সমাস মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক - ZerO to Infinity

Header Ads

সমাস মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক

 


সমাস: জিরো টু ইনফিনিটি | সম্পূর্ণ ধারণা, প্রকারভেদ ও বিস্তারিত আলোচনা

সমাস: জিরো টু ইনফিনিটি | বাংলা ব্যাকরণ সম্পূর্ণ আলোচনা

পোস্ট করেছেন: রাইসুল ইসলাম হৃদয় (জিরো টু ইনফিনিটি টেলিগ্রাম পেইড গ্রুপ)

সমাস কাকে বলে?

সমাস শব্দের অর্থ হলো: সংক্ষেপ, মিলন, বা একাধিক পদের একপদীকরণ। ব্যাকরণের যে প্রক্রিয়ায় অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দ বা পদ একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠন করে, সেই প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।

  • মহান যে রাজা = মহারাজ
  • দেশের সেবা = দেশসেবা
  • তুষারের ন্যায় শুভ্র = তুষারশুভ্র
  • মা ও বাবা = মা-বাবা

📌 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: সমাসের রীতি সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে।


সমাসের বিভিন্ন পরিভাষা

সমাস বুঝতে গেলে কিছু পরিভাষা জানা অত্যন্ত জরুরি:

  • সমস্ত পদ: সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদটির নাম হলো সমস্ত পদ
  • সমস্যমান পদ: যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেককে সমস্যমান পদ বলে।
  • পূর্বপদ: সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ বা শব্দকে বলা হয় পূর্বপদ
  • পরপদ (বা উত্তরপদ): সমাসযুক্ত পদের পরবর্তী অংশ বা শব্দকে বলা হয় উত্তরপদ বা পরপদ
  • সমাসবাক্য, ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য: সমস্ত পদকে ভেঙে যে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম সমাসবাক্য, ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য

সমাস কত প্রকার?

সমাস প্রধানত ছয় প্রকার। যথা:

  1. দ্বন্দ্ব সমাস
  2. কর্মধারয় সমাস
  3. তৎপুরুষ সমাস
  4. বহুব্রীহি সমাস
  5. দ্বিগু সমাস
  6. অব্যয়ীভাব সমাস

বিশেষ দ্রষ্টব্য: অনেক ব্যাকরণবিদ দ্বিগু সমাসকে কর্মধারয় সমাসের এবং কর্মধারয় সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন। সে ক্ষেত্রে সমাস মূলত চারটি (দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, অব্যয়ীভাব)।

অপ্রধান সমাস

প্রধান ছয় প্রকারের বাইরেও কিছু অপ্রধান সমাস রয়েছে, যেমন: প্রাদি সমাস, অলুক সমাস, নিত্য সমাস ইত্যাদি।


১. দ্বন্দ্ব সমাস (প্রত্যেকটি পদের অর্থের প্রাধান্য)

যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। এই সমাসের ব্যাসবাক্যের মধ্যে সাধারণত 'আর', 'ও', এবং 'এবং' অব্যয়গুলো থাকে।

  • রাজা ও বাদশা = রাজাবাদশা
  • দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম
  • নয় ও ছয় = নয়ছয়

বিভিন্ন প্রকার দ্বন্দ্ব সমাস:

  • সমার্থক শব্দযোগে: ঘর-দুয়ার, হাট-বাজার, কল-কারখানা।
  • বিরোধার্থক শব্দযোগে: অহি-নকুল, দা-কুমড়া, স্বর্গ-নরক।
  • বিপরীতার্থক শব্দযোগে: ছোট-বড়, আয়-ব্যয়, জমা-খরচ।
  • মিলনার্থক শব্দযোগে: মাসি-পিসি, মা-বাপ, জ্বিন-পরি।
  • অঙ্গবাচক শব্দযোগে: নাক-কান, বুক-পিঠ, হাত-পা।
  • সংখ্যাবাচক শব্দযোগে: সাত-সতের, নয় ছয়, উনিশ-বিশ।
  • দুটি ক্রিয়াযোগে: চলা-ফেরা, দেখা-শোনা, যাওয়া-আসা।
  • দুটি সর্বনামযোগে: যে-সে, যা-তা, তুমি-আমি।
  • দুটি বিশেষণযোগে: আসল-নকল, ভালো-মন্দ, কম-বেশি।

