BCS General Science
সাধারণ বিজ্ঞান সিলেবাস
ভৌত বিজ্ঞান |
জীব বিজ্ঞান |
আধুনিক বিজ্ঞান |
০৫ |
০৫ |
০৫ |
যার ভর আছে,স্থান
দখল করে,বল প্রয়োগ করলে বাধাঁ সৃষ্টি করে এবং যা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা
যায়, তাকে পদার্থ বলে । অন্যভাবে বলা যায় চিরায়ত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে
যা কিছু কোনও স্থান বা আয়তন দখল করে এবং জড়তা (বা ভর) ও মহাকর্ষ ধর্ম প্রদর্শন করে,
তাকে পদার্থ বলে।
পদার্থের অবস্থা ও পরিবর্তন
পদার্থ
যার ভর আছে, যা কোন স্থান দখল করে
এবং অবস্থান আছে তাকে পদার্থ বলে।
বৈশিষ্ট্য |
পদার্থ |
শক্তি |
ভর |
ভর
আছে |
ভর
নাই |
স্থান
দখল |
করে। |
করে
না |
উদাহরণ |
বায়ু,
পানি |
তাপ,
বিদ্যুৎ, আলোক বা আলো |
পদার্থের
অবস্থা
পদার্থ সাধারণত ৩টি অবস্থায় থাকতে
পারে।যথা: কঠিন, তরল ও বায়বীয়।তবে পদার্থের আরও একটি অবস্থা আছে। যার নাম প্লাজমা।
কঠিন পদার্থ: কঠিন পদার্থের
নির্দিষ্ট আয়তন, আকার এবং দৃঢ়তা রয়েছে।এর অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিকটে অবস্থান করে।
যেমন: বালু, পাথর, লবন ইত্যাদি।
তরল পদার্থ: তরল পদার্থের
নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। তরল পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরের
সন্নিকটে থাকলেও তাদের মধ্যকার আকর্ষণ কঠিন পদার্থের মত প্রবল নয়। যেমন: পেট্রোল.
কেরেসিন, ভোজ্য তেল, পানি।
গ্যাসীয় পদার্থ: গ্যাসীয় পদার্থের
নির্দিষ্ট আয়তন ও নির্দিষ্ট আকার নেই। গ্যাসীয় পদার্থের অণুসমূহের দূরত্ব অনেক
বেশি তাই আকর্ষণ শক্তি অনেক কম।ফলে তারা প্রায় সম্পূর্ণ মুক্তভাবে চলাচল করে। যেমন:
অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, মিথেন।
পদার্থের তিন অবস্থায় রূপান্তরের
প্রধান কারণ তাপ।পানি একমাত্র পদার্থ যা প্রকৃতিতে কঠিন (বরফ), তরল (পানি), ও
বায়বীয় (জলীয় বাষ্প) এই তিন অবস্থাতেই পাওয়া যায়।
গলনাংক: যে তাপমাত্রায় কঠিন হতে তরল পদার্থের সৃষ্টি হয় তাকে পদার্থের গলনাংক বলে। পানির গলনাংক 0০ সেন্টিগ্রেড।
স্ফুটনাংক: যে তাপমাত্রায় তরল
পদার্থ ফুটতে থাকে তাকে স্ফুটনাংক বলে।
ঊর্ধ্বপাতন: কোনো কোনো ক্ষেত্রে
কঠিন পদার্থ উত্তপ্ত করলে তা তরলে রূপান্তরিত না হয়ে বাষ্পে সরাসরি রূপান্তরিত হয়
তখন তাকে ঊর্ধ্বপাতন বলে। উদাহরণ: কর্পুর, গন্ধক, আয়োডিন, ন্যাপথালিন, এমোনিয়াম
ক্লোরাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর্সেনিক, বেনজোয়িক এসিড প্রভৃতি।
পদার্থের শ্রেণিবিভাগ:
পদার্থের শ্রেণিবিভাগকে দুই ভাগে
ভাগ করা হয়েছে।
যথা: ১. মিশ্রণ
২. খাঁটি বস্তু
**খাঁটি বস্তু আবার দুই প্রকার। যথা: মৌল ও
যৌগ
মিশ্রন: দুই বা ততোধিক পদার্থেকে যে কোন অনুপাতে
একত্রে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত
সমাবেশকে মিশ্রণ বলা হয়। বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ। কারণ বায়ুতে উপাদান মৌল সমূহ
যেমন: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে
পাশাপাশি অবস্থান করে।
খাঁটি
বস্তু
মৌল বা মৌলিক পদার্থ: যে বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য
কোন সহজ বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না, তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলা হয়। যেমন: হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন,
সোনা, তামা, লোহা ইত্যাদি। পৃথিবীতে বর্তমানে মৌলিক পদার্ত ১১৮টি। এদের মধ্যে ৯৮টি
ম্যেল প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ২০।
সবচেয়ে হালকা
মৌল |
হাইড্রোজেন
(H) |
সবচেয়ে
হালকা মৌলিক গ্যাস |
হাইড্রোজেন
(H) |
সবচেয়ে
ভারী মৌলিক গ্যাস |
রেডন
(RN) |
যৌগ বা যৌগিক পদার্থ
যে বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ
করলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলা হয়।
যেমন: হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এ দুইটি মৌল নির্দিষ্ট ভর অনুপাতে পরস্পর যুক্ত হয়ে
পানি উৎপন্ন করে। অতএব পানি একটি যৌগিক পদার্থ।
পদার্থের
পরিবর্তন
পদার্থের পরিবর্তন দুই ধরনের।
যথা: ভৌত বা অবস্থানগত পরিবর্তন হয় এবং রাষায়নিক পরিবর্তন হয়।
ভৌত বা অবস্থানগত পরিবর্তন
যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের শুধু
বাহ্যিক আকার বা অবস্থার পরিবর্তন হয় কিন্তু নতুন কোনো পদার্থের পরিণত হয় না, তাকে
ভৌত বা অবস্থানগত পরিবর্তন বলে।
উদাহরণ:
১. পানিকে ঠাণ্ডা করে বরফে এবং
তাপ দিয়ে জলীয়বাষ্পে পরিণত করা।
২. একটি লোহর টুকরোকে চুম্বুক
দ্বারা ঘর্ষণ করে চুম্বকে পরিণত করা।
৩. তাপ দিয়ে মোম গলানো
রাসায়নিক পরিবর্তন
যে পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক
