নোবেল পুরস্কার ২০২৫
 
  নোবেল পুরস্কার ২০২৫
বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নোবেল পুরস্কার। মানবসভ্যতার কল্যাণে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। গবেষণা, উদ্ভাবন, চিন্তা ও মানবকল্যাণে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, তাঁদেরই এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
নোবেল পুরস্কার প্রতিষ্ঠা করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী, রসায়নবিদ ও উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেল (Alfred Nobel)। ১৮৯৫ সালে তিনি তাঁর উইলে উল্লেখ করেন, মৃত্যুর পর তাঁর সম্পদের একটি অংশ ব্যবহার করে এমন একটি পুরস্কার চালু করা হোক, যা প্রতিবছর মানবকল্যাণে অসামান্য অবদানের জন্য প্রদান করা হবে। তাঁর এই ইচ্ছার ফলেই ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।
প্রথমদিকে পাঁচটি ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হতো —
- পদার্থবিজ্ঞান (Physics)
- রসায়ন (Chemistry)
- চিকিৎসাবিজ্ঞান বা শারীরবিদ্যা (Physiology or Medicine)
- সাহিত্য (Literature)
- শান্তি (Peace)
পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতি (Economic Sciences) বিভাগটি যুক্ত হয়, যা “The Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel” নামে পরিচিত।
বর্তমানে মোট ছয়টি ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় — পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতি।
২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার
- বিজয়ী: মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল, শিমন সাগাগুচি
- অবদান: পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণা।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার
- বিজয়ী: জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট, জন এম মার্টিনিস
- অবদান: কোয়ান্টাম টানেলিং ও এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণা।
রসায়নে নোবেল পুরস্কার
- বিজয়ী: সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন, ওমর এম. ইয়াগি
- অবদান: মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (MOFs) উন্নয়ন।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
- বিজয়ী: লাজলো ক্রাজনাহরকাই
- অবদান: শিল্পের শক্তিতে বিশ্বাস জাগানো অনুপ্রেরণাদায়ী সাহিত্যকর্ম।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার
- বিজয়ী: মারিয়া কোরিনা মাচাদো
- অবদান: ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস সংগ্রাম।
নোবেল পুরস্কারের সারসংক্ষেপ:
| বিভাগ | তারিখ | প্রদানের সংস্থা | বিজয়ী | কৃতিত্ব | 
|---|---|---|---|---|
| চিকিৎসাবিজ্ঞান | ৬ অক্টোবর | নোবেল অ্যাসেম্বলি | মেরি ই. ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল, শিমন সাগাগুচি | পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স আবিষ্কারের জন্য। | 
| পদার্থবিজ্ঞান | ৭ অক্টোবর | রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস | জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট, জন এম. মার্টিনিস | কোয়ান্টাম টানেলিং ও এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন আবিষ্কারের জন্য। | 
| রসায়ন | ৮ অক্টোবর | রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস | সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন, ওমর এম. ইয়াগি | মেটাল–অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস বিকাশের জন্য। | 
| সাহিত্য | ৯ অক্টোবর | সুইডিশ একাডেমি | লাসলো ক্রাসনাহরকাই | শিল্পের শক্তিকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে এমন সাহিত্যকর্মের জন্য। | 
| শান্তি | ১০ অক্টোবর | নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি | মারিয়া কোরিনা মাচাদো | গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের জন্য। | 
| অর্থনীতি | ১৩ অক্টোবর | রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস | জোয়েল মকিয়ার, ফিলিপ আগিওন, পিটার হাওইট | “Creative Destruction” তত্ত্ব প্রণয়ন ও উদ্ভাবননির্ভর প্রবৃদ্ধির ব্যাখ্যার জন্য। | 

 


কোন মন্তব্য নেই
Thank You