অলুক দ্বন্দ্ব সমাস:

যে দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ হয় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে।

  • হাতে ও কলমে = হাতে-কলমে
  • দুধে ও ভাতে = দুধে-ভাতে
  • দেশে ও বিদেশে = দেশে-বিদেশে

২. কর্মধারয় সমাস (পরপদের অর্থের প্রাধান্য)

বিশেষণ পদের সাথে বিশেষ্য পদের সমাস হলে কর্মধারয় সমাস হয়। এই সমাসে পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়। ব্যাসবাক্যের মাঝে সাধারণত 'যে', 'যিনি', 'যে-সে', 'তিনি' প্রভৃতি থাকে।

  • মহান যে নবী = মহানবী
  • যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজ সাহেব
  • কাঁচা অথচ মিঠা = কাঁচামিঠা
  • সিদ্ধ যে আলু = আলুসিদ্ধ (বিশেষণ পরে এসেছে)

বিভিন্ন প্রকার কর্মধারয় সমাস:

কর্মধারয় সমাসকে চারটি উপবিভাগে ভাগ করা যায়:

মধ্যপদলোপী কর্মধারয়:

যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়

  • স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
  • সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন

উপমান কর্মধারয়:

সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়। উপমান অর্থ তুলনীয় বস্তু। ব্যাসবাক্যের মাঝে সাধারণত 'ন্যায়', 'তুল্য', 'মত' প্রভৃতি থাকে।

  • মিশির ন্যায় কালো = মিশকালো (মিশ ও কালোর সাধারণ ধর্ম 'কালো')
  • তুষারের ন্যায় শুভ্র = তুষারশুভ্র

উপমিত কর্মধারয়:

সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয়। এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে এবং ব্যাসবাক্যের শেষে 'ন্যায়', 'তুল্য' প্রভৃতি থাকে।

  • পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ
  • মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ

রূপক কর্মধারয়:

উপমেয় ও উপমানের মধ্যে অভিন্নতা বা অভেদ কল্পনা করা হলে রূপক কর্মধারয় হয়। ব্যাসবাক্যের মধ্যে 'রূপ' শব্দটি থাকে।

  • মন রূপ মাঝি = মনমাঝি
  • বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু
  • ক্রোধ রূপ অনল = ক্রোধানল

৩. তৎপুরুষ সমাস (পরপদের অর্থের প্রাধান্য ও বিভক্তি লোপ)

পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যে বিভক্তির চিহ্ন লোপ পায়, সেই প্রকারের তৎপুরুষ সমাস হয়।

  • বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন (দ্বিতীয়া বিভক্তি 'কে' লোপ)
  • রাজার পুত্র = রাজপুত্র (ষষ্ঠী বিভক্তি 'র' লোপ)

তৎপুরুষ সমাস নয় প্রকার:

দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, যষ্ঠী, সপ্তমী, নঞ, উপপদ ও অলুক তৎপুরুষ সমাস।

বিভিন্ন বিভক্তি-নির্ভর তৎপুরুষ:

  • দ্বিতীয়া তৎপুরুষ (কে, রে লোপ): দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত; চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী = চিরসুখী (ব্যাপ্তি অর্থে)।
  • তৃতীয়া তৎপুরুষ (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক লোপ): মন দিয়ে গড়া = মনগড়া; বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন; এক দ্বারা ঊন = একোন (ঊন/হীন/শূন্য উত্তরপদ হলে)।
  • চতুর্থী তৎপুরুষ (কে, জন্য, নিমিত্ত লোপ): গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি; বসতের নিমিত্ত বাড়ি = বসতবাড়ি
  • পঞ্চমী তৎপুরুষ (হতে, থেকে লোপ): বিলাত থেকে ফেরত = বিলাতফেরত; জেল থেকে মুক্ত = জেলমুক্ত (চ্যুত, ভীত, মুক্ত ইত্যাদি পরপদ হলে)।
  • ষষ্ঠী তৎপুরুষ (র, এর লোপ): খেয়ার ঘাট = খেয়াঘাট; চায়ের বাগান = চাবাগান; দিনের অর্ধ = অর্ধদিন (অর্ধ পরে থাকলে)।
  • সপ্তমী তৎপুরুষ (এ, য়, তে লোপ): গাছে পাকা = গাছপাকা; পূর্বে অদৃষ্ট = অদৃষ্টপূর্ব (কোনো কোনো সময় পরপদ সমস্তপদের পূর্বে আসে)।