বস্তু প্রত্যেকে তার নিজস্ব সত্তা হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক
নতুন বস্তুতে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।
উদাহরণ:
১. লোহায় মরিচা ধরা। মরিচা হলো
আর্দ্র ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3. nH2O)। লোহায় মরিচা ধরার জন্য পানি ও অক্সিজেন
দরকার।
২. দুধকে চানায় পরিণত করা।
৩. চাল সিদ্ধ করে ভাতে পরিণত হয়।
৪. দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো।
আবিষ্কার |
আবিষ্কারক |
দেশ |
সময়কাল |
হাইড্রোজেন |
হেরি ক্যাভেন্ডিস |
যুক্তরাজ্য |
১৭৬৬ |
অক্সিজেন |
জে বি প্রিস্টলি |
যুক্তরাজ্য |
১৭৭৪ |
বৈদ্যুতিক কোষ |
আলেকসাড্রো ভোল্টা |
ইতালি |
১৮০০ |
পারমানবিক ভর |
জন ডাল্টন |
যুক্তরাষ্ট্র |
১৮০৩ |
তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্র |
ফ্যারাডে |
যুক্তরাজ্য |
১৮৩৪ |
শুষ্ক কোষ |
জর্জেস লেকল্যান্স |
ফ্রান্স |
১৮৬৪ |
প্লাস্টিক |
আলেকজান্ডার পার্কস |
যুক্তরাজ্য |
১৮৬২ |
একটা পরমানুর মধ্যে তিনটি মূল জিনিস থাকে। এরা হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন
এবং নিউট্রন। পরমানু নিয়ে জানার আগে এদের সম্পর্কে আমাদের ভালো করে জানতে হবে।
ইলেকট্রন
ইলেকট্রন হচ্ছে একটি কোয়ান্টাম
বস্তু বা অতি ক্ষুদ্র একটি বস্তু। এটি পরমানুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের চারদিকে নির্দিষ্ট
অরবিটে ঘুরতে থাকে। ইলেকট্রনকে তরঙ্গধর্মী বা wave particle হিসেবে কল্পনা করা হয় এবং
একে প্রকাশ করা হয় wave function হিসেবে। ইলেকট্রনের wave function আমাদের ধারনা দেয়
পরমানুতে কোন কোন জায়গায় ইলেকট্রনকে পাওয়া সম্ভব।
একটি ইলেকট্রনের ভর me =
9.11 x 10-31 kg
এবং চার্জ Qe =
- 1.6 x 10-19 C
নিউক্লিয়াস
পরমানুর কেন্দ্রে যে জায়গাটায় নিউট্রন এবং
প্রোটন থাকে সেই জায়গাকে নিউক্লিয়াস বলে। তবে এখন পর্যন্ত কেউই জানেন না
নিউক্লিয়াস দেখতে আসলে কেমন। কারন একটা পরমানুর তুলনায় নিউক্লিয়াস অত্যন্ত ছোট।
নিউট্রন এবং প্রোটনকে নিউক্লিওন
(Nucleon) বলে। ইলেকট্রনের
মত এই দুটো নিউক্লিওন গুলোও তরঙ্গের মত আচরণ করে। কিন্তু তবুও এদেরকে particle বা
কণা হিসেবে ধরা হয়। প্রোটন এবং নিউট্রন পরমানুর কেন্দ্রে খুব কম জায়গা দখল করে।
প্রোটন এবং নিউট্রনেরও ভর আছে। কিন্তু
প্রোটনের চার্জ থাকলেও নিউট্রন চার্জহীন।
প্রোটনের ভর mp= 1.673 x 10-27 kg এবং
চার্জ Qp = + 1.6 x 10-11 C
আবার নিউট্রনের ভর mn =
1.675 x 10-27 kg
নিউক্লিয়াসের ভর ইলেকট্রনের ভরের
১৮০০ গুন বেশি। তাই পরমানুর ভর বা atomic mass হিসাব করার সময় ইলেকট্রনের ভরকে
neglect করা হয়। পরমানু wave particle (তরঙ্গ এবং কণা) হিসেবে আচরণ করে বলে এর
ব্যাসার্ধ বা Radius সঠিকভাবে বের করা যায় না। তাই পরমানুর ব্যাসার্ধ বের করার
জন্য নিউক্লিয়াসের কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রন মেঘের
প্রান্ত পর্যন্ত জায়গাকে
ধরা হয়। সাধারনত হিসাবের সুবিধার জন্য নিউক্লিয়াসের radius এর মান ধরা হয়-
r = (1.5 x 10-15 m) (number of nucleons)1/3
পারমাণবিক ভর (Atomic Mass)
প্রতিটা পরমানুতে একটা নির্দিষ্ট ভর থাকে। এই
ভরকে বের করা হয় সেই পরমানুর ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন সংখ্যা ব্যবহার করে।
পরমানুর এই ভরকে Atomic Mass বলে। ইলেকট্রনের ভর অনেক নগণ্য বলে নিউক্লিয়াসে
অবস্থিত প্রোটন এবং নিউট্রনের ভরের যোগফলকেই Atomic mass হিসেবে ধরা হয়। যেহেতু একটা
পরমানুর ভর অনেক অনেক ছোট তাই এই ভরকে unified atomic mass unit দিয়ে প্রকাশ করা
হয়। এটি বের করার হিসাব হচ্ছে-
1 u (unified atomic mass unit) = 1.66054 x
10-27 kg
যদি পরমানুর এই ক্ষুদ্র ভরের ওপর আইনস্টাইনের E = mc² সূত্র প্রয়োগ করা হয় তবে এই ক্ষুদ্র পরিমান
ভর বিশাল একটা শক্তিতে পরিনত হবে। এভাবেই নিউক্লিয়ার ফিজিক্স কাজ করে।
কার্বনের সংকেত C
কার্বনের যোজ্যতা বা যোজনী 4
কার্বনের পারমাণবিক গুরুত্ব 12
কার্বন একটি অদ্ভুত মৌল – বিভিন্ন
রূপে পৃথিবীতে অবস্থান করে। একে কখনো মূল্যবান হীরক রূপে ধনীর ঘরে আবার কখনো কালো
কয়লারূপে রান্নাঘরে জ্বালানি রূপে দেখা যায়। মুক্ত অবস্থায় এবং অন্যান্য মৌলের
সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বন আছে।
ক) মুক্ত অবস্থায়
কার্বন
মুক্ত
অবস্থায় কার্বনকে হীরক এবং গ্রাফাইট রূপে স্ফটিকাকারে এবং কয়লারূপে অনিয়তাকারে
পাওয়া যায়।
খ) অন্যান্য মৌলের
সঙ্গে যুক্ত অবস্থায়
১.
প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের অপরিহার্য উপাদান হলো কার্বন।
২.
কার্বনকে হাইড্রোজেনের সঙ্গে হাইড্রোকার্বনরূপে পেট্রোলিয়াম, মার্স গ্যাস, প্রাকৃতিক
গ্যাস প্রভৃতির মধ্যে পাওয়া যায়।
৩.
অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন এর সঙ্গে কার্বনকে কার্বোহাইড্রেট রূপে চিনি, গ্লুকোজ, স্টার্চ
প্রভৃতির মধ্যে পাওয়া যায়।
৪.
অক্সিজেন, হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেনের সঙ্গে প্রোটিন এবং
৫.
কার্বনের যৌগ রূপে ডলোমাইট MgCO3, CACO3 লাইমস্টোন প্রভৃতির মধ্যে পাওয়া
যায়।
৬.
বায়ুর একটি উপাদান হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড
৭.
তেল ও চর্বি জাতীয় পদার্থের কার্বন পাওয়া যায়।
কার্বনের বহুরূপতা
অনেক সময় দেখা যায়, একই মৌলিক
পদার্থ ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট হয়।কোন কোন মৌলিক পদার্থ নিজের মূল রাসায়নিক ধর্ম
অক্ষুন্ন রেখে বিভিন্নরূপে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। একই মৌলের বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত
হওয়ার এই বিশেষ ধর্মকে বহুরূপতা বলে। মৌলিক পদার্থের বিভিন্ন রূপকে রূপভেদ বলে।এই
সব মৌলের বিভিন্ন রূপের মধ্যে ভৌত ধর্মের পার্থক্য বেশি দেখা যায়। এদের রাসায়নিক
ধর্মেও সামান্য পার্থক্য দেখা যায়।
বহুরূপতার কারণ
ক) মৌলের কেলাসন পদ্ধতির পার্থক্য।
খ) মৌলের অণুর মধ্যে পরমাণুর সংখ্যার তারতম্য হলেও বহুরূপতা দেখা যায়। যেমন
অক্সিজেন O2 এবং
ওজন O3।
গ) অণুর মধ্যে পরমাণু গুলির অবস্থানের তারতম্যের জন্য বহুরূপতা দেখা যায়। কার্বন
ও গন্ধকের বহুরূপতা এই কারণে হয়ে থাকে।
ঘ) বিভিন্ন রূপভেদের অভ্যন্তরীণ শক্তির তারতম্যের জন্য অনেক সময় বহুরূপতা দেখা
যায়। যেমন রম্বিক সালফারে তাপ প্রয়োগ করলে মনোক্লিনিক সালফারে পরিণত হয়। কাজেই
মনোক্লিনিক সালফারে অভ্যন্তরীণ শক্তি বেশি থাকে। কার্বন সালফার ফসফরাস অক্সিজেন
এবং আরও অনেক মৌলের বহুরূপতা দেখা যায়। অক্সিজেনের একটি বহু রূপ হল ওজোন গ্যাস।
কার্বনের
রূপভেদ
কার্বন প্রাকৃতিক ভাবে দুই প্রকারের হয়
ক) কেলাসাকার
খ) অনিয়তাকার
ক) কেলাসাকার কার্বনের রূপভেদ
ক. হীরক এবং
খ. গ্রাফাইট
খ) অনিয়তাকার কার্বনের রূপভেদ
১. অঙ্গার বা চারকোল, উৎস অনুসারে দুই রকমের অঙ্গার আছে যথা
প্রাণীজ অঙ্গার এবং উদ্ভিদজ অঙ্গার
• প্রাণীজ অঙ্গার দুই প্রকারের
অস্থি কয়লা এবং রক্ত কয়লা
•উদ্ভিদজ অঙ্গার দু’প্রকারের
কাঠ কয়লা এবং শর্করা কয়লা
২. ঝুল বা ভুসাকালি
৩. কোক
৪. গ্যাস কার্বন
৫. উজ্জীবিত কয়লা
ক) হীরক
দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, রাশিয়া এবং ভারতের গোলকুণ্ডাতে ফেরত পাওয়া যায়। হীরক দুই
রকম অবস্থায় পাওয়া যায়- একরকম হলো উজ্জ্বল, স্বচ্ছ কেলাসিত, প্রতিসারঙ্ক বেশি, তাই
আলো পড়লে জ্বলজ্বল করে। অন্যরকম হলো কাল অসচ্ছ- এর নাম কার্বনেডো। আপেক্ষিক গুরুত্ব
3.5।
হীরকের ব্যবহার
উজ্জ্বল দ্যুতির জন্য রত্ন রূপে ব্যবহার করা হয়। হীরক দিয়ে কাচ কাটা হয়। পাথর ছিদ্র
করা এবং পালিশ করার কাজে কার্বনেডো লাগে।
খ) গ্রাফাইট
শ্রীলংকা, সাইবেরিয়া, আমেরিকা এবং ইটালিতে পাওয়া যায়। গ্রাফাইট ধূসর বর্ণের কেলাসিত
পদার্থ ও চকচকে। স্পর্শে নরম ও পচ্ছিল। তড়িৎ পরিবহন করে। আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.25।
ব্যবহার
পেন্সিলের শীষ, উচ্চ তাপ সহ মুচি, ব্যাটারির তড়িৎ দ্বার, বৈদ্যুতিক চুল্লির তড়িৎদ্বার,
ইলেক্ট্রোটাইপ, লুব্রিকেটিং তেল, লোহার দ্রব্য ও বারুদ পালিশ করতে এবং পারমাণবিক চুল্লিতে
গ্রাফাইট ব্যবহার করা হয়।
·
১.
