
বুখারেস্ট |
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা |
সারায়েভো |
সার্বিয়া |
বেলগ্রেড |
গ্রিস |
এথেন্স |
স্লোভেনিয়া |
লুবজানা |
বুলগেরিয়া |
সোফিয়া |
মন্টিনিগ্রো |
পোডগোরিকো |
কসোভো |
প্রিস্টিনা |
মাল্টা |
ভেলেটা |
বলকান রাষ্ট্র (The Balkans):
‘বলকান’ তুর্কি শব্দ। এর অর্থ ‘এক সারি পর্বত। বলকান পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশসমূহ বলকান রাষ্ট্র নামে পরিচিত। মাল্টা ব্যতিত দক্ষিণ
ইউরোপের সবগুলো দেশই বলকান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত।
রাশিয়া
(ক)রাশিয়ান সাম্রাজ্য (১৭২১ -
১৯১৭ খ্রি.)
রাসিয়ার সম্রাদের জার বলা হতো।
রাশিয়ার প্রথম সম্রাট ছিলেন মহান পিটার দি গ্রেট। তিনি দাড়ির উপর কর
বসিয়েছিলেন।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : ১৮৫৩ সালে তুরস্কের নিয়ন্ত্রিত
দারদানেলিস প্রণালী দিয়ে যুদ্ধ জাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের
খ্রিষ্টানদের অজুহাতে অটোমান সাম্রাজ্যের তুর্কি এলাকায় রাশিয়া আক্রমণ চালালে
ক্রিমিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স তুরস্কের সাহায্যে এগিয়ে আসে। ১৮৫৪
সালে মিত্রশক্তি ক্রিমিয়ার (বর্তমানে ইউক্রেনের অংশ)অবস্থিত রাশিয়ার নৌঘাটি
আক্রমন করে। যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হয়। প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ১৮৫৬
সালে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে নাসিং ইতিহাসে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ও
পরিবর্তন ঘটেছিল। অপ্রতুল চিকিৎসা সেবা ও সৈন্যদের দুরবস্থার মধ্যে সেবার আলো হাতে
নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ান আধুনিক নাসিং এর অগ্রদূত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। তিনি দিনের
বেলা কাজ করে রাতে মোমবাতি হাতে আহতদের খোজ খবর নিতেন। ইতালীয় নাগরিক ফ্লোরেন্স
নাইটিঙ্গেলকে ‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ (The Lady with the Lamp)বলা হয়।
ভারতের নাইটেঙ্গেল |
সরোজিনী নাইডু |
আরবের নাইটেঙ্গেল |
উম্মে কুলসুম |
(খ)রুশ বিপ্লব (Russian
Revolution)- ১৯১৭ খ্রি.
‘রুশ বিপ্লব’ ১৯১৭ সালে সংঘটিত
দুইটি বিপ্লবের মিলিত নাম। যথা–
ক)১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে
(গ্রেগরিয়ান বর্ষপুঞ্জী অনুযায়ী মার্চ মাস)পেট্রোগ্রাডে শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়।
জার দ্বিতীয় নিকোলাস বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করলে রাশিয়ায় জার শাসনের
অবসান হয়। ডুমার নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ‘অস্থায়ী রাশিয়ান সরকার গঠন করেন।
খ)‘অস্থায়ী রাশিয়ান সরকার’: জনগণের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে
দেশে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের (গ্রেগরিয়ান
বর্ষপুঞ্জী অনুসারে নভেম্বর)মধ্য দিয়ে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বাধীন
বলশেভিক (কমিউনিস্ট)পার্টি ও শ্রমিক সোভিয়েতরা পেট্রোগ্রাদের অন্তবর্তীকালীন
সরকারকে উৎখাত করে রাশিয়ান সোভিয়েত ফেডারেশন সোস্যালিস্টিক রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা
করে। ইতিহাসে এটি ‘বলশেভিকবিপ্লব’ নামেও পরিচিত। সাড়া জাগানো এ
বিপ্লবের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১০
দিন।
ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন
পরিচিতি: রুশ বিপ্লবের মহান নায়ক
জন্ম: ১৮৭০ খ্রি.
মৃত্যু: ১৯২৪ খ্রি.। মরদেহ মস্কোর রেড
স্কোয়ারে লেলিন যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
লেখালেখি: Imperialism, the Highest Stage
of Capitalism (সাম্রাজ্যবাদ,পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়), The Development of
Capitalism in Russia (রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ), 'Left-Wing' Communism: An
Infantile Disorder (কমিউনিজমে‘বামপন্থা’র শিশু রোগ)।
(গ)রাশিয়ার গৃহযুদ্ধ (১৯১৭ -
১৯২২ খ্রি.)
রুশ বিপ্লবের পর ১৯১৮ সালের ১২
মার্চ রাশিয়ার রাজধানী পেট্রোগ্রাড হতে মস্কোয় স্থানান্তর করা হয়। রুশ বিপ্লব ও
রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়কালীন বিপ্লবী রুশ বাহিনী ‘রেড আর্মি' নামে খ্যাতি লাভ
করে।
(ঘ)সোভিয়েত ইউনিয়ন (১৯২২ -১৯৯১
খ্রি.)
● ১৯২২ সালে বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন’
গঠিত হয়।
● মিখাইল গর্ভাচেভ সোভিয়েত রাশিয়ার সংস্কারক। তিনি ১৯৮৫-৯১ সাল
পর্যন্ত সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯০ - ৯১ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মিখাইল গর্ভাচেভ ছিলেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট। তিনি ছিলেন Perestroika ও Glasnost নীতির
উদ্যোক্তা। Perestroika (পেরেস্ত্রইকা)শব্দের অর্থ সংস্কার বা পুনর্গঠন। ১৯৮৭ সালে
এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি চালু হয়।সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু করে। Glasnost (গ্লাস্তনস্ত)খোমেলা আলোচনা। এর
ফলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ খোলামেলাভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়। তিনি
অবাদে জমি কেনা-বেচার অনুমোদন দিয়ে ফরমান জারি করেছিলেন। গর্বাচেভকে উদ্দেশ্যে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বলেছিলেন। “আমি গর্বাচেভকে পছন্দ করি।
আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।”
● ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি
রাষ্ট্র গঠিত হয়। যথা- রাশিয়া (রুশ ফেডারেশন), মালদোভা, বেলারুশ, আজারবাইজান,
আর্মেনিয়া, কাজাকিস্তান, এ তুর্কমেনিস্তান, তাজাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, ইউক্রেন,
এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং জর্জিয়া।
কোন মন্তব্য নেই
Thank You