নঞ তৎপুরুষ:

না-বাচক নঞ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে তৎপুরুষ সমাস হয়।

  • ন আচার = অনাচার
  • ন কাতর = অকাতর
  • বে (নাই) তাল = বেতাল

উপপদ তৎপুরুষ:

কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদের যে সমাস হয়, যেখানে উপপদ হলো সেই পদ, যার পরবর্তী ক্রিয়াপদের মূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়।

  • জল দেয় যে = জলদ
  • পঙ্কে জন্মে যা = পঙ্কজ
  • পকেট মারে যে = পকেটমার

অলুক তৎপুরুষ:

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের দ্বিতীয়াদি বিভক্তি লোপ হয় না

  • গায়ে পড়া = গায়েপড়া
  • গরুর গাড়ি = গরুর গাড়ি

৪. বহুব্রীহি সমাস (অন্য পদের অর্থের প্রাধান্য)

যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো তৃতীয় পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। ব্যাসবাক্যের শেষে সাধারণত 'যে' বা 'যার' থাকে।

  • দশ আনন (মাথা) আছে যার = দশানন
  • মহান আত্মা যার = মহাত্মা

বহুব্রীহি সমাসের প্রকারভেদ (আট প্রকার):

  • সমানাধিকরণ বহুব্রীহি: পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য হলে (যেমন: হত হয়েছে শ্রী যার = হতশ্রী, নীলকণ্ঠ যার = নীলকণ্ঠ)।
  • ব্যতিহার বহুব্রীহি: ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে হয়। পূর্বপদে 'আ' এবং উত্তরপদে 'ই' যুক্ত হয় (যেমন: হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা = কানাকানি)।
  • নঞ বহুব্রীহি: বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে সমাস করা হলে (যেমন: ন (নাই) জ্ঞান যার = অজ্ঞান, বে (নাই) হেড যার = বেহেড)।
  • অলুক বহুব্রীহি: পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না (যেমন: গলায় গামছা যার = গলায়গামছা, মাথায় পাগড়ি যার = মাথায়পাগড়ি)।
  • মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি: ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ সমস্তপদে লোপ পায় (যেমন: হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি, গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = গায়ে হলুদ)।
  • সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি: পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমস্তপদটি বিশেষণ বোঝালে (যেমন: চৌ (চার) চাল যে ঘরের = চৌচালা)।

নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাস:

যেগুলো কোনো নিয়ম মানে না।

  • দু দিকে অপ (জল) যার = দ্বীপ
  • পণ্ডিত হয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিতমূর্খ

৫. দ্বিগু সমাস (সংখ্যা ও সমাহার)

ব্যাসবাক্যের প্রথমে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকলে এবং সমাহার বা মিলন বুঝালে দ্বিগু সমাস হয়।

  • শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
  • তিন মাথার সমাহার = তেমাথা
  • চার রাস্তার সমাহার = চৌরাস্তা

৬. অব্যয়ীভাব সমাস (অব্যয়ের অর্থের প্রাধান্য)

পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। এটি সামীপ্য, বিপ্‌সা (পুনরাবৃত্তি), অভাব, পর্যন্ত, সাদৃশ্য প্রভৃতি নানা অর্থে সাধিত হয়।

  • কণ্ঠের সমীপে = উপকণ্ঠ (সামীপ্য অর্থে)
  • মরণ পর্যন্ত = আমরণ (পর্যন্ত অর্থে)
  • আমিষের অভাব = নিরামিষ (অভাব অর্থে)
  • দিন দিন = প্রতিদিন (বিপসা অর্থে)
  • বেলাকে অতিক্রান্ত = উদ্বেল (অতিক্রান্ত অর্থে)

অপ্রধান সমাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা

প্রাদি সমাস:

প্র, পরি, প্রতি, অনু প্রভৃতি উপসর্গ পূর্বপদে থাকলে সাধারণত প্রাদি সমাস হয়।

  • প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) গতি = প্রগতি
  • অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ

নিত্যসমাস:

যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না বা সাধারণ ব্যাসবাক্য দ্বারা বোঝানো যায় না, তাকে নিত্যসমাস বলে।

  • তুমি আমি ও সে = আমরা
  • অন্য গৃহ = গৃহান্তর
  • কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র
সমাস মনে রাখার শর্টকাট

বাংলা ব্যাকরণ: সমাস মনে রাখার সেরা শর্টকাট টেকনিক ও টিপস

সমাসকে অনেকেই কঠিন মনে করেন, তবে কিছু সহজ কৌশল, শর্টকাট টেকনিক এবং একটি দারুণ ছন্দের মাধ্যমে সমাসকে খুব সহজেই আয়ত্ত করা সম্ভব। ছাত্রছাত্রী এবং চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই টিপসগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

১. এক পলকে সমাস চেনার শর্টকাট রুলস

ব্যাসবাক্য বা সমস্তপদ দেখেই দ্রুত সমাস চিনতে এই কৌশলগুলো কাজে দেবে:

  • 🎯 দ্বন্দ্ব সমাস: **এবং, ও, আর** (৩টি অব্যয়) থাকলে দ্বন্দ্ব সমাস।
  • 🎯 **অলুক দ্বন্দ্ব:** ব্যাসবাক্যে **'এ' (ে) ও 'ও' (ো)** বিভক্তি (হাতে-পায়ে, দুধেভাতে) থাকলে অলুক দ্বন্দ্ব।
  • 🎯 **দ্বিগু সমাস:** ব্যসবাক্যে **“সমাহার”** থাকলে দ্বিগু সমাস।
  • 🎯 **নঞ তৎপুরুষ:** সমস্তপদের শুরুতে **‘ন’ (নঞর্থক)** থাকলে নঞ তৎপুরুষ।
  • 🎯 **উপপদ তৎপুরুষ:** সমস্তপদের শেষে **“যা”/“যে”** থাকলে উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
  • 🎯 **অলুক তৎপুরুষ:** সমস্তপদ ও ব্যাসবাক্যে **বিভক্তির পরিবর্তন না হলে** অলুক তৎপুরুষ।
  • 🎯 **কর্মধারায় সমাস:** ব্যসবাক্যের মাঝে **“যে”/“যিনি”** থাকলে সাধারণ কর্মধারায় সমাস।
  • 🎯 **মধ্যপদলোপী কর্মধারায়:** মাঝে বিভক্তি বা একটি পদ **লোপ পেলে** মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস।
  • 🎯 **উপমান কর্মধারায়:** মাঝে **“ন্যায়”** বা **"মতো"** থাকলে (তুলনা দৃশ্যমান) উপমান কর্মধারায় সমাস।
  • 🎯 **উপমিত কর্মধারায়:** শেষে **“ন্যায়”** বা **"মতো"** থাকলে (তুলনা অদৃশ্য) উপমিত কর্মধারায় সমাস।
  • 🎯 **রূপক কর্মধারায়:** মাঝে **“রূপ”** থাকলে রূপক কর্মধারায়।
  • 🎯 **বহুব্রীহি সমাস:** শেষে **“যার”** থাকলে (অন্য পদকে বোঝাবে) বহুব্রীহি সমাস।
  • 🎯 **ব্যতিহার বহুব্রীহি:** **হাতাহাতি, কানাকানি** ইত্যাদি (একই ক্রিয়ার আদান-প্রদান) থাকলে ব্যতিহার বহুব্রীহি।
  • 🎯 **অব্যয়ীভাব সমাস:** **পর্যন্ত, অভাব, সমীপে, অতিক্রম, সদৃশ** ইত্যাদি অব্যয়ের অর্থ প্রাধান্য পেলে অব্যয়ীভাব সমাস।
  • 🎯 **প্রাদি সমাস:** সমস্তপদের শুরুতে **প্র, পরা, প্রতি, অনু** (উপসর্গ) থাকলে প্রাদি সমাস।
  • 🎯 **নিত্য সমাস:** **“অন্য”** দিয়ে বা অন্য কোনো পদ দিয়ে সমাস হলে নিত্য সমাস।