অঙ্গার বা চারকোল
·
অনিয়তাকার
কালো রংয়ের কঠিন পদার্থ। এর মধ্যে অনেক ছিদ্র আছে। তাপ ও তড়িৎ এর সুপরিবাহী।
·
কাঠের
গুঁড়োকে বাতাসের অবর্তমানে লোহার বকযন্ত্রে উত্তপ্ত করে অন্তর্ধূম পাতন করলে বাকযন্ত্রে
অবশেষরূপে কাঠ কয়লা পাওয়া যায়।
·
ব্যবহার
·
জ্বালানি
রূপে, বিজারক রূপে ও বারুদ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
·
শর্করা
কয়লা
·
চিনি
জাতীয় পদার্থের দ্রবণের সঙ্গে গারো সালফিউরিক এসিড যোগ করলে, গারো সালফিউরিক এসিডের
চীনির অনুর থেকে জলীয় অংশ শোষণ করে নেয়। হলে পড়ে থাকে বিশুদ্ধ কার্বন।এইভাবে যে
কয়লা পাওয়া যায় তাকে পাতিত জলের ধুলে এবং তারপরে শুষ্ক করলে বিশুদ্ধ কার্বন পাওয়া
যায়।
- ব্যবহার
- পরীক্ষাগারে বিশুদ্ধ কার্বন
রূপে শর্করা কয়লা ব্যবহৃত হয়।
- জীবজন্তুর হারকে চর্বিমুক্ত
করার পর গুঁড়ো করে অন্তর্ধূম পাতন করলে অবশেষরূপে প্রাণিজ কয়লা পাওয়া যায়।
- ব্যবহার
- চিনি শোধন, আইভরি ব্ল্যাক
নামে কালো রং প্রস্তুতিতে ব্যবহার হয়।
- ২. ভুসাকালি
- তেলকে বা প্রাকৃতিক গ্যাসকে
কম বাতাসে দহন করলে ভুসাকালি পাওয়া যায়। রান্না ঘরের ঝুল বা চোখের কাজলও ভুসা
কালি।
- ব্যবহার
- ছাপার কালি, জুতোর কালে
ও কালো রং প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
- ৩. কোক
- লোহার বকযন্ত্রে কয়লা
রেখে অন্তর্ধূমপাতন করলে অবশেষে রুপে কোক পাওয়া যায়। পাতিত দ্রব্য রূপে কোল
গ্যাস, অ্যামোনিয়া দ্রব, আলকাতরা গ্যাস কার্বন প্রভৃতি পাওয়া যায়।
- ব্যবহার
- জ্বালানি রূপে, ধাতুবিদ্যায়
বিজারক রূপে, প্রডিউসার গ্যাস, ওয়াটার গ্যাস প্রস্তুতিতে, কৃত্রিম পেট্রোল প্রস্তুতিতে
ব্যবহার হয়।
- ৪. গ্যাস কার্বন
- লোহার বকযন্ত্রে কয়লার
অন্তর্ধূম পাতনের সময় বকযন্ত্রের গায়ে কাল গুড়োর আকারে যে আস্তরণ পাওয়া যায়
তাকেই গ্যাস কার্বন বলে।
- ব্যবহার
- আর্ক আলো, ব্যাটারির তড়িৎদ্বার,
ডায়নামো এবং মোটরের ব্রাশ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
- ৫. উজ্জীবিত কয়লা
- নারকেলের খোলকে অন্তর্ধূম
পাতন করলে এই কয়লা পাওয়া যায়। এই কার্বনের গ্যাস শোষণ করার ক্ষমতা আছে।
- ব্যবহার
- গ্যাস মুখোশ প্রস্তুতিতে,
পেটের অসুখে অষুধ রূপে ব্যবহৃত হয়।
কার্বনের
বিভিন্ন রূপ ভেদগুলি দেখতে বিভিন্ন হলেও তারা প্রত্যেকেই আসলে কার্বন ছাড়া অন্য কিছু
নয় তার প্রমাণ
কার্বনের বিভিন্ন রূপভেদ গুলির
প্রত্যেকটি সমপরিমাণ নিয়ে বিশুদ্ধ এবং শুষ্ক অক্সিজেনের মধ্যে পৃথকভাবে দহন করানো
হলো। এর ফলে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বর্ণহীন গন্ধহীন গ্যাস নির্গত হয়, যা স্বচ্ছ চুন
জলকে ঘোলা করে। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রতিটি রূপভেদের দহনে কার্বন ডাই
অক্সাইড উৎপন্ন হয়। আরও দেখা গেল, প্রতিটি রূপভেদ এর দহনে উৎপন্ন কার্বন ডাই
অক্সাইডের পরিমাণ একই হয়।এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে কার্বনের রূপভেদ গুলির
প্রত্যেকে কার্বন ছাড়া অন্য কিছু নয়।
কার্বন
ইস্পাতের সুবিধাসমূহ
কার্বন ইস্পাত মূলত দুই বা ততোধিক
ধাতুর বিশেষ সংমিশ্রণ। যাতে কার্বনের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে। সহজ কথায়, এটি স্টেইনলেস
স্টিল এবং ঢালাই লোহার মিশ্রণ যা রান্না করার জন্য উপযুক্ত। কয়েকটি বিশেষ কারণে এটি
রান্না বিশেষজ্ঞের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। জেনে নিন কারণ-
বহুমুখী
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য ধাতুর
তুলনায় কার্বন ইস্পাত তাপ খুব বেশি সময় ধরে রাখে এবং অত্যন্ত টেকসই। চুলার জন্য সর্বত্র
এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি গ্রিল এবং এমনকি ক্যাম্পফায়ার রান্নার জন্য ভাল কাজ করে।
দ্রুত
গরম হয়
কার্বন ইস্পাত ঢালাই লোহার চেয়ে
দ্রুত গরম হয়ে যায়। কাস্ট-আয়রনের জন্য ১০-৩০ মিনিটের প্রিহিটিং প্রয়োজন সেখানে
কার্বন ইস্পাত কেবল ৩-৫ মিনিট সময় নেয়। এটি কেবল রান্নার সময়ই সাশ্রয় করে না, প্রচুর
জ্বালানিও সাশ্রয় করে
ননস্টিক
ঢালাই লোহার একটি অমসৃণ পৃষ্ঠ রয়েছে কিন্তু কার্বন ইস্পাতের ননস্টিক পৃষ্ঠ থাকার কারণে রান্না সহজ করে তোলে। এছাড়া কার্বন ইস্পাতের প্যানে মরিচা পড়ে না।
ওজনে
হালকা
ঢালাই লোহা বা স্টেইনলেস স্টিলের
তুলনায় কার্বন ইস্পাত পাতলা এবং হালকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ ইঞ্চি স্কিললেটের ওজন
প্রায় ৫-৬ পাউন্ড। একই আকারের একটি কার্বন ইস্পাত প্যানের ওজন ৩-৪ পাউন্ড।
স্ক্র্যাচমুক্ত
ননস্টিক প্যানের সবচেয়ে বড়
সমস্যা হলো সময়ের সাথে সাথে এগুলো আঠালো হয়ে যায় ফলে পরে ব্যবহার করা যায়না। তবে
কার্বন স্টিলের সাহায্যে প্যানটি একবার ভালো করে পলেপ দিলে এটি ননস্টিক পৃষ্ঠ দেয়
ফলে নিয়মিত ননস্টিক প্যানগুলোর তুলনায় দীর্ঘায়িত হয়।
সস্তা
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্বন স্টিলের
কথা এলে সবচেয়ে বড় পয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি হলো দামের পয়েন্ট। ঢালাই লোহা এবং কার্বন
ইস্পাত দাম একই হয়। কার্বন ইস্পাত স্টেইনলেস স্টিল প্যানের তুলনায় সস্তা।