২. সমাস মনে রাখার ছন্দে গাঁথা সহজ সূত্র

ও-এবং-আর মিলে যদি হয় **“দ্বন্দ্ব”**,
সমাহারে **“দ্বিগু”** হলে নয় সেটা মন্দ।।
যে-যিনি-যেটি-যেটা- তিনি **“কর্মধারায়”**,
যে-যার শেষে থাকলে তারে **“বহুব্রীহি”** কয়।।
অব্যয়ের অর্থ প্রাধান্য পেলে **“অব্যয়ী”** মেলে,
বিভক্তি লোপ পেলে **“তৎপুরুষ”** তাকে বলে।।

৩. সমাসের প্রকারভেদ (কত প্রকার উত্তর করবেন?)

সমাস প্রধানত **৬ প্রকার**:

  1. দ্বন্দ্ব সমাস
  2. দ্বিগু সমাস
  3. কর্মধারয় সমাস
  4. বহুব্রীহি সমাস
  5. অব্যয়ীভাব সমাস
  6. তৎপুরুষ সমাস

[অনেক ব্যাকরণবিদ দ্বিগু ও কর্মধারয় সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। তাই পরীক্ষায় সমাস কত প্রকার প্রশ্ন আসলে উত্তর করতে হবে **৪টি**।]

৪. ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয় (বারবার আসা উদাহরণ)

কর্মধারয় সমাসের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ

সমাসের নামপ্রদত্ত শব্দব্যাসবাক্য
মধ্যপদলোপীসিংহাসনসিংহ চিহ্নিত আসন
শিক্ষামন্ত্রীশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী
পলান্নপল মিশ্রিত অন্ন
ডাকবাক্সডাক ফেলার বাক্স
উপমানকুসুমকোমলকুসুমের মতো কোমল
শশব্যস্তশশকের ন্যায় ব্যস্ত
কাজলকালোকাজলের মতো কালো
তুষারশীতলতুষারের ন্যায় শীতল
উপমিতফুলকুমারীকুমারী ফুলের ন্যায়
মুখচন্দ্রমুখ চন্দ্রের ন্যায়
চরণকমলচরণ কমলের ন্যায়
রূপকমোহনিদ্রামোহ রূপ নিদ্রা
মনমাঝিমন রূপ মাঝি
বিষাদসিন্ধুবিষাদ রূপ সিন্ধু

তৎপুরুষ সমাসের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ

বিভিক্তিপ্রদত্ত শব্দব্যাসবাক্য
দ্বিতীয়াদুঃখপ্রাপ্তদুঃখকে প্রাপ্ত
দ্বিতীয়াচিরসুখীচিরকাল ব্যাপী সুখী
তৃতীয়াবাকবিতণ্ডাবাক দ্বারা বিতন্ডা
তৃতীয়ামনগড়ামন দ্বারা গড়া
চতুর্থীতপোবনতপের নিমিত্তে বন
চতুর্থীজীবনবীমাজীবনের জন্য বিমা
উপপদপঙ্কজপঙ্কে জন্মে যা

দ্বন্দ্ব ও বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ

সমাসের নামপ্রদত্ত শব্দব্যাসবাক্য
দ্বন্দ্বদম্পতিজায়া ও পতি
অলুক দ্বন্দ্বসাপে–নেউলেসাপে ও নেউলে
বহুব্রীহিদশাননদশ আনন যাহার
ব্যতিহার বহুব্রীহিলাঠালাঠিলাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই
নঞ বহুব্রীহিনিঃসহায়নেই সহায় যার

৫. বিভিন্ন ব্যাংক পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহ

  • **সমাস শব্দের অর্থ কি:** সংক্ষেপণ।
  • **সমাস ভাষাকে:** সংক্ষিপ্ত করে।
  • **সমাস কত প্রকার:** ৪টি।
  • **কদর্থ** কোন সমাস: **কর্মধারয়**।
  • **চৌরাস্তা** কোন সমাস: **দ্বিগু** সমাস।
  • **দশ আনন যাহার – দশানন** কোন সমাস: **বহুব্রীহি** সমাস।
  • **গায়ে হলুদ’** কোন সমাসের অন্তর্গত: **অলুক তৎপুরুষ**। (বি.দ্র. এটি অলুক বহুব্রীহিও হতে পারে, তবে প্রশ্নে তৎপুরুষ বলা হয়েছে)
  • **তুষার শুভ্র’** কোন সমাসের উদাহরণ: **উপমান কর্মধারয়**।
  • **সংবাদপত্র** কোন সমাস: **মধ্যপদলোপী কর্মধারয়**।
  • **আরক্তিম’** কোন সমাস: **অব্যয়ীভাব** সমাস। (ব্যাসবাক্য: ঈষৎ রক্তিম)