কার্বনের বহুমুখী ব্যবহার
● বহুরূপতা হলো – প্রকৃতিতে একই
মৌলের ভিন্ন ভিন্ন রূপে অবস্থান করার প্রবণতা।
● কার্বন একটি – বহুরূপী সৌল।
● কার্বনের রূপভেদ হলো – হীরক
ও গ্রাফাইট।
● অধাতু হলেও বিদ্যুৎ পরিবহন
করে – গ্রাফাইট।
● প্রকৃতিতে সবচেয়ে শক্ত পদার্থ
হলো – হীরক।
● কাঁচ কাটতে ব্যবহৃত হয় – হীরা।
● যে মৌলের যৌগের সংখ্যা সবচেয়ে
বেশি – কার্বন।
● উড পেন্সিলের সীসরূপে ব্যবহৃত
হয় – গ্রাফাইট।
● নতুন অাবিস্কৃত যৌগ ‘বোরোজেন’
হীরক অপেক্ষা – কঠিন।
● কার্বন সবচেয়ে বেশি অাছে
– অ্যানথ্রাসাইড কয়লায়।
● একখন্ড হীরক হচ্ছে – একটি বৃহৎ
অণু।
● হীরক উজ্জ্বল দেখায় – পূর্ণ
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের জন্য।
● কয়লার মূল উপাদান – কার্বন।
● ক্যাটেনেশন ধর্ম দেখায় – কার্বন।
● পীট কয়লার বৈশিষ্ট্য – নরম
ও ভেজা।
● জৈব যৌগ হলো – কার্বন ও অন্যান্য
মৌলের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ।
● কার্বন পরমাণুবিহীন প্রায়
সকল যৌগ – অজৈব যৌগ।
● সাধারণ ড্রাইসেলে ধনাত্মক পাত
হিসেবে ব্যবহৃত হয় – কার্বনদণ্ড।
● শুষ্ক কোষে ইলেকট্রন দান করে
– কার্বনদণ্ড।
● মসৃণকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়
– গ্রাফাইট।
● পারমাণবিক চুল্লীতে নিউট্রনের
গতি হ্যাসের জন্য মন্থরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, – গ্রাফাইট।
● কালো রং হিসেবে ছাপার কালিতে
ব্যবহৃত হয় – ভুষা কয়লা।
● কার্বন হলো – একটি বিজারক পদার্থ।
● চিনি শোধন করতে ব্যবহৃত হয়
– প্রাণিজ কয়লা।
● ধাতু নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হয়
– কাঠ কয়লা।
● নরম ও সাবানের মতো পিচ্ছিল
হওয়ায় গ্রাফাইট ব্যবহৃত হয় – কলকব্জায় পিচ্ছিলকারক বা লুব্রিকেন্ট হিসেবে।
● গ্রাফাইট থেকে সীস তৈরি হয়
– কাদা মিশিয়ে।
● এক্সরের সাহায্যে চেনা যায়
– আসল না নকল হীরা।
● হীরকচূর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয়
– রং।
● অপর্যাপ্ত আবদ্ধ পাত্রে প্রাণীর
হাড় ও রক্ত রেখে তাপ প্রয়োগ করলে বিধ্বংসী পাতনের ফলে এক প্রকার কয়লা উৎপন্ন হয়
একে বলে – প্রাণিজ কয়লা।
● প্রাণিজ দেহের হাড়ের বিধ্বংসী
পাতনের ফলে উৎপন্ন কয়লাকে বলে – অস্থিজ কয়লা।
● অস্থিজ কয়লাকে HCI দ্বারা
প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় – আইভরি ব্ল্যাক।
● আইভরি ব্ল্যাক ব্যবহৃত হয়
– কালো রং হিসেবে।
হাইড্রোজেন যুক্ত যে যৌগের স্বাদ
অম্ল এবং যে যৌগের হাইড্রোজেন পরমাণুকে ধাতু বা ধাতুর মতো আচরণকারি মুলক দ্বারা
আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করা যায়, তাকে অ্যাসিড বলে।
আয়নীয় তত্ত্ব অনুযায়ী অ্যাসিডের সংজ্ঞা
যে হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ জলীয়
দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে ক্যাটায়ন রূপে শুধু H+ আয়ন দেয় সেই যৌগকে অ্যাসিড বলে। সালফিউরিক অ্যাসিড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড,
নাইট্রিক অ্যাসিড, ফসফরিক অ্যাসিড, কার্বনিক অ্যাসিড প্রভৃতি কয়েকটি প্রধান এসিড। খনিজ পদার্থ থেকে এগুলি প্রস্তুত করা হয় বলে
এদেরকে খনিজ এসিড বলে। এসিডের
জলীয় দ্রবণে H+ আয়ন ছাড়া অন্য ক্যাটায়ন
থাকে না।
HCl⇋H++Cl–
অ্যাসিটিক অ্যাসিড, ফরমিক অ্যাসিড প্রভৃতি অ্যাসিড জৈব পদার্থ থেকে পাওয়া যায়
বলে এদেরকে জৈব এসিড বলে।
অ্যাসিডের
ধর্ম
অ্যাসিডের
ধর্ম (প্রধান) হল জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করা। এই H+ আয়নের উপস্থিতির জন্য দ্রবণে
অ্যাসিডের ধর্ম প্রকাশ পায়।
ক)
এসিডের স্বাদ অম্ল হবেই। খুব পাতলা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এক ফোঁটা জিভে লাগালে টক
লাগে।
খ)
অ্যাসিড নির্দেশকের বর্ণ পরিবর্তন করে। যেমন অ্যাসিড লিটমাস কাগজকে লাল করে দেয় এবং
মিথাইল অরেঞ্জকে গোলাপী লাল রঙে কনভার্ট করে দেয়।
গ)
ক্ষার বা ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন করে যেমন হাইড্রোক্লোরিক এসিডের
সঙ্গে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর বিক্রিয়ায় সোডিয়াম ক্লোরাইড লবণ এবং জল উৎপন্ন
হয়।
HCl+NaOH=NaCl+H2O
ঘ)
ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া
হাইড্রোজেন
এর চেয়ে বেশি তড়িৎ ধনাত্মক ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়ায় এসিডের প্রতিস্থাপনযোগ্য হাইড্রোজেন,
ধাতু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে লবণ উৎপন্ন করে এবং হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়।
Mg+2HCl=MgCl2+H2
ঙ)
কার্বনেট অথবা বাই কার্বনেট লবণ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে।
H2SO4+NaCO3=NaSO4+CO2+H2Oছ)
এসিডের ক্ষারগ্রাহীতা
চ)
কোন এসিডের একটি অনুর মধ্যে যত সংখ্যক প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে সেই সংখ্যাকেই
এসিডের ক্ষারগ্রাহীতা বলে।
হাইড্রোক্লোরিক
এসিডের ক্ষারগ্রাহীতা 1। ফসফরিক এসিডের ক্ষারগ্রাহীতা 3। সালফিউরিক এসিডের ক্ষারগ্রাহীতা
2।
চ)
আয়নীয় বিয়োজনে এসিডের জলীয় দ্রবণে ক্যাটায়ন রূপে শুধু H+ বর্তমান থাকে।
তীব্র অ্যাসিড কি
যে এসিড জলীয় দ্রবণে তড়িৎ বিভাজিত হয়ে বেশি
পরিমাণ H+ আয়ন উৎপন্ন করে তাকে তীব্র
অ্যাসিড বলে। যেমন HCl, H2SO4,
HNO3
মৃদু
অ্যাসিড কি
যে এসিড জলীয় দ্রবণে তড়িৎ বিভাজিত হয়ে অল্প
সংখ্যক H+ আয়ন দেয়, তাকে মৃদু অ্যাসিড
বলে।
যেমন কার্বনিক অ্যাসিড, এসিটিক এসিড, ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
অ্যাসিডের
শনাক্তকরণ
ক)
লিটমাস দ্রবণ অ্যাসিড এর সংস্পর্শে এলে লাল হয়ে যায়। মিথাইল অরেঞ্জ নির্দেশক এসিডের
মধ্যে দু’ফোঁটা যোগ করলে এসিডের বর্ণ লাল হয়ে যায়।
‘খ)
সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবনে এসিড যোগ করলে প্রচুর বুদবুদ সৃষ্টি হয়। এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড
গ্যাস নির্গত হতে থাকে।
যে যৌগ (সাধারণত ধাতব অক্সাইড বা
হাইড্রোক্সাইড) অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক
বলে।
যেমনNa2O, MgO, Al(OH)3 প্রভৃতি।
ZnO+2HCl=ZnCl2+H2O
আয়নীয়
তত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষারের সংজ্ঞা
যেসব যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়
হাইড্রোক্সিল (OH-) আয়ন উৎপন্ন করে, এবং হাইড্রোক্সিল আয়ন ছাড়া অন্য কোন
অ্যানায়ন উৎপন্ন করে না তাদের ক্ষারক বলে।
NaO+ H2O= 2NaOH
NH3, ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড নয়, কিন্তু যেহেতু NH3 এসিডের সঙ্গে
বিক্রিয়ায় লবণ উৎপন্ন করে এবং জলীয় দ্রবণে OH– আয়ন দেয়, তাই NH3 কে ক্ষারক হিসেবে গণ্য করা হয়।
ক্ষারকের
ধর্ম
ক)
ক্ষারক নির্দেশক এর বর্ণ পরিবর্তন করে
লিটমাস
এ ক্ষারক যোগ করলে নীল বর্ণ ধারণ করে, মিথাইল অরেঞ্জ এর সাথে ক্ষারক যোগ করলে হলুদ
বর্ণ ধারণ করে, ফেনালপ্থ্যালিনের সাথে ক্ষারক যোগ করলে বর্ণহীন হয়।
খ)
জলে দ্রবণীয় ক্ষারক গুলি জলীয় দ্রবণে তড়িৎ বিয়োজিত হয়ে অ্যানায়ন রূপে কেবল OH– আয়ন উৎপন্ন করে
NaOH=Na++OH–
গ)
অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে।
NaOH
এর সঙ্গে HCl এর বিক্রিয়ায় NaCl লবণ এবং জল উৎপন্ন হয়।
Cu
এর সঙ্গে সালফিউরিক এর বিক্রিয়ায় CuSO4 লবণ এবং জল উৎপন্ন করে।
সুতরাংNaOH,
CuSO4 প্রভৃতি ক্ষারক পদার্থ।
ঘ)
ক্ষারক এর OH– আয়ন সর্বদাই এসিডের OH+ আয়নের সঙ্গে বিক্রিয়া করে
জলের অনু গঠন করে। সেই জন্য ক্ষারককে H+ আয়ন বা প্রোটন গ্রাহক বলে।
ক্ষার
যে সমস্ত ক্ষারক (ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড)
জলে দ্রবীভূত হয়, তাদের ক্ষার বলে। ক্ষারের
জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে এবং অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া দ্বারা লবণ ও জল উৎপন্ন
করে। ক্ষার দ্রবণে হাত দিলে সাবানের মত পিচ্ছিল বোধ হয়।
সব ক্ষারক জলে দ্রবণীয় না হতে
পারে, কিন্তু ক্ষার মাত্রই জলে দ্রাব্য। সুতরাং সকল ক্ষারক ক্ষার নয় কিন্তু সকল
ক্ষারই ক্ষারক। যেমন Al (OH)³ জলে
দ্রবীভূত হয় না সুতরাং এটি ক্ষারক, ক্ষার নয়।
NaOH একটি ক্ষারক, কিন্তু জলে
দ্রবীভূত হয়ে আয়নিত হয় এবং OH– আয়ন
দেয় তাই এটি ক্ষার। ক্ষারক জলে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষার উৎপন্ন করে সুতরাং সব ক্ষারই
ক্ষারক কিন্তু যেহেতু সব ক্ষারক জলে দ্রবীভূত হয় না তাই সব ক্ষারক ক্ষার নয়।
তীব্র
ক্ষার
যে ক্ষার জলীয় দ্রবণে তড়িৎ
বিভাজিত হয়ে বেশি পরিমাণে OH– আয়ন
উৎপন্ন করে তাকে তীব্র ক্ষার বলে।
যেমন সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড
প্রভৃতি তীব্র ক্ষার।
মৃদু
ক্ষার
যেসব ক্ষার জলীয় দ্রবণে তড়িৎ
বিয়জিত হয়ে কম সংখ্যাক OH– আয়ন
উৎপন্ন করে তাকে মৃদু ক্ষার বলে। যেমন
অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড NH4OH ফেরিক হাইড্রক্সাইড Fe(OH)3 ইত্যাদি।
ক্ষারক বা ক্ষারের অম্ল গ্রহীতা
কোন ক্ষারকের একটি অনুর মধ্যে যত সংখ্যক OH মূলক বর্তমান থাকে, ওই সংখ্যাকে ওই
ক্ষারের অম্ল গ্রহীতা বলে। যেমন সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড NaOHএর অম্ল গ্রহীতা 1,
ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড Ca (OH)2 এর
অম্ল গ্রহীতা 2।
দ্রাব্যতা ও দ্রাব্যতার উপর উষ্ণতার প্রভাব
ক্ষার সনাক্তকরণ
ক)
ক্ষারের জলীয় দ্রবণে দু’ফোঁটা লাল লিটমাস দ্রবণ যোগ করলে দ্রবণটি নীল হয়ে যায়।
খ)
দু-এক ফোঁটা ফেনোলফ্থলেইন দ্রবণ ক্ষার দ্রবণে যোগ করলে দ্রবণের বর্ণ লালচে বেগুনি হয়ে
যায়।
লবণের সংজ্ঞা
এসিডের প্রতিস্থাপনযোগ্য হাইড্রোজেন পরমাণু,ধাতু
বা অন্য কোনো পজিটিভ তড়িৎ গ্রস্ত মূলক দ্বারা অথবা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হয়ে
যে যৌগ উৎপন্ন করে তাকে লবণ বলে।
HCl+NaOH=NaCl+H2O
লবণ,তড়িৎ বিয়োজিত অবস্থায় হাইড্রোজেন আয়ন
ছাড়া অন্য ক্যাটায়ন এবং হাইড্রোক্সিল ছাড়া অন্য অ্যানায়ন উৎপন্ন করে।
HCl=H++Cl–
NaOH= Na++ OH–
HCl+NaOH=H2O+Na++Cl–
এখানে H+আয়ন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে NaCl লবণ উৎপন্ন করে এবংNaCl তড়িৎ বিয়োজিত
হয়ে H+এবং Cl– আয়ন উৎপন্ন
করে।
লবনের
শ্রেণীবিভাগ
ক)
সমিত বা নরমাল লবণ
কোন
অ্যাসিডের অণুতে প্রতিস্থাপনীয় সমস্ত হাইড্রোজেন পরমাণু, ধাতু বা অন্য কোনো পজিটিভ
তড়িৎগ্রস্ত মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন করে তাকে নরমাল লবণ বা সমিত
লবণ বলে।হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড থেকে উৎপন্ন সোডিয়াম ক্লোরাইড সালফিউরিক অ্যাসিড থেকে
উৎপন্ন সোডিয়াম সালফেট নর্মাল লবণের উদাহরণ।
খ)
ক্ষারকীয় লবণ
কোন
ক্ষারকের সমস্ত হাইড্রোক্সিল মূলক এসিড দ্বারা সম্পূর্ণ প্রশমিত না হয় আংশিক প্রশমিত
হওয়ার ফলে যে লবণ উৎপাদন হয় তাকে ক্ষারকীয় লবণ বলে
Pb(OH)2+HNO=Pb(OH)NO3-+H2O
ক্ষারীয়
লেড কার্বনেট Pb(OH)2, 2PbCO3 ক্ষারীয় কপার কার্বনেট CuCO3,CuOH2 প্রভৃতি ক্ষারীয় লবণের উদাহরন।
গ)
এসিড লবণ
এসিডের
প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু, ধাতু বা অন্য কোনো পজিটিভ তড়িৎগ্রস্ত মূলক দ্বারা
প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন করে তাকে এসিড লবণ বলা হয়।
H2OSO4+NaOH=NaHSO4+H2Oহাইড্রোজেন
পরমাণু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে সোডিয়াম বাই সালফেট লবনের উৎপন্ন করেছে। NaHSO4
একটি এসিড লবণ।
সোডিয়াম
বাই কার্বনেট NaHCO3, ডাই সোডিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট Na2HPO4
প্রভৃতি লবণগুলি এসিড লবণ।
ঘ)
দ্বিধাতব লবণ
অনেক
সময় দুটি লবণ নির্দিষ্ট আণবিক অনুপাতে যুক্ত হয়ে নতুন লবন সৃষ্টি করে।কঠিন অবস্থায়
এই লবণ স্থায়ী কিন্তু জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ বিয়োজিত হয়ে উপাদান লবণ আয়ন
উৎপন্ন করে। অ্যালাম K2SO4, AL (SO4)3,
24H2O ক্রম অ্যালাম K2SO4,Cr2(SO4)3,
24H2O এই জাতীয় লবণের উদাহরণ।
প্রশমন
প্রশমনের সংজ্ঞা
এসিড বা ক্ষারের মধ্যে বিক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে
ধর্ম সম্পূর্ণরূপে লোপ পেয়ে লবণ ও জল উৎপন্ন হয়। এসিড ও ক্ষারের মধ্যে এইরকম বিক্রিয়াকে
প্রশমন ক্রিয়া বলে।
তুল্য পরিমাণ এসিডের সঙ্গে তুল্য পরিমাণ ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন হয়।
উৎপন্ন দ্রবণে এসিড বা ক্ষারের ধর্ম প্রকাশ পায় না। এইরকম বিক্রিয়াকে প্রশমন
বলে।
যেমন HCl এর সঙ্গে NaOH এর বিক্রিয়ায় NaCl লবণ ও জল উৎপন্ন হয়।
HCl+NaOH=NaCl+H2O
অ্যাসিডের
দ্রবণে H+ আয়ন থাকে এবং দ্রবণে এসিডের ধর্ম এই H+ আয়নের জন্য। আবার ক্ষার দ্রবণে
OH– আয়ন
থাকে দ্রবণের ক্ষারীয় ধর্ম OH– আয়নের জন্য। জলের মধ্যে এসিডের
ধর্ম ও নাই আবার ক্ষারের ধর্ম নেই।
সুতরাং, জলীয় দ্রবণের তুল্যাঙ্ক পরিমাণে এসিড ও ক্ষার মেশালে এসিডের H+ আয়ন ও ক্ষারের OH– আয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তড়িৎ
নিরপেক্ষ জলের অণু উৎপন্ন করে। দ্রবণে অতিরিক্ত H+ আয়ন অথবা অতিরিক্ত OH– থাকে না। ফলে দ্রবণে এসিড বা
ক্ষার এর কোন কোন প্রকাশ পায় না। এই দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল, নীল লিটমাসকে লাল করে
না। এসিডের অ্যানায়ন এবং ক্যাটায়ন এর কোন পরিবর্তন হয়না।
HCl=H++Cl–
NaOH= Na++ OH–
HCl+NaOH=H2O+Na++Cl–
ল্যাবরেটরীতে এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়া ঘটানো হয় টাইট্রেশন পদ্ধতিতে।
বিলীয়মান রং
এমোনিয়া জলে দ্রবীভূত হয়ে
অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে। অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড একটি মৃদু
ক্ষার। অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর সঙ্গে সামান্য ফেনোফথ্যালিন নির্দেশক যোগ
করলে দ্রবণের বর্ণ লালচে বেগুনি হয়ে যায়। সাদা কাপড়ে এই রং দিলে কাপড়টি লালচে
বেগুনি হয়ে যায়। যেহেতু এমোনিয়া একটি গ্যাস,তাই বাতাসের সংস্পর্শে এলে ওই দ্রবণ
থেকে অ্যামোনিয়া বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যায়।এমোনিয়া না থাকায় দ্রবণের ক্ষার ধর্ম
আর থাকেনা প্রসম হয়ে যায়। প্রশম দ্রবণে ফেনোফথ্যালিন এর কোন বর্ণ নেই, তাই ওই
লালচে বেগুনি রং অদৃশ্য হয়ে যায়। কাপর্টি আবার আগের মত সাদা হয়ে যায়।
ফেনোফথ্যালিন যুক্ত অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর দ্রবণকে তাই বিলীয়মান রং বলে।
নির্দেশক
এবং প্রশমন বিক্রিয়ায় নির্দেশক এর প্রয়োজনীয়তা
কতকগুলি জৈব যৌগ আছে যাদের বর্ণ
এসিডে একরকম এবং ক্ষারে অন্যরকম হয়। এই জৈব যৌগ গুলিকে নির্দেশক বলে।টাইট্রেশন এর
সময় অ্যাসিড এবং ক্ষারের মধ্যে বিক্রিয়ায়এই নির্দেশক গুলি নিজেদের বর্ণ
পরিবর্তন করে বিক্রিয়ায় প্রশমন ক্ষন নির্দেশ করে। লিটমাস দ্রবণ, মিথাইল অরেঞ্জ,
ফেনোফথ্যালিন প্রভৃতি এই জাতীয় জৈব যৌগ। এরা নির্দেশক। দ্রবণের নির্দেশক এর বর্ণ
দেখে দ্রবণটি আম্লিক না ক্ষারীয় বা প্রশমন তা জানা যায়।
তুল্য
পরিমাণ অ্যাসিড কাকে বলে
এসিডের
যত ভাগ ওজনের একভাগ ওজনের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন থাকে তাকে তুল্য পরিমাণ এসিড
বলে।তুল্য পরিমাণ ক্ষার কাকে বলে
ক্ষারের যতভাগ ওজন এক তুল্য
পরিমাণ অ্যাসিডকে প্রশমিত করে, তাকে তুল্য পরিমাণ ক্ষার বলে।
অম্ল,ক্ষারক
ও লবণের ব্যবহার
১.
দুর্বল এসিড – যে সকল এসিড পানিতে আংশিকভাবে বিয়োজিত হয় অর্থাৎ যতগুলো এসিডের
অণু থাকে তার সবগুলো হাইড্রোজেন আয়ন(H+) তৈরি করে না। জৈব এসিডসমূহ দুর্বল এসিডের
অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণঃ এসিটিক এসিড(CH3COOH),সাইট্রিক এসিড(C6H8O7)
ও অক্সালিক এসিড(HOOC-COOH) । ব্যতিক্রমঃ কার্বোনিক এসিড(H2CO3)
ইহা জৈব এসিড নয় কিন্তু দুর্বল এসিড।
২. শক্তিশালী এসিড – যে সকল খনিজ এসিড পানিতে পুরোপুরি বিয়োজিত হয় অর্থাৎ যতগুলো
এসিডের অণু থাকে তার সবগুলো হাইড্রোজেন আয়ন (H+) তৈরি করে।উদাহরণঃ সালফিউরিক এসিড
(H2SO4),নাইট্রিক এসিড(HNO3) ও হাইড্রোক্লোরিক
এসিড(HCl)
৩. ভিটামিন সি/এসকরবিক এসিড – ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ
হয়।
৪. আম, জলপাই ইত্যাদির আচার সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় – ভিনেগার বা এসিটিক এসিড (CH3COOH)
৫. বোরহানি বা দই –এ বিদ্যমান এসিডের নাম – ল্যাকটিক এসিড; হজমে সহায়তা করে ।
৬.
পাউরুটি ফোলাতে ব্যবহৃত হয় – বেকিং সোডা। তাপ দিলে বেকিং সোডা ভেঙে কার্বন ডাই
অক্সাইড উৎপন্ন হয়, যা পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
৭. টয়লেট পরিষ্কারকের মূল উপাদান – শক্তিশালী এসিড HCl, HNO3, H2SO4
৮. সৌর প্যানেল, IPS (Instant Power Supply) বা গাড়িতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা
হয় তার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান – সালফিউরিক এসিড
৯. বোলতা/ভীমরুল ও বিচ্ছুর হুলে থাকে – হিস্টামিন নামক ক্ষারক।মলম হিসেবে ব্যবহার
করা হয় ভিনেগার বা বেকিং সোডা যেগুলো এসিড। এসিড ক্ষারক বিক্রিয়ায় জ্বালা
প্রশমিত হয়।
১০. সার কারখানায় রাসায়নিক সার যেভাবে তৈরি হয় –
ফসফরিক এসিড [H3(PO4)] থেকে – অ্যামোনিয়াম ফসফেট [(NH4)3
PO4]
সালফিউরিক এসিড থেকে – অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH4)2 SO4]
নাইট্রিক এসিড থেকে – অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট NH4 NO3
১১.
এসিড ছোড়ার শাস্তি – যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত (নারী ও শিশু
নির্যাতন আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী)
১২. pH কী – কোনো একটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রার[H+] নেগেটিভ
লগারিদমকে pH বলে। pH এর মান কোনো দ্রবণের অম্ল,ক্ষারক বা নিরপেক্ষতা নির্দেশ করে।
যেমনঃ
কোনো দ্রবণের pH = ৭ হলে তা নিরপেক্ষ জলীয় দ্রবণ বা বিশুদ্ধ পানি হবে ।
কোনো দ্রবণের pH < ৭ হলে তা অম্লীয় বা এসিডীয় দ্রবণ ।
কোনো দ্রবণের pH > ৭ হলে তা ক্ষারীয় দ্রবণ।
১৩. আমাদের ধমনীর রক্তের pH – প্রায় ৭.৪(~০.৪ হেরফের হলে মারাত্মক বিপর্যয় এমনকি
মৃত্যু হতে পারে)
১৪. জিহ্বার লালার সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় pH হলো – ৬.৬
১৫. আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করতে দরকারি pH হলো – ২ (~০.৫ হেরফের হলে বদহজম
সৃষ্টি করে)
১৬.আমাদের
প্রসাবের স্বাভাবিক pH হলো- ৭ এর কম
১৭. মাটির pH – ৪ থেকে ৮ হয়ে থাকে।
১৮. নবজাতক শিশুর ত্বকের pH – ৭ এর কাছাকাছি
১৯. এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় – নিরপেক্ষ পদার্থ লবণ এবং পানি
২০. ক্ষারক লাল বর্ণের লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন করে নীল করে।
ক্ষারক কমলা বর্ণের মিথাইল অরেঞ্জের রং পরিবর্তন করে হলুদ করে।
ক্ষারক লাল বর্ণের মিথাইল রেডের রং পরিবর্তন করে হলুদ করে।
ক্ষারক বর্ণহীন ফেনলফথ্যালিনের রং পরিবর্তন করে গোলাপি করে; ফেনলফথ্যালিন (Phenolphthalein)
একটি বর্ণহীন দুর্বল এসিড।
কোন মন্তব্য নেই
Thank You