🎓 বিশেষ অফার!

একাডেমিক ওয়ার্ড ফাইল কিনুন

মাত্র ২৯৯/- টাকা!

বিস্তারিত জানতে এবং অর্ডার করতে যোগাযোগ করুন:

📧 ইমেইল করুন: raysulislamredoy@gmail.com 🟢 WhatsApp: 01300430768
যোগাযোগ করুন: WhatsApp 01300430768

🎉 বিশেষ অফার 🎉

আমরা দিচ্ছি স্বল্পমূল্যে একাডেমিক Editable Word File যা আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে এডিট করতে পারবেন। নিচে আমাদের প্যাকেজের মূল্য তালিকা দেওয়া হলো। আপনি চাইলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাকেজটি কিনতে পারবেন।

প্যাকেজের নাম মূল্য তালিকা যা থাকবে
গণিত প্যাকেজ ১৯৯/- ৩য় থেকে ১২শ শ্রেণির গণিতের Word File
বিজ্ঞান প্যাকেজ ২৩৫/- ৪র্থ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বিজ্ঞান বিষয় Word File
ক্লাস ০৬–১০ (মাইক্রো) ২৯৯/- সকল সাবজেক্ট Word File + ফ্রি আপডেট
ক্লাস ০৬–১২ (মিনি) ৩৯৯/- সকল সাবজেক্ট Word File + ফ্রি আপডেট
ক্লাস ১–১২ (ফুল প্যাকেজ) ৪৯৯/- সকল সাবজেক্ট Word File + ফ্রি আপডেট
জব ও এডমিশন প্যাকেজ ১৫০/- ভার্সিটি ভর্তি+প্রাইমারি+বিসিএস+নিবন্ধন Word File + ১০০ জব ইবুক + ফ্রি আপডেট
Job Preparation Paid Ebooks ১৯৯/- সকল জবের জন্য বেসিক + শর্ট নোট
English Grammar ৯৯/- Class 6 to HSC English Grammar Topics

✅ এই ফাইলগুলো দরকার হবে –
১। কোচিং সেন্টার
২। প্রাইভেট টিউটর

✨ প্রতিটি প্যাকেজে থাকবে সবগুলো সাবজেক্ট এর সমাধান। বোনাস হিসেবে পাবেন আমাদের তৈরি করা বিশেষ Job Hand Notes

⚠️ বিঃদ্রঃ যাদের পিসি নাই তারা কিনবেন না, কারণ ফাইলগুলো Word format (.docx)।

🆓 আমাদের কাছ থেকে একবার কিনলে লাইফটাইম ফ্রি আপডেট পাবেন। আপডেট সরাসরি আপনার ইমেইলের Google Drive ফোল্ডারে শেয়ার করা হবে।

💳 কিভাবে কিনবেন?

👉 বিকাশ/নগদ/উপায় থেকে আমাদের পার্সোনাল নাম্বার 01974581611 এ টাকা প্রেরণ করুন।
👉 রেফারেন্স হিসেবে প্যাকেজের নাম লিখবেন।
👉 এরপর স্ক্রিনশট নিয়ে আমাদের অফিসিয়াল WhatsApp: 01300430768 এ পাঠান।
✅ আমরা সাথে সাথে আপনার Google Drive Access দিয়ে দেব এবং প্রয়োজনীয় ফন্ট শেয়ার করব।

কোন মন্তব্য নেই

Thank You

New Posts

বাংলা সাহিত্য সম্ভার

  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, যুগবিভাগ ও প্রাচীন যুগ Download বাংলা সাহিত্য বাংলা ভাষায় রচিত সাহি...

fpm